কালুরঘাট সেতু
কালুরঘাট ব্রিজ বাংলাদেশের একটি প্রধান সড়ক ও রেলপথ সংযোজন সেতু যা চট্টগ্রাম শহরকে বাংলাদেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর এবং অন্যান্য পূর্বাঞ্চলের সাথে সংযোগ করে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বিতীয় বান্ধব নদীর উপরে দাঁড়িয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ ছাগলকান্দা ঝর্ণা ভ্রমণ তথ্য ও যাবতীয় খরচ সমুহ
কালুরঘাট সেতুর বিবরণ
কালুরঘাট ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৬৫ সালে এবং প্রথম মুখ খোলার কাজ শেষ হয় ১৯৮৯ সালে। এটি একটি সুস্থ সংযোজন যাতায়াত সুবিধা প্রদান করে যা চট্টগ্রাম এবং পূর্বাঞ্চলের যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রিজটি সড়ক ও রেলপথের দুটি মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। এটি দীর্ঘ ৩.১৫ কিলোমিটার লম্বা এবং ৫৬ ফুট চওড়ান্ত। এই ব্রিজের উচ্চতা প্রায় ১১৪ ফুট।
কালুরঘাট সেতুর গুরুত্ব
কালুরঘাট ব্রিজ চট্টগ্রাম শহরকে পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সংযোগ করে এবং বন্দর থেকে সরাসরি যাতায়াতের সুবিধা প্রদান করে। এটি একটি মাঝারি ও মহাবিশাল স্থাপনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এটি চট্টগ্রাম বন্দর এবং এলাকার অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে প্রধান যাতায়াত রাস্তার স্থানীয় মাধ্যমে হিসেবে পরিচিত। এটি প্রায় সব প্রকারের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন গাড়ি, বাস, ট্রেন, ইত্যাদি।
ব্রিজের পাশাপাশি একটি আদর্শ পার্ক রয়েছে যা দর্শনীয় এবং সাধারণ মানুষের জন্য আকর্ষণীয়। এটি চট্টগ্রাম ও পূর্বাঞ্চলের রাজনৈতিক, আর্থিক, এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যাতায়াত
চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস, সিএনজি বা অটোরিক্সা ভাড়া করে কালুরঘাট যাওয়া যায়।
বাস
ঢাকার সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল হতে সৌদিয়া, ইউনিক, টিআর ট্রাভেলস, গ্রিনলাইন, হানিফ, শ্যামলী, সোহাগ, এস আলম, মডার্ন লাইন এবং অন্যান্য পরিবহন প্রতিষ্ঠানের এসি/নন-এসি বাসে চট্টগ্রামে যাওয়া সম্ভব।
ট্রেন
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, সুবর্ন এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, চট্রগ্রাম মেইলে চট্টগ্রামে যেতে সম্ভব।
বিমান
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার, ও যুএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানে প্রয়াত করা যায়।
বাসের ভাড়া
এসি বাসের ভাড়া ৳১,০০০ থেকে ৳১,৫০০ এর মধ্যে এবং নন-এসি বাসের ভাড়া ৳৫০০ থেকে ৳৮০০ এর মধ্যে পরিমাণ হতে পারে।
ট্রেনের ভাড়া
ট্রেনের ভাড়া শ্রেণী এবং আসনের ধরণ অনুযায়ী ৳২০০ থেকে ৳৩,০০০ এর মধ্যে পরিমাণ হতে পারে।
বিমানের ভাড়া
বিমানের ভাড়া টিকিট ক্রয়ের সময় ও এয়ারলাইনসের উপর নির্ভর করে।
যাত্রা সময়
বাসে করে চট্টগ্রামে যাওয়া সময়ে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। ট্রেনে করে চট্টগ্রামে যাওয়া সময়ে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। বিমানে করে চট্টগ্রামে যাওয়া সময়ে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগে।
কোন উপায়ে যাবেন
আপনার বাজেট এবং সময়ের উপর নির্ভর করে আপনি চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য যে কোনও উপায় ব্যবহার করতে পারেন।
কিছু টিপস
- যানজট এড়াতে ভোরবেলা বা রাতে যাত্রা শুরু করা ভালো।
- টিকিট আগে থেকে কিনে রাখলে ভালো।
- বাস বা ট্রেনে করে যাত্রা করার সময় সাথে করে খাবার ও পানি রাখুন।
- বিমানে করে যাত্রা করার সময় বিমানবন্দরে দ্রুত চেক-ইন করার জন্য আগে থেকে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।
কোথায় থাকবেন
হোটেল লর্ডস ইন
এটি চট্টগ্রামের একটি জনপ্রিয় হোটেল। এটিতে বিভিন্ন ধরণের রুম রয়েছে, যেমন সিঙ্গেল, ডবল, টুইন এবং স্যুট। হোটেলে রেস্তোরাঁ, ওয়াইফাই, সুইমিং পুল, জিম, স্পা ইত্যাদি সুবিধাও রয়েছে।
হোটেল এশিয়ান এসআর
এটি চট্টগ্রামের আরেকটি জনপ্রিয় হোটেল। এটিতে বিভিন্ন ধরণের রুম রয়েছে, যেমন সিঙ্গেল, ডবল, টুইন এবং স্যুট। হোটেলে রেস্তোরাঁ, ওয়াইফাই, সুইমিং পুল, জিম, স্পা ইত্যাদি সুবিধাও রয়েছে।
হোটেল ল্যান্ডমার্ক
এটি চট্টগ্রামের একটি জনপ্রিয় হোটেল। এটিতে বিভিন্ন ধরণের রুম রয়েছে, যেমন সিঙ্গেল, ডবল, টুইন এবং স্যুট। হোটেলে রেস্তোরাঁ, ওয়াইফাই, সুইমিং পুল, জিম, স্পা ইত্যাদি সুবিধাও রয়েছে।
হোটেল মিসকা
এটি চট্টগ্রামের একটি জনপ্রিয় হোটেল। এটিতে বিভিন্ন ধরণের রুম রয়েছে, যেমন সিঙ্গেল, ডবল, টুইন এবং স্যুট। হোটেলে রেস্তোরাঁ, ওয়াইফাই, সুইমিং পুল, জিম, স্পা ইত্যাদি সুবিধাও রয়েছে।
প্যারামাউন্ট
এটি চট্টগ্রামের একটি জনপ্রিয় হোটেল। এটিতে বিভিন্ন ধরণের রুম রয়েছে, যেমন সিঙ্গেল, ডবল, টুইন এবং স্যুট। হোটেলে রেস্তোরাঁ, ওয়াইফাই, সুইমিং পুল, জিম, স্পা ইত্যাদি সুবিধাও রয়েছে।
হোটেল অবকাশ
এটি চট্টগ্রামের একটি জনপ্রিয় হোটেল। এটিতে বিভিন্ন ধরণের রুম রয়েছে, যেমন সিঙ্গেল, ডবল, টুইন এবং স্যুট। হোটেলে রেস্তোরাঁ, ওয়াইফাই, সুইমিং পুল, জিম, স্পা ইত্যাদি সুবিধাও রয়েছে।
এই হোটেলগুলোতে বিভিন্ন ধরণের রুম রয়েছে, যেমন সিঙ্গেল, ডবল, টুইন এবং স্যুট। হোটেলগুলোতে রেস্তোরাঁ, ওয়াইফাই, সুইমিং পুল, জিম, স্পা ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে।
কোথায় খাবেন
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য হোটেল জামান বেশ প্রসিদ্ধ। তাদের বিরিয়ানি এবং কাবাব অবশ্যই চেষ্টা করে দেখতে হবে। আর মেজবানির জন্য চকবাজারে অবস্থিত “মেজবান হাইলে আইয়্যুন” রেস্তোরাঁ অতুলনীয়। তাদের বিশেষ খাবার হলো তেহারি।
চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন মানের অসংখ্য রেস্টুরেন্ট আছে। এদের মধ্যে বারকোড ক্যাফে, গ্রিডি গাটস, ক্যাফে ৮৮, সেভেন ডেইজ, ধাবা, গল্ফ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, কোস্টাল মারমেইড রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জ, বোনানজা পোর্ট রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি অন্যতম।
এই রেস্টুরেন্টগুলোতে বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যায়, যেমন বাংলা, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান, কন্টিনেন্টাল ইত্যাদি । আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনি যেকোনো রেস্টুরেন্টে যেতে পারেন।
এখানে চট্টগ্রামের আরও কিছু জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টের তালিকা দেওয়া হল:
- হোটেল ওয়ান
- হোটেল শাহী
- হোটেল সিলভার স্পুন
- রেস্তোরাঁ নূর
- রেস্তোরাঁ আল-হাফিজ
- রেস্তোরাঁ কাবাব
আরও পড়ুন-
আলুটিলা গুহা
কুমিরা ঘাট, চট্রগ্রাম