কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছবি
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ১২০ কিলোমিটার বা ৭৫ মাইল, পৃথিবীর দীর্ঘতম অখণ্ডিত সমুদ্র সৈকত। এই সমদ্র সৈকতে কাদার কোন অস্তিত্ব নেই, পুরো সৈকতটি বালুকাময়। নানা প্রজাতির প্রবাল সমৃদ্ধ বিপনিবিতান, আধুনিক হোটেল, মোটেল, কটেজ,
বার্মিজ মার্কেটগুলোতে পর্যটকদের বিচরণ এই সমুদ্র সৈকতকে প্রাণচঞ্চল করে রাখে। প্রতিটি ঋতুতেই এই সৈকত তার রুপ বদলায়। আজকের আর্টিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছবি সহ বিভিন্ন সৈকতের তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল।
১। লাবনী পয়েন্ট
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সবচেয়ে পুরনো সি বিচ হল লাবনী পয়েন্ট। দেশের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে কক্সবাজারগামী বাসে করে কলাতলি সি বিচ রোডে নেমে পায়ে হেঁটে বা রিকশায় চেপে যেতে পারবেন।
এখানে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ঝিনুক মার্কেট।
২। কলাতলী পয়েন্ট
কলাতলী বিচ আরেকটি পর্যটনকেন্দ্র। এটি কক্সবাজারের মধ্যেই অবস্থিত। বিভিন্ন বয়সের মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন, কেউ গোসল করতে আসেন, কেউ আসেন প্রকৃতি উপভোগ করতে।
কলাতলী বিচে খাবারের রেস্টুরেন্ট সহ নানা ধরনের সুবিধা রয়েছে। কক্সবাজারগামী সকল যানবাহন কলাতলী পয়েন্ট দিয়ে শহরে প্রবেশ করে।
৩। সুগন্ধা পয়েন্ট
কলাতলী পয়েন্ট থেকে উত্তর দিকে অবস্থিত সুগন্ধা পয়েন্ট। এখানে রয়েছে জনপ্রিয় বার্মিজ মার্কেট। এখানে পর্যটকরা আসেন ঘুরতে ও বাজার করতে।
এছাড়াও এখানে পর্যটকদের জন্য আরও একটি আকর্ষণ হচ্ছে ঝুলন্ত ব্রিজ।
৪। দরিয়ানগর সৈকত
এই সৈকতটি হিমছড়ি জাতীয় পার্কের কাছে অবস্থিত। এই সৈকতের মধ্য দিয়ে জলপ্রপাত প্রবাহিত হয়। দরিয়ানগর সৈকতটি প্যারা সেলিংয়ের জন্য বিখ্যাত।
বর্তমানে দুইটি প্রতিষ্ঠান স্যাটেলাইট ভিশন সি স্পোর্টস ও ফানফেস্ট বীচ এক্টিভিটিজ থেকে প্যারাসেলিং করান হয়।
৫। হিমছড়ি
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হিমছড়ি। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে অবস্থিত এই হিমছড়ি। এই সৈকতটি নির্জন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সমুদ্রের বালুকাবেলা, অপরপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। এর মাঝখানে রয়েছে মেরিন ড্রাইভ। হিমছড়ির প্রধান আকর্ষণ ক্রিসমাস ট্রি।
৬। ইনানী সৈকত
এই সৈকতটি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত। এটি ১৮ কিলোমিটার বা ১১ মাইল দীর্ঘ। এই সৈকত কক্সবাজার থেকে ২৭ কিমি দক্ষিণে ও হিমছড়ি থেকে ১৫ কিমি দূরে অবস্থিত।
এখানে সবুজ ও কালো বর্ণের অনেক প্রবাল রয়েছে।
৭। টেকনাফ সৈকত
এই সৈকতটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত। এই সৈকতটি শ্যামলা পুর সৈকত, শিলাখালি সৈকত ও হাজামপাড়া সৈকত তিন ভাগে বিভক্ত। এখানে মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের রঙ্গিন নৌকা দেখতে পাওয়া যায়।
এই সৈকতের নিকট ঝাউবন ও উত্তরে তৈঙ্গা পাহাড় অবস্থিত। এই সৈকতের পানি অধিক পরিষ্কার।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছবি – যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল, সড়ক ও আকাশ পথে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার গামী বাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হল শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, এস আলম মার্সিডিজ বেঞ্জ, এস আলম পরিবহন অন্যতম। বাসগুলোর ভাড়া ১১০০ টাকা থেকে ২৭০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ঢাকা থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার এক্সপ্রেস বা পর্যটক এক্সপ্রেস এর মাধ্যমে কক্সবাজার যেতে পারেন। ঢাকার কমলাপুর বা বিমানবন্দর ষ্টেশন থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা-নিশীথা, চট্টলা মেইল ট্রেনে চট্টগ্রাম যাওয়া যায়। চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকা বা দাম পাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে এস আলম, হানিফ যে কোন বাস পাবেন। বাস ভেদে নন এসি ভাড়া ৪২০ থেকে ৭২০ টাকা ও এসি ভাড়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।
এছাড়াও বাংলাদেশ বিমান, নভো এয়ার, ইউএস বাংলা ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমান পরিচালনা করে। বিমান ভাড়া ৪৫৯৯ থেকে ১২০০০ টাকা।
যেখানে থাকবেন
দাম ও মান ভেদে কক্সবাজার হোটেল, মোটেল, কটেজ গুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়,
৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা
কোরাল রীফ, ইকরা বিচ রিসোর্ট, অভিসার, মিডিয়া ইন, কল্লোল, সেন্টমার্টিন রিসোর্ট, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট।
৩০০০ থেকে ৬০০০ টাকা
সী প্যালেস, সী গাল, কোরাল রীফ, নিটোল রিসোর্ট, বিচ ভিউ, ইউনি রিসোর্ট, হোটেল সী ক্রাউন
৬০০০ থেকে ১০০০০ টাকা
সায়মন বীচ রিসোর্ট, ওশান প্যারাডাইজ, লং বীচ, কক্স টুডে, মারমেইড বিচ রিসোর্ট