নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ

নিকলী হাওর

কিশোরগঞ্জ জেলায় নিকলী হাওর অবস্থিত। ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী হাওর অল্প বাজেটের মধ্যে ঘুরে আসতে পারবেন। এটা কিশোরগঞ্জ জেলার একটা প্রাকৃতিক সম্পদ। এখানে বিভিন্ন পাখির আবাসস্থল। এখানকার বেশিরভাগ মানুষদের জীবিকা নির্ভর করে এই হাওরের উপর।

এই হাওরের দিগন্ত জুড়ে স্বচ্ছ জলরাশি। এর বুকে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো অন্য রকম অনুভূতি। পানির মাঝে জেগে রয়েছে দ্বীপের মতো সব গ্রাম। হাওরের তাজা মাছ ভোজন করা কি অসাধারণ মজা বলে বুঝানো যাবে না। সব মিলিয়ে সফরের জন্য এটা একটা আদর্শ স্থান। দেশের জনপ্রিয় সব দর্শনীয় স্থান গুলোতে সব সময় ভীড় লেগে থাকে।

আর কিশোরগঞ্জের এই নিকলী হাওরে (nikli haor) তেমন ভীড় থাকে না। নিরিবিলি মনোরম এক পরিবেশ। পুরো একটা দিন নিজের মনের মতো নিরিবিলি পরিবেশে কাটাতে পারবেন। আপনি যদি রাতে থাকতে চান, তাহলে বড় একটা নৌকা ভাড়া নিতে হবে। মন চাইলে নৌকাতেই পুরো রাত কাটাতে পারবেন। বিশেষ করে বেশি সদস্য সংখ্যা থাকলে থাকতে পারেন। তবে রাতে নৌকাতে না থাকাটাই উত্তম।

আরও পড়ুনঃ মাদারীপুরের দর্শনীয় স্থান

নিকলীর ইতিহাস

ইতিহাসের পাতায় এই হাওরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নিকলী হাওর (nikli haor) এক সময় গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিলো। সেই প্রাচীনকাল থেকেই এখানে একটা পরিচিত জায়গা ছিলো। হাওরের কাছেই প্রত্নতাত্ত্বিকের ধ্বংসাবশেষ। এখানে শাসরুদ্ধার এক পরিবেশ।

ঐতিহাসিক নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ সদর থানা থেকে প্রায় ২৫ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। ঢাকা থেকে প্রায় ১১০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্র। ২৬০০ হেক্টরেরও বেশি জায়গা জুড়ে এই এলাকাটি। এখানে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে।

নিকলী হাওর – দর্শনীয় স্থান

নিকলীতে অনেক গুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে। অন্যতম কয়েকটি স্থানের নাম বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

নিকলী বেড়িবাঁধ

বর্ষার সময় চারিদিকে পানিতে কানায় কানায় বেড়িবাঁধ। এই স্বচ্ছ জলরাশির সৌন্দর্য দেখে মন জুড়িয়ে যায়।  শত শত মানুষের ভিড় জমে এখানে। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে যে, ২০০০ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর উপজেলা নিকলী সদর বন্যা কবলিত হয়।

বর্ষার এই প্রচন্ড রকমের ঢেউয়ের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার ৫ কিলোমিটারের দৈর্ঘ্য বেড়িবাঁধ তৈরি করে। এখানকার একটা গ্রাম তাতিতচর। এই গ্রাম কে রক্ষা করার জন্য রোপণ করা হয় হাজারো করচ গাছ।

গাছ গুলো বড় হতে থাকলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে। সারা বাংলাদেশ ছড়িয়ে পড়ে এই সৌন্দর্যের কথা। ২/৩ বছর পর থেকে পর্যটকদের আসা শুরু হয়।

গুরই শাহী জামে মসজিদ 

নিকলী উপজেলার দক্ষিণ পার্শ্বে গুরই ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন একটি মসজিদ গুরই শাহী জামে মসজিদ। প্রায় ৭০০ বছরের পুরনো মসজিদ। এটি মধ্যযুগের স্থাপত্যকালের এক অনন্য নিদর্শন। ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত ১৬ টি মসজিদের  মধ্যে গুরই শাহী জামে মসজিদ অন্যতম। এই ১৬ টি মসজিদ সুলতান রুকনউদ্দিন বারবাক শাহ কর্তৃক নির্মিত।

পাহাড় খা এর মাজার শরিফ-

পাহাড় খা মাজার নিকলী হাওরের (nikli haor) কাছে অবস্থিত। ধর্মীয় নেতা ছিলেন পাহাড় খা এবং মাজারে তার সমাধী রয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যতম একটা স্থান পাহাড় খা এর মাজার শরিফ। এখানে যেতে হলে মোটর সাইকেল বা ট্রলারে করে নিকলী হাওর থেকে যাওয়া যায়।

মিঠামইন হাওর

কিশোরগঞ্জে যেসব হাওর রয়েছে সব গুলোর মধ্যে মিঠামইন হাওর অন্যতম। বর্ষাকালে হাওর গুলো আকর্ষণ করে। সম্প্রতি অল ওয়েদার সড়কের কল্যাণে মিঠামইন হাওর পর্যটকদের কাছে বছরের সব সময় অনেক আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। 

বালিখলা হাওর 

বালিখলা রাস্তার সৌন্দর্য দেখার মতো। রাস্তার দুই পাশে বয়ে চলেছে হাওর। আবার হাওরের দুই পাশে রাস্তা একমাত্র কিশোরগঞ্জ জেলার বালিখলায় দেখতে পাবেন। রাস্তা অনেক উঁচু হওয়ার কারণে সহজে ডুবে যায় না।

অষ্টগ্রাম হাওর 

প্রাচীনকাল থেকে বিখ্যাত এই গ্রাম। এখানে বিভিন্ন জমিদারের বসবাস ছিলো। অনেক সুফিরা এখানে ইসলাম প্রচার করার জন্য এসে আর যাননি। একবারে থেকে গিয়েছেন। আর তারপর থেকে এই গ্রামের নাম ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুনঃ রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড, কক্সবাজার

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে ট্রেন অথবা বাসে করে নিকলী হাওরে যেতে পারবেন।

ঢাকা থেকে ট্রেনে যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে ট্রেনে যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে কমলাপুর রেলস্টেশনে যেতে হবে। তারপর আন্তঃনগর এগারো সিন্ধুর প্রভাতী ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। এই ট্রেন সপ্তাহের বুধবার ছাড়া বাকি ৬ দিনই কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ৭টা ১৫ মিনিটে ছাড়ে। 

ট্রেনের সময়সূচি: 

১। এগারোসিন্ধু গোধূলি -ছাড়ে ৭:১৫ মিনিটে- পৌঁছায় ১১:১৫ মিনিটে। 

বুধবার বন্ধ। 

২। এগারোসিন্ধু প্রভাতী-ছাড়ে ১৮:৪০ মিনিটে-পৌঁছায় ২২:৪৫ মিনিটে। 

বুধবার বন্ধ। 

৩। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস- ছাড়ে ১০:৪৫ মিনিটে।

বুধবার বন্ধ।

এরপর এটা বিমানবন্দর-টঙ্গী-নরসিংদী ও ভৈরব স্টেশন হয়ে কিশোরগঞ্জে পৌঁছে যায়। ট্রেনে শ্রেণী ভিত্তিতে ভাড়া নির্ধারণ করা থাকে। ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়ায় আসতে পারবেন।

ট্রেনে করে গচিহাটা স্টেশনে সকাল ১১ টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন। তারপর ওখান থেকে ইজিবাইক অথবা সিএনজিতে করে নিকলীতে যেতে পারবেন। গচিহাটা থেকে ১৫ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত।  ইজিবাইকে একজনের ভাড়া ৩৫ টাকা। যদি রিজার্ভ নিতে চান তাহলে ২৫০-৩০০ টাকা। প্রায় ১ ঘন্টা সময় লাগবে। সিএনজিতে ৪০ মিনিট সময় লাগবে। রিজার্ভ নিলে ৩০০-৩২০ টাকা। 

ঢাকা থেকে বাসে যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে বাসে যেতে চাইলে। গোলাপবাগ অথবা অন্যান্য বাস সার্ভিসে করে যেতে পারবেন। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী বাস ছাড়ে। ভোর ৫ঃ৩০ থেকে ১৫ মিনিট পর পর বাস ছেড়ে দেয়।

বাসের ভাড়া জনপ্রতি ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা। ঐ দিনেই যদি চলে আসতে চান সেক্ষেত্রে সকাল ৭ টার আগেই রওনা দিতে হবে। বাসে করে৷ আসলে কিশোরগঞ্জের আগে কটিয়াদি বাস স্ট্যান্ডে নামলে ২২ কিঃমিঃ দূরে নিকলী। সিএনজি ভাড়া করতে হবে ৩৫০-৪০০ টাকার মধ্যে। ১ ঘন্টা ২০ মিনিট সময় লাগবে।

কিশোরগঞ্জ থেকে নিকলী

কিশোরগঞ্জ থেকে যেতে চাইলে রেলওয়ে স্টেশনের পাশেই সিএনজি স্ট্যান্ড। সিএনজি তে করে ১ ঘন্টা সময় লাগবে। এটা ২৭ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। জনপ্রতি ৭০ টাকা। রিজার্ভে ৩৫০-৪০০ টাকা।

ভৈরব থেকে নিকলী

ভৈরব থেকেও নিকলী যাওয়া যায়। সিএনজি অথবা লোকালে করে যাওয়া যায়। লোকালে ১২০ টাকা। রিজার্ভ নিলে ৬০০ টাকা লাগবে।

হোটেল ভাড়া

হোটেল উজানভাটি

  • নন এসি সিঙ্গেল বেড
  • রুম ২৩ টি
  • এসি সিঙ্গেল বেড রুম ৮ টি
  • নন এসি ডাবল বেড রুম ৬ টি
  • এসি ডাবল রুম ৩ টি
  • স্টেশন রোড, কিশোরগঞ্জ
  • ০১৭৪৩-৭১৮৭১৮
নন এসি সিঙ্গেল বেড রুম ৭টি
  • এসি সিঙ্গেল বেড রুম ৯টি
  • নন এসি ডাবল বেড রুম ২টি
  • এসি সেমি ডিলাক্স রুম ২টি
  • স্টেশন রোড, কিশোরগঞ্জ
  • ০১৭৫৪-২৩১২৬৭

চেয়ারম্যান গেস্ট হাউসে রয়েছে 

  • এসি রুম
  • সিসি ক্যামেরা যুক্ত
  • নন এসি রুম
  • সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
  • গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা
  • বারান্দা সহ মনোরম পরিবেশ রয়েছে।

যোগাযোগের জন্য০১৩০৮-৫১০৪১১ , ০১৯৫৬-০৭১৫৬৩

নিকলী হাওরের শাহজাহান গেস্ট হাউস 

এই গেস্ট হাউসে রয়েছে-

  • সকালে ব্রেকফাস্ট দেওয়া হয়
  • এসি ও নন এসি রুম
  • গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা।
  • ওয়াইফাই সংযোগ 
  • নিরাপত্তা ব্যবস্থা
  • বিদ্যুতের সুব্যবস্থা।

যোগাযোগের জন্য – ০১৭১১-৫৭৬৯৬১, ০১৪০৭-৭৪৫৮৯২

কিশোরগঞ্জ শহরে অনেক ভালো মানের হোটেল রয়েছে। যেমন- হোটেল শ্রাবণী, গাঙচিল ও হোটেল আল মুসলিম। এসব হোটেল মান সম্মত হোটেল এবং দামও বেশি। প্রতি রাত ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা গুনতে হয়। এর মধ্যে ভালো রুম পাবেন।

আরও পড়ুনঃ নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালী

নিকলী প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট 

এই রিসোর্টটি মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। প্রাকৃতিক সবুজে ঘেরা প্রায় ৩৫ একর জমির উপর এই রিসোর্ট টি তৈরি করা হয়েছে।

এখানে ১০ টি কটেজ রয়েছে ৩ স্টার মানের। আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যে প্রায় ৪০ টি পরিবার থাকতে পারবে। আপনি রুমের ভিতর থেকেই কটেজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

এখানে রয়েছে –

  • সুইমিংপুল 
  • শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম
  • ওয়াটার বোর্ড 
  • শিশু পার্ক
  • ইনডোর প্লে এরিয়া
  • পার্টি সেন্টার
  • দেশি ও চাইনিজ আইটেম 

কোথায় খাবেন

নিকলীর যেখানে নামবেন সেখানেই ভালো মানের খাবার। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোটেল সেতু ও ক্যাফে ঢেউ। ১০০ ও ২০০ টাকার মধ্যে হাওরের তাজা মাছ দিয়ে পেট ভরে ভাত খেতে পারবেন। এখানকার রেস্টুরেন্টে সব ধরনের মাছের আইটেম পাবেন।

টেংরা ও বাইম মাছ সাথে আরো ভিন্ন প্রজাতির মাছ। এর সাথে রয়েছে গরু, মুরগি, খাসি। আরো আছে সালাত, ড্রিংকস, মিনারেল ওয়াটার। হোটেল রেস্টুরেন্ট গুলো অনেক উন্নত মানের না হলেও খাবার গুলো অনেক সুস্বাদু। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের চাটনি ও মাছের ভর্তার জন্য। এখান থেকে আসার সময় বিভিন্ন রকমের মাছ নিয়ে আসতে ভুল করবেন না। অবশ্যই নিয়ে আসবেন।

ভ্রমন গাইড

খাওয়া এবং অন্য কোনো কাজ থাকলে সব কিছু শেষ করে বেড়াতে যেতে পারবেন। এজন্য ইজিবাইক ভাড়া করবেন। ইজিবাইকে করে একদম শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যাবেন। তারপর ঘন্টা প্রতি নৌকা দরদাম করে নৌকায় ঘুরে বেড়াবেন। ছোট নৌকায় ৪০০-৫০০ টাকা লাগবে। আর বড় নৌকাতে ৭০০-৮০০ টাকা লাগবে। যদি বেশি সময় (কমপক্ষে ৩ ঘন্টা) নিয়ে ঘুরেন তাহলে খরচ কম হবে।

নৌকায় ঘুরতে এক অন্যরকম অনুভূতি। ঘুরতে ঘুরতে চলে যেতে পারেন ছাতিরচর গ্রামে। রাতারগুলের মতো মুগ্ধতা ছড়িয়ে আছে যেন চারিদিক। বর্ষার সময় গেলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট নিয়ে যাবেন। কেননা এই সময় ভরপুর পানি।

নিকলী হাওর ভ্রমনে সতর্কতা 

নিকলীতে যাওয়ার আগে সব বিষয় জেনে যাওয়া ভালো। যেহেতু এই জায়গাটা পানির। আর বর্ষার সময় তো আরো পানি ভরপুর করে। সেজন্য সতর্ক হয়ে নিকলীতে যেতে হবে।

  • চলন্ত নৌকায় না বসা।
  • যারা সাঁতার জানে না তাদের নৌকাতে না ওঠা।
  • বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তারের কাছাকাছি নৌকা নিয়ে না যাওয়া। 
  • অপরিচিত লোকের সঙ্গে বেশি সম্পর্কে জড়ানো লেনদেন ও ভ্রমণ না করা।
  • সন্ধ্যার পর বাইরে বের না হওয়া।
  • নৌকায় উচ্চ আওয়াজে বাদ্যযন্ত্র না বাজানো।
  • শিশু বাচ্চাদের দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখুন।
  • অপরিচিত কারো কাছে থেকে কোনো খাদ্যদ্রব্য না খাওয়া।
  • রাস্তায় ছবি তোলার জন্য মোবাইল বের না করা।

নিকলীতে যাওয়ার উপযুক্ত সময় 

নিকলীতে (nikli haor) সারাবছরই ঘুরতে যাওয়া যায়। আপনি যদি হাওরের পানির অপরূপ রূপ দেখতে চান তাহলে বর্ষার সময় যাওয়া ভালো। বর্ষাকালে যেতে হবে। নয়লে এর পর পরই যেতে হবে। বেশি দিন পর গেলে বর্ষার সৌন্দর্য টা দেখতে পাবেন না। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেতে হবে। এরপরে গেলে পানি অনেক কমে যাবে। 

উপসংহার

নিরিবিলি ও শান্তভাবে ঘুরাফেরা করার জন্য নিকলী হাওর সুন্দর একটা জলাভূমি। এখানকার সংরক্ষিত নৌকা ও গাড়ি আপনার ভ্রমণের জন্য আনন্দময় হয়ে উঠবে। এখানে একদিনের সফরে ঘুরে আসতে পারেন। বড় একটা দল নিয়ে গেলে ভালো হয়। রাতের বেলা হাওর (nikli haor) পরিদর্শন করা যায়।

নৌকায় ভ্রমণ করার সময় পানিতে ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। যারা সাঁতার জানে না তাদের জন্য লাইফ জ্যাকেট আবশ্যক। এজন্য ভ্রমণ করার আগে সকল নিয়ম জেনে নিতে হবে। তাহলে ভ্রমণ আপনার জন্য শান্তিপূর্ণ হবে। মনের সমস্ত ক্লান্তি মুছে ফেলার জন্য ঘুরে আসুন কিশোরগঞ্জ।

নিকলী হাওর সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ’s

১। নিকলীতে কিভাবে যাওয়া যায়? 

উত্তর: নিকলীতে যাওয়ার জন্য ট্রেন অথবা বাসে যাওয়া যায়। 

২। নিকলীতে যাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন?

উত্তর: নিকলীতে যাওয়ার উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল। এই সময় চারিদিকে পানিতে ভরে যায়। সাগরের ঢেউয়ের মতো ঢেউ দেখা যাবে।

৩। ঢাকা থেকে কত দূর এই পর্যটন কেন্দ্র?

উত্তর: ঢাকা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্র। 

৪। কতটুকু জায়গা জুড়ে এর অবস্থান?

উত্তর: ২৬০০ হেক্টর জুড়ে এই নিকলী। 

৫। ঢাকা থেকে যেতে কত সময় লাগে?

উত্তর: ঢাকা থেকে কটিয়াদি তে আগে যেতে হবে। কটিয়াদি তে আসতে ৩-৩:৩০ ঘন্টা সময় লাগে। সেখান থেকে ২২ কিঃমিঃ দূরে নিকলী।

আরও পড়ুন-

রাজবাড়ী জেলার দর্শনীয় স্থান

তেওতা জমিদার বাড়ি মানিকগঞ্জ

মন্তব্য করুন