দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট
ঢাকার কাছে চায়ের রাজ্য সিলেটে নির্মিত হয়েছে আরেকটি সুন্দর রিসোর্ট- দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট। ঢাকা থেকে 173 কিমি দূরে হবিগঞ্জের বাহুবল জেলার পুটিজুরিতে অবস্থিত, রিসোর্টটি আঞ্চলিক ও সমসাময়িক শৈলীর সমন্বয়ে রয়েছে।
সিলেটের রিসোর্টের কথা ভাবলে প্রথমেই আপনার মাথায় আসে দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট। সবুজ পরিবেশে আধুনিক পরিবেশ। টাওয়ার থেকে ভিলা পর্যন্ত দুই ধরনের কক্ষ বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়াও সাইকেল চালানো, হাইকিং, বোটিং, মাছ ধরা, সিনেমা ও খেলাধুলার জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।
এখন খাওয়া যাক। প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশনকারী বিভিন্ন রেস্তোরাঁ রয়েছে। তাই আপনি যা খেতে চান, রিসোর্টের রেস্তোরাঁয় পেয়ে যাবেন। ফিটনেসের জন্য একটি জিম, বিশাল সুইমিংপুল, হাম্মাম এবং স্পা পরিষেবা রয়েছে!
তাই আপনি এক জায়গায় আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু পেতে পারেন এবং শহরের আবর্জনা সম্পর্কে ভুলে যেতে পারেন।প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টেও রয়েছে ব্যাপক কর্পোরেট মিটিং এবং ইভেন্ট সুবিধা।
আরও পড়ুনঃ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, পরিচিতি ও ভ্রমণ গাইড
রিসোর্টের বর্ণনা
রুম ভাড়া
পাহাড়ের চূড়ায় আবাসনের জন্য রয়েছে পাঁচ তারকা সুবিধা বিশিষ্ট পাখিডাকা, ২৩টি সুনিবিড় ছায়ায় ঘেরা ভিলা। ভিলার মধ্যে ১ বেডরুমের ৮টি বাংলোর ১ রাতের ভাড়া 15 হাজার টাকা। 2 বেডরুমের ৮ টি বাংলোর ১ রাতের জন্য ভাড়া 25 হাজার টাকা।
3 বেডরুমের 4টি বাংলোর ভাড়া 1 রাতের জন্য 35 হাজার টাকা। 2টি প্রেসিডেন্সিয়াল ভিলার ১ রাতের জন্য ভাড়া 1 লাখ 25 হাজার টাকা। এই ভিলা গুলোতে অবকাশ যাপনের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে। প্রতিটা ভিলা একটা থেকে আর একটার দূরত্ব বেশ দূরে।
তাই দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট অবকাশ যাপনের জন্য প্রাইভেসি রক্ষা করে। তাছাড়া এখানে প্রাইভেট ওয়ার্লেস থাকায় প্রয়োজনের সময় সব ধরনের সার্ভিস পাওয়া যায়।
ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন
বাস, ট্রেন, কার এবং বিমানে করে দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট এ যাওয়া যায়। সরাসরি ঢাকা থেকে সিলেটগামী বাসে করে হবিগঞ্জের উপজেলার পুটিজুরি বাজারে পৌঁছানোর পর সি এন জি করে দ্যা প্যালেজ লাক্সারি রিসোর্ট ও স্প্যা তে যাওয়া যায়।
এছাড়া আপনি সিলেট এসে রিসোর্ট কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা তাদের নিজস্ব গাড়ীতে রিসোর্টে পৌছানোর ব্যবস্তা করে দেয়। রিসোর্টের গাড়ির ভাড়া পড়বে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা।
দ্যা প্যালেস রিসোর্টের সুযোগ সুবিধা
দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট এ যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে তা বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো। হোটেল সুবিধা: বিশেষভাবে এই রিসোর্টে কমফর্টেবল রুম আছে যা আপনাকে আলাদা রকমের মানসিক শান্তি দিবে। এখানে আছে ৪ টি বড়ো সভা কক্ষ এবং ৪০০ জনের ব্যাংকুয়েট হল।
রেস্টুরেন্ট ও খাদ্য: আদর্শভাবে, এই ধরণের রিসোর্টে একাধিক রেস্টুরেন্ট আছে, যা বিভিন্ন খাবার পণ্য এবং ভেষজ সরবরাহ করতে পারে। এছাড়া এখানে বারের সুবিধা ও পাবেন।
স্পা ও স্বাস্থ্য সেবা: স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য সেবা, যেমন স্পা, জিম, ও অন্যান্য সুবিধা আছে। এই রিসোর্টে সাউকেল রাইডিং এর ব্যবস্তা আছে।
বিনোদন সুবিধা: হোটেলের অ্যারিয়াতে বিনোদন সুবিধা, এমনকি সামুদ্রিক জীবন বা সাম্প্রতিক কর্মক্ষেত্রের জন্য সুযোগ সুবিধা আছে। এখানে সিনেপ্লেক্স, গেম, ফিশিং জোন ছাড়াও অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্তা আছে।
সুরক্ষা ও প্রস্তুতকরণ: বিশেষভাবে সময়ভিত্তিক সময়ে, সুরক্ষা প্রস্তুতকরণ সুবিধা গুলি অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ দেওয়া জন্য সার্বক্ষনিক ডাক্তারের ব্যবস্তা। এছাড়া এই রিসোর্টে ফ্রী ওয়াই-ফাই ব্যবস্তা আছে।
এখানে কিছু কিছু সুযোগ নিতে হলে অর্থ প্রদান করতে হবে। ৫ হাজার টাকা দিতে হবে ৭ মি হেলিকপ্টার রাইডের জন্য। সাইকেল রাইডের জন্য দিতে হবে ২০০ টাকা। এছাড়া মাছ শিকার এবং রান্না করার জন্য অতিরিক্ত চার্চ দেওয়া লাগবে।
এই সময়ে, আপনি নিজেকে আপনার পরিস্থিতি, সুযোগগুলি এবং আপনার পছন্দমতো সুবিধা সম্পর্কে তথ্য সবকিছু রিসোর্ট কতৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে পারবেন।
অফার
দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট সিজন অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অফার করে। এই অভার গুলো সম্পর্কে জানতে হবে প্যালেস রিসোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং ফেজবুক পেইজ ঘুরে দেখতে হবে।
যোগাযোগ
+88019 9000 1000, +88019 1000 1000
Email: info@thepalacelife.com
Website: www.thepalacelife.com
Facebook: www.facebook.com/thepalaceluxuryresort
হেড অফিস
গ্রীন প্যানেট রিসোর্ট লিমিটেড
House# 14, Road# 3, Sector# 6
উত্তরা, ঢাকা- ১২৩০
খাবার
খাবারের জন্য দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট এ ভিয়েতনামি সায়গন, ইন্ডিয়ান, কন্টিনেন্টাল ও অরিয়েন্টাল খবারের জন্য অলিভ, রিভলেশন, অ্যাবিয়ান লাউঞ্জ এবং স্ট্রিট ফুডের জন্য নস্টালজিয়া নামের রেস্টুরেন্ট আছে।
এখানে বাফেটের বাহিরের খাবার গুলো অনেক ব্যয়বহুল। দুপুর এবং রাতের বাফেট মূল্য ১২৫০ থেকে ১৫০০ টাকা (১৫% ভ্যাট এবং ১০% সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য)। এখানে খাবারের সাথে পানি যুক্ত নয়।
রুম বুকিং দিয়ে যে সুবিধা পাবেন
- দুইজনের জন্য সকালে ব্যুফে নাস্তা এবং ৫ বছরের নিচে বাচ্চা থাকলে একসাথে তিনজনে নাস্তা ফ্রী। নাস্তা নেয়াওয়ার সময় ১০ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
- চা এবং কফি বানানোর সরঞ্জাম সহ দুই লিটার পানি
- রাশ, পেস্ট, সাবান, লোশন এবং শ্যাম্পু
- লকার
- ওজন পরিমাণের মেশিন
- লন্ড্রি ব্যাগ, শাওয়ার ড্রেস, জুতা এবং শাওয়ার ক্যাপ
- পুরো এরিয়া ঘুরে দেখার জন্য ম্যাপ, প্যাড, কলম এবং ফ্রী ওয়াই-ফাই
- প্যালেস রিসোর্টের আশেপাশে ঘুরে দেখার জায়গা
প্যালেস রিসোর্টের আশেপাশে জায়গা
নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিরিবিলি আপনি আপনার পরিবার এবং প্রিয়জনের সাথে ভ্রমণের জন্য যেতে পারে দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট এ। এই রিসোর্টে বহুল সুবিধা উপভোগ করার পাশাপাশি আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন রিসোর্টের কাছাকাছি অবস্থিত দর্শনীয় স্থানগুলো।
অনন্য প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে, প্রাসাদে আসা অতিথিরা প্রায়শই রিসর্টে ছুটি কাটিয়ে ফিরে আসেন। যাইহোক, শ্রীমানগড় মাত্র 38 কিমি দূরে এবং অনেক লোক শ্রীমানগড়ের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, চা বাগান এবং মাধবপুর লেক দেখার জন্য ভ্রমণ করে।
উপসংহার
আলোচনা পরিশেষে আমরা দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট সম্পর্কে জানতে পারলাম। প্যালেস রিসোর্টের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা কি সে বিষয়ে আমাদের বিস্তার ধারণা হলো। নিজের মনকে প্রশান্তির জন্য আপনি ঘুরে আসতে পারেন অপরুপ সৌন্দর্যের এই রিসোর্টে। তাই দেরী না করে আজই ঘুরে আসতে পারেন বিলাসবহুল এই রিসোর্টে।
দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ
১। কেন যাবেন প্যালেস রিসোর্টে?
উত্তর: যান্ত্রিক কোলাহল পরিবেশে বসবাস করতে করতে আপনি হয়ে যাবেন ক্লান্ত, আপনার মানসিক শান্তি এবং অন্যরকম একটা জগতে সময় কাটাতে চাইলে আপনাকে প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে যাওয়া উচিত। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা সহ পাবেন আলাদা রকমের প্রশান্তি।
২। ঢাকা থেকে প্যালেস রিসোর্টের দূরত্ব কেমন?
উত্তর: এটি ঢাকা থেকে মাত্র 200 কিলোমিটার দূরে। ভদ্রলোক হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অদূরে এত বিলাসবহুল রিসোর্ট গড়ে উঠেছে যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হতো না।
৩। প্যালেস রিসোর্ট কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ এটি হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত
আরও পড়ুন-
হাম হাম ঝর্ণা ভ্রমণ, যাতায়াত খরচ ও ভ্রমণ গাইড
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও স্মরণীয় ইতিহাস