কোদালা চা বাগান
রাঙ্গুনিয়া কোদালা চা বাগান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবস্থিত একটি চা বাগান। এটি ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি বাংলাদেশের প্রাচীনতম চা বাগানগুলির মধ্যে একটি।
বাগানটি ২,৪৮৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এবং কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত। এটি চা গাছের সারিবদ্ধ সারি, মনোরম পাহাড়ি দৃশ্য এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের বাংলোর জন্য পরিচিত।
রাঙ্গুনিয়া কোদালা চা বাগান পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। দর্শনার্থীরা বাগানে ঘুরে বেড়াতে পারেন, চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে পারেন এবং কর্ণফুলী নদীতে নৌকা ভ্রমণ করতে পারেন।
বাগানে একটি চা কারখানা রয়েছে যেখানে দর্শনার্থীরা চা তৈরির প্রক্রিয়া দেখতে পারেন। কারখানাটিতে একটি দোকানও রয়েছে যেখানে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ধরণের চা কিনতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ- জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর, ভ্রমণ গাইড তথ্যসমূহ
রাঙ্গুনিয়া কোদালা চা বাগানের কিছু আকর্ষণ
- চা বাগানের মনোরম দৃশ্য: বাগানটি চা গাছের সারিবদ্ধ সারি, মনোরম পাহাড়ি দৃশ্য এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের বাংলোর জন্য পরিচিত।
- চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র: দর্শনার্থীরা বাগানে অবস্থিত চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে পারেন এবং চা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারেন।
- কর্ণফুলী নদীতে নৌকা ভ্রমণ: দর্শনার্থীরা কর্ণফুলী নদীতে নৌকা ভ্রমণ করতে পারেন এবং নদীর তীরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
রাঙ্গুনিয়া কোদালা চা বাগান পরিদর্শনের জন্য কিছু টিপস
- আরামদায়ক জুতা পরুন: বাগানে হাঁটার জন্য আরামদায়ক জুতা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- পানি সাথে রাখুন: বাগানে ঘুরে বেড়ানোর সময় পানি সাথে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
- গরমের সময় টুপি এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: গরমের সময় টুপি এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করে রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করুন।
- পরিবেশের প্রতি যত্নবান হোন: বাগান পরিষ্কার রাখুন এবং কোনো আবর্জনা ফেলবেন না।
যাতায়াত
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই রোডে চলাচলকারী বাসে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান অথবা সরফভাটা গোডাউন এলাকায় নেমে সিএনজি বা অটোরিক্সা নিয়ে ৫ কিলোমিটার দূরের কোদালা চা বাগানে পৌঁছে যাওয়া যায়।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়া জন্য বিভিন্ন পরিবহন বিকল্প রয়েছে
বাসে ভ্রমণ
সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন পরিবহন প্রতিষ্ঠানের এসি এবং নন-এসি বাস চট্টগ্রামের দিকে ছেড়ে যায়। বাসের ভাড়া শ্রেণী ভিত্তিক ভিন্ন হতে পারে, যেমন ৬৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। এই পরিবহন সেবাগুলোর মধ্যে সৌদিয়া, ইউনিক, টি আর ট্রাভেলস, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী, সোহাগ, এস. আলম, মডার্ন লাইন ইত্যাদি রয়েছে।
রেলে ভ্রমণ
ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ভ্রমণ করতে হলে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলস্টেশান হতে প্রস্থান করতে হবে। এই রেলস্টেশান থেকে পাওয়া যায় বিভিন্ন ট্রেনের সুবিধা যেমন পর্যটক এক্সপ্রেস, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তৃর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, চট্টগ্রাম মেইল ইত্যাদি।
বিমানে ভ্রমণ
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়।
কোথায় থাকবেন
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় রাত্রিযাপনের জন্য বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে, এবং চট্টগ্রাম শহরে পরিবহনে সমস্যা না হলে বিভিন্ন মানের অসংখ্য আবাসিক হোটেল পাওয়া যায়। নিজের পছন্দ ও বাজেটের অনুযায়ী হোটেল নির্বাচন করা যেতে পারে। কিছু প্রমুখ হোটেলের নাম ও রাত্রিযাপনের খরচের পরিমাণ নিম্নে দেয়া হলো:
- প্যারামাউন্ট হোটেল – ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা
- হোটেল অবকাশ – ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা
- হোটেল লর্ডস ইন – ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা
- হোটেল এশিয়ান এসআর – ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা
- হোটেল ল্যান্ডমার্ক – ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা
এই হোটেলগুলো রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় রাত্রিযাপনের সুযোগ প্রদান করে। যেকোনো হোটেল বুকিং এবং বিস্তারিত তথ্যের জন্য আগে যোগাযোগ করা উচিত।
কোথায় খাবেন
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় অনেক স্থানীয় রেস্টুরেন্ট এবং হোটেল রয়েছে যেখানে স্থানীয় খাবার সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও, চট্টগ্রাম শহরে অনেক জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে রয়েছে যেখানে আপনি বিভিন্ন রুচিকর খাবার পাবেন। এই রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফের মধ্যে অন্যত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলো সংযুক্ত:
- বারকোড ক্যাফে
- মিলেঞ্জ রেস্টুরেন্ট
- গ্রিডি গাটস
- ক্যাফে ৮৮
- সেভেন ডেইজ
- ধাবা
- হান্ডির নাম
- গলফ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট
- কোষ্টাল মারমেইড রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জ
- বোনানজা পোর্ট রেস্টুরেন্ট
এই স্থানগুলোতে স্বাদে ভরপুর খাবার সেবা পাওয়া যায় যেখানে বাজারের মূল্যে আপনি সুনামের খাবার উপভোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন –
চেরাগী পাহাড় চট্টগ্রাম, ভ্রমণ গাইড তথ্যসমুহ
গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট