কাপ্তাই লেক, রাঙ্গামাটি

কাপ্তাই লেক

সবুজের সমারোহে শান্ত কাপ্তাই। কাপ্তাই লেক খুব শান্ত এবং সবুজের ঘেরা। এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মানবসৃষ্ট কৃত্রিম হ্রদ। ১৯৫৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলি নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা হয় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। 

সেই সময় এই জলাধার টি গড়ে উঠেছিলো। এটি মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজ্ঞামাটি জেলার একটি কৃত্রিম হ্রদ। এই হ্রদটি ৫৪ একর জমিতে অবস্থিত৷ এই ৫৪ একর জমি পূর্বে কৃষি জমি ছিলো৷ পরবর্তীতে পানিতে ডুবে এই কাপ্তাই হ্রদের সৃষ্টি হয়। 

রাজ্ঞামাটিতে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে কাপ্তাই হ্রদ তার মধ্যে অন্যতম। রাশি রাশি জলাধার, ঝুলং ব্রীজ আর গাছের সবুজ সারিতে দিনের বিভিন্ন সময়ে একেক রুপে আর্বিভাব হয়৷ 

কাপ্তাই লেক (kaptai lake) কিভাবে যাবেন,হোটেল ভাড়া এমন অনেক প্রশ্ন জানতে আমাদের আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে৷

আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ

কাপ্তাই লেক ইতিহাস

জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বিদুৎ উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত৷ এমন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমেরিকার সহোযোগিতায় ১৯৫৬/১৯৫৭ সালে পাকিস্তান সরকার কর্নফুলি নদীতে বাধ নির্মানের কাজ শুরু করেন। মুলত এটাকেই কাপ্তাই বাধ বলা হয়ে থাকে। এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৬২ সালে৷ এই বাধ টি নির্মাণ করে ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং ইউতাহ ইন্টারন্যাশনাল ইনকোর্পোরেট।

কাপ্তাই হ্রদের বিস্তৃতি

এই  হ্রদটি যেস্থানে অবস্থিত, পুর্বে সেখানে কৃষি জমি ছিলো। এই হ্রদের কারণে ৫৪ একর কৃষি জমি ডুবে যায়। যা ছিলো রাজ্ঞামাটির কৃষিজমির প্রায় ৪০%। এছাড়াও সরকারি সংরক্ষিত বনের ২৯ বর্গমাইল এলাকা ও অশ্রেনী ভুক্ত ২৩৪ বর্গমাইল বনাঞ্চল ডুবে যায়। 

কাপ্তাই বাঁধটির আয়তন:

  • উচ্চতা ১৭৯ ফুট বা ৫৪.৭ মিটার
  • দৈর্ঘ্য ২,২০০ ফুট বা ৬৭০ মিটার

বাধের পাশে ১৬ টি জলকপাট যুক্ত ২২৭ মিটার দীর্ঘ একটি পানি নির্গমনের পথ আছে। দীর্ঘ একটি পানি নির্গমণ বা স্পিলওয়ে আছে। স্পিলওয়ে সাধারণত প্রতি সেকেন্ডে পাঁচ লক্ষ পচিশ হাজার কিউসেক ফিট পানি নির্গম করতে পারে। 

পাকিস্তান সরকার এই প্রকল্পের জন্য তখনকার সময়ে প্রায় ২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বাজেট করেছিলো। কিন্তু বাস্তবায়নের পরে তা ৪৮ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। 

কাপ্তাই লেক বিদ্যুৎ প্রকল্প 

জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি নির্মাণ করার সময় এর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কিছুটা কম ধরা হয়েছিলো প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কিলোওয়াট। শুরুর দিকে ১ ও ২ নাম্বার ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে ৩ নাম্বার ইনিটের কাজ শুরু হয়। এই ইউনিটের ক্ষমতা ৫০ মেগাওয়াট। সালটা ছিলো ১৯৬৯। ২০২৩ সালে বর্তমান হিসাব অনুযায়ী মোট ৫টি কাজ চলছে যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট। 

২ মে ২০২৩ সালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতানুযায়ী ১০-১৫ দিন অত্যধিক খরা হলে কাপ্তাই লেকের সব গুলো ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিলো। এই সময়ে এই কাপ্তাই লেকে (kaptai lake) উৎপাদন ছিলো ২৪২ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে খরচ পড়ে মাত্র ৩৫ পয়সা।

বর্তমানে ৫ টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা নিন্মরুপ…

  • ১ নাম্বার ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ৪৬ মেগাওয়াট। 
  • ২ নাম্বার ইউনিটেও ৪৬ মেগাওয়াট। 
  • ৩ নাম্বার ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছু টা বেশি প্রায় ৫০ মেগাওয়াট। 
  • ৪ নাম্বার ও ৫ নাম্বার ইউনিটেও ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

রাজ্ঞামাটিতে কিছু দর্শনীয় স্থান

আমাদের দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো দর্শনীয় স্থান। যেগুলোর কোথাও সবুজে ঘেরা মনরোম পরিবেশ আবার কোথাও মনে হয় আকাশ আর পানি এক হয়ে গেছে। রাজ্ঞামাটিতে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান আছে যা বরাবরই পর্যটকের কাছে প্রিয় এবং পছন্দের তালিকার প্রথম সারিতে অবস্থান করে, রাজ্ঞামাটির কিছু দর্শনীয় স্থান নিন্মে উল্লেখ করা হলো,,, 

  1. কর্ণফুলী নদী
  2. ক্যবল কার
  3. কাপ্তাই লেক (kaptai lake)
  4. শেখ রাসেল ইকোপার্ক 
  5. ঝুলন্ত ব্রীজ
  6. নেভী একাডেমি 
  7. শুভলং ঝর্ণা
  8. দেশীয় নৌযান
  9. অডিটোরিয়াম পার্ক
  10. বিভিন্ন পিকনিক স্পট 
  11. আদিবাসী গ্রাম।
  12. চাকমা রাজবাড়ি
  13. রাজবন বিহার
  14. বৌদ্ধ মন্দির যে টা বৌদ্ধদের পুন্যর্থী  স্থান হিসাবে পরিচিত।

কাপ্তাই লেক কিভাবে যাবেন 

কাপ্তাই লেকের (kaptai lake) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আপনাকে রাজ্ঞামাটিতে যেতে হবে। আপনি দেশের যে কোন স্থান থেকেই যেতে পারবেন। চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাই লেক মাত্র ৭৭ কি:মি। বাস যোগে খুব সহজে আপনি গৌন্তব্যে পৌছে যাবেন। 

এক্ষেত্রে সময় লাগবে মাত্র ২ ঘন্টা।  বাস ভাড়া লাগবে ৮০-১২০ টাকা। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজ্ঞামাটি কাপ্তাই লেকে যাওয়ার জন্য ৩০ মিনিট পরপর বাস পেয়ে যাবেন।

ঢাকা থেকে কাপ্তাই লেক যাবার উপায়

আপনি যদি বাসে করে কাপ্তাই লেকে যেতে চান তাহলে, ঢাকা কমলাপুর অথবা সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি কাপ্তাই লেকে (kaptai lake) যাওয়ার জন্য বাস পেয়ে যাবেন। বাসে করে যেতে হলে আপনার সময় লাগবে ৭-৮ ঘন্টার মতো।

প্রয়োজনে যোগাযোগ – বাস কাউন্টার

রবি এক্সপ্রেস –

আরামবাগ – 01762-691341, 01762-691339, পান্থপথ – 01762-691364, কল্যাণপুর – 01762-691353।

রিলাক্স ট্রান্সপোর্ট –

আরামবাগ – 01955-585522, 01955-585521, কলাবাগান – 01955-585533, 01844-168466।

শ্যামলী পরিবহন

আসাদ গেট – 01714-619173, কল্যাণপুর – 02-8091161, কলাবাগান – 02-9141047, আরামবাগ – 02-7194291।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ 

কল্যাণপুর – 01713-049540, 01713-049541, কলাবাগান – 01730-376342, 01713-402670, ফকিরাপুল – 02-7191512, আরামবাগ – 01730-376343, 01713-402631।

শান্তি পরিবহন –

সাভার – 01972-691397, গাবতলি – 01833-602862, কলাবাগান – 01833-602863, 01877-720232,

গ্রিন লাইন 

রাজারবাগ – 02-9342580, 02-9339623, আরামবাগ – 02-7192301, 01730-060009, ফকিরাপুল – 02-7191900, 01730-060013, কলাবাগান – 02-9133145, 01730-060006।

রেলপথে কাপ্তাই (kaptai lake) যেতে হলে আপনাকে প্রথমে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম যেতে হবে। তারপর ওখান থেকে বদ্দরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে কাপ্তাই যাওয়া যাবে। রাজ্ঞামাটি থেকে কাপ্তাই যাওয়ার রোড খুব পরিছন্ন ও সবুজে ঘেরা।

আরও পড়ুনঃ খৈয়াছড়া ঝর্ণা – চট্টগ্রাম

কোথায় থাকবেন 

রাজ্ঞামাটি থেকে কাপ্তাই লেকের দুরুত্ব ২৬.৩ কি: মি:।  রাজ্ঞামাটি থেকে বাসে করে কাপ্তাই যেতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় লেগে যায়। আপনি রাজ্ঞামাটিতে অথবা কাপ্তাই লেকের (kaptai lake) আশে পাশে যেকোনো হোটেল রাত্রী যাপনের জন্য বেছে নিতে পারেন। 

কাপ্তাই লেকের আশে পাশে সেখানে সেনাবাহিনীর, বনবিভাগের রেস্ট হাউজ আছে। লেকের কাছেই থাকতে চাইলে কর্তৃপক্ষের সাথে আগে থেকেই যোগাযোগ করে রাখতে পারেন। এতে করে কম কম খরচেই থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। 

 তবে কাপ্তাই থেকে রাজ্ঞামাটি খুব বেশি দূরে না হওয়ায়, রাজ্ঞামাটির অনেক হোটেল (resorts in kaptai) আছে সেগুলো রাত্রী যাপনের জন্য বেছে নিতে পারেন।  

  • হোটেল লেকভিউ -ফোন:৬২০৬৩
  • হোটেল সুফিয়া -ফোন: ৬২১৪৫
  • হিলতাজ রিসোর্ট – কলেজ গেট, পার্বত্য অঞ্চল যোগাযোগ +88 01870-701892
  • জুম প্যালেস – টিএন্ডটি এলাকা (পোস্ট অফিসের বিপরীতে) যোগাযোগ +88 01625-100000 +88 0351-61878
  • হোটেল ক্রাউন প্লাজা – ওমদা মিয়া পাহাড়, পরজতন ও বিজিবি রোড যোগাযোগ +88 0351-61638 +88 01824-637393
  • হোটেল প্রিন্স – দোয়েল কাটার, পারজাতন রোড, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড যোগাযোগ +88 0351-61602 +88 01931-070868
  • হোটেল সুফিয়া – ফিসারী ঘাট, কাঁঠালতলী এলাকায়। যোগাযোগ: 01553-409149
  • হোটেল আল-মোবা– নতুন বাস স্টেশন, রিজার্ভ বাজার এলাকায়। যোগাযোগ: 01811-911158
  • পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স ফোন:০৩৫১৬৩১২৬

হোটেল ভাড়া 

উপরে কিছু রাজ্ঞামাটির হোটেলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ এই গুলোর মধ্যে কিছু আছে এসি এবং নন এসি বিশিষ্ট। আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কোন টি নিতে পারেন। তবে নন এসির তুলনায় এসি রুমের ভাড়া তুলনামূলক বেশি। 

➤সিংগেল নন এসি রুমের ভাড়া: ৬০০ থেকে শুরু।

➤এসির ক্ষেত্রে সিংগেল রুমের ভাড়া: ১১৫০ থেকে শুরু। 

তাছাড়া রুমের মান এবং সুবিধা অনুযায়ী ভাড়া কিছুটা কম বেশি হতে পারে।

কোথায় খাবেন 

আপনি যদি রাজ্ঞামাটি হোটেলে (resorts in kaptai) থাকেন তাহলে খুব মানস্মমত খাবার না পাইলেও মধ্যেম মানের খাবার হোটেলেই সার্ভ করা হয়ে থাকে। 

হোটেল থেকে কাপ্তাই লেকের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পরে পতিমধ্যে বা লেকে পৌঁছেও প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করা যায়। কেননা লেকের ছোট ছোট দ্বীপ গুলোতে গড়ে উঠেছে  অনেক রেস্তোরাঁ। আপনাদের সুবিধার জন্য বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁর নাম উল্লেখ করছি,, 

  • বেরাইন্যে লেক শোর ক্যাফে
  • জুম রেস্তোরাঁ 
  • প্যারাডাইস ক্যাফে
  • নৌবাহীনির ঘাটির কাছে ভাসমান রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি

আরো কিছু হোটেল আছে,, ওখানে গেলেই খুব সহজেই আপনার চোখে পড়ে যাবে। হোটেল গুলো থেকে আপনার প্রয়োজন মাফিক খাবার সংগ্রহ করতে পারেন। তবে খাবার কেনার আগে খাবারে মান ও দামটা জেনে নিলে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঝামেলায় পড়তে হবে না।

কাপ্তাই লেকে ভ্রমন

ঘুরে বেড়ানোর মত কাপ্তাই লেকে (kaptai lake) অনেক স্থান রয়েছে, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান গুলোর একটি হলো লেকের ঝুলন্ত ব্রীজ। ঝুলন্ত ব্রীজটি ৩৩৫ ফুট লম্বা। এটিই মুলত কপর্যটকদের কাছে রাজ্ঞামাটি শহরে প্রধান আকর্ষণ। এই সেতু টিকে বলা হয় ”Symbol of Rangamati” 

এই সেতুটি ২ টি বিচ্ছিন্ন পাহাড়ের মধ্য সংযোগ স্থাপন করে দিয়েছে। ব্রীজটিতে দাড়িয়ে পুরো লেকের সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। এর পরেই আছে আদিবাসী গ্রাম। এই গ্রামে যাওয়ার আগে স্থানীয় পর্যটক কর্পোরেশনকে দিতে হয় ৫ টাকা।

শীত মৌসুমে লেকে (kaptai lake) ভ্রমণ করা বেশ ভালো। বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি হইলে লেকের এই ঝুলন্ত ব্রীজ টি অনেক সময় ডুবে যেতে দেখা যায়। বোড ভাড়া করে লেকের সৌন্দর্য আরো কাছ থেকে উপভোগ করতে পারেন। হায়কিং করতে পারেন, কায়াকিং করতে পারেন, এক্ষেত্রে কায়াকিং ঘন্টা প্রতি ৩ জনের ৪০০ টাকা এবং ৩ জনের ২০০ টাকা। 

পরিশেষে

পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্ঞামাটি শহরে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এই গুলো ঘিরেই শহরটি একটি পর্যটক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে৷ ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাপ্তাইয়ের শীতল বাতাস উপভোগের জন্য জড়ো হয়।  এখানে আরো রয়েছে পাহাড়ের টিলা,ট্রলারে করে যাওয়া যায় শুভলং জলপ্রপাতে যা পর্যটকের মনে ঝর্ণার আমেজ তৈরি করে। আশা করব আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা কাপ্তাই লেক সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারনা পেয়েছেন। 

আরও পড়ুন-

ভুটান ভ্রমণ – ভ্রমন পরিকল্পনা ও খরচ

ফয়েজ লেক – চট্টগ্রাম

মন্তব্য করুন