কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত : সমুদ্র কন্যা, পটুয়াখালী

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ থেকে পূর্ব আকাশের সূর্যের উদয় এবং পশ্চিম আকাশের সূর্যাস্তের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান। তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি ভ্রমণ করার স্থান হবে, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

এটি প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ, এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ভ্রমণ করলে আপনি প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। কারন সেখানে আসে সারি সারি নারিকেলের গাছ, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, বেলাভূমি, আকাশে নীল মেঘের খেলা সহ কুয়াকাটার প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার মনকে ভরিয়ে তুলবে। 

আপনি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করলে তার সাথে আর কোন কোন দর্শনীয় স্থানে যেতে পারবেন। ধরুন যেমন- সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ করতে পারবেন, কক্সবাজার ভ্রমন ইত্যাদি সহ আরও অনেক স্থানে ভ্রমন করতে পারবেন।

এবং সেখানে ভ্রমণ করার সময় হোটেল ব্যবস্থা কেমন হবে। এছাড়াও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণকালে কি কি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। সে বিষয় গুলো কে জানিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মহেরা জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল

কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান

আপনি যদি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করতে চান। তাহলে সেই সমুদ্র সৈকতের সূর্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি আপনি কুয়াকাটা তে আরো বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে পারবেন। আর আপনি আসলে কোন কোন স্থান গুলো ভ্রমণ করতে পারবেন। সেই স্থান গুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমনঃ-

  1. ফাতরার বন
  2. শুঁটকি পল্লী
  3. গঙ্গামতির জঙ্গল
  4. কাঁকড়ার দ্বীপ
  5. কুয়াকাটার কুয়া
  6. সীমা বৌদ্ধ মন্দির
  7. কেরানিপাড়া

উপরের এই স্থান গুলো কেন কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত হয়েছে। সে সম্পর্কে আপনার অবশ্যই ধারণা থাকা উচিত। আর এবার আমি আপনাকে উক্ত স্থান গুলো সম্পর্কে স্বল্প আকারে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। 

ফাতরার চর ভ্রমন

যখন আপনি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। তখন আপনি এই সমুদ্র সৈকত থেকে পশ্চিম দিকে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ সাগর এর বুকে জেগে থাকা একটি চর দেখতে পারবেন। যাকে অনেকেই ফাতরার চর আবার অনেকেই ফাতরার বন বলে থাকে। কেননা আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ০৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫০৭ একর আয়তনের এই বনাঞ্চল কে দ্বিতীয় সুন্দরবন নামে পরিচিত করা হয়েছে। 

শুঁটকি পল্লী কুয়াকাটার

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পশ্চিম পাশে জেলে পল্লীতে এই শুটকি পল্লীর অবস্থান। এই স্থানে সমুদ্র থেকে মাছ ধরে আনার পর সেই মাছ গুলো রোদে শুকিয়ে শুটকি তৈরি করা হয়। আর এই শুটকি তৈরি করার উপযুক্ত সময় হল প্রতি বছরের নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে মার্চ মাস পর্যন্ত। আপনি যদি শুটকি খেতে ভালোবাসেন, তাহলে এখান থেকে আপনি অনেক কম দামে এবং ভালো মানের শুটকি কিনে নিতে পারবেন।

শুঁটকি পল্লী ভ্রমণ – Shuntki Palli tour

গঙ্গামতির জঙ্গল ভ্রমণ

যখন আপনি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করবেন। তখন আপনি কুয়াকাটার পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খাল পর্যন্ত আসলেই একটা বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন। সেটি হল, এখান থেকেই কিন্তু কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে। 

আর যেখান থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে। মূলত সেই স্থান থেকেই গঙ্গামতির জঙ্গল লক্ষ্য করা যায়। এখানে আপনি বিভিন্ন প্রকারের গাছপালা দেখার পাশাপাশি এমন সব পশু পাখি দেখতে পারবেন। যে গুলো এর আগে আপনি কখনো দেখেন নি। 

লাল কাঁকড়া বিচ

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করার সময় একটু পূর্ব দিকে আসলে এই কাঁকড়ার দ্বীপ আপনার নজরে আসবে। যেখানে আসলে আপনি দেখতে পারবেন হাজার হাজার কাকড়ার দল সমুদ্র সৈকতের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে আমরা অনেকেই এই স্থানটি কে কাঁকড়ার দ্বীপ নামে চিনলেও। সেখানকার মানুষ এই স্থানটি কে “ক্রাব আইল্যান্ড” বলে থাকেন। 

কুয়াকাটার কুয়া

সময়টা ছিল ১৭৮৪ সাল। সেই সময় নিজের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে রাখাইনরা বঙ্গোপসাগরে ফিরে এসে বসবাস করছিল। কিন্তু তাদের বসবাসের জন্য সমুদ্রের লোনা জল উপযুক্ত ছিল না। আর সেই কারণে উক্ত সময়ের রাখাইন বাসিন্দারা কুপ খনন করেছিলেন। যেটি কে বলা হয়, সবচেয়ে প্রাচীন কুপ। আর এই কুপ এখনো অক্ষত রয়েছে, যাকে বর্তমান সময়ে অনেকেই ”কুয়াকাটার কুয়া” নামে পরিচিত করেছে।

সীমা বৌদ্ধ মন্দির 

আপনি যখন কুয়াকাটা কুয়া ভ্রমণ করবেন। তখন সেখান থেকে একটু সামনের দিকে আসলেই ”সীমা বৌদ্ধ মন্দির” লক্ষ্য করতে পারবেন। আর এই বুদ্ধ মন্দিরে একটি প্রাচীন কালের বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। যেটি মূলত ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। 

তবে অতীতের দিন গুলো তে এই মন্দিরটি কাঠ দিয়ে তৈরি করা থাকলেও। বর্তমান সময় সেই মন্দিরটির সংরক্ষণ করার জন্য দালানের তৈরি করা হয়েছে। 

কেরানিপাড়া কুয়াকাটা

আপনি যখন সীমা বদ্ধ মন্দির ভ্রমণ করবেন। তখন সেখান থেকে একটু সামনের দিকে আসলেই আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন। যে সেখানে কেরানিপাড়া নামক একটি জায়গা রয়েছে। 

তো এই স্থানে মূলত রাখাইনদের বসবাস রয়েছে। আর যখন আপনি এই স্থানটি ভ্রমণ করবেন। তখন লক্ষ্য করতে পারবেন। যে রাখাইন নারীরা কাপড় তৈরি করতে অনেকটাই দক্ষ। এবং আপনি যদি তাদের থেকে শীতের চাদর কিনে নেন। তাহলে আপনি অবশ্যই আকর্ষণীয় মানের শীতের চাদর কিনে নিতে পারবেন।

আরো অন্যান্য দর্শনীয় বিষয়ঃ মিউজিয়াম, সারি সারি নারকেল গাছ, মানসম্মত পিকনিক স্পট, চর গঙ্গা মতির লেক ইত্যাদি।

আরও পড়ুনঃ মধুটিলা ইকোপার্ক, শেরপুর

ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার উপায়

আমরা সকলেই জানি যে, দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে কুয়াকাটা সবচেয়ে অন্যতম। কেননা এই সমুদ্র সৈকত থেকে আপনি সূর্যের উদয় হওয়া এবং সূর্যের অস্ত যাওয়ার অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।

তবে শুধুমাত্র সূর্যের সৌন্দর্য নয় বরং আপনি যখন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করবেন। তখন আপনি আরো বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লক্ষ্য করতে পারবেন। এছাড়াও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এ যাওয়ার সব কিছুর পসেসগুলি তুলে ধরা হলঃ-

  1. ঢাকা থেকে কুয়াকাটা দুরত্বঃ প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার। 
  2. ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার সময়ঃ প্রায় ১২-১৩ ঘন্টা সময় লাগে তবে এটি (নির্দিষ্ট নয়)।
  3. কুয়াকাটা যাওয়ার পথঃ  আকাশ পথ, সড়ক পথ, রেল পথ ও জল পথ।

তো আপনি যদি প্রথমবারকুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করতে চান। তাহলে আপনি কোন কোন পথে কুয়াকাটা যেতে পারবেন। এবং আপনার ক্ষেত্রে কতটা সময় লাগবে সে সম্পর্কে স্বল্প করে ধারণা দেওয়ার জন্য উপরে একটি তালিকা প্রদান করা হয়েছে। 

 আপনি ঢাকা থেকে বিভিন্ন বাস পরিবহনের মাধ্যমে যেতে পারবেন। যেমনঃ- টি আর ট্রাভেলস, ইসলাম পরিবহন, হানিফ পরিবহন, ইউরো কোচ পরিবহন, গ্রীনলাইন পরিবহন, শামলি পরিবহন, হোটেল স্কাই প্যালেস ইত্যাদি। 

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

তবে আপনি যদি জলপথে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত যেতে চান। তাহলে আপনাকে ঢাকা সদরঘাট থেকে সন্ধ্যার পরে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ গুলো তে উঠতে হবে। এবং যখন আপনি লঞ্চে করে বরিশাল পৌঁছাবেন। তারপর আপনাকে রুপাতলির বাস স্ট্যান্ড থেকে পুনরায় বাস এর মাধ্যমে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যেতে হবে। 

কিন্তু এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত। সেটি হল, আপনি সরাসরি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ট্রেনের মাধ্যমে বা আকশ পথে যেতে পারবেন না। কেননা ট্রেনে কুয়াকাটা আসতে চাইলে প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি স্থানে আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে আবার বাসযোগে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যেতে হবে। 

যেমন ধরুন, আপনি যদি উত্তরবঙ্গ থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ট্রেনের মাধ্যমে আসতে চান। তাহলে আপনাকে সৈয়দপুর রেল স্টেশন থেকে খুলনা আসতে হবে। আর তারপর আপনাকে পুনরায় বাসে করে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত যেতে হবে। 

কুয়াকাটা কোথায় থাকবেন

যেহেতু কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম। সেহেতু এখানে ভ্রমণ করার সময় থাকার জায়গা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হবে না। কেননা এখানে ভ্রমণ করার সময় আপনি বিভিন্ন ধরনের আবাসিক হোটেল দেখতে পারবেন।

যে হোটেল গুলো তে আপনি রাত্রি যাপন করতে পারবেন। তবে আপনি যখন এই হোটেল গুলোতে রাত্রি যাপন করতে চাইবেন। তখন অবশ্যই সবকিছু দামাদামী করে তারপর অবস্থান করবেন। 

এক্ষেত্রে আপনি যদি কয়েক জন মিলে ভ্রমণ করতে যান। তাহলে আপনার আবাসিক হোটেল গুলো তে থাকার খরচ তুলনামূলক কম হবে। তো নিচে কিছু মানসম্মত আবাসিক হোটেলের নাম উল্লেখ করা হলো। আপনি চাইলে এই হোটেল গুলোতে কুয়াকাটা ভ্রমণকালে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। যেমনঃ-

  1. হোটেল কুয়াকাটা ইন – ফোনঃ ০১৭৫-০০০৮১৭৭  ভাড়াঃ ইকোনমি টুইন/কাপল : ১৫০০ টাকা , ইকোনমি ফ্যামিলি রুম : ১৮৫০ টাকা (১ ডাবল, ১ সিঙ্গেল)
  2. হোটেল নীলান্জনা –  কুয়াকাটা ফোনঃ ০১৭১২-৯২৭৯০৪  ভাড়াঃ নন এসি সিঙ্গেল : ৮৫০ টাকা, নন এসি টুইন : ১৪৫০ টাকা
  3. হোটেল গোল্ডেন – ভাড়াঃ রুম অনুযায়ী : ৩০০০ – ৫০০০ টাকা
  4. হোটেল বনানী –  ফোনঃ ০১৭১-৩৬৭৪১৯২, ০১৯১১-৬৭২১৩৫, ভাড়াঃ নন এসি টুইন/কাপল : ১২৫০ টাকা (নীচতলা), ১৬৫০ টাকা (উপরের তলা), ডরমেটরী : ৪০০০ টাকা (৮ বেড)
  5. হোটেল গ্রেভার ইন – কুয়াকাটা ফোনঃ ০১৮৩৩-৩১৮৩৮০  ভাড়াঃ রুম অনুযায়ী : ৩০০০ – ৫০০০ টাকা
  6. টেল ইয়োথ ইন (পর্যটন করপোরেশন), কুয়াকাটা ফোন : ০৪৪২৮-৫৬২০৭ ভাড়াঃ নন এসি টুইন : ১৫০০ টাকা ও এসি টুইন : ২৫০০ টাকা

একজন পর্যটক কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করার সময় কোথায় থাকতে পারবে। সে সম্পর্কে উপরে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কিছু মান সম্মত হোটেলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যে হোটেল গুলো তে আপনি বা আপনার মত পর্যটকরা রাত্রি যাপন করতে পারবে। 

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমনে সর্তকতা 

যখন আপনি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করবেন। তখন অবশ্যই আপনার আগে থেকেই বেশ কিছু বিষয়ের দিকে সতর্ক থাকতে হবে। আর সেই বিষয় গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমনঃ-

  1. একাকী ভ্রমণ করার চাইতে বেশ কয়েকজন মিলে ভ্রমণ করার চিন্তা ভাবনা করবেন। 
  2. আপনার সাথে অবশ্যই পাওয়ার ব্যাংক রাখার চেষ্টা করবেন। মোবাইল এর চার্জ দেওয়ার জন্য। 
  3. বর্ষাকালে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এর পরিমাণ বেশি থাকে। তাই সমুদ্রে নামার পূর্বে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। 
  4. আপনার সাথে যদি ছোট ছোট বাচ্চা থাকে। তাহলে অবশ্যই তাদের চোখে চোখে রাখবেন। 
  5. কোন কিছু খাবার আগে দামাদামি করবেন এবং সেই খাবারের মান যাচাই করবেন। 
  6. আপনি যে হোটেলে থাকবেন সেই হোটেলের পরিবেশ সম্পর্কে যথাযথ বিবেচনা করবেন ইত্যাদি। 

যেহেতু আপনি ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন। সেহেতু অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আর সেই বিষয় গুলো কি কি, সে গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। 

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক, আপনি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে যদি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত করতে চান। তাহলে আপনি কোন কোন দর্শনীয় স্থান গুলো দেখতে পারবেন। আপনি কোথায় থাকবেন, কি খাবেন সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

তো আশা করি আজকের এই আর্টিকেল টি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আর আপনি যদি এই ধরনের উপকারী তথ্য গুলো বিনামূল্য পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। আর এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে ভ্রমণ করুন। 

আরও পড়ুন-

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক (গাজীপুর)

মন্তব্য করুন