ইনানী বিচ কক্সবাজার

ইনানী বিচ

সমুদ্রের অনির্বচনীয় সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা কারই বা আছে? সাগর তার রূপের মহিমা দিয়ে মানুষকে যেমন সুন্দর জীবনের হাতছানি দেয়, তেমনি মানুষের মনে প্রাণে জাগ্রত করে তোলে বিচিত্র আবেগ এবং অনুভুতি। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ যেমন মনকে দোলা দিয়ে যায়, তেমনি নীরব সমুদ্রও আপনার মনকে করবে শান্ত।

কি ভাবছেন এরকম শান্ত এবং নিরিবিলি সমুদ্র সৈকত আছে কোথাও? হ্যাঁ আছে, বলছি ইনানী বিচ এর কথা। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর, আকর্ষণীয় এবং নয়নাভিরাম হচ্ছে ইনানী বিচ (inani beach) বা ইনানী সমুদ্র সৈকত।

আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে ইনানী বিচ এর অবস্থান, সৌন্দর্য, কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি খাবেন ইত্যাদি সম্পর্কে। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

আরও পড়ুনঃ সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান

ইনানী বিচ – অবস্থান  

কক্সবাজার জেলা শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিনে এবং হিমছড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে প্রবাল গঠিত সমুদ্র সৈকত ইনানী বিচ (inani beach) অবস্থিত। বঙ্গোপসাগরের একটি উপকূলভূমি ইনানী সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতটি বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। এর পশ্চিমে সমুদ্র এবং পূর্বে পাহাড়।

কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে ইনানী বিচ যেতে হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র আধঘন্টা দূরত্বে অবস্থিত অপূর্ব সুন্দর ইনানী সমুদ্র সৈকত। কোরাল পাথর ঘেরা অপূর্ব সমুদ্র সৈকতের নাম ইনানী বিচ। এখানে কালো সোনা পাওয়া যায়।

ইনানী বিচ – বর্ণনা 

শান্ত, নিরিবিলি এবং ছিমছাম সমুদ্র সৈকত ইনানী বিচ (inani beach)। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর মতো উত্তাল ঢেউ ইনানী সমুদ্র সৈকতে না পাওয়া গেলেও এর শান্তশিষ্ট পরিবেশ আপনাকে বিমোহিত করবে। এই সমুদ্র সৈকতের প্রধান আকর্ষণ সমুদ্রের নীল জলরাশি এবং সারি সারি পাথরের মেলা।

সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে অনেকটাই মিল খুঁজে পাবেন এখানে আসলে। সাগর পাড়ের বালুর উপর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে শত শত বছরের পুরাতন পাথর।  ভাটার সময় বিশাল এলাকা জুড়ে ভেসে ওঠে এই প্রবাল পাথর।

প্রবালের ওপর দাঁড়িয়ে সমুদ্রের দৃশ্য দেখার মজাই অন্যরকম। সমুদ্রের ঢেউগুলো প্রবালের গায়ে আঘাত লেগে পায়ের কাছে আছড়ে পরে। স্বচ্ছ পানির নিচে দেখা যায় বালুর স্তর। হরেক রকম মাছের ছোটাছুটি দেখতে পাবেন। এছাড়াও ইনানী বিচ এর বিস্তীর্ণ বালুকাবেলায় হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার দল ছুটে বেড়ায়। পাথরে লেগে থাকে ধারালো শামুক-ঝিনুক ।

টেকনাফগামী মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে ইনানী সমুদ্র সৈকতে (inani beach) যাওয়ার সময় হিমছড়ির পাহাড়, সমুদ্র তীরের সাম্পান, নারিকেল এবং ঝাউ গাছের সারি এবং চারপাশের মনোরম দৃশ্য দেখে আপনার ভ্রমণের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। মেরিন ড্রাইভ সড়ক সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তৈরি।

পথে রয়েছে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প। সূর্যাস্ত উপভোগ করার জন্য ইনানী বিচ যেতে পারেন। সাগর পাড়ের সূর্যাস্ত অন্যরকম অনুভূতি দিবে আপনাকে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিংড়ি পোনা উৎপাদনের অনেক হ্যাচারি আছে ইনানী বিচে।

ইনানী বিচ – কখন যাবেন 

ইনানী বিচ (inani beach) যেকোনো সময়েই যেতে পারবেন। তবে ভোরবেলা এবং বিকেল বেলা জোয়ারের কারণে মানুষের আনাগোনা কম থাকে। ইনানী সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের আদর্শ সময় সাধারণত বিকেল বেলা। সাগরে নামার পরিকল্পনা না থাকলে বিকেলের দিকে ইনানী বিচ যেতে পারেন।

পড়ন্ত বিকেলের শান্ত সাগর যেন আপনার সামনে তুলে ধরবে তার বিশালতা। সেই সাথে সূর্যাস্ত উপভোগ করতেও ভুলবেন না। ভাটার সময় এই বিচে গেলে দেখা মিলবে অসংখ্য জীবন্ত প্রবালের৷ ইনানী বিচ এর প্রধান আকর্ষণ এর জীবন্ত প্রবাল এবং পাথর ।

কত শত বছরের পুরানো পাথর এবং সেই সাথে রয়েছে কত শত স্মৃতি! কক্সবাজারে গেলে অবশ্যই ইনানী বিচ ঘুরে আসবেন এর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।

 আরও পড়ুনঃ সাইরু হিল রিসোর্ট, বান্দরবান

ইনানী বিচ – কিভাবে যাবেন 

ইনানী বিচ (inani beach) দেখার জন্য প্রথমেই আপনাকে কক্সবাজারে (Cox’s Bazar) যেতে হবে। বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আসা যায়। সড়কপথ, রেলপথ এমনকি আকাশপথেও ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে পারবেন।

বাসে ঢাকা-কক্সবাজার 

রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রীন লাইন, এস আলম মার্সিডিজ বেঞ্জ, সৌদিয়া, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সোহাগ পরিবহন, এস আলম পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, মর্ডান লাইন ইত্যাদি বাস কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ছেড়ে যায়। এসি এবং নন-এসি উভয় রকম বাসই পাবেন। বাস ভাড়া শ্রেণীভেদে ৯০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। 

ট্রেনে ঢাকা-কক্সবাজার 

রাজধানী ঢাকার কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী / গোধূলি, তূর্ণা-নিশিথা ট্রেনগুলোতে চট্টগ্রামে আসতে হবে প্রথমে। এরপর চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকা বা ধামপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে এস আলম, হানিফ বা ইউনিক পরিবহনের বাসে কক্সবাজার যেতে পারেন। শ্রেণীভেদে বাস ভাড়া ২৮০ থেকে ৫৫০ টাকা। 

আকাশপথে ঢাকা-কক্সবাজার

ঢাকা থেকে আকাশপথে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়ার বিমান রয়েছে। বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলা, নভোএয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বিমানগুলো সরাসরি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যায়। এছাড়াও আকাশ পথে প্রথমে আপনি চাইলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে পারেন। তারপর চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে কক্সবাজার যেতে পারেন। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ভাড়া বিভিন্ন রকম। শ্রেণীভেদে বিমান ভাড়া ৬৫০০ থেকে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত। 

কক্সবাজার – ইনানী বিচ 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ইনানী (inani beach) সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার জন্য খোলা জীপ পাওয়া যায়। রিজার্ভ গেলে টাকা বেশি লাগবে। রিজার্ভ ভাড়া আলোচনা সাপেক্ষে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মত হবে। একটি জীপে ১২ থেকে ১৫ জন অনায়াসেই বসা যাবে।

কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে খোলা জীপ, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটো ইত্যাদি পাওয়া যায় ইনানী বিচ যাওয়ার জন্য। অটোরিক্সা বা ইজিবাইকে করে ইনানী বিচ যাওয়া-আসা সহ সিজন ভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা ভাড়া লাগবে।

ইনানী বিচ – কোথায় থাকবেন 

ইনানী বিচ (inani beach) এর আশেপাশে কিছু হোটেল এবং রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েল টিউলিপ রিসোর্ট, ইনানী রয়াল রিসোর্ট, লা বেল্যা রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য। যেহেতু ইনানী বিচে দিনে গিয়ে দিনেই আবার ফিরে আসা যায়, তাই ভালো হবে কক্সবাজারের কোন হোটেলে থাকা।

কক্সবাজারে রয়েছে প্রচুর হোটেল, মোটেল এবং কটেজ। দামানুসারে সাধারণত কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল এবং রিসোর্ট গুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। 

১) ৬০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা – সায়মন বিচ রিসোর্ট, ওশেন প্যারাডাইস, মারমেইড বিচ রিসোর্ট, কক্স টুডে, লং বীচ, হেরিটেজ ইত্যাদি। 

২) ৩০০০ থেকে ৬০০০ টাকা – সী গাল, কোরাল রীফ, সী প্যালেস, নিটোল রিসোর্ট, আইলান্ডিয়া, সী ক্রাউন, বীচ ভিউ, ইউনি রিসোর্ট ইত্যাদি। 

৩) ৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা – ইকরা বিচ রিসোর্ট, উর্মি গেস্ট হাউস, কোরাল রীফ, মিডিয়া ইন, অভিসার, কল্লোল, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট, সেন্টমার্টিন রিসোর্ট ইত্যাদি।

আরও পড়ুনঃ ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক কুমিল্লা

কম বাজেটের হোটেল

উপরে উল্লেখিত হোটেলগুলোর তুলনায় যদি আরো কম বাজেটের হোটেলে থাকতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই খোঁজখবর নিবেন আগে থেকে। অফসিজনে এসব হোটেলের ভাড়া প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। আপনার হাতে যদি সময় থাকে তাহলে কক্সবাজারে নেমে হোটেল খুঁজে নিবেন। 

কমদামী কোন হোটেল বা রিসোর্টে থাকতে চাইলে কলাতলী বিচ থেকে একটু দূরে হোটেলের সামনের উল্টোপাশের গলির ভেতরের হোটেলগুলোতে খোঁজ নিতে পারেন। সাধারণত মেইন রোড এবং বিচ থেকে হোটেল যত দূরে হবে ভাড়া তত কম হবে।

ফ্ল্যাট বাসা

এছাড়াও আপনি যদি পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমন করতে চান সেক্ষেত্রে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিতে পারেন। ২,৩ বা ৪ বেডরুম (এসি বা নন-এসি) এবং রান্নাঘর বিশিষ্ট ফ্ল্যাটের ভাড়া ২০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা। আপনার ভ্রমণের দিনগুলোতে সাধ্য অনুযায়ী এবং মনের মতো ঠিকানা পেতে অবশ্যই ভালোভাবে খোঁজাখুঁজি করবেন। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য : হোটেল খোজার ক্ষেত্রে রিক্সাওয়ালা বা সিএনজিওয়ালার পরামর্শ শুনবেন না। প্রয়োজন হলে হোটেলের ফেসবুক পেজ অথবা ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন। 

কোথায় খাবেন 

ইনানী বিচ (inani beach) এলাকায় খাবারের জন্য ভালো মানের কোন হোটেল বা রেস্টুরেন্ট নেই। ৫-৬ ঘন্টার মধ্যেই কক্সবাজার থেকে ইনানী বিচে ঘুরে আসা যায়। তাই খাবারের জন্য কক্সবাজারকে বেছে নেওয়াই উত্তম। তবে ইনানী বিচে যাওয়ার সময় হালকা কিছু শুকনো খাবার সাথে রাখতে পারেন।

কক্সবাজারে খাবারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন মানের রেস্টুরেন্ট। এগুলোর মধ্যে রোদেলা, ঝাউবন ধানসিঁড়ি, নিরিবিলি, পৌষি উল্লেখযোগ্য। সিজন অনুযায়ী রেস্টুরেন্ট গুলোতে দামের কিছুটা তারতম্য হতে পারে। 

ইনানী বিচ – ভ্রমণ টিপস 

  • ছুটির দিন ব্যতীত অন্য সময় গেলে ভ্রমণ খরচ অনেকটাই কম হবে। 
  • বাজেট যদি কম থাকে সেক্ষেত্রে বিচ থেকে দূরে লাবনী পয়েন্টের হোটেলগুলোতে থাকতে পারেন। 
  • যাতায়াত এবং খাওয়া-দাওয়া সবকিছুতেই দরদাম করে নেবেন। 
  • চেষ্টা করবেন ইনানী বিচে বিকালের সময় যাওয়ার। সূর্যাস্ত দেখতে কিন্তু ভুলবেন না। 
  • যদি সময় থাকে তাহলে মেরিন ড্রাইভ এবং হিমছড়িতে কিছু সময় ব্যয় করতে পারেন। 
  • সিজনে অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত দিনগুলোতে যদি যেতে চান, তাহলে হোটেল বুক করার প্রয়োজন নেই। 
  • দালালের খপ্পরে পড়বেন না। রিক্সা বা ইজিবাইক চালকদের হোটেল রুম ঠিক করে দেওয়ার জন্য বলবেন না। 
  • জোয়ার ভাটার সময় দেখে নিন এবং বিচে নামার সময় সতর্ক থাকুন। 

শেষকথা 

সমুদ্রের বিশালতা এবং গভীরতা আমাদের মনে শক্তি যোগায়, অনুপ্রেরণা দেয় নতুন কিছু করার। ভ্রমণপিপাসুরা সবসময় মুখিয়ে থাকে নতুন কোথাও যাওয়ার এবং নতুন কিছু দেখার। পর্যটকদের কাছে ইনানী বিচ খুবই জনপ্রিয়। প্রবালের ওপরে দাঁড়িয়ে বিশাল সমুদ্র দেখার যে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা তা আপনি এখানে গেলে পাবেন।

একবার ভাবুন তো সমুদ্রের বুকে সূর্যাস্ত! কি অপরূপ দৃশ্য। জোয়ার ভাটার হিসাব কষে ইনানী বিচ (inani beach) যাওয়া উচিত। জোয়ারের সময় গেলে সৈকতের প্রবাল পাথর দেখতে পাবেন না। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রবাল পাথর দেখার জন্য ভাটার সময় যাওয়া উত্তম।

হাতে যদি সময় থাকে তাহলে ইনানী বিচ এবং হিমছড়ি একই দিনে ঘুরে আসতে পারেন। সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি ইনানী সমুদ্র সৈকতে আপনাদেরকে স্বাগতম। আশা করছি আপনার ভ্রমণটি সুন্দর এবং সার্থক হবে।

ইনানী বিচ সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর / FAQ’s 

১. ইনানী বীচ কোথায়? 

উত্তর : কক্সবাজার জেলা শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিনে এবং হিমছড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ইনানী বিচ অবস্থিত

২. ইনানী বিচ যাওয়ার উত্তম সময় কখন? 

উত্তর : যেকোনো সময়ই আপনি ইনানী বিচ যেতে পারবেন। তবে বিকেলে যাওয়াটা উত্তম হবে। 

৩. কক্সবাজার থেকে ইনানী ভাড়া কত?  

উত্তর : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সবসময় ইনানী সমুদ্র সৈকত যাবার খোলা জীপ পাওয়া যায়। রিজার্ভ গেলে বেশি টাকা লাগে আলোচনা সাপেক্ষ্যে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় যাওয়া যায়।

একটি জীপে ১২ থেকে ১৫ জন অনায়াসেই বসা যায়। অটোরিকশায়/ইজিবাইক করে ইনানী সমুদ্র সৈকত যাওয়া ও আসা সহ সিজন ভেদে ভাড়া লাগবে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।

৪. ইনানী বিচে কী ডে-ট্রিপ (Day-trip) দেওয়া যাবে? 

উত্তর : হ্যাঁ, দেওয়া যাবে। কক্সবাজার থেকে ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে অনায়াসেই ইনানী বিচ থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। 

৫. ঢাকা থেকে কক্সবাজারের বাস ভাড়া কত?  

উত্তর : ঢাকা থেকে কক্সবাজারের বাস ভাড়া বিভিন্ন শ্রেণিভেদে  ৯০০ থেকে ২০০০ টাকা (এসি এবং নন-এসি) । 

আরও পড়ুন-

নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা – চট্টগ্রাম 

ফয়েজ লেক – চট্টগ্রাম

মন্তব্য করুন