কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের পর্যটকদের একটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে কক্সবাজার। এখানে রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত, যার দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার (৭৫মাইল প্রায়)। এই কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান গুলো দেখার জন্য প্রচুর দর্শনার্থী ছুটে আসে। নয়নাভিরাম, সূর্যউদয় ও সূর্যাস্তের চাক্ষুষ সাক্ষী হবার জন্য অন্যতম স্হান এই কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান।
দেশের একমাত্র মেরিন ড্রাইভ রোডও কক্সবাজারেই যা পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। অফুরাণ সমুদ্র, বালির বিচ,সামুদ্রিক খাবার ইত্যাদি বিশেষত্বের কারণে কক্সবাজার ভ্রামণপিপাসুদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে।
কক্সবাজার
বাংলাদেশের রাজধানি ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি গাড়ি চলে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই কক্সবাজার বাস সার্ভিস আছে। ঢাকার ফকিরাপুল, আরাম্বাগ মতিযিল সহ আরও বেশ কয়েকটি জাইগা থেকে বাস কক্সবাজারের উদ্দেশে সরাসরি ছেড়ে আসে।
আবার যারা ট্রেনে করে যেতে চান তারা ঢাকা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে ত্রিনা, নিশিথা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতি ইত্যাদিতে করে চট্টগ্রাম যেতে পারবেন। তারপর চট্টগ্রাম থেকে বাস যোগে কক্সবাজার যেতে হবে।
এছাড়াও বিমানযোগে কক্সবাজার যেতে পারেন। ঢাকা ও রাজশাহী থেকে সরাসরি বিমানে করে কক্সবাজার যাওয়া যায়। ইউএস বাংলা, নভো এয়ার, বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স সংযুক্ত আছে এই রুটে।
কক্সবাজার পৌছে পর্যটকেরা সাধারণত ডলফিনের মোড় অথবা কলাতলী তে অবস্থান করে।সেখান থেকে ইজিবাইকে চারপাশে উপোভোগ করে কক্সবাজার বীচে পৌছায়।
কক্সবাজারের থাকার ব্যবস্থা
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান যাবার পরে সবার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কোথায় থাকবেন। কক্সবাজারে প্রায় ৭০০ এর বেশি নানা মানের হোটেল রয়েছে। কক্সবাজারে ৫০০ টাকা থেকে সুরু করে ৫০০০০ হাজার টাকা খরচ হয় এক রাতের জন্য। যার যার সামাথ্যর অপর নিরভর করে থাকা যায়।
কিন্তু হোটেলের ভাড়া সিজিনের অপর নির্ভর করে কম বেশি হয়ে থাকে। যখন পিক সিজন তখন যদি ৫০০০ হাজার হয়ে অফসিজনে সেই রুম ২০০০ টাকা তে পয়া যায়।।
বীচ থেকে যে হতেল্র দূরত্ব বেশি সে হোটেলের ভাড়া কম। আর বীচের পাশেরগুলর খরচ একটু বেশি। সিজন টাইমে কক্সবাজার গেলে অবশ্যয় হোটেল আগে বুকিং দিয়ে যেতে হবে নাহলে হোটেল পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে। আর অফসিজনে তার প্রয়োজন নাই কারন তখন হোটেল ফাকাই থাকে।
কলাতলী থেকে ইজিবাইকে করে ডলফিনের মোড়ে গেলেই রাস্তার পুরোটা জুড়েই রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল। এক্ষেত্রে ডলফিনের মোড়ের বাম দিকের রোডটাই মেরিন ড্রাইভ রোড,এই রোডেও প্রচুর হোটেল রয়েছে।সিজন ও সুবিধার সাপেক্ষে হোটেলগুলোর ভাড়ার তারতম্য হয়। এবং অবশ্যই ছুটির দিনে প্রচুর ভীড় হয়।
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান
- সুগন্ধা বিচ
- ইনানি বিচ
- হিমছড়ি
- রামু বৌদ্ধ
- বিহার রাবার বাগান
- সোনা দিয়া দ্বীপ ।
- শাহপরীর দ্বীপ
- মহেশখালী
- রিজু খাল
- লাবণী বিচ
রাইড এক্টিভিটিজ
- মেরিন ড্রাইভ
- প্যারাসাইক্লিং
- হর্স রাইডিং
- কায়াকিং
- জেট স্কি
- এটিভি
ইনানি বিচ
ইনানি বিচ সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার থেকে ২৩ কিলোমিটার আর হিমছড়ি থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে আবস্থিত। এখানে পানি কম থাকায় সময় ইনানি সমুদ্র সৈকত সেন্টমাটিনের মত প্রবল পাঁথরের দেখা মিলে। এখানে কক্সেবাজারে মত সাগর এত উত্তাল থাকে না এটি একটি শান্ত সাগর এই জন্য পর্যটকদের আরও বেশি বিমোহিত করে তুলে।
সাধারনত বিকালে বেলায় ইনানি সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার জন্য আদর্শ সময়। কারন বিকালে তুলনা মূলক লোকজন কম থাকে। আর এরসাথে অপূর্ব সৌন্দর্যের সূর্যাস্ত দেখা সুযোগ মিলে, এ ছাড়া টেকনাফ গামি মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে ইনানি বিচে যাবার সময় হিমছড়ির পাহাড়, সমুদ্র তীরের সাম্পান নারিকেল ও ঝাউবন গাছের সা্রি আর চারপাশের প্রকৃতির দৃশ্য দেখে আপনার ভ্রমনের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে এবং মনটা ফুরফুরে হয়ে যাবে।
ইনানি বীচ কিভাবে যাবেন
প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে কক্সেবাজার আসতে হবে, তারপর আপনি সেখান থেকে এ-সি বা নন এ-সি বিভিন্ন ধরনের বাস পাবেন যেগুলি ইনানি সমুদ্র সৈকত যায়। এদের ভাড়া ৯০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা।
তবে এটি পুরটায় বাস ভেদে নিভর করে। এ ছাড়া আপনি ঢাকা থেকে ট্রেনে করে চট্রগ্রাম হয়ে কক্সেবাজার যেতে পারেন। আর যদি আপনার বাজেট বেশি থাকে তাহলে আপনি আকাশ পথে বিমান করে যেতে পারেন।
তবে ভাড়া আরও একটি দিক আসে সেটা হচ্ছে কক্সেবাজার থেকে ইনানি সমুদ্র সৈকত যাবার খোলা জিপ সবসময় পাওয়া যায়। এমন কি রিজাভ করেও যেতে পারবেন তবে ভাড়া তুলনামূলক বেশি লাগবে যমনঃ {১৫০০-২০০০} আলোচনা সপাক্ষে তবে একটি জিপে ১২ থেকে ১৫ জন মানুষ যেতে পারবে। এ ছাড়া বাইক করে ও যাইতে পারেন ভাড়া ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা হয়ে থাকে। আর সি এন জি তে করে ও যেতে পারেন ভাড়া জনপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
মহেশখালী দ্বীপ
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান হচ্ছে মহেশখালি দ্বীপ। এটি কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে আবস্থিত। মানুষের মুখে শুনা যাই ১৫৫৯ সালে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় ও জলচ্ছাসের কারনে মুল ভু-খন্ড থেকে এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি দ্বীপ সৃষ্টী হয়। বৌদ্ধ সেনা মহেশ্বর থেকেই প্রায় ২০০ বছর আগে এই জায়গার নামকরন করা হয়। তারপর থেকে এটি মহেশখালী দ্বীপ নামে পরিচিত।
এই উপজেলায় আরও ছোট ছোট তিনটি দ্বীপ রয়েছে। যার নাম সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি ও ধলঘাট। এই উপজেলাতে পান, মাছ, শুঁটকি, চিংড়ি, লবন এবং মুক্তার উৎপাদন সমগ্র বংলাদেশে অনেক সুনাম রয়েছে। আপনি চাইলে যাইতে পারেন। এটি কক্সেবাজার থেকে ৪-৫ ঘণ্টা সময় ব্যায় করলেই মহেশখালী দ্বীপ থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
মহেশখালী দ্বীপ কিভাবে যাবেন
মহেশখালীতে যাওয়ার জন্য দুটি পথ আছে, একটি হল প্রথমে আপনাকে কক্সবাজার আসতে হবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার সড়ক, রেল এবং আঁকাশ পথে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার গামি বাসগুলোর মধ্যে সাদিয়া, শ্যামলী, হানিফ, সোহাগ পরিবহন ইত্যাদি।
আরও অনেক বাস যাই, শ্রেনি ভেদে বাসগুলোর প্রতি সিটের ভাড়া ৯০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পয়ন্ত হয়ে থাকে। এবং আকাশ পথে যাওয়ার জন্য আপনার বাংলাদেশ বিমান ভাড়া ঢাকা থেকে ৪০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কক্সবাজার থেকে মহেশখালী যেতে চাইলে আপনাকে { ৬ নং ঘাটে যাইতে হবে } তারপর লোকাল টলার বা স্পিড বোটে ৭০-৮০ টাকা ভাড়ায় মহেশখালী আসবেন।
চাইলে আপনি রিজার্ভ নিতে পারেন। মহেশখালী সবকিছু ঘুরে দেখতে হলে কম লোক হলে রিস্কা ভাড়া নিতে পারেন ভাড়া {১৫০-২০০} টাকা আথবা লোক বেশি থাকলে অটো নিতে পারেন। যার ভাড়া {৩০০- ৩৫০} টাকা করে নিবে তবে ভালো করে দামদর করে নিবেন। আর অন্য পথে যেতে আপনাকে চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে চাকরিয়া এসে বদর খালী হয়ে মহেশখালী আসতে হবে। এই পথে মহেশখালী যাইতে দেড়- দুই ঘণ্টা সময় লাগে।
রামু রাবার বাগান
১৯৬০-৬১ সালে অনাবাদি জমি জরিপ করে গবেষণার মাধ্যমে রামুতে রাবার চাষাবাদ শুরু করা হয়। কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে রামুর ঐতিহ্যবাহী এ রাবার বাগান আজ দেশের অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে বাগানের বিস্তৃতি ২ হাজার ৬৮২ একর।
এর মধ্যে ১ হাজার ১৩০ একর এলাকা থেকে লিকুইড বা কষ সংগ্রহ করা হয়। রামুর রাবার বাগানে উৎপাদনক্ষম গাছ আছে প্রায় ৫৮ হাজার। এসব গাছ থেকে বছরে প্রায় আড়াই লাখ কেজি রাবার উৎপাদন হয়।
রামু রাবার বাগানের জন্য বিখ্যাত এ বাক্যটি পাঠ্যপুস্তকেও পড়ানো হয়। প্রতিদিন দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক রামু রাবার বাগান পরিদর্শন করতে আসেন। পাহাড় আর সমতলের অপূর্ব মিলনের দৃশ্য উপভোগ করে মুগ্ধহন ভ্রমন পিপাসুরা। এখানে বাগান র্কতৃপক্ষের একটি দৃষ্টিনন্দন বিশ্রামাগার (রেষ্ট হাউস) রয়েছে। রাবার গাছের সবুজ পাতাগুলো বাতাসে দুলছে।
কিভাবে যাবেন
রামু চৌমুহনী ষ্টেশন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এ রাবার বাগান এ রিক্সা, টেক্সী বা অন্যান্য যানবাহন নিয়ে যাওয়া যাবে। অথবা ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী যেকোন বাস থেকেই কক্সবাজারের ১৮ কিলোমিটার আগে নেমে যেতে হবে।
হিমছড়ি
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান ঘুরতে গিয়েছেন কিন্তু হিমছড়ি জাননি কিংবা হিমছড়ি নাম শুনেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়াই মুশকিল। এটি কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিমছড়িতে আছে ছোট – বড় ঝর্ণা, পাহাড় আর প্রাকৃতিক সুন্দরজের ফটো গ্রাফিক করার জাইগা এই সমুদ্রটি পর্যটকদের বিমহিত করে রাখে।
কারন শিতল পানির ঝর্ণা, মেরিন ড্রাইভ রোড, এবং বিস্তিন সমুদ্র সৈকত যা দেখতে আপনাকে হিমছড়িতে(himchori) আসতেই হবে। আপনি চাইলে সারা বছরে যে কোন সময় আসতে পারেন, তবে এটি বর্ষাতে ঝর্ণা গুলি পূর্ণতা পায়।
কিভাবে হিমছড়িতে যাবেন
হিমছড়ি যেতে হলে প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসতে হবে। কক্সবাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের এ সি বা নন এ সি বাস রয়েছে। যা আপনাকে হিমছড়িতে নিয়ে যাবে, এই বাস গুলির ভাড়া ৯০০ টাকা থেকে ২৫০০০ টাকা পয়ন্ত হয়ে থাকে।
এ ছাড়া আপনি ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্রগ্রাম এসে তারপর কক্সবাজার যেতে পারেন। যদি বাজেট বেশি থাকে তাহলে আকাশ পথে যেতে পারেন। তারপর আপনি কক্সবাজার থেকে যেকোনো ভাবে হিমছড়ি তে যেতে পারবেন।
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড কক্সবাজার বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে প্রথম আন্তর্জাতিক মানের ফিস অ্যাকুরিয়াম দেখার সুযোগ। এটি একটি কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান, যা ঝাউতলায় অবস্থিত। এখানে সাগর ও লোনা পানি ও মিঠা পানির মাছ সহ বিদেশি প্রয় ২৫০ প্রজাতির অনেক রকমের মাছ ও পানি রয়েছে।
যার মধ্যে আছে হাঙ্গর, শাপলা পাতা, পানপাতা, কাছিম, সাগর কুচিয়া, জেলি ফিস, পাঙ্গাস, থাই সরপুটি, মহাশোল বা গজার, কোরাল, পুঁটি, কুরুমা স্প্রিং, লাল কাঁকড়া, রাইল্যা, কামিলা, বাগদা, গলদা, চিংড়ি, স্টিং রে, আফ্রিকান মাগুর, দেশীয় মাগুর, ফলি, পটকা, ভোল কোরাল, অক্টোপাস, কামিলা, বিদ্যুৎ মাছ, ব্ল্যাক কিং, নীলরঙা ভোল, বাইল্লা, রাজকাঁকড়া, স্টার ফিস, স্টোন ফিস, জেলি ফিস, ইত্যাদি সহ আরও বিভিন্ন ধরনের মাছ ও পানি।
এর ভিতরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুকুর ও সাগরের তলদেশের বৈচিএময় পরিবেশ। এটি ঘুরে দেখতে প্রয় ২ ঘণ্টার ও বেশি সময় লাগে, এটি তৈরি করতে প্রয় ২ বছর সময় লেগেছে। এবং এই অ্যাকুরিয়ামে ঢুকলে মনে হবে আপনার সগরের তলদেশে আছি। আর আপনার চারি পাশে বিভিন্ন রকমের মাছ ও পানি ঘুরা ফিরা করছে। এটি বানাতে প্রয় ১০০ কোটি টাকা ব্যায় করেছে।
এর ভিতরে আরও আছে থ্রি-নাইন ডি মুভি দেখার সুযোগ দেশি-বিদেশি নানার প্রজাতির পানি, ও শিশুদের খেলার জাইগা, এবং ছবি তোলার আকষর্ণীয় ডিজিটাল কালার ল্যাব, মার্কেটিং করার জন্য শপ, ও পাশাপাশি মাছ বার-বি কিউ করে খাওয়ার আয়োজন করা আছে।
কিভাবে যাবেন
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়াল্ড দেখতে হলে প্রথমে আপনাকে কক্সেবাজার যাইতে হবে। সেখান থেকে আপনি যেকোনো যানবাহন করে ঝাউতলায় যেতে পারবেন। যেমন- ইজিবাইক, রিকশা,আঁটোরিকশায় করে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়াল্ড যাওয়া যাই। এটি মুলত সকাল ৯ টা থেকে রাত ১১ টা পয়ন্ত খোলা থাকে।
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়াল্ড প্রবেশের জন্য ফ্রী ৩০০ টাকা, এ ছাড়া ছোট বাচ্চাদের জন্য রয়েছে ফ্রী টিকেট এবং সময় ও উপকক্ষ আনুযায়ি টিকেট মূল্যর উপর ৫-১০% ডিস্কাউন্ট থাকে। যারা ভাবছেন কক্সবাজারে ভ্রমনে যাবো তারা অবশ্যই ২-৩ ঘন্টার জন্য হলেও আসে এখান থেকে ঘুরে যাবেন।
শাহপরীর দ্বীপ
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে কায়াকিং এর জন্য রিজু খালে পর্যটকদের বরাবরই ভীড় থাকে। এছাড়া ক্যাম্পিং করতে টেকনাফ হয়ে শাহপরীর দ্বীপে যে কেউ ক্যাম্প করতে পারে।
নির্দেশনা :
- ছুটির দিনে প্রচুর ভীড় হয়।
- সাধারণ দিনে যাবার পরামর্শ রইলো।
- বিচে নামার ক্ষেত্রে সতর্ক থকুন
- জোয়ার ভাটার সময় দেখে নিন।
- খাবার ও অন্যান্য জিনিসপত্র দরদাম করে কিনুন।
- ভ্রমণের সময় অবশ্যই আবহাওয়া পূর্বাভাস দেখে নিন
- হোটেল /মোটেল /রিসোর্ট ভাড়ার ক্ষেত্রে নিজে কথোপকথন করুন
শেষকথা
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান গুলো অনেক সুন্দর যা মানুষের ক্লান্তি দূর করতে বাধ্য করবে। আপনারা কক্সবাজার ভ্রমন করতে চাইলে উল্লেখিত স্থান গুলো অবশ্যয় ভ্রমণ করবেন আশা করচি আপনার ভ্রমনটা অনেক মজাদার হবে।
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান কক্সবাজার দর্শনীয় স্থানসম্পর্কে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে থাওলে অবশ্যয় জানাবেন আমরা আপানাকে সাহায্য করবো আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে।
কক্সবাজার সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ
১। কক্সবাজার যাওয়া কি নিরাপদ?
উত্তরঃ হাঁ, নিরাপদ। বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ কে কঠোর এবং সন্ত্রাসী দমনে অধিক কঠোর হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। টুরিস্ট পুলিশ ও সেই মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছে।
২। হিমছড়ি যেতে কত টাকা লাগবে?
উত্তরঃ রিসার্ভ নিতে চাইলে সিজন অনুযায়ী ভাড়া লাগবে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। এছাড়া কলাতলী মোড় থেকে লোকাল ইজিবাইকে/সিএনজিতে করে হিমছড়ি যাওয়া যায়। হিমছড়ি ইকোপার্কে প্রবেশের জন্য ২০ টাকার টিকেট কাটতে হয়।