চেরাগী পাহাড় চট্টগ্রাম
চেরাগী পাহাড় চট্টগ্রামের একটি অপূর্ব প্রাকৃতিক সম্পদ। এই পাহাড় সুনামগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে অবস্থিত যা প্রায় ২,৯২০ ফুট (৮৮৭ মিটার) উচ্চ।
এই স্থানটি নির্দিষ্টভাবে প্রকাশ্যের পর্বতমালার এক অংশ। চেরাগী পাহাড় চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অন্যত্রের মতো বড় পর্বতমালা নয়, কিন্তু এর অদ্ভুত সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক বয়সৃত চারপাশের পরিবেশ এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান তৈরি করে।
চেরাগী পাহাড়ের পার্শ্বভূমি প্রাচীনকালের সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক মূল্যের অনেক স্থানীয় ঐতিহ্যের আবাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই পাহাড়ের আশেপাশে অবস্থিত বিভিন্ন দেবতা ও দেবীর মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, ঐতিহাসিক গুফা ইত্যাদি সাক্ষাতকারে প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক উদ্যানের রূপ নেয়।
চেরাগী পাহাড় একটি আদর্শ পর্বতীয় ভ্রমণ স্থান। এখানে আগত প্রাকৃতিক উপস্থিতিতে প্রতিকূল ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা যায়। এখানে আকর্ষণীয় নেচার ট্রেইল রয়েছে যা পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বন্য জীবনপ্রদ জীবজন্তুদের অভিজ্ঞতা দেয়।
আপনি যদি প্রকৃতি প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে চেরাগী পাহাড় চট্টগ্রাম না যান তাহলে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখার সুযোগ মিস করবেন। চেরাগী পাহাড় চট্টগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
আরও পরুনঃ পালকি চর সমুদ্র সৈকত
চেরাগী পাহাড়ের সৌন্দর্য্য
চেরাগী পাহাড়ের নিচের অংশে অবস্থিত ছোট গ্রামে মানুষের বাসস্থান খুঁজে পাওয়া যায়। তারা প্রাণ্ত প্রাণ্তে গিয়ে একত্রিত হতে এবং যাত্রাশীল পরিবেশ অনুভব করতে পারেন। চেরাগী পাহাড় ভ্রমণে আগ্রহী ভক্তদের জন্য বিভিন্ন ধরনের আবস্থান প্রস্তুত করা হয়েছে, যেমন হোটেল, রিসোর্ট, ভ্রমণ বাসা ইত্যাদি।
চেরাগী পাহাড়ে ভ্রমণের সময় প্রাকৃতিক বন্য জীবজন্তু দেখা যায় যেমন বাঘ, মেঁঢ়েই, ছাগল, বন হাতি, পিতা ইত্যাদি। এছাড়াও এখানে অনেক প্রজাতির প্রাণ্য ফুল ও গাছের প্রস্তর দেখা যায়। চেরাগী পাহাড়ের উচ্চ অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং প্রবাল বনজীবীর সমৃদ্ধ প্রস্তুতি রয়েছে।
চেরাগী পাহাড়ে ভ্রমণ করতে এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছবির আকর্ষণ অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। সমুদ্র উপর অবস্থিত চেরাগী পাহাড় সুন্দর সান্ধ্য ও সকালের নজর দেখানোর জন্য আদর্শ স্থান। পাহাড় থেকে সাগরের দিকে পথে পাহাড়ের খোলা অঞ্চল এবং ঝর্নার দৃশ্য অদ্বিতীয় সৌন্দর্য দর্শন করানোর জন্য এখানে ভ্রমণকারীদের প্রতি বড় আকর্ষণীয় ছবি তৈরি হয়।
চেরাগী পাহাড় একটি অভিনব পর্বতীয় স্থান যেখানে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রাচীন ঐতিহাসিক মূল্যের সমন্বয় পাওয়া যায়। এখানে ভ্রমণ করা একটি অদ্বিতীয় অভিজ্ঞতা যা মানুষের মনের সাথে সাথে সমৃদ্ধ হয়ে উঠে। চেরাগী পাহাড় যেন একটি প্রাকৃতিক মিউজিয়াম, যেখানে প্রাকৃতিক রঙিন প্রকৃতির ছবি এবং প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থানগুলি সমন্বিত রয়েছে।
চেরাগী পাহাড় সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানার আগ্রহ মূল্যবান। এটি বাংলাদেশের অপরাজিত প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ঐতিহাসিক ধর্মগুলির অনুভূতি নিতে একটি অপরাজিত প্রস্থান। চলুন, প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হোক এবং চেরাগী পাহাড়ের অনুভব করুন।
যাতায়াত
চেরাগি চত্বর চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লা বাস স্টপের কাছে অবস্থিত। চট্টগ্রামের যেকোন স্থান থেকে বাস, সিএনজি, বা রিকশা নিয়ে চেরাগি পাহাড়ে যেতে পারেন।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য, ঢাকা বাস টার্মিনাল থেকে সৌদিয়া, টিআর ট্রাভেলস, ইউনিক, গ্রিন লাইন, হানিফ, শ্যামলী, সোহাগ, মডার্ন লাইন, এস. আলম ইত্যাদি বিভিন্ন পরিবহনের এসি-নন/এসি বাস উপলব্ধ।
আর ট্রেন সারাদেশে আগত যাত্রীদের জন্য কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তুর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, চট্টগ্রাম মেইলে যাত্রা করা যায়।
চেরাগী পাহাড় চট্টগ্রাম – কোথায় থাকবেন
চট্টগ্রাম শহরের ষ্টেশন রোড, জিইসি মোড়, এবং আগ্রাবাদ এলাকায় বিভিন্ন রকমের আবাসিক হোটেল খুঁজে পাওয়া যায়। এই আবাসিক হোটেলগুলির মধ্যে হোটেল স্টার পার্ক, হোটেল ডায়মন্ড পার্ক, হোটেল মিসখা, হোটেল হিলটন সিটি, এশিয়ান এসআর হোটেল, হোটেল প্যারামাউন্ট, হোটেল সাফিনা অন্তত কিছুটা উল্লেখযোগ্য।
কোথায় খাবেন
চট্টগ্রামে খাবারের জন্য হোটেল জামানে খুব জনপ্রিয়। এছাড়াও, মেজবানির জন্য চকবাজারের মেজবান এবং আইয়ুন রেস্তোরাঁ খুবই পরিচিত। চট্টগ্রাম শহরে অসংখ্য ভালো মানের খাবারের হোটেল এবং রেস্তুরেন্ট রয়েছে।
এদের মধ্যে বারকোড ক্যাফে, ক্যাফে ৮৮, গ্রিডি গেটস, সেভেন ডেজ, গলফ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, কোস্টাল মারমেইড রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জ, বোনানজা পোর্ট রেস্তুরেন্ট অন্তত কিছুটা উল্লেখযোগ্য।
পরিশেষে
চেরাগী পাহাড় চট্টগ্রাম একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের নিদর্শন। আপনি প্রকৃতি কে উপভোগ করতে চাইলে অব্যশই আপনাকে চেরাগী পাহাড় চট্টগ্রাম ভ্রমণ করতে হবে। আশা করি চেরাগী পাহাড় চট্টগ্রাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পেরেছি। ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন-
আলুটিলা গুহা
কুমিরা ঘাট, চট্রগ্রাম