আলুটিলা গুহা
গুহা মানেই ভয়ংকর কিছু এবং গা ছমছমে পরিবেশ তাই না? কিন্তু সব গুহাই অনিরাপদ এবং ভয়ঙ্কর নয়। বাংলাদেশে এমন একটি প্রাকৃতিক গুহা রয়েছে যা একদম নিরাপদ। বলছি খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহার কথা। খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক গুহার নাম আলুটিলা গুহা।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের প্রধান আকর্ষণ এই গুহা। খাগড়াছড়ি জেলায় বেড়াতে গেলে অথবা সাজেক ভ্রমণে গেলে প্রায় সবাই আলুটিলা গুহা দর্শন করে আসে। সারা বিশ্বে প্রায় যতগুলা প্রাকৃতিক গুহা আছে তার মধ্যে আলুটিলা গুহা অন্যতম। এই গুহাটি স্থানীয়দের কাছে “মাতাই হাকড়” বা “দেবতার গুহা” নামে পরিচিত।
খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে উঁচু পর্বতের নাম আলুটিলা। তবে এই পর্বতের নাম পূর্বে ছিল আরবারি। নাম টিলা হলেও এই পর্বতের বিশালতা এবং সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করবে। জানা যায়, প্রচুর বুনো আলু জন্মাতো এখানে। খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় খাবারের অভাব দেখা দিয়েছিল।
সেই সময় স্থানীয় লোকেরা এখানকার বুনো আলু খেয়ে জীবন বাঁচাতেন। তখন থেকেই এই পরবর্তী নাম হয়েছে আলুটিলা। খাগড়াছড়ি শহরের প্রায় পুরোটাই দেখতে পাবেন আলুটিলা পর্বত থেকে। আজকে আলোচনা করব আলুটিলা গুহা সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ মহেশখালী দ্বীপ, কক্সবাজার
আলুটিলা গুহা – অবস্থান
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলায় আলুটিলা গুহার (Alutila Cave) অবস্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান আলুটিলা গুহা। গুহাটি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার মূল শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে সমুদ্র সমতল থেকে ৩০০০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট আলুটিলা বা আরবারি পাহাড়ে অবস্থিত।
এটি একটি রহস্যময় গুহা বা সুরঙ্গ। খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে উঁচু পর্বত হচ্ছে আলুটিলা। নাম টিলা হলেও মূলত এটি একটি পর্বত শ্রেণী। ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট আলুটিলা গুহা দেখতে অনেকটা ভূগর্ভস্থ টানেলের মতো। গুহামুখটির ব্যাস প্রায় ১৭-১৮ ফুট। আলুটিলা পর্বতের চূড়া থেকে ২৬৬ টি ধাপের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলে দেখতে পাবেন রহস্যময় এই গুহার।
আলুটিলা গুহা – বর্ণনা
আলুটিলা গুহার ভেতরে সূর্যের আলো প্রবেশ করে না। তাই এখানে প্রবেশের পূর্বে মশালের প্রয়োজন হয়। তবে আপনি মোবাইলে টর্চ বা চার্জার লাইটও নিয়ে যেতে পারেন। আলুটিলা গুহা প্রবেশের পূর্বে মূল গেইট থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে ৪০ টাকা দিয়ে।
সূর্যের আলো ঢুকেনা বিধায় এই গুহাটি খুবই অন্ধকার এবং শীতল প্রকৃতির। পূর্বে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে হেঁটে হেঁটে নিচে নেমে যেতে হতো এই গুহায়। তবে বর্তমানে পর্যটকদের সুবিধার জন্য আলুটিলা পর্বতের চূড়া থেকে সিঁড়ির ব্যবস্থা করা আছে। ২৬৬ টি সিঁড়ি পার হয়ে দেখতে পাবেন এই গুহামুখ।
গুহাতে ঢোকার সময় গা ছমছমে পরিবেশ বিরাজ করে। একদম অন্ধকার পরিবেশ এবং পর্যটকদের সবার হাতে মোবাইলের টর্চ অথবা মশাল। গুহার তলদেশ অনেক পিচ্ছিল, তাই পা ফেলার সময় খুব সাবধানে ফেলতে হবে। তবে ভয়ঙ্কর কোন পোকামাকড়ের ভয় নেই, গুহাটি একদম নিরাপদ।
এই গুহা বা সুরঙ্গের নিচ দিয়ে একটি ঝর্ণা বয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাবেন পানি জমে আছে এবং বড় বড় পাথর। কিছু জায়গায় গুহার উচ্চতা এতটাই কম যে মাথা নিচু করে বা হামাগুড়ি দিয়েও যেতে হবে। এভাবে প্রায় ১২ থেকে ১৫ মিনিট যাওয়ার পর সূর্যের আলোর দেখা মিলবে।
গুহা থেকে বের হয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে আগের পথ ধরে মূল গেটে আসতে হবে। আলুটিলা গুহা ভ্রমণে গেলে সেখানকার ওয়াচ টাওয়ার দেখতে ভুলবেন না।
আলুটিলা গুহা – কিভাবে যাবেন
আলুটিলা গুহা যেতে হলে প্রথমে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খাগড়াছড়ি জেলায় আসতে হবে। তারপর খাগড়াছড়ি থেকে স্থানীয় পরিবহনে করে এই গুহায় যেতে হবে। খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় অবস্থিত আলুটিলা গুহা।
ঢাকা-খাগড়াছড়ি
রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে করে (এসি বা নন-এসি) খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়িগামী বাসগুলো হল- সেন্টমার্টিন পরিবহন, এস আলম, শ্যামলী, শান্তি, হানিফ ইকোনো এবং ঈগল পরিবহন। বাসভেদে জনপ্রতি ভাড়া নন-এসি ৫২০ টাকা এবং এসি ৮৫০ থেকে ১২০০ টাকা করে।
সেন্টমার্টিন পরিবহন :
আরামবাগ : ০১৭৬২৬৯১৩৪১, ০১৭৬২৬৯১৩৪০
খাগড়াছড়ি : ০১৭৬২৬৯১৩৫৮
শ্যামলী পরিবহন :
আরামবাগ : ০২-৭১৯৪২৯১
কল্যাণপুর : ৯০০৩৩৩১, ৮০৩৪২৭৫
আসাদগেট : ৮১২৪৮৮১, ৯১২৪৫৪
শান্তি পরিবহন :
আরামবাগ : ০১১৯০৯৯৪০০৭
চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি
চট্টগ্রাম জেলার অক্সিজেন মোড় থেকে বিআরটিসি এবং শান্তি পরিবহনের বাস খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। শান্তি পরিবহনের বাস সকাল সাতটা থেকে ১-২ ঘন্টা পর পর ছাড়ে। এছাড়াও বেশ কিছু লোকাল বাসে করে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। নন-এসি এসব বাস ভাড়া ১৮০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি যেতে ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগবে ।
শ্যামলী পরিবহন :
দামপাড়া : ০১৭১১৩৭১৪০৫, ০১৭১১৩৭৭২৪৯
শান্তি পরিবহন :
অক্সিজেন মোড় : ০১৮১৭৭১৫৫৫২
BRTC এসি বাস :
কদমতলী : ০১৬৮২৩৮৫১২৫
খাগড়াছড়ি : ০১৫৫৭৪০২৫০৭
খাগড়াছড়ি-আলুটিলা গুহা
খাগড়াছড়ি শহর থেকে আলুটিলা গুহা যাওয়ার জন্য চাঁন্দের গাড়ি, মোটরবাইক, সিএনজি বা লোকাল বাস রয়েছে। কতজন একসঙ্গে ভ্রমনে যাবেন সে অনুযায়ী সুবিধামতো যানবাহনটি ঠিক করে নিবেন। আলুটিলা গুহার নিকটেই রয়েছে বৌদ্ধ মন্দির এবং রিসাং ঝর্ণা। তাই আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা এমন ভাবে করুন যেন একসাথে সব জায়গায় ঘুরে দেখতে পারেন।
গাড়ি ঠিক করার পূর্বে কোথায় যাবেন তা অবশ্যই বলে নিবেন। পূর্বেই দরদাম করে নাও ভালো গাড়ি ভাড়া। ১০-১৫ জনের জন্য সবগুলো জায়গা ঘুরতে চাঁন্দের গাড়ির ভাড়া নেবে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা। সিএনজি রিজার্ভ করতে চাইলে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগবে। সবগুলো জায়গা ঘুরে দেখার জন্য ৪-৫ ঘন্টা হাতে রাখতে হবে।
আলুটিলা গুহা – কোথায় থাকবেন
খাগড়াছড়ি শহরে রাত্রিযাপনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল। আপনার বাজেট অনুযায়ী সেসব হোটেলে থাকতে পারবেন। হোটেলের মান অনুযায়ী প্রতি রাতের জন্য ৪০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হবে। খাগড়াছড়ি (Khagrachhari) জেলার ভালো মানের আবাসিক হোটেল গুলোর মধ্যে রয়েছে :
১. পর্যটন মোটেল
খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী নদীর তীরে অবস্থিত পর্যটন মোটেল। এখানকার দুই বেডের এসি রুম ভাড়া ২১০০ টাকা এবং নন-এসি রুম ভাড়া ১৩০০ টাকা।
যোগাযোগ : ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫
২. হোটেল গাইরিং
হোটেল গাইরিং এ এসি, নন-এসি, ভিআইপি এসি এবং গ্রুপ রুমের সুবিধা আছে। বিভিন্ন সুবিধা অনুযায়ী ভাড়া ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে।
যোগাযোগ : ০৩৭১-৬১০৪১, ০১৮৫১-১৬৩১৭৩
৩. অরণ্য বিলাস
খাগড়াছড়ি শহরের নারিকেল বাগানে অবস্থিত হোটেল অরণ্য বিলাস। এই হোটেলে টুইন বেড এসি ২৫০০ টাকা, টুইন বেড নন-এসি ২০০০ টাকা, সিঙ্গেল বেড এসি ১৫০০ টাকা, কাপল এসি ২০০০ টাকা, কাপল নন এসি ১৫০০ টাকা।
যোগাযোগ : ০১৮৩৮-৪৯৭২৫৭
৪. গিরি থেবার
খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে অবস্থিত গিরি থেবার হোটেল। এখানে ভিআইপি রুমের ভাড়া ৩০৫০ টাকা, এসি ডাবল রুম ভাড়া ২০৫০ টাকা এবং সিঙ্গেল রুম ভাড়া ১২০ড় টাকা।
যোগাযোগ : ০১৮৫৯-০২৫৬৯৪
৫. হোটেল ইকো ছড়ি ইন
হোটেল ইকো ছড়ি ইন একটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল। এই হোটেলে যোগাযোগ করতে পারেন নিম্নোক্ত নাম্বারে।
যোগাযোগ : ০৩৭১-৬২৬২৫
৬. হোটেল শৈল সুবর্ণ
০৩৭১-৬১৪৩৬, ০১১৯০৭৭৬৮১২
৭. হোটেল লবিয়ত : ০৩৭১-৬১২২০, ০১১৯৯২৪৪৭৩০, ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬
৮. হোটেল জেরিন : ০৩৭১-৬১০৭১
৯. হোটেল শিল্পী : ০৩৭১-৬১৭৯৫
এছাড়াও যদি আপনার বাজেট একদমই কম থাকে সেক্ষেত্রে শাপলা চত্বরের আশেপাশে কিছু বোর্ডিং ধরনের হোটেল রয়েছে। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই এই বোর্ডিং ধরনের হোটেলে থাকতে পারবেন।
আলুটিলা গুহা – কোথায় খাবেন
খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর এবং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট পাবেন। এছাড়াও পানথাই পাড়ায় অবস্থিত সিস্টেম রেস্তোরাতে (System Restaurant) কফি, হাঁসের কালাভুনা, বাঁশকুড়ুল এবং ঐতিহ্যবাহী সব পাহাড়ি খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন।
যোগাযোগ :
- ০৩৭১-৬২৬৩৪
- ০১৫৫৬৭৭৩৪৯৩
- ০১৭৩২৯০৬৩২২
আলুটিলা গুহা – ভ্রমণ টিপস
- আলুটিলা গুহা এবং তার আশেপাশের পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।
- গুহার ভেতরের পথ বেশ পিচ্ছিল। তাই খুব সাবধানে চলাচল করবেন। ভালো মানের গ্রিপের জুতা পড়তে পারেন।
- গুহার ভেতরে উচ্চস্বরে কথা এবং উল্লাস করা থেকে বিরত থাকুন।
- মশাল নিয়ে গুহাতে গেলে বের হবার সময় তা গুহার ভেতরে ফেলে আসবেন না। গুহা থেকে বের হয়ে নির্দিষ্ট স্থানে মশাল ফেলে দিন।
- গুহার অনেক জায়গায় উচ্চতা এত কম যে অনেকটা হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয়। তাই যাদের কোমরের সমস্যা আছে বা বৃদ্ধ তারা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করুন।
শেষকথা
অ্যাডভেঞ্চার প্রেমিদের জন্য আলুটিলা গুহা হতে পারে অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। দিনের বেলায় যেখানে সূর্যের আলোর প্রবেশ করে না। তাই সবসময় গুহার পরিবেশ থমথমে এবং অন্ধকার থাকে। মাত্র ১৫ থেকে ১৮ মিনিটের মধ্যেই আপনারা এই গুহাটি পার হতে পারবেন।
তবে যেহেতু অন্ধকার তাই একা যাওয়ার পরিকল্পনা কখনোই করবেন না। কিছুটা ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে। দলবল সাথে নিয়ে যাওয়াটাই উত্তম হবে। আলুটিলা গুহা যাওয়ার পথে আপনারা আরো অবলোকন করতে পারবেন খাগড়াছড়ি জেলার অপার্থিব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আলুটিলা গুহার পাশে রয়েছে রিসাং ঝর্ণা। অবশ্যই সেখান থেকে ঘুরে আসতে ভুলবেন না। আমাদের দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো আমাদেরই সম্পদ।
তাই এমন কোন কাজ করা উচিত নয় যাতে সেগুলোর ক্ষতি হয়। আলুটিলা গুহার আশেপাশে রয়েছে আরও কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা এমনভাবে করুন যেন সবগুলো স্থান একদিনে দর্শন করতে পারেন। প্রতিটি যানবাহনে ওঠার আগে অবশ্যই দরদাম করে নেবেন। আশা করছি আলুটিলা গুহায় গিয়ে একটি রোমাঞ্চকর অনুভূতি নিবেন।
আলুটিলা গুহা সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর / FAQ
১. আলুটিলা গুহা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার মূল শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে সমুদ্র সমতল থেকে ৩০০০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট আলুটিলা বা আরবারি পাহাড়ে আলুটিলা গুহা অবস্থিত।
২. আলুটিলা গুহার প্রবেশ মূল্য কত?
উত্তর : আলুটিলা গুহার প্রবেশ মূল্য ৪০ টাকা।
৩. আলুটিলা পাহাড়ের উচ্চতা কত?
উত্তর : আলুটিলা পাহাড়ের উচ্চতা ৩০০০ ফুট।
৪. আলুটিলা গুহা অতিক্রম করতে কত সময় লাগবে?
উত্তর : আলুটিলা গুহা অতিক্রম করতে ১৫ থেকে ১৮ মিনিট সময় লাগবে।
৫. আলুটিলা গুহার দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর : আলুটিলা গুহার দৈর্ঘ্য ৩৫০ ফুট। এটি অনেকটা ভূগর্ভস্থ টানেলের মত দেখতে।
আরও পড়ুন-
শোলাকিয়া ঈদগাহ কিশোরগঞ্জ
সাইরু হিল রিসোর্ট, বান্দরবান