বড় কাটরা
বড় কাটরা (Boro katra) ঢাকা মুগল রাজধানী ঢাকার চক বাজারের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে অবস্থিত। এক সময় স্থাপত্য সৌন্দর্যের কারণে বড় কাটরার (Boro katra) সুনাম থাকলেও বর্তমানে এর ফটকটি ভগ্নাবশেষ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। বড় কাটরার তোরণে ফার্সি ভাষায় শাদুদ্দিন মুহম্মদ সিরাজী লিখিত একটি পাথরের ফলক লাগানো ছিল যা এখন নেই।
মুগল শাহজাদা শাহ সুজা নিজের জন্য ঢাকায় একটি প্রাসাদ নির্মাণ করতে মীর-ই-ইমারত বা প্রধান স্থপতি মীর আবুল কাসেমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু নির্মিত হওয়ার পর প্রাসাদটি পছন্দ না হওয়ায় এটি আবুল কাসেমকেই কাটরা হিসেবে ব্যবহার করার জন্য প্রদান করা হয়।
কাটরা ব্যাবহারের প্রধান শর্ত ছিল দানকৃত ইমারতের কর্মকর্তাগণ ব্যবহারের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে কোন ভাড়া নিতে পারবে না। এর মধ্যে বাইশটি দোকানির নিকট ওয়াকফ করা দোকান কাটরার খরচ বহনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। বর্তমানে পুরো কাটরা ইমারতের অর্ধেকেরও বেশি অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে, বাকি অংশও ধ্বংসপ্রায়।
প্রয়োজনীয় সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটিকে অধিগ্রহণ করতে চাইলেও এর মালিকদের চরম বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ঢাকার চক বাজারের দক্ষিণে অবস্থিত বড় কাটরা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আরও পড়ুনঃ ইনানী বিচ কক্সবাজার
ফলকে লেখা ছিল–
“সুলতান শাহ্ সুজা সব সময় দান-খয়রাতে মশগুল থাকিতেন। তাই খোদার করুণালাভের আশায় আবুল কাসেম তুব্বা হোসায়নি সৌভাগ্যসূচক এই দালানটি নির্মাণ করিলেন। ইহার সঙ্গে ২২টি দোকানঘর যুক্ত হইল- যাহাতে এইগুলির আয়ে ইহার মেরামতকার্য চলিতে পারে এবং ইহাতে মুসাফিরদের বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা হইতে পারে।
এই বিধি কখনো বাতিল করা যাইবে না। বাতিল করিলে অপরাধী শেষ বিচার দিনে শাস্তি লাভ করিবে। শাদুদ্দিন মুহম্মদ সিরাজি কর্তৃক এই ফলকটি লিখিত হইল।”
বড় কাটরা এর অবস্থান
বড় কাটরা (Boro Katra) রাজধানী ঢাকার চক বাজারের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে অবস্থিত মুঘল আমলের নিদর্শন। সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার নির্দেশে ১৬৪১ খ্রিস্টাব্দে (হিজরী ১০৫৫) বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এই ইমারতটি নির্মাণ করা হয়। এর নির্মাণ করেন আবুল কাসেম যিনি মীর-ই-ইমারত নামে পরিচিত ছিলেন। প্রথমে এতে শাহ সুজার বসবাস করার কথা থাকলেও পরে এটি মুসাফিরখানা হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
এক সময় স্থাপত্য সৌন্দর্যের কারনে বড় কাটরার সুনাম থাকলেও বর্তমানে এর ফটকটি ভগ্নাবশেষ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। একটি আয়তাকার প্রাঙ্গণকে চারদিক থেকে বেষ্টন করে বাইশটি কক্ষ নিয়ে এটি নির্মিত। এর প্রধান তোরণ ছিলো দুটি যার মধ্যে একটি উত্তরে ও একটি দক্ষিণে রয়েছে।
দক্ষিণ তোরণটি নদীর দিকে থাকায় এ অংশ বৃহৎ ও বিশেষ পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছিলো। পূর্ব-পশ্চিম অংশের মাঝামাঝি অংশে তিনতলা উঁচু ফটক। তার দুপাশে দোতলা ঘরের সারি। একেবারে দুপ্রান্তে আটকোণা দুটি বুরুজ। চুনসুরকি দিয়ে মজবুত করে তৈরি সম্পূর্ণ রাজকীয় মুগল স্থাপত্য শৈলীর এই ইমারতটি ১৬৪৩ থেকে ১৬৪৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।
বড় কাটরার স্থপতি কে
বড় কাটরা ঢাকায় চকবাজারের দক্ষিণে অবস্থিত মুঘল আমলের একটি সরাইখানা। সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার নির্দেশে ১৬৪৪ থেকে ১৬৪৬ খ্রিস্টাব্দে দিওয়ান (প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা) মীর আবুল কাসিম দ্বারা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এই ইমারতটি নির্মাণ করা হয়। তিনি মীর-ই-ইমারত নামে পরিচিত ছিলেন।
বড় কাটরা এর ইতিহাস
বড় কাটরা ঢাকায় অবস্থিত মুঘল আমলের নিদর্শন। সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার নির্দেশে ১৬৪১ সালে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এই ইমারতটি নির্মাণ করা হয়। এটা নির্মাণ করেন আবুল কাসেম যিনি মীর-ই-ইমারত নামে পরিচিত ছিলেন। প্রথমে এতে শাহ সুজার বসবাস করার কথা ছিল। কিন্তু ইমারত পছন্দ না হওয়ায় পরে এটি মুসাফিরখানা হিসাবে ব্যবহৃত হত।
এক সময় স্থাপত্য সৌন্দর্যের কারনে বড় কাটরার সুনাম থাকলেও বর্তমানে এর ফটকটি ভগ্নাবশেষ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। এক সময় বড় কাটরার তোরণে ফার্সি ভাষায় শাদুদ্দিন মুহম্মদ সিরাজী লিখিত একটি পাথরের ফলক লাগানো ছিল। যেখানে এই মুসাফির খানার নির্মাতা।
বড় কাটরা এর বর্তমান অবস্থান
বড় কাটরায় ফারসি ছন্দোবদ্ধ পংক্তিযুক্ত দুটি শিলালিপি আছে। এর একটিতে উৎকীর্ণ আছে যে, ইমারতটি ১০৫৩ হিজরিতে (১৬৪৩-৪৪ খ্রি) নির্মিত এবং অন্যটিতে আছে ১০৫৫ হিজরিতে (১৬৪৫-৪৬ খ্রি) নির্মিত। উল্লেখ আছে যে, শাহ সুজা এ ভবনটি মীর আবুল কাশিমকে কাটরা (দফতর) হিসেবে ব্যবহারের দায়িত্ব দেন এ শর্তে যে, এ ওয়াক্ফ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ কাটরায় অবস্থান করার প্রকৃত ও যোগ্য কোন ব্যক্তির নিকট থেকে কোন ভাড়া গ্রহণ করবেন না।
বড় কাটরা ইতোমধ্যে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে ইমারতটি ধ্বংসের মুখে উপনীত হয়েছে। বিভিন্ন কারণে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক ভবনটি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় নি। ভবনে অবস্থানকারীদের অনেকেই বহুবার আদি ভবনের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। ধ্বংস হওয়া সত্ত্বেও বড় কাটরা ইমারতটি বাংলায় মুগল স্থাপত্যের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন।
বড় কাটরা ভ্রমণের সঠিক সময়
মাদ্রাসার প্রবেশ দরজা দিয়ে বিনা পয়সায় এক সময়ের বড় কাটরাতে প্রবেশ করা যায়। দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দে এই ঐতিহাসিক স্থান দেখতে পারে। এটি প্রতিদিনই সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। বর্তমানে বড় কাটরা হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
বিশেষ দিনগুলোতে বিদেশী ও দেশী দর্শনার্থীরা এই স্থাপনা ঘুরে দেখেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ঘুরে দেখতে পারে বড় কাটরা।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
বড় কাটরার পাশেই ছোট কাটরার অবস্থান। এছাড়া পাশাপাশি দূরত্বে আরো অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। তার মধ্যে হলো লালবাগ দুর্গা, তারা মসজিদ, আহসান মঞ্জিল সহ আরো অনেক বিখ্যাত স্থান।
লালবাগ দুর্গ
লালবাগ দুর্গা 300 বছরের পুরনো স্মৃতি বিজড়িত। লালবাগ দুর্গা মুঘল স্থাপত্য শিল্পের এক অনুপম নিদর্শন। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পূর্ব-পশ্চিমে ১২০০ ফুট উত্তর-দক্ষিণে ৮০০ ফুট বিস্তৃত প্রাচীর ঘেরা মূল দুর্গা। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত আমরা যথারীতি সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত প্রবেশ মূল্য পরিশোধ করে দুর্গের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবো।
তারা মসজিদ
তারা মসজিদ পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত। সাদা মার্বেলের গম্বুজের ওপর নীলরঙা তারায় খচিত এ মসজিদ নির্মিত হয় আঠারো শতকের প্রথম দিকে। মসজিদের গায়ে এর নির্মাণ-তারিখ খোদাই করা ছিল না। জানা যায়, আঠারো শতকে ঢাকার ‘মহল্লা আলে আবু সাঈয়ীদ’-এ (পরে যার নাম আরমানিটোলা হয়) আসেন জমিদার মির্জা গোলাম পীর (মির্জা আহমদ জান)।
ঢাকার ধণাঢ্য ব্যক্তি মীর আবু সাঈয়ীদের নাতি ছিলেন তিনি। মির্জা মসজিদ নির্মাণ করেন। মির্জা সাহেবের মসজিদ হিসেবে এটি তখন বেশ পরিচিতি পায়। ১৮৬০ সালে মারা যান মির্জা গোলাম পীর। পরে, ১৯২৬ সালে, ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। সে সময় জাপানের রঙিন চিনি-টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে।
আহসান মঞ্জিল
আহসান মঞ্জিল পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারীর সদর কাচারি। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গনি।তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে এর নামকরণ করেন।
১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে সমাপ্ত হয়। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে এখানে এক অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। আহসান মঞ্জিল কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। এখন এটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক পরিচালিত একটি জাদুঘর।
বড় কাটরা কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা শহর থেকে যেকোনো জায়গা থেকে পুরান ঢাকায় এসে রিকশা নিয়ে চকবাজারের দক্ষিণে বাবুবাজার এলাকায় অবস্থিত বড় কাটরায় যাওয়া যায়। বড় কাটরার পাশে অবস্থিত ছোট কাটরা। যার দূরত্ব মাত্র ১৮৩ মিটার।
ছোট কাটরা
ছোট কাটরাটি বড় কাটরার পরিকল্পনা অনুসারে তৈরি করা হয়েছিল তবে ছোট কাটরাটি আকৃতিতে অপেক্ষা কৃত ছোট। দক্ষিণ এশিয়ার ক্যারাভান সরাই এর নমুনায় নির্মিত ও রাজকীয় মুঘল কাটরার অনুরূপ। ছোট কাটরার উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে দুটি প্রবেশ পথ দক্ষিণের প্রবেশপথটি প্রধান। কাটরার জানালার খিলান সমূহ তিনভাজ বিশিষ্ট।
কাটরার মিনারগুলি অনেক মজবুত অন্যান্য মুঘল মিনারের তুলনায় মোটা ও প্যারাপেট বিহীন। ছোট কাটরার সিঁড়ি ও মেজে কাঠ দিয়ে তৈরিকৃত। কাঠের সিঁড়িগুলো বেশ চওড়া। এর প্রতিটি কক্ষ গুলো খুব একটা জাঁকজমক নয় বরং অলংকর বিহীন সাদামাটা কক্ষ। ভল্টসমূহ মুঘল স্থাপত্যের নমুনা হিসেবে খুবই সুন্দর। সম্ভবত তা তাহখানার কাজ করেছিলো। ভল্টেড এর কক্ষগুলো মাটির নিচে হওয়ায় তা অনেক ঠান্ডা থাকে ও অন্ধকার।
এটি বহুবার সংস্কার করার ফলে প্রবেশ পথ দুইটির মূল্য বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন দেখা দিলেও এ দুটি এখনো বর্তমান। এর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ বেষ্টিত চারপাশের ভবনগুলো বহুবার পূর্ণনির্মাণ, নবায়ন ও সংস্কার করা হয়েছিল। নদীর দিকের তিন তলা বিশিষ্ট প্রবেশপথে কিছু উপনিবেশিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। ত্রয়ী জানালায় ও সুউচ্চ পার্শ্ব বুরুজে পরবর্তীতে সংস্কারের সময় উপনিবেশিকের প্রভাবের অনেক প্রতিফলন ঘটেছে।
শেষ কথা
এতক্ষণ আমরা বড় কাটরা নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি বড় কাটরার সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও বড় কাটরা সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা সর্বক্ষণ আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। সম্পুর্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
বড় কাটরা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর / FAQ
১. বড় কাটরা থেকে ছোট কাটরার দূরত্ব কত?
উত্তর :- বড় কাটরা নির্মাণের প্রায় দেড় বছর পর ছোট কাটরা নির্মিত হয়েছিল। বড় কাটরার ১৮০ মিটার পূর্ব দিকে চকবাজারের সোয়ারীঘাট এলাকায় সুবেদার শায়েস্তা খান নির্মাণ করেছিলেন ছোট কাটরা।
২. ঢাকার ছোট কাটরা নির্মাণ করেন কে?
উত্তর :- শায়েস্তা খানের আমলে তৈরি ঢাকায় একটি ইমারত ছোট কাটরা। আনুমানিক ১৬৬৩-১৬৬৪ সালের দিকে এই ইমারতটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এবং তা শেষ হয়েছিল ১৬৭১ সালে। এটির অবস্থান ছিল বড় কাটরার পূর্ব দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে।
৩. বড় কাটরা কে নির্মাণ করেন?
উত্তর :- ১৬৪৪ থেকে ১৬৪৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মুঘল যুবরাজ শাহ সুজার দেওয়ান মীর আবুল কাশিম দ্বারা নির্মিত হয়েছিল বড় কাটরা। এটি শাহ সুজার বাসভবন হওয়ার উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু শাহ সুজা এটি মীর আবুল কাশেমকে দিয়ে দিয়েছিলেন।
৪. শায়েস্তা খান কি কি নির্মাণ করেন?
উত্তর :- শায়েস্তা খা এর নির্মিত স্থাপত্য হচ্ছে –
- লালবাগ কেল্লা
- হোসেনি দালাল (বকশীবাজারে অবস্থিত)
- শায়েস্তা খার মসজিদ (মিটফোর্ডে অবস্থিত)
- সাত গম্বুজ মসজিদ (মোহাম্মদপুরে অবস্থিত)
- ছোট কাটরা
৫. বড় কাটরা ও ছোট কাটরা কি?
উত্তর :- কাটরা এর আরবি ও ফরাসি অর্থ হচ্ছে, ক্যারাভ্যানসারাই বা অবকাশ যাপন কেন্দ্র। বাংলাদেশের ঢাকার মুঘল শাসন আমলে দুটি অন্যন্য কাটরা নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বড় কাটরা ও অন্যটি হচ্ছে ছোট কাটরা।
আরও পড়ুন-
বিমান বাহিনী জাদুঘর
সোনাদিয়া দ্বীপ