বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এর পরিচয় ও ১৯৭১ এ অবদান

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান 

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মহান মুক্তিযোদ্ধা। সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে তিনি একজন অন্যতম সাহসী শহীদ যোদ্ধা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি যে বীরত্বের এবং সাহসিকতার সাথে লড়েছেন তার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পেয়েছেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান অর্থাৎ ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধি।

সাতজন বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তার বয়স ছিল মাত্র 18 বছর। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের জীবন বৃত্তান্ত।


আরও পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও স্মরণীয় ইতিহাস


জন্ম ও শিক্ষাজীবন 

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান

হামিদুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছেন 1953 সালের 2 ফেব্রুয়ারি এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর।  তিনি তৎকালীন যশোর জেলার বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায়, খদ্দখালিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন।

তার পিতার নাম মোঃ আক্কাস আলী মন্ডল এবং মাতার নাম মোসাম্মৎ কাইমুন্নেছা। তিনি শৈশবে পড়েছেন খালিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং পরবর্তীকালে স্থানীয় নাইট স্কুলে অল্প-সামান্য পড়াশোনা করেছেন। 

কর্মজীবন 

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান দারিদ্র্যের কষাঘাতের মধ্য দিয়েও পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তাকে অভাবের কাছে হার মানতে হয়। পড়াশোনা ছেড়ে তাকে বাবার কাজে সাহায্য করতে হয়। তার কঠোর পরিশ্রম, সততা ও কাজের প্রতি ছিলেন সর্বাধিক অগ্রগণ্য যার কারনে খুব অল্প সময়ে সবার আস্থা অর্জন করেছেন।

ওড়িশা ৭০ সালে তিনি যোগদান করেন মুজাহিদ বাহিনীতে। কর্মস্থলের পাশেই ছিল প্রশিক্ষণরত বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর সেনা সদস্য যাদের সুশৃংখলতায় মুগ্ধ হোন। ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং প্রশিক্ষণের জন্য তাকে যেতে হয় চট্টগ্রাম ইবিআরসিতে।

পাকিস্তান সেনা বাহিনীর ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের সেনারা হামলা চালায় সেই জায়গায়। তার চোখের সামনে হত্যা হয় ২৫০০রিক্রুট এবং অনেক বাঙালি সৈনিক। তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং হেঁটে নিজ গ্রামে গমন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা 

২৫ শে মার্চ 1971 সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের সম্মুখে চাকরির স্থল থেকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান নিজ গ্রামে চলে আসার পর বাড়িতে মাত্র একদিন ছিলেন। পরদিন তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানায়, ধলই চা বাগান পূর্ব দিকে অবস্থিত দলুই বর্ডার আউটপোস্টে পৌঁছেন।

তিনি যুদ্ধ করেছেন ৪ নং সেক্টরে। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম ইস্টবেঙ্গলের কোম্পানির জন্য ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখলের জন্য অভিযানে অংশ নেন। 

ভোর চারটার দিকে অবস্থান নেন মুক্তিবাহিনীর লক্ষ্যস্থলের নিকটে। সামনের দুই প্লাটুন এবং পেছনে এক প্লাটুন সৈন্য নিয়ে শত্রুর অভিমুখে অগ্রসর হতে থাকেন। শত্রুর কাছাকাছি অবস্থান করলে একটি মাইন বিস্ফোরিত হয়।

মুক্তিবাহিনী খুব নিকটে চলে গেল হাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীরা মেশিনগান এর মাধ্যমে গরীবরশন করছিল যার কারণে তারা অগ্রসর হতে পারছিল না। অক্টোবরের ২৮ তারিখের দিকে পাকিস্তান বাহিনীর ৩০এ ফ্রন্টিয়ার রেজিমেন্ট এবং প্রথম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট এর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ ঘটে।

ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট এর হয়ে ১২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করে যুদ্ধে। মুক্তিবাহিনীরা পাকিস্তান বাহিনীর মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড হামলা করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় এবং এ গ্রেনেড ছড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় হামিদুর রহমানকে।

তিনি বুকে হেঁটে পাহাড়ি খালের মধ্য দিয়ে গ্রেনেট হামলার মাধ্যমে আক্রমণ শুরু করেন। তিনি দুইটি গ্রেনেড  সফলভাবে পাকিস্তান বাহিনীর মেশিন গান পোস্টে আঘাত হানতে সফল হন। কিন্তু এরপরই তিনি গুলিবদ্ধ হয়ে পড়েন।

তারপরও চরম সাহসিকতার সাথে তিনি মেশিনগান পোস্টে গিয়ে দুইজন পাকিস্তানি সৈন্যের সঙ্গে হাতাহাতি যুদ্ধ শুরু করেন। এভাবে আক্রমণের মধ্য দিয়ে হামিদুর রহমান একসময় মেশিনগান পোস্টকে অকার্যকর করতে সক্ষম হন। 

ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এটি একটি বিরাট সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়। তারা পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে যান এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীদের পরাস্ত করবার জন্য সীমানা ফাঁড়িটি দখল করতে সক্ষম হয়। তবে এত সফলতার মধ্য দিয়েও হামিদুর রহমান বিজয়ের স্বাদ লাভ করতে পারেননি।

কেননা ফাঁড়ি দখল করবার পরই মুক্তিযোদ্ধারা হামিদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করেন। এভাবেই হামিদুর রহমান বীরত্বের সাথে শহীদি মর্যাদা লাভ করেন। তার মৃতদেহ সীমান্তের নিকটে ভারতের ভূখণ্ড ত্রিপুরা রাজ্যের হাতিমেরছড়া গ্রামে এক স্থানীয় পরিবারের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়। 

কবরটি নিচু স্থানে হওয়ার কারণে একসময় পানির নিচে তলিয়ে যায়। ২০০৭ সালের ২৭ অক্টোবর, তৎকালীন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিদ্ধান্ত নেন হামিদুর রহমানের দেহ বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনার  জন্য।

সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ রাইফেলসের একটি দল  ২০০৭ সালের ১০ই ডিসেম্বর ত্রিপুরা সীমান্তে গিয়ে হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ গ্রহণ করেন এবং কুমিল্লার বিবিরহাট সীমান্ত দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে এই সাহসী বীরের দেহাবশেষ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন সুদীর্ঘ ৩৬ বছর পরে।

১১ই ডিসেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় পরিপূর্ণ মর্যাদার সাথে সমাহিত করা হয়  ঢাকার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

স্মৃতিচারণ, পুরস্কার ও সম্মাননা

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিকে স্মরণীয় রাখতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তার নিজ গ্রাম খুদ্দখালিশপুর এর নাম পরিবর্তন করে ‘হামিদ নগর’ নাম রাখা হয়েছে ১৪/০১/২০০৮ তারিখে। ১৯৯৯ সালে হামিদুর রহমানের নামে খালিশপুর বাজারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি কলেজ।

এই কলেজের মাঠে ২০০৭ থেকে ২০০৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান এর স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার। এই গ্রন্থাগারের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সর্বমোট ২৩৪৯ টি বই। 

এটি নির্মাণের সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন জেলা পরিষদ, ঝিনাইদহ। আরো রয়েছে হামিদুর রহমানের নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ঝিনাইদহ জেলা শহরে স্টেডিয়ামটি হামিদুর রহমানের নামে এবং বাংলাদেশের ডাক বিভাগ হামিদুর রহমানকে স্মরণ নিয়ে রেখে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেছেন। সরকার তার পৈত্রিক ভিটাতে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয, কুষ্টিয়ায় ২০১৬ সালে ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বা টিএসসিসির নাম পরিবর্তন করে  নাম রাখা হয়েছে  বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন।  সর্বোপরি  এই মহান শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান আমাদের হৃদয়ে থাকবেন চিরজাগ্রত হয়ে একজন নির্ভীক  সৈনিক হিসেবে।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান এর স্মৃতিসৌধ 

স্থান 

কমলপুর উপজেলায় মাধবপুর ইউনিয়নে 

কিভাবে যাবেন 

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এই মহান বীরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের ধলোই চা বাগানে। তার গ্রামের কলেজ মাঠেও নির্মাণ করা হয়েছে হামিদুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার।

প্রতিবছর হামিদুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ২৮ অক্টোবর উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের  আয়োজন হয়ে থাকে মৌলভীবাজারের স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন দিক হতে দর্শনার্থীরা এই মহান বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতিসৌধ 

দেখার জন্য ছুটে চলে আসেন এবং অর্পণ করেন বিনম্র শ্রদ্ধা। 

কিভাবে যাবেন 

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ দেখতে যেতে চাইলে প্রথমে আপনাকে মৌলভীর বাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় যেতে হবে আপনি দেশের যেকোনো প্রান্তে থাকুন না কেন। ঢাকার ফরিদপুর অথবা সায়দাবাদ হতে শ্যামলী, হানিফ, এনা বা সিলেট পরিবহনসহ বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে বাসে করে শ্রীমঙ্গলে পৌঁছাতে পারবেন।

এছাড়াও রয়েছে কমলাপুর রেলস্টেশন হতে সিলেটগামী উপবন, জয়ন্তিকা বা পারাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন এগুলির যেকোনো একটি হয়ে শ্রীমঙ্গলে যেতে পারবেন। এরপর শ্রীমঙ্গল শহর থেকে স্থানীয় পরিবহন যেমন বাস বা সিএনজি করে কমলগঞ্জে পৌঁছাতে পারবেন এবং হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ দেখতে পারবেন। 

উপসংহার 

এর এই আর্টিকেলে আমরা আলোক আলোচনা করেছি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এর জীবন থেকে শুরু করে তার ত্যাগের তেজস্বী গল্প। ছিলেন এক অসীম সাহসী যুবক যার সাহসিকতার নজির দেখেছে পুরো বাংলাদেশ।

সেনাবাহিনীর সিপাহী পদের যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি যুদ্ধের ময়দানে নেমে পড়েছিলেন। সেনাবাহিনীর চাকরিতে তার পদ ছোট হলেও তার আত্মত্যাগ ছিল এক আকাশ সমান। 

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ছিলেন সাহসী, নির্ভীক ও অকুতোভয় যুবক। বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ সম্মানজনক উপাধি ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ যোদ্ধা। তিনি যুক্ত ছিলেন  ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ইউনিটে। 

তিনি তার নাম সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন এবং তার সৈনিক নাম্বার ছিল ৩৯০৪৩০১। এবং  প্রাণপন লড়াইয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মাতৃভূমির ভালোবাসাই জীবন করেছেন আত্মদান। 

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ 

১. বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেন?

উত্তর: বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ৪ নং সেক্টরের যুদ্ধ করেছেন। বীরশ্রেষ্ঠ  হামিদুর রহমান ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম ইস্টবেঙ্গলের কোম্পানির জন্য ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখলের জন্য অভিযানে অংশ নেন। 

২. বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কে ছিলেন?  

উত্তর: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদের অভ্যন্তরে যে সাতজন বীর আত্মত্যাগ করেছিলেন এবং বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন, পেয়েছেন মরণোত্তর সম্মান হামিদুর রহমান হলেন তাদের মধ্যে একজন অন্যতম।

৩. বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কিভাবে শহীদ হন? 

উত্তর: মুক্তিবাহিনীরা পাকিস্তান বাহিনীর মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড হামলা করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় এবং এ গ্রেনেড ছড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় হামিদুর রহমানকে। তিনি বুকে হেঁটে পাহাড়ি খালের মধ্য দিয়ে গ্রেনেট হামলার মাধ্যমে আক্রমণ শুরু করেন। তিনি দুইটি গ্রেনেড সফলভাবে পাকিস্তান বাহিনীর মেশিন গান পোস্টে আঘাত হান্তে সফল হনএরপরই তিনি গুলিবদ্ধ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুর ফলে ঢলে পড়েন লাভ করেন শহীদি মর্যাদা।

৪. বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের পদবী কি ছিল? 

উত্তর: বীরশ্রেষ্ঠ  হামিদুর রহমানের পদবীর নাম ছিল সিপাহী।

আরও পড়ুন-

মেরিন ড্রাইভ রোড, ভ্রমন গাইড ও দর্শনীয় স্থানসমুহ

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান – এক বীর মুক্তিযোদ্ধা

মন্তব্য করুন