কুতুবদিয়া দ্বীপ

কুতুবদিয়া দ্বীপ

কক্সবাজার জেলার একটি দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া। ভ্রমণ তালিকার সবটুকুই ঘোরা শেষ হলে ঢু দিতে পারেন কুতুবদিয়া দ্বীপ থেকে। বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কুতুবদিয়ায় আছে দেখার মতো অনেক কিছু। দ্বীপের রাণী খ্যাত বৈচিত্র্যময় কুতুবদিয়ার আয়তন ২১৬ বর্গকিলোমিটার। 

বাংলাদেশের মূলভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে কুতুবদিয়ার অবস্থান। বেশ নির্জন এবং পর্যটকের আনাগোনা নেই বললেই চলে। মাঝেমধ্যে জেলেদের কর্মব্যস্ততা দেখা যায়। কোথাও কোথাও সৈকতের পাশে আছে ঝাউগাছের সারি। 

কুতুবদিয়া সৈকতের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট হল প্রচুর গাংচিল ঘুরে বেড়ায় সেখানে। নির্জনতার সুযোগে সৈকতের কোথাও কোথাও লাল কাঁকড়াদের দল ঘুরে বেড়ায় নির্ভয়ে। সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার জন্য কুতুবদিয়া দ্বীপ আদর্শ জায়গা।

ধারণা করা হয় চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে সাগরের বুকে কুতুবদিয়া দ্বীপ জেগে উঠে। আর এই দ্বীপে মানুষের পদচারণা শুরু হয় পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে। ‘কুতুবুদ্দীন’ নামে এক পরহেজগার ব্যক্তি এ দ্বীপে আস্তানা স্থাপন করেন।

পরবর্তীতে আরাকান থেকে বিতাড়িত মুসলমানরা যখন এই দ্বীপে আসতে শুরু করে তখন কুতুবুদ্দীন এদের আশ্রয় প্রদান করেন। শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে কুতুবুদ্দীনের নামানুসারে এ দ্বীপের নাম রাখা হয় ‘কুতুবুদ্দীনের দিয়া’। পরবর্তীতে ‘কুতুবদিয়া’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

আরও পড়ুনঃ পালকি চর সমুদ্র সৈকত

কুতুবদিয়া দ্বীপের আয়তন

কক্সবাজার জেলার একটি দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া (Kutubdia island)। প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই দ্বীপে আছে নানান বৈচিত্র্য। কুতুবদিয়া দ্বীপে(Kutubdia Dbip) বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে এখানকার বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে। নির্জন বেলাভূমি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র, লবণ চাষ, বাতিঘর, কুতুব আউলিয়ার মাজারসহ আছে দেখার মতো অনেক কিছু।

কুতুবদিয়া দ্বীপের ইতিহাস

ধারণা করা হয় চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে সাগরের বুকে কুতুবদিয়া দ্বীপ জেগে উঠে। আর এই দ্বীপে মানুষের পদচারণা শুরু হয় পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে। ‘কুতুবুদ্দীন’ নামে এক পরহেজগার ব্যক্তি এ দ্বীপে আস্তানা স্থাপন করেন।

পরবর্তীতে আরাকান থেকে বিতাড়িত মুসলমানরা যখন এই দ্বীপে আসতে শুরু করে তখন কুতুবুদ্দীন এদের আশ্রয় প্রদান করেন। শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে কুতুবুদ্দীনের নামানুসারে এ দ্বীপের না রাখা হয় ‘কুতুবুদ্দীনের দিয়া’ যা পরবর্তীতে ‘কুতুবদিয়া’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

কুতুবদিয়া দ্বীপের আকর্ষণীয় স্থান 

কুতুবদিয়া চ্যানেল

কুতুবদিয়া চ্যানেল বেশ বড়। সারা বছর বেশ উত্তাল থাকলেও শীতে মোটামুটি শান্তই থাকে। মাগনামা ঘাট থেকে এই চ্যানেল পাড়ি দিয়েই পৌঁছতে হবে দ্বীপে।

সমুদ্র সৈকত

কুতুবদিয়ার সমুদ্র সৈকত উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। বেশিরভাগ এলাকাই বেশ নির্জন। পর্যটকের আনাগোনা নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে শুধু আছে জেলেদের কর্মব্যস্ততা। কোথাও কোথাও সৈকতের পাশে আছে ঝাউগাছের সারি।

কুতুবদিয়া সৈকতের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট হল প্রচুর গাংচিল ঘুরে বেড়ায় সেখানে। নির্জনতার সুযোগে সৈকতের কোথাও কোথাও লাল কাঁকড়াদের দল ঘুরে বেড়ায় নির্ভয়ে। সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার জন্য কুতুবদিয়ার সৈকত আদর্শ জায়গা।

বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র কুতুবদিয়ায় অবস্থিত। প্রায় এক হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে সৈকতের দক্ষিণ প্রান্তে, আলী আকবরের ডেল এলাকায়। দেখতে ভুল করবেন না দেশের বড় এই বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

বাতিঘর

সমুদ্রপথে চলাচলকারী জাহাজের নাবিকদের পথ দেখাতে বহুকাল আগে কুতুবদিয়ায় তৈরি করা হয়েছিল একটি বাতিঘর। পুরানো সেই বাতিঘর সমুদ্রে বিলীন হয়েছে বহু আগে। তবে এখনও ভাটার সময় সেই বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ কখনও কখনও জেগে উঠতে দেখা যায়।

পুরানো বাতিঘরের এলাকায় পরে যে বাতিঘর তৈরি করা হয়েছিল সেটিই এখন নাবিকদের পথ দেখায়। বড়ঘোপ বাজার থেকে সমুদ্র সৈকত ধরে উত্তর দিকে কিছু দূর গেলে বর্তমান বাতিঘরের অবস্থান।

পাথরের ভিতের উপর নির্মিত কুতুবদিয়া বাতিঘর এর উচ্চতা ছিল প্রায় ৪০ মিটার। এর ছয়টি কামরায় পাটাতন ও সিঁড়ি ছিল কাঠের। সর্বোচ্চ কামরায় আট ফিতার ল্যাম্প বসানো হয়েছিল। ল্যাম্পের জ্বালানি ছিল নারিকেল তেল। বাতিঘরের নিচতলা ছিল মাটির নিচে এবং এর দেয়াল ছিল খুবই পুরু।

কুতুব আউলিয়ার দরবার

দ্বীপের ধুরং এলাকায় কুতুব আউলিয়ার দরবার শরীফ। এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী। এখানেই জন্মগ্রহণ করেন ১৯১১ সালে। ২০০০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি মারা যান।

প্রতিবছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে (৭ ফাল্গুন) হাজারও ভক্তের সমাগম ঘটে এখানে। কথিত আছে কুতুবদিয়ার নামকরণ হয়েছে কুতুব আউলিয়ার পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই। বর্তমানে কুতুব শরীফ দরবারের দায়িত্বে আছেন তাঁরই পুত্র শাহজাদা শেখ ফরিদ।

লবণ চাষ

শীতে কুতুবদিয়ার জমিতে চাষ হয় লবণ। এ সময়ে সেখানে গেলে দেখা যাবে মাঠে মাঠে কৃষকদের লবণ চাষের ব্যস্ততা। দ্বীপের সর্বত্রই কম-বেশি লবণের চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি লবণের মাঠ তাবলের চর, কৈয়ার বিল, আলী আকবরের ডেল-এ রয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ উৎপাদনের নানান কৌশল দেখা যাবে এখানে।

কুতুবদিয়া দ্বীপ যাওয়ার উপায় 

কুতুবদিয়া যেতে হবে কক্সবাজারের বাসে। ঢাকা থেকে সরসরি কক্সবাজার যায় সোহাগ পরিবহন, টি আর ট্রাভেলস, গ্রীন লাইন পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সেন্টমার্টিন পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাস। ভাড়া ১ হাজার ৭শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা। এছাড়া এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী, ইউনিক, ঈগল ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাসে ভাড়া সাড়ে ৬শ’ থেকে ৮,০০ টাকা। 

এসব বাসে চড়ে নামতে হবে চট্টগ্রাম। কক্সবাজারের পথে যাত্রা বিরতি স্থল ইনানী রিসোর্টের এক কিলোমিটার সামনে বড়ইতলি মোড়ে। সেখান থেকে সিএনজি চালিত বেবিটেক্সিতে যেতে হবে মাগনামা ঘাট। জনপ্রতি ভাড়া ৩৫ টাকা। রিজার্ভ নিলে ২শ’ টাকা। 

মাগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল পার হতে হবে ইঞ্জিন নৌকা অথবা স্পিড বোটে বড়ঘোপ ঘাট অথবা দরবার ঘাটের যে কোন এক ঘাটে যাওয়া যায়। কুতুবদিয়া দ্বীপের ঘাট থেকে বড়ঘোপ বাজার রিকশা ভাড়া পড়বে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। 

চট্টগ্রাম থেকে ভোর সকালে রওনা দিলে বায়ু বিদ্যুৎ ও লাইট হাউস দেখে দিনের বেলায়ই ফিরে আসতে পারবেন। যাওয়া আসার জন্য সময় লাগবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টার মতো। বড়ঘোপ বাজার থেকে রিকশাভাড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা লাগবে অথবা টেম্পু ভাড়া ৫ থেকে ১০ টাকায় বায়ু বিদ্যুৎ প্লান্টে যাওয়া যায়। 

বায়ু বিদ্যুৎ প্লান্ট দেখা শেষ হয়ে গেলে সেখান থেকে রিকশায় হাসপাতাল গেট এসে। হাসপাতাল গেট থেকে সিএনজি অথবা রিকশায় করে দরবারের গেটে যাওয়া যায়। ওখান থেকেই কুতুবদিয়া লাইট হাউস দেখা যায়। সবকিছু দেখা শেষ করে স্পিড বোট ছাড়ার আগেই ঘাঁটে ফিরে আসতে হবে। 

কোথায় থাকবেন

কুতুবদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য মানসম্মত একমাত্র আবাসন ব্যবস্থা হল হোটেল সমুদ্র বিলাস। সমুদ্র লাগোয়া এই হোটেলে বসে উপভোগ করা যায় সমুদ্রের সৌন্দর্য। হোটেলের দুই জনের নন এসি কক্ষ ভাড়া ৮শ’ টাকা তিনজনের ১ হাজার এবং চার জনের কক্ষ ভাড়া ১ হাজার ২শ’ টাকা। যোগাযোগ: হোটেল সমুদ্র বিলাস, বড়ঘোপ বাজার, কুতুবদিয়া। মোবাইল ০১৮১৯৬৪৭৩৫৫, ০১৭২২০৮৬৮৪৭।

এছাড়াও ক্যাম্পিংয়ের জন্য আদর্শ স্থান কুতুবদিয়া দ্বীপ। শান্ত পরিবেশ ও নিরিবিলি পরিবেশ সৈকতের কাছে ক্যাম্পিং করার জন্যে অনেকেই এদ্বীপকে ক্যাম্পিংয়ের জন্য বেছে নেন। এখানে নিরাপত্তা নিয়ে কোন ধরনের কোন সংশয় নেই। তারপরেও কোন ধরনের নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে সেখানকার স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। 

কোথায় খাবেন

খাবারের জন্য কুতুবদিয়ায় বিশেষ কিছু পাবেন না কিন্তু কক্সবাজার এর খাবারের সঙ্গে এখানকার খাবারের বেশ মিল পাবেন। পাবেন ভাত, বিভিন্ন রকম ভর্তা, শুঁটকি আর মাছ-মাংস তো আছেই।

সতর্কতা

সৈকতে জোয়ার ভাটা চিহ্নিত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নিজ দায়িত্বে জোয়ার-ভাটার সময় জেনে সমুদ্র স্নানে নামুন। ভাটার সময় সমুদ্রে নামা বিপজ্জনক।

পরিশেষে

সৈকতে জোয়ার ভাটা চিহ্নিত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। কুতুবদিয়া দ্বীপ ভ্রমণের জন্য শীতকাল বেছে নিন। কারণ, এ দ্বীপে শীতকালে লবণ চাষ হয়। শুঁটকির প্রক্রিয়াকরণও চলে শীত মৌসুমে। আর মাছও পাওয়া যায় পর্যাপ্ত। এ ছাড়া তাপ কম থাকায় সমুদ্রপথে ট্রলার ভ্রমণটাও হবে আরামদায়ক।

ট্রলারে যাওয়ার সময় সকালের নাস্তা সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। কুতুবদিয়ার সৈকত পরীক্ষিত না। তাই জোয়ার ছাড়া অন্য সময়ে পানিতে নামা নিরাপদ নয়।

এতক্ষণ আমরা কুতুবদিয়া দ্বীপ নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা কুতুবদিয়া দ্বীপের সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও কুতুবদিয়া দ্বীপ সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। সম্পুর্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

কুতুবদিয়া দ্বীপ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ

১. কুতুবদিয়া দ্বীপে বাতিঘরের প্রচলন করেন কে?

উত্তর :- ক্যাপ্টেন হেয়ার এর পরিচালনায় এবং ইঞ্জিনিয়র জে.এইচ.টু গুড এর নকশায় কুতুবদিয়ার এই বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমান বাতিঘর ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে কর্ণফুলী নদীর মোহনার ৪০ মাইল দূরে কুতুবদিয়াতে এই বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। এবং এই বাতিঘরটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে। 

২. কুতুবদিয়া দ্বীপ কোথায় অবস্থিত?

উত্তর :- চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিনে এবং কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম জুড়ে অবস্থিত কুতুবদিয়া। কুতুবদিয়া উপজেলার আয়তন ২১৫.৮০ বর্গ কিলোমিটার। 

৩. কুতুবদিয়া দ্বীপের অপর নাম কি? 

উত্তর :- নির্যাতিত মুসলমানেরা কুতুবুদ্দীনের প্রতি শ্রদ্ধান্তরে কুতুবুদ্দীনের নামানুসারে এ দ্বীপের নামকরন করেন কুতুবুদ্দীনের দিয়া। দ্বীপকে স্থানীয়ভাবে ডিয়া বা দিয়া বলা হয়ে থাকে। 

৪. প্রথম বাতিঘর কবে নির্মিত হয়?

উত্তর :- ইতিহাসের নথিভুক্তে প্রথম বাতিঘর ছিল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার ফারোস। আলোর উৎস ছিল এর চূড়ায় একটি বিশাল খোলা আগুন। এটা প্রায় ২৮০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। বিশ্বের প্রথম হওয়ার পাশাপাশি এটা ৪৫০ ফুট উঁচুতে দাঁড়িয়ে থাকা সর্বকালের সবচেয়ে লম্বাও ছিলো।

আরও পড়ুন-

চন্দ্রনাথ পাহাড় ভ্রমণ, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম

নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ

মন্তব্য করুন