ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ভ্রমণ গাইড ও তথ্য সমুহ

ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক

অবস্থান: কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে, ফাসিয়াখালি রেঞ্জের ডুলাহাজারা ব্লক

আয়তন: ৯০০ হেক্টর

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৯৯ সাল

প্রতিষ্ঠাতা: বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়

ব্লক সংখ্যা:

আরও পড়ুনঃ মহেশখালী আদিনাথ মন্দির

প্রাণীবৈচিত্র্য

ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
  • হরিণ (মায়া হরিণ, সম্বর হরিণ, চিত্রা হরিণ, প্যারা হরিণ)
  • সিংহ
  • বাঘ
  • ভালুক
  • জলহস্তী
  • হাতি
  • গয়াল
  • কুমির (স্বাদুপানি ও লোনা পানি)
  • জেব্রা (২০১৭ সাল থেকে)
  • নু-হরিণ (২০১৭ সাল থেকে)
  • ৮৫টি প্রজাতির পাখি
  • ৬৯টি প্রজাতির সরীসৃপ

পর্যটন সুবিধা

  • পর্যবেক্ষণ টাওয়ার
  • বিশ্রামাগার
  • ডরমেটরী

আকর্ষণ

  • মুক্ত পরিবেশে বন্যপ্রাণী দেখা
  • নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য
  • পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ভ্রমণের উপযুক্ত স্থান

প্রবেশ মূল্য

  • প্রাপ্তবয়স্ক: ৫০ টাকা
  • শিশু (২-১২ বছর): ২৫ টাকা

যাতায়াত

ঢাকা থেকে সরাসরি বাস

সৌদিয়া, এস আলম, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, মডার্ন লাইন প্রভৃতি বাসে করে সরাসরি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের সামনে নামতে পারবেন।

ভাড়া: ৯০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা (শ্রেণী ভেদে)

ঢাকা থেকে ট্রেন

কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলস্টেশান থেকে সোনার বাংলা, সুবর্ন এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, চট্টগ্রাম মেইলে যাত্রা করতে পারেন।

চট্টগ্রাম থেকে

নতুন ব্রিজ এলাকা অথবা ধামপাড়া বাস্ট স্ট্যান্ড থেকে এস আলম, হানিফ, ইউনিক ইত্যাদি বাসে ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকা ভাড়ায় ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে যেতে পারবেন।

কক্সবাজার থেকে

সিএনজি, মাইক্রো কিংবা লোকাল বাসে চড়ে অনায়াসেই ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে যেতে পারবেন।

আকাশপথে

বাংলাদেশ বিমান, জিএমজি এয়ার লাইনস, ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজের সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট রয়েছে।

ভাড়া: ৬০০০ থেকে ৯০০০ টাকা

চট্টগ্রামে বিমান অবতরণ করে সড়ক পথে উপরে উল্লেখিত উপায়ে কক্সবাজার যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত। সুন্দর সমুদ্র সৈকত, মনোরম পরিবেশ এবং আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থানের কারণে প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকেন। কক্সবাজারে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরণের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।

কক্সবাজারে থাকার সুবিধা

সমুদ্র সৈকতের নিকটে: কক্সবাজারের বেশিরভাগ হোটেলই সমুদ্র সৈকতের নিকটে অবস্থিত।

বিভিন্ন ধরণের হোটেল: কক্সবাজারে বিভিন্ন ধরণের হোটেল রয়েছে, যেমন বাজেট হোটেল, মিড-রেঞ্জ হোটেল এবং বিলাসবহুল হোটেল।

সুযোগ-সুবিধা: বেশিরভাগ হোটেলেই Wi-Fi, AC, রেস্তোরাঁ, সুইমিং পুল ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

খাবার: কক্সবাজারে বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যায়।

কক্সবাজারে থাকার খরচ

কক্সবাজারে থাকার খরচ হোটেলের ধরণ, অবস্থান, সুযোগ-সুবিধা এবং সিজনের উপর নির্ভর করে।

বাজেট হোটেল: বাজেট হোটেলের প্রতি রাতের ভাড়া ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়।

মিড-রেঞ্জ হোটেল: মিড-রেঞ্জ হোটেলের প্রতি রাতের ভাড়া ১,৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়।

বিলাসবহুল হোটেল: বিলাসবহুল হোটেলের প্রতি রাতের ভাড়া ৫,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়।

কক্সবাজারে হোটেল বুকিং

কক্সবাজারে হোটেল বুকিং করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে।

অনলাইন: অনলাইনে বিভিন্ন হোটেল বুকিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হোটেল বুকিং করা যায়।

ট্যুর অপারেটর: ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে হোটেল বুকিং করা যায়।

হোটেলে সরাসরি: হোটেলে সরাসরি গিয়ে হোটেল বুকিং করা যায়।

ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক এ খাওয়ার ব্যবস্থা

পার্কের ভিতরে

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভিতরেই একটি ক্যান্টিন আছে। সেখানে আপনি হালকা খাবার, যেমন স্যান্ডউইচ, নুডুলস, চিপস, পানীয় ইত্যাদি খেতে পারবেন।

ক্যান্টিন ছাড়াও পার্কের ভিতরে বেশ কিছু স্টল আছে যেখানে আপনি চা, কফি, ফাস্ট ফুড, আইসক্রিম ইত্যাদি পাবেন।

কক্সবাজারে

কক্সবাজারে সব ধরণ ও মানের রেস্তোরাঁ আছে।

মাঝারি মানের বাজেট রেস্তোরাঁর মধ্যে রোদেলা, ঝাউবন, ধানসিঁড়ি, পৌষি, নিরিবিলি, আল বোগদাদিয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

সিজন অনুসারে খাবারের দাম কম/বেশী হতে পারে।

কিছু সুপারিশ

হান্ডি রেস্তোরাঁ: লাবনী পয়েন্ট সংলগ্ন এই রেস্তোরাঁয় ২০০-২৫০ টাকায় হায়দ্রাবাদী বিরাণী পাওয়া যায়।

কেওএফসি: যারা একটু খাবার বিলাসী তাদের জন্য কেওএফসি তো আছেই।

অন্যান্য বিকল্প:

আপনি যদি খরচ কমাতে চান, তাহলে বাজার থেকে খাবার কিনে পার্কের ভিতরে নিয়ে যেতে পারেন।

পার্কের বাইরেও বেশ কিছু রেস্তোরাঁ আছে যেখানে আপনি খেতে পারবেন।

কিছু টিপস

  • পার্কে যাওয়ার আগে খাবার সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যান।
  • পানি সাথে করে নিয়ে যান।
  • পার্কের ভিতরে খাবারের দাম একটু বেশি হতে পারে, তাই বাজেট অনুযায়ী খাবার বেছে নিন।
  • পরিবেশের ক্ষতি করবেন না।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে।

কক্সবাজারে আরও কিছু আকর্ষণীয় স্থান

  • লাবনী পয়েন্ট
  • সেন্টমার্টিন দ্বীপ
  • তেকনাফ
  • মহেশখালী দ্বীপ
  • সেন্টমার্টিন দ্বীপ
  • কুতুবদিয়া দ্বীপ
  • সোনাদিয়া দ্বীপ
  • দুলাহাজারা সাফারি পার্ক
  • বাহারছড়া ঝর্ণা
  • ঝাউবন
  • ধানসিঁড়ি
  • পেকুয়া সমুদ্র সৈকত
  • মহেশখালী ঝর্ণা
  • মহেশখালী সমুদ্র সৈকত
  • মহেশখালী বাজার

আরও পড়ুন-

কক্সবাজার বিচের নাম, দর্শনীয় স্থান ও সকল তথ্য

কুতুবদিয়া দ্বীপ

মন্তব্য করুন