নেপাল ভ্রমন
নেপাল ভ্রমন (Nepal Travel) এশিয়ায় অবস্থিত দেশগুলোর মধ্যে সুন্দর সুন্দর মন্দির, বৈচিত্রময় সংস্কৃতির এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ দশটি পর্বতের মধ্যে আটটিই নেপালে অবস্থিত। এই মাউন্ট এভারেস্টও (Mount Everest) নেপালেই অবস্থিত। শুধু হিমালয় ছাড়াও নেপাল আরও অনেক কারনেই ভ্রমণের জন্য বিখ্যাত।
অগনিত মন্দির এবং বিভিন্ন বৈচিত্রপূর্ব সংকৃতিতে পরিপূর্ণ দেশ নেপালে এই জন্যই প্রতি বছর অসংখ্য টুরিস্ট (tourist) গিয়ে থাকে। তাই আপনিও যদি ভ্রমণের পিপাসু হয়ে থাকেন এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নেপাল যেতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আপনার জন্য।
নেপালের সরকার নেপাল (Nepal) কে টুরিস্টদের কাছে আরও বেশি আকৃষ্ট করার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া আরও বেশি সহজতর করে দিয়েছে। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে নেপাল টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ২০২৩ সম্পর্কে একটি বিস্তারিত এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হবে।
ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে নেপাল ভিসা ফর্ম, বাংলাদেশ টু নেপাল বিমান ভাড়া, নেপাল ভ্রমন খরচ (Nepal Travel Cost), নেপাল ভ্রমন ভিসা (Nepal Travel Visa), প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র, ভিসা খরচ ইত্যাদি খুটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করা হবে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক- বিস্তারিত সকল কিছু।
আরও পড়ুনঃ ইতালির ভিসা । বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
নেপাল টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং
নেপাল সরকার বাংলাদেশিদের জন্য দুই ধরণের ভিসা প্রদান করে থাকে। এদের একটি হলো- অন-এরাইভাল ভিসা (On-Arrival Visa) এবং অন্যটি হলো- স্টিকার ভিসা (Sticker visa)। অন এরাইভাল ভিসার জন্য আপনাকে শুধু প্লেনের টিকেট কেটে নেপালে যেতে হবে অতঃপর আপনার পাসপোর্ট (passport) এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
আর আপনি যদি স্টিকার ভিসা নিয়ে নেপাল যেতে চান তাহলে ঢাকার গুলশানে অবস্থিত নেপাল দূতাবাসে স্টিকার ভিসার আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নেপাল সরকার অনলাইন ই-ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ করেছে। নিন্মে নেপাল ভ্রমন এর সকল বিষয় গুলো উল্লেখ করা হলোঃ-
নথি সংগ্রহ
প্রথমেই ভিসার প্রসেসিং এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং পাসপোর্ট সহ সকল নথিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
বৈধ পাসপোর্ট
নেপালের প্রবেশ করার ছয় মাস পূর্বে পরীক্ষা করতে হবে আপনার পাসপোর্টটি বৈধ কি না। নেপালের ভ্রমণের জন্য আবেদন করার ছয় মাস পূর্বে পাসপোর্ট করতে হবে।
অনলাইন আবেদন
নেপাল টুরিস্ট ভিসার ওয়েবসাইটঃ https://bd.nepalembassy.gov.np/visa/ এ গিয়ে অনলাইন আবেদন ফর্মটি পূরন এবং একই সাথে ব্যক্তিগত এবং পাসপোর্টের তথ্য গুলো প্রদান করুন।
নথি আপলোড
সম্পূর্ণ আবেদন ফর্মটি পূরণ হলে সমস্ত ডকুমেন্টস গুলো স্ক্যান করে সেগুলো আপলোড করুন।
অনলাইন পেমেন্ট
নেপাল ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করে e-Visa ফি প্রদান করুন, এবং আপনার ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপেক্ষা করুন।
ভিসা প্রক্রিয়াকরণ
আপনার ভিসার আবেদন করা হলে নেপাল ইমিগ্রেশন অফিসার (immigration officer) দ্বারা প্রক্রিয়া করণ করা হবে।
ভিসা গ্রহণ
আপনার ভিসা টি অনুমোদন করা হলে সেটি আপনাকে মেইলের মাধ্যমে জানানো হবে আপনি সেটি প্রনিন্ট করে গ্রহণ করবেন।
নেপাল ভিসা ফর্ম
একটা সময় ভিসা আবেদন ফর্ম শুধু অ্যাম্বাসির (Embassy) নিকট পাওয়া গেলেও বর্তমানে সেটি খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে আপনি চাইলেই খুব সহজে নেপাল ইমিগ্রেশনের ওয়েব এবং নেপালের অ্যাম্বাসির ওয়েবসাইট থেকে ভিসার আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে পারেন। নিন্মে ভিসার আবেদন ফর্ম দেওয়া হলোঃ-
আবেদন ফর্ম লিংক: ১ https://bd.nepalembassy.gov.np/visa/
আবেদন ফর্ম লিংক: ২ http://online.nepalimmigration.gov.np/tourist-visa
এছাড়া আপনার সুবিধার্তে নিন্মোক্ত লিংক থেকে ডিরেক্ট নেপাল টুরিস্ট ভিসার আবেদন ফর্মটি সংগ্রহ করতে পারেন।
ডিরেক্ট আবেদন ফর্ম লিংক ডাউনলোডঃ- https://nepal_turist_visa_form_2.pdf
নেপাল টুরিস্ট ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভিসার আবেদনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ব্যবস্থা করা। আপনি যখন নেপাল ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন, তখন আপনার নিম্নলিখিত নথিগুলির প্রয়োজন হবে।
- নেপাল ট্যুরিস্ট ভিসার (Nepal Tourist Visa) আবেদন ফর্ম।
- অরজিনাল পাসপোর্ট, যেটি কমপক্ষে আরও ছয় মাসের জন্য বৈধ এবং কমপক্ষে দুটি ফাঁকা ভিসা পৃষ্ঠা রয়েছে।
- আপনার পাসপোর্টের অভ্যন্তরীন ব্যক্তিগত তথ্য পৃষ্ঠার ফটোক।
- অন্তত নিজের একটি সাম্প্রতিক সময়ে তোলা পাসপোর্ট-আকারের ছবি (একটি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড সহ 1.5 ইঞ্চি x 1.5 ইঞ্চি)। তবে ছবির ক্ষেত্রে, আপনার একটির বেশি নেওয়া উচিত কারণ আপনি যখন ফি প্রদান করেন বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে উদ্ভূত হতে পারে তখন ভিসা বাড়ানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে।
- নেপালে অবস্থানের প্রমাণ (যেমন হোটেল রিজার্ভেশন বা ঠিকানা)
- ফেরত আসার ফ্লাইট টিকিট।
- গত তিন মাসের ব্যংক স্টেটমেন্ট।
- নেপাল ভিসা ফি পরিশোধের রশিদ।
এছাড়া পাসপোর্টের ধরণের উপর ভিত্তি করে আপনাকে আরও কিছু কাগজ জমা দিতে হবে। যেমন,
ব্যাবসায়িক পাসপোর্ট ধারীদের জন্য যেকল কাগজ জমা দিতে হবে-
- ট্রেডলাইসেন্স (Trade license) এর ইংরেজি অনুবাদ
- নোটারীকৃত কপির আসলকপি
- বাংলা ট্রেডলাইসেন্সের ফটোকপি
- বিজনেস কার্ড
- বাংলা ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে হবে।
চাকুরিজীবি পাসপোর্ট (Passport) ধারীদের জন্য যে সকল কাগজ জমা দিতে হবে-
- অফিসিয়াল প্রত্যয়ন পত্র/ট্রাডলাইসেন্সের ইংরেজি অনুবাদ
- নোটারীকৃত কপির মূলকপি
- বাংলা ট্রেড লাইসেন্স
- বিজনেস কার্ড
- পরিচয় পত্র
ছাত্র পাসপোর্ট ধারীদের জন্য সে সকল কাগজ জমা দিতে হবে-
- বৈধ পরিচয়পত্র
- সর্বশেষ পাসকৃত সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি
- কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যয়নপত্র
গ্রুপ ভিসার জন্য যে সকল কাগজ জমা দিতে হবে-
- পাসপোর্ট নাম্বারের তালিকা
- অফিস কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত অফিসিয়াল লেটারগেড
- আবেদনের পূর্বে ইমেল/ফ্যক্স
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ নেপাল ভ্রমণের সময় আপনার জমা দেওয়া কাগজপত্রগুলি আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই, সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি নেপাল ভ্রমণের আগে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফর্মটি পূরণ করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা
নেপাল ভ্রমন খরচ
নেপালের টুরিস্ট ভিসার খরচ তুলনামুলক অনেক কম। এছাড়া সার্কভুক্ত দেশ গুলো যেমন, (আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা) নাগরিকদের জন্য একই বছরের প্রথম ভিসার জন্য ভিসা ফি প্রদান করতে হবে না। তবে একই বছরের দ্বীতীয় ভিসার জন্য ফি প্রদান করতে হবে।
সার্কভুক্ত দেশগুলো ব্যতিত অন্যান্য সকল বিদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। নিন্মে ভিসা নেপাল টুরিস্ট ভিসা ফি (Nepal Tourist Visa Fee) দেওয়া হলোঃ
স্টিকার ভিসা ফি (Sticker visa fee)
- ১৫ দিনের মাল্টিপল ভিসার জন্য ভিসা ফি ২২০০ টাকা প্রদান করতে হবে।
- ৩০ দিনের মাল্টিপল ভিসার জন্য ভিসা ফি ৩৫০০ টাকা প্রদান করতে হবে।
- ৯০ দিনের মাল্টিপল ভিসার জন্য ভিসা ফি ৯০০০ টাকা প্রদান করতে হবে।
বাই রোডে নেপাল ভ্রমন
বাই রোডেও নেপাল ভ্রমণ করতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে প্রথমে ঢাকার গুলশানে অবস্থিত নেপাল এম্বাসি (Nepal Embassy) থেকে নেপালের ভিসা আবেদন করতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৩০ থেকে ১১.৩০ এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। নেপাল দুতাবাস ঢাকা ব্যাথিত বাংলাদেশের অন্য কোথাও থেকে নেপালের টুরিস্ট ভিসা প্রদান করা হয় না।
বাইরোডে নেপাল ভ্রমণ (travel to Nepal) করার জন্য ইন্ডিয়ান ট্রান্সজিট ভিসা (Indian Transit Visa) ও নিতে হবে। ইন্ডিয়ান ট্রান্সজিট ভিসা ফি (Transit visa fee) ৮০০ টাকা। এবং ট্রান্সজিট ভিসার বর্ডার পোর্ট থাকবে হবে চ্যাংড়াবান্ধা/রানিগঞ্জ অথবা ফুলবাড়ি/রানিগঞ্জ। নিন্মে বাইরোডে নেপাল ভ্রমণের প্রসেসিং উল্লেখ করা হলোঃ
- ট্রান্সজিট ভিসা নেওয়ার পূর্বে ঢাকা টু চ্যাংড়াবান্ধা/ফুলবাড়ি টু ঢাকা এই রুটের যাওয়ার আসার বাসের অগ্রিম টিকিট, ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
- বাসের অরজিনাল টিকিট পাসপোর্ট (passport) এর পিছনের পাতার সাথে স্ট্যাপলার করে দিতে হবে এবং আলাদা ভাবেও এই টিকিট গুলো ফটোকপি করে সেগুলো বাকি কাগজপত্রের সাথে দিতে হবে।
- নেপালে কোন হোটেলে থাকবেন সেই হোটেলের বুকিং (Hotel booking) স্লিপ প্রিন্ট করে জমা দিতে হবে।
- ভ্রমণের তারিখে এবং বাসের টিকিটের তারিখ একই দিনের হতে হবে।
এছাড়া আরও অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হবে বাসযোগে নেপাল ভ্রমণের সময়ে ট্রান্সজিট ভিসার মেয়াদ যেহেতু ১৫-৩০ দিন হয়ে থাকে তাই এই ১৫ দিনের মধ্যেই আপনাকে নেপাল থেকে ঘুরে আসতে হবে। আপনাকে ট্রান্সজিট ভিসা পাবার প্রথম ৭২ ঘন্টার মধ্যেই ইন্ডিয়া India দিয়ে নেপাল যেতে হবে আর একই ভাবে ট্রান্সজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হবার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই ইন্ডিয়া আসতে হবে।
ঢাকা টু নেপাল বাস ভাড়া
২০২২ সালে ঢাকা থেকে নেপাল বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। শ্যামলি সহ আরও কয়েকটি বাস সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকা থেকে নেপাল যেতে পারবেন। এতে সময় লাগবে ৩০ ঘন্টা। নিন্মে ঢাকা থেকে নেপালের বাসভাড়া দেওয়া হলোঃ-
জনপ্রতি | বাংলাদেশি টাকা | নেপাল রুপি |
১ | ২৯২০ টাকা | ৪০৫০ নেপাল রুপি |
২ | ৫৮৫০ টাকা | ৮৮৮০ নেপাল রুপি |
৩ | ৮৭৫০ টাকা | ১০১২০নেপাল রুপি |
৪ | ১১৬৬০ টাকা | ১৬১৫০ নেপাল রুপি |
৫ | ১৪৫৮০ টাকা | ২০২০০ নেপাল রুপি |
৬ | ১৭৫০০ টাকা | ২৪২৩০ নেপাল রুপি |
ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর দূরত্ব ১১০০ কিলোমিটার। আপনি বর্তমানে খুব সহজেই বাংলাদেশের সনামধন্য বাস সার্ভিস শ্যামলি পরিবহনের মাধ্যমে বাসে করে নেপাল ঘুরে আসতে পারেন।
বাংলাদেশ টু নেপাল বিমান ভাড়া
বাংলাদেশ থেকে প্রত্যেক সপ্তাহে ১০ টি করে ফ্লাইট নেপালের আসা যাওয়া করে। বাংলাদেশ থেকে নেপালের কাঠমান্ডু (Kathmandu) বিমানবন্দরের দূরত্ব ৬৬১ কিলোমিটার। বাংলাদেশ টু নেপালের জনপ্রিয় এয়ারলাইনস গুলো হলো- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং হিমালায়া এয়ারলাইন্স (Himalaya Airlines)। নিন্মে বাংলাদেশ থেকে নেপালের বিমান ভাড়া উল্লেখ করা হলোঃ-
ঢাকা টু নেপাল ফ্লাইট সিডিউল
এয়ারলাইন্স | ফ্লাইট নং | উড্ডয়ন সময় | পৌছানোর সময় | ভাড়া |
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স | বিমান ৭১ | সকাল ১০ঃ৩০ | সকাল ১১ঃ৪৫ | ১৭৫০০ |
হিমালয়া এয়ারলাইন্স | হিমালয়া H9679 | বিকেল ৪ঃ৩০ | বিকেল ৫ঃ৫০ | ১২১০০ |
নেপাল টু ঢাকা ফ্লাইট সিডিউল
এয়ারলাইন্স | ফ্লাইট নং | উড্ডয়ন সময় | পৌছানোর সময় | ভাড়া |
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স | বিমান 72 | দুপুর ১২ঃ৫৫ | দুপুর ২ঃ৩০ | ১৭৫০০ |
হিমালয়া এয়ারলাইন্স | হিমালয়া H9678 | দুপুর ১ঃ৫০ | বিকেল ৩ঃ৩০ | ১২১০০ |
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সপ্তাহের ৭ দিনই ঢাকা টু কাঠমান্ডুর ফ্লাইট সেবা সচল থাকে আর হিমালয়া এয়ারলাইন্স সপ্তাহের তিন (শনি, সোম ও বুধবার ) চালু থাকে।
নেপাল ট্যুর প্যাকেজ
নেপাল ভ্রমণ প্যাকেজ – ১ঃ Its Holidays Ltd
ভ্রমনের সময়ঃ ৩রাত ২দিন
প্যাকেজ মূল্যঃ ৩৩৫০০ থেকে ৪৫০০০ টাকা
Email: itsholidaysbd@gmail.com
Mobile: 01684720008
Address: punnashi villa,level-4,flat-4/4,house-150,block-E,Road-10,Banani,Dhaka-1213,Bangladesh
প্যাকেজে যা যা থাকবে
- বিমানে যাওয়া আসা
- তিন স্টার মানের হোটেলে থাকা খাওয়া
- প্রতিদিন সকালে নাস্তা
- প্রাইভেট ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত
- সাইট সিং
- গাইড সার্ভিস সহ নানা আয়োজন
- রিটার্ন এয়ার টিকেট এন্ড অল ট্রাভেল ট্যাক্স
নেপাল ভ্রমণ প্যাকেজ – ২ঃ TripsNtours
- প্যাকেজ কোড TnT@inhn
- মোবাইল নাম্বার ০১৯৬০ ০৯৯০০০০
- ইমেইলinfo@tripsntours.com.bd
ল্যান্ড প্যাকেজ মূল্য ও শর্ত –
৫০ হাজার ৮৫০ টাকা, লোকাল পেমেন্ট অফার ১১৭০০ টাক্ সর্বমোট ল্যান্ড প্যাকেজ মূল্য ৬২ হাজার ৫৫০ টাকা
ভ্রমণের ধরন- গ্রুপ টুর
গ্রুপের আকার- সাধারণত সর্বনিম্ন চারজন থেকে 19 জন পর্যন্ত
সুযোগ সুবিধা
- মায়া দেবী মন্দির
- চিতুয়ান জাতীয় উদ্যান প্রবেশ
- ধারো সংস্কৃতি নৃত্য অনুষ্ঠান
- অন্নপূর্ণা ফুঁথিল
- স্ট্রে তিরুপতি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন
- ওয়ার্ল্ড প্যাগোডা পর্যন্ত যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ
শেষ কথা
আশা করি, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে নেপাল ভ্রমন | নেপাল ভ্রমণ খরচ (Nepal travel expenses) সম্পর্কে একটি বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন। আপনারা যদি নেপালের টুরিস্ট ভিসার আবেদন করে তাহলে অবশ্যই নেপাল অ্যাম্বাসি থেকেই করবেন কারন বাংলাদেশ থেকে নেপালের স্টিকার ভিসার আবেদন শুধুমাত্র নেপাল অ্যাম্বাসির মাধ্যমেই করা হয়।
আর আবেদন করার জন্য অবশ্যই সকাল ৯.৩০ থেকে ১১.৩০ এর মধ্যে যাবেন। কারণ নেপাল অ্যাম্বাসিতে (nepal embassy) আবেদন গ্রহণের সময় সকাল ৯.৩০ থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত। এবং ভিসা ডেলিভারি সময় দুপুর ৩ টা থকে ৩.৪৫ পর্যন্ত। আর আপনি যদি ১০.৩০ এর পূর্বে ভিসার আবেদন করেন তাহলে আপনি বিনামূল্যে সেবা টি গ্রহণ করতে পারবেন।
টেলিফোন এর মাধ্যমে নেপাল ভিসা অ্যাম্বাসি থেকে কোন প্রকারের তথ্য প্রদান করে না। যদি আপনি অন্যান্য তথ্য জানতে চান তাহলে প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে ভিসা ডেস্কে যোগাযোগ করতে পারেন।
নেপাল ভ্রমন | নেপাল ভ্রমন খরচ নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ
১। নেপালের টুরিস্ট ভিসার দাম কত?
নেপালের টুরিস্ট ভিসার ১৫ দিনের মাল্টিপল ভিসার দাম ২২০০ টাকা, ৩০ দিনের মাল্টিপল ভিসার দাম ৩৫০০ টাকা এবং ৯০ দিনের মাল্টিপল ভিসার দাম ৯০০০ টাকা।
২। বাংলাদেশ থেকে নেপাল যেতে কি ভিসা লাগে?
হ্যাঁ বাংলাদেশ থেকে নেপাল যেতে ভিসা লাগে। বাংলাদেশে থেকে নেপাল যাওয়ার জন্য দুই ধরণের ভিসা পাওয়া যায়। অন এরাইভাল ভিসা এবং স্টিকার ভিসা।
৩। বাংলাদেশ থেকে নেপাল যাওয়ার উপায় কি কি?
বাংলাদেশ থেকে দুই ভাবে নেপালে যাওয়া যায়। একটি হলো বিমানে করে আর অন্যটি হলো বাইরোডে বা বাসে।
৪। বাংলাদেশ থেকে নেপাল ভ্রমন খরচ কত?
বাংলাদেশ থেকে নেপালের ভ্রমন খরচ বাস অথবা বিমান অনুযায়ী একেক রকম।
৫। ঢাকা থেকে নেপাল যেতে কত সময় লাগে?
ঢাকা থেকে নেপালে বাস এবং বিমান উভয় ভাবেই যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে বিমানে করে নেপাল যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা আর বাসে করে নেপাল যেতে সময় লাগে ৩০ ঘন্টা।
৬। বাংলাদেশ থেকে নেপালের বিমান ভাড়া কত?
অনুমানিক ২,০০০০ থেকে ২২,০০০ টাকা।
আরও পড়ুন-
থাইল্যান্ড ভিসা | থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া ২০২৩