রোজ গার্ডেন
ব্রিটিশ আমলের নব্য ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন ঋষিকেশ দাস। ঢাকার খানদানি পরিবারগুলো সেরকম পাত্তা দিতো না ঋষিকেশ দাস কে। কারণ তাদের পরিবার টা সাধারণ পরিবার।
কথায় আছে, তিনি একবার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী জমিদারের বাগানবাড়ি বলধা গার্ডেনের এক জলসায় গিয়ে অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেন প্যালেস তৈরির। রোজ গার্ডেন প্যালেস সবার কাছে পরিচিত। বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক বিংশ শতাব্দীর প্রাচীন ভবন।
এটি একটি ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি নামে পরিচিত এবং ১৯৮৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত ভবন হিসেবে ঘোষণা করেন। এটা ঢাকার একটা অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে।
আরও পড়ুনঃ
অবস্থান
বলধা গার্ডেন থেকে অল্প দূরত্বে রোজ গার্ডেন নামের প্রাসাদসম বাড়িটি পুরান ঢাকার টিকাটুলির কেএম দাস লেনে অবস্থিত। খ্রিস্টান কবরস্থান এর পাশেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে গার্ডেনেই গঠিত হয় শ্বেত পাথরের মুর্তি, ঝর্ণা, শান বাঁধানো পুকুর, কৃত্রিম ফোয়ারা ও অনন্য স্থাপত্য শৈলিতে নির্মিত ভাষ্কর্য।
এ যেন এক রাজকীয় বাগানবাড়ি। আমাদের বাংলাদেশের জন্মের সাথে ইতিহাসে চিরদিনের মতো যুক্ত হয়ে গিয়েছে। এখন রোজ গার্ডেন কালের পরিক্রমায় রশিদ মঞ্জিল নামে পরিচিত।
রোজ গার্ডেনের ইতিহাস
কোন কিছু প্রতিষ্ঠার পিছনে থাকে নির্মাণ ইতিহাস। উনিশ শতকের দিকে জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী একটি বাগানবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন যাকে বর্তমানে আমরা বলদা গার্ডেন নামে চিনি। সে সময় এটি উচ্চবিত্তদের জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হতো এবং নিয়মিত নাচ গানের আসর বসতো।
জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরি একজন নাট্যকার ছিলেন। ঢাকার একজন নামকরা ধনী ব্যবসায়ী যার নাম ঋষিকেশ দাস একদিন বিনা নিমন্ত্রনে বলধার এক অনুষ্ঠানে যান। ঋষিকেশ দাস হিন্দু ধর্মের একজন নিম্ন বর্ণের ব্যক্তি হওয়ায় সেখানে গিয়ে অপমানিত হন।
এই অপমান থেকেই তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন যে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য তিনি একই রকম বাগানবাড়ি নির্মাণ করেন। আর এই ভাবেই রোজ গার্ডেন নির্মিত হয় জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরীর বলধার বাগান বাড়ির আদলে।
ঋষিকেশ দাস গার্ডেনের নির্মাণ কাজ ১৯৩০ সাল থেকে শুরু করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে গোলাপ গাছ দিয়ে বাগানটি সুশোভিত এবং সুসজ্জিত করেন। কিন্তু ১৯৩৬ সালে ঋষিকেশ দাস ঋণের দায়ে তার এই বাগানবাড়িটি ব্যবসায়ী খান বাহাদুর মৌলভী কাজী আব্দুর রশিদের নিকটে বিক্রয় করে দেন।
ফলে এই বাড়িটির মালিক বর্তমানে রশিদের বংশধরগণ। ১৯৭০ সালের দিকে এই গার্ডেনটি লিজ দেওয়া হয় বেঙ্গল স্টুডিও কে। ১৯৮৯ সালের দিকে এই রোজ গার্ডেনটি সংরক্ষিত ভবন বলে প্রত্যতত্ত্ব বিভাগের মাধ্যমে ঘোষিত হয় এবং কাজী রাকিব ১৯৯৩ সালে এই বাড়ির অধিকার ফিরে পায়।
রোজ গার্ডেনের রাজনৈতিক ইতিহাস
বাংলা বিহার এবং উড়িষ্যার নবাব ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন তার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়ে পড়ে। আবার ১৯২ বছর পর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বড় রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয় এই একই তারিখে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই রোজ গার্ডেনে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামি মুসলিম লীগ। পরবর্তীতে এর নামকরণ হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সালে যার নির্বাচনী প্রতীক ছিল নৌকা।
আওয়ামী লীগ পরিচিত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই গৌরবের ইতিহাস জীবন্ত রাখার জন্যই সরকার এই বাড়িটি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল ‘ সরকারের নিয়ম দিয়ে বাড়িটিকে ধ্বংস করা যাবে না। কেননা এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে এবং বাড়িটির সংরক্ষণ করার দায়িত্ব স্বয়ং সরকারের।’ তবে এ প্রসঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন ‘ এই বাড়িটি কেনার কথা অনেকদিন আগে থেকেই চলছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ হলো এখানে একটি নগর জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হবে।
রোজ গার্ডেন
এক বিশালাকার সাদা ধবধবে প্রাসাদ। নকশা দেখলেই মন ভরে যাবে। মনে হবে নতুন এক প্রাসাদ তৈরি করা হয়েছে। এটার বয়স ৯০ বছর। রোজ গার্ডেনে দুইটা মূল ফটক রয়েছে। যেটা উত্তর ও পশ্চিম দিকের দেওয়ালের মধ্যবর্তী অংশে রয়েছে। ভিতরে প্রবেশ ও বাইরে বের হওয়ার জন্য পশ্চিম দিকের ফটক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলে প্রথমেই রয়েছে বিস্তীর্ণ একটা খোলা প্রাঙ্গণ।
কয়েকটি সুদৃশ্য নারী মূর্তি দন্ডায়মান রয়েছে মঞ্চের উপর। একটা আয়তাকার পুকুর পূর্বাংশের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে। এই পুকুরের পশ্চিম ও পূর্ব পার্শ্বে মাঝামাঝি একটা করে বাঁধানো পাকা ঘাট রয়েছে। পশ্চিমমুখী একটা দোতলা ইমারত রয়েছে এর পূর্ব দিকে।
এর প্রবেশপথের সামনের চত্বরে ইট ও সিমেন্টের নির্মিত সুন্দর একটা ফোয়ারা রয়েছে। সাতটি ধাপ বিশিষ্ট একটা সিঁড়ি দিয়ে রশিদ মঞ্জিলের প্রথম তলায় যেতে হবে। এটার সামনের দিকে মধ্যবর্তী অংশের প্রতিটি কোঠার পাশাপাশি তিনটা খিলান দরজা রয়েছে। এর ওপরের তলায় প্রতিটা খিলানের ওপর একটা করে পডিয়াম রয়েছে।
লতাপাতার নকশা ও রঙিন কাঁচ দিয়ে সুশোভিত। উপবৃত্তাকার বেলকনি রয়েছে এর সামনের বাইরের দিকে। দুইপাশে রয়েছে করিনথীয় একটা করে পিলার। প্রতি তলায় পিলারগুলোর দুই পার্শ্বের অংশে একটা করে দরজা রয়েছে। প্রতিটি কাঠের পাল্লায় টিমপেনামে লতাপাতার নকশা ও ভ্যানিশিং ব্লাইন্ড এবং এর সামনেই অপ্রশস্ত খোলা বেলকনি রয়েছে।
বেলস্ট্রেড নকশায় শোভিত ওপরের বক্রাকার কার্নিসগুলো। আট কোণাকার ও খিলান সংবলিত বড় আকারের ছত্রী মধ্যবর্তী অংশে ছাদের সামনের ভাগে। আধা গোলাকার গম্বুজে ঢাকা এর একটা ছাদ। ইমারতের দুই কর্ণারে দুইটা করিনথীয় পিলার রয়েছে, এটার ওপরের দিকেও ছত্রী নকশা রয়েছে।
প্রতিটা তলায় ছোট ও বড় আকারের মোট ১৩টি কোঠা রয়েছে। প্রথম তলার পশ্চিমাংশের বাঁদিকে রয়েছে ওপরের দিকে যাওয়ার ঘুর্নায়মান সিঁড়ি।
প্রবেশের সময়সূচি
ছুটির দিন বাদে “রোজ গার্ডেন” দেখতে অন্য যেকোনো একটা দিন বের হতে হবে। রোজ গার্ডেনে বন্ধের দিন প্রবেশ নিষিদ্ধ। দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ৬টা পর্যন্ত। শুটিং চলাকালীন দর্শনার্থীদের কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। রোজ গার্ডেনের সাপ্তাহিক বন্ধ নেই।
যেভাবে যাবেন
পুরান ঢাকার টিকাটুলিতে এই সুন্দর সুশোভিত প্রাসাদটি। গোপীবাগের আর.কে.মিশন রোডে এই প্রাসাদ। রিকসায় যেতে পারবেন গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের কাছ থেকে। আপনাকে যেতে হলে রিকশা অথবা বাইকে যেতে হবে। নয়লে অন্য উপায়ে যাওয়া সম্ভব না। প্রথমে গুলিস্তানে যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে রিকশা ভাড়া নিতে হবে হুমায়ুন সাহেবের বাড়ির গেটে যাওয়ার জন্য।
রিকশাওয়ালাকে রোজ গার্ডেন বললে চিনবে না। তাই অবশ্যই হুমায়ুন সাহেবের বাড়িতে যাবেন বলবেন। পৌঁছাতে ২০ মিনিট সময় লাগবে। ভাড়া ৫০-৬০ টাকা।
রোজ গার্ডেন নিয়ে বর্তমান সরকার
এই প্রাসাদ টিতে ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়েছিল। অনেক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমানের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে রূপান্তরিত হয়েছে। যদিও এটা মালিকানাধীন সম্পত্তি, বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকায় সংরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে রয়েছে গত ৩০ বছর যাবত। ঋষিকেশ দাস ১৯৩০ সালে সাত একর জমিতে এই বাড়ি টি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সাত হাজার ফুটের আয়তনের এই বাড়ির সামনে রয়েছে নানান রকম ভাষ্কর্য।
বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুসারে, ১৯৩৭ সাল থেকে ঋষিকেশ দাসের কাছ থেকে এই সম্পত্তি ক্রয়ের মাধ্যমে বিত্তশালী ব্যবসায়ী খান বাহাদুর কাজী আব্দুর রশীদ সেখানে বসবাস শুরু করেন। তারপর থেকে এর নামকরণ করা হয় রশীদ মঞ্জিল। বর্তমানে এই সম্পত্তির মালিক তার বংশধরেরাই।
১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন একটা বৈঠকে আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। বর্তমানে পুরনো ঢাকার কে এম দাস লেনের কে এম বশীর হুমায়ুনের বাড়িতে এই বৈঠকটি হয়েছিল। এই প্রথম বৈঠকে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হিসেবে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানিক এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শামসুল হককে নির্বাচিত করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকায় ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন কিনে নেয়। এর সৌন্দর্য ফেরাতে ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনের সংস্কার প্রকল্পের কাজ শেষ হবে আশা করা যাচ্ছে।
কিভাবে রোজ গার্ডেনে যাবেন
বাংলাদেশের যে স্থানে আপনার বসবাস হোক না কেন প্রথমেই আপনাকে ঢাকায় আসতে হবে। এরপর ঢাকার যে কোন স্থান হতে যাত্রাবাড়ী বা গুলিস্তানে আসতে হবে এবং সেখান থেকে রিকশায় ৫০ টাকায় সরাসরি টিকাটুলি এবং ২০ টাকায় কে এম দাস লেন রোজ গার্ডেনে চলে আসতে পারবেন।
রিক্সাওয়ালা যদি না চিনে থাকে তবে চেনানোর জন্য হুমায়ূন সাহেবের বাড়ির কথা বলবেন তাহলেই নিয়ে আসবে। এছাড়াও আজকাল কোন জায়গায় যাওয়ার সহজ উপায় হলো গুগল ম্যাপ। এর মাধ্যমে সহজেই আপনি যে কোন জায়গায় যেতে পারবেন।
আর রোজ গার্ডেনে আপনি চাইলে দিনে দিনে ঘুরে যেতে পারবেন এখানে থাকার প্রয়োজন হবে না। এখানে ঢুকতে কোন এন্ট্রি ফি লাগবে না। এটি সকাল আটটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে তাদের সবচেয়ে ভালো হয় সকাল দশটার পর এই রোজ গার্ডেনে ঘুরতে গেলে।
কোথায় খাবেন
পুরান ঢাকা খাবারের জন্য বেশ ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান এবং এর খাবারদাবারের অনেক নাম ডাক রয়েছে। হাজীর বিরিয়ানি বিউটি বোডিং আল রাজ্জাক কাশ্মীর কাচ্চি ইত্যাদি হোটেল থেকে নিঃসন্দেহে খেতে পারেন।
কাছাকাছি যেসব দর্শনীয় স্থান রয়েছে
চাইলেই আপনি রোজ গার্ডেন দেখার পাশাপাশি কাছাকাছি যেসব দর্শনীয় জায়গা রয়েছে সেগুলিও ঘুরে দেখতে পারেন। এই রোজগার্ডের পাশেই যেসব দর্শনীয় জায়গা রয়েছে-
- বড় কাটরা
- ছোট কাটরা
- লালবাগ কেল্লা
- বলদা গার্ডেন
- খ্রিস্টান কবরস্থান
- আর্মেনিয়ান গির্জা
উপসংহার
ঋষিকেশ দাস প্রায় ২২ বিঘা জমির ওপর বাড়িটি নির্মাণ করেন। পশ্চিমমুখী এই দোতলা বাড়ির চারপাশে ১৯৩০ সালের দিকে এখানে বাগান শুরু করেন। চীন, জাপান, ভারত ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে মাটিসহ গোলাপের চারা এনে লাগিয়েছিলেন। এই গোলাপ ফুলের সমারোহের কারণে এর নাম হয়েছিল রোজ গার্ডেন।
বেহিসাবি জীবন যাপনের কারণে এক পর্যায়ে দেউলিয়া হয়ে যান। পরবর্তীতে সেই রোজ গার্ডেন নিয়েছে রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে রোজ গার্ডেনের অবস্থান, রোজ গার্ডেনের বিস্তারিত সব কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা সবকিছু জানতে পারবেন আশা করছি।
রোজ গার্ডেন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ
১. রোজ গার্ডেন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: বলধা গার্ডেন থেকে অল্প দূরত্বে রোজ গার্ডেন নামের প্রাসাদসম বাড়িটি পুরান ঢাকার টিকাটুলির কেএম দাস লেনে অবস্থিত। খ্রিস্টান কবরস্থান এর পাশেই।
২. রোজ গার্ডেন কে নির্মাণ করেন?
উত্তর: রোজ গার্ডেন নির্মিত হয় জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরীর বলধার বাগান বাড়ির আদলে। ঋষিকেশ দাস রোজ গার্ডেনের নির্মাণ কাজ ১৯৩০ সাল থেকে শুরু করেন।
৩. রোজ গার্ডেন কত টাকায় সরকার ক্রয় করেন?
উত্তর: আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকায় ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন কিনে নেয়। এর সৌন্দর্য ফেরাতে ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন-
বড় কাটরা
বিমান বাহিনী জাদুঘর