মাধবকুন্ড জলপ্রপাত
বাংলাদেশের অন্যতম একটি জেলা হচ্ছে মৌলভীবাজার জেলা। মৌলভীবাজার জেলায় অন্যতম একটি জলপ্রপাত হচ্ছে মাধবকুণ্ড। অনেক বছর ধরেই জলপ্রপাত প্রেমীদের কাছে মাধবকুণ্ড হচ্ছে ভালোবাসার একটি জায়গা।
মাধবকুণ্ড অনেক আগে থেকে আছে মাধবকুণ্ডর পরে অনেক আরও জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তাও পর্যটকদের কাছে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এর জন্য ভালোবাসা কমে যায়নি। এখনো প্রতিদিনই মানুষের ভিড় জমে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে মাধবকুন্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি, মাধবকুন্ড জলপ্রপাত সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ টাংগুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের বর্ণনা
মাধব কণ্ঠ যেনো আলাদা এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবার মাঝে প্রদর্শন করে। এখানে সরকারের উদ্যোগে আরো অনেক রেস্টুরেন্ট ও রেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ২০০১ সালে ২৬৭ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে।
মাধবকুণ্ডের মেন গেট থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার হেঁটে গেলে দেখা পাওয়া যায় মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের। এখানে প্রাকৃতিক প্রেমিক যে কারো মন নিমিষেই ভালো হয়ে যায়। প্রাকৃতিক প্রেমিকদের কাছে এটি একটি মনোমুগ্ধকর জায়গা।
এমনকি এখানে যেই যায় সে যেন মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের প্রেমে পড়ে যায়। মনমুগ্ধকর এই জলপ্রপাতের উচ্চতা হচ্ছে ১৬২ ফুট। বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত জায়গা হচ্ছে কক্সবাজার। কক্সবাজারে যে যে সকল জিনিস পাওয়া যায়।
মাধবকুণ্ড গেলে আপনি সেই সকল জিনিসগুলো পেয়ে যাবেন। মাধবকুণ্ড পুরো এরিয়া ঘুরে দেখলে আপনার খুবই ভালো একটা সময় কাটবে। এবং আপনার পুরো দিন কাটার মত সুবিধা এখানে রয়েছে। মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক ঘুরে দেখতে খুবই উপভোগ্য।
মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এর খুব পাশে আরও একটি ছোট জলপ্রপাত রয়েছে। যেটি সেখানকার সকল মানুষের কাছে পরিকণ্ড জরনা নামে পরিচিত। মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক থেকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগবে পরিকুণ্ড জর্নার কাছে যেতে।
মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এর আশেপাশে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থানসমূহ রয়েছে। আপনি চাইলে সেগুলোও যাওয়া আসার পথে ঘুরে দেখে নিতে পারেন।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
মৌলভীবাজার জেলায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ছাড়াও আরো অনেক আকর্ষণীয় স্থানসমূহ রয়েছে। আপনি চাইলে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ভ্রমণের পাশাপাশি সেই স্থানগুলো ভ্রমণ করতে পারেন। সেগুলোর সৌন্দর্যের শেষ নেই।
যারা প্রাকৃতিক প্রেমিক তারা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে এবং অনুভব করতে খুবই ভালোবাসেন। মাধবকুণ্ডের পাশাপাশি মৌলভীবাজার জেলায় দর্শনীয় স্থান রয়েছে লাউয়াছড়া উদ্যান, মাধবপুর চা বাগান ও লেক , হাকালুকি হাওর, নবাব বাড়ি ইত্যাদি।
এগুলো ছাড়া আরো অনেক ধরনের আকর্ষণীয় জায়গা সমূহ রয়েছে। তবে আমি যেগুলো উল্লেখ করেছি সেগুলো হচ্ছে একটু প্রভাবশালী জায়গা।
লাউয়াছড়া উদ্যান
বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম একটি উদ্যান হচ্ছে লাউয়াচড়া উদ্যান। বাংলাদেশের যে ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও ১০টি জাতীয় উদ্যান আছে তার মধ্যে লাউয়াছড়া অন্যতম। লাউড়া ছাড়া উদ্যানে রয়েছে অন্যতম এক সৌন্দর্যের সীমাহীন।
ঘন সবুজ বনকে ভেদ করে পড়ে সূর্যের আলো, গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে চলে এই আলো-ছায়ার খেলা। ঝোপঝাড় চিড়ে ঠিকই কানে আসে অসংখ্য পাখির ডাক। এখানে নানা ধরনের পশু পাখি দেখা যায়। মাঝে মাঝে দেখা পাওয়া যায় নানা প্রজাতির বানরের।
হয়তোবা দেখা হয়ে যেতে পারে বিপন্ন প্রায় উল্লুকের পরিবারের সাথে। রেইন ফরেস্ট হিসেবে খ্যাত সিলেটের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান গেলে এমনই চমৎকার আরণ্যক সৌন্দর্যের দেখা মিলবে। এখানে গেলে যে কারো মন ভালো হয়ে যায়। লাওয়াছড়া উদ্যানে বেড়ানোর জন্য তিনটি পথ পাওয়া যায়।
একটি তিন ঘণ্টার, একটি এক ঘণ্টার এবং অন্যটি আধ ঘণ্টার পথ। উদ্যানের ভেতরে একটি খাসিয়া পল্লীও আছে। সবকিছু মিলিয়ে লাউড়া ছাড়া হচ্ছে সৌন্দর্যে ভরপুর।
মাধবপুর চা বাগান ও লেক
বাংলাদেশের সিলেট হচ্ছে চায়ের রাজা। সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে মাধবপুর চা বাগান ও লে। চারদিকে সবুজে ঘেরা মাধবপুর লেক। আকাশের ছায়ায় যার জল হয়ে যায় টলটলে স্বচ্ছ নীল।
আর সেই জলে ফুটে থাকে অজস্র নীল শাপলা। এটা দেখে আপনার চোখ জুড়াবে। কোনো স্বপ্নের দেশে নয়, এই লেকের অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায়। এখানে উচু উঁচু টিলার মধ্যে রয়েছে চা পাতা।
টিলার মাঝেই টলমলে জলের হ্রদ। হ্রদে ভাসছে শাপলা-শালুক। ছায়াবৃক্ষের ডালে বসে ডাকছে পাখিরা। এখানে আপনি প্রাকৃতিক অনুভূতি পাবেন। এখানে যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোন শেষ সীমানা নেই।
মাধবপুর লেকের এমন সৌন্দর্যে মন হারানোর কেমন একটা ভাব যে কাউকেই পেয়ে বসবে। প্রকৃতিপ্রেমীরা এই লেকে এসে খুঁজে পান অপার শান্তি। এখানে গেলে আপনি মুগ্ধ হবেন এবং জায়গাটার প্রেমে পড়ে যাবেন।
হাকালুকি হাওর
মৌলভীবাজার জেলায় সবচেয়ে বড় হাওর হচ্ছে হাকালুকি হাওয়া। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এই হাওর দেখতে আসে। হাকালুকি হাওড় মূলত মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত। ভারতের আসাম সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি জলাভূমি হল হাকালুকি হাওড়।
এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ জলাভূমি। পরিবেশগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষিত এই হাওড়ের আশেপাশে প্রায় এক লক্ষ মানুষ বাস করে থাকে। এখানে যেন অসীম আকাশের নিচে বিশাল আকারের জমে। যার যেন কোনো শেষ সীমানা নেই।
বর্তমান সময়ে এই হাওরের জলাভুমির যথাযথ ব্যবহার এবং সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বের কারনে এই জলাভূমিটির সুরক্ষার ওপর আন্তর্জাতিকভাবে মনোনিবেশ করা হয়েছে। ১৮১.১৫ কিলোমিটার আয়তনের এই জলাভূমিটির প্রায় ৭২.৪৬ কিলোমিটার অর্থাৎ ৪০.০১% ভাগ বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত। সবকিছু মিলিয়ে হাওরটি মনমুগ্ধকর একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে।
কিভাবে যাবেন
মাধবকুণ্ড যেতে হলে আপনি বাসে বা ট্রেনে করে খুব সহজেই চলে যেতে পারবেন। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কমলাপুর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন ৩টা ট্রেন ছাড়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত যাওয়ার জন্য ট্রেনগুলোর মধ্যে আছে জয়ন্তিকা,পারাবত,উপবন।
ট্রেনের ভাড়া প্রকার ভেদে ১০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। মাধবকুণ্ড পৌঁছানোর জন্য আপনার সময় লাগতে পারে সাত থেকে আট ঘন্টা। ট্রেনে গেলে রাত ১০টার উপবন এক্সপ্রেসে যাওয়াটাই আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। কুলাউড়ায় এসে পৌছায় ভোর ৫ টায়।
কুলাউড়া থেকে মাধবকুন্ডের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কি.মি ,আপনি এখান থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে সরাসরি মাধবকুন্ড যেতে পারবেন। অথবা অন্য যেকোনো গাড়ীও ভাড়া করে নিতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ২০০-৩০০ টাকা। সিএনজি ছাড়া অন্য কোনো ধরনের গাড়ীর ক্ষেত্রে ভাড়া কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
আপনি যদি চান তবে আপনি বাসেও যেতে পারেন। তবে বাস থেকে ট্রেনে যাওয়া আরামদায়ক। বাসে যেতে চাইলে অনেক বাস আছে। এর মধ্যে শ্যামলী, রূপসী বাংলা, হানিফ, সোহাগ, এনা,ইউনিক, উল্যেখযোগ্য।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন নামের একাধিক বাস রয়েছে, যেগুলো অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় যাত্রী সেবা করে থাকে। ভোর থেকে শুরু করে রাত ১টা পর্যন্ত এসব বাস পাবেন। বাসে যেতে সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা।
কোথায় খাবেন
মাধবকুণ্ড আপনি সহজে খাবার পেয়ে যাবেন তবে তা খুব উন্নত মানের রেস্তোরাঁ বা হোটেল নেই। মাধবকুন্ডে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে, মুটামুটি মানের রেস্টুরেন্ট আছে। মাধবকুণ্ডে খাবারের দাম একটু বেশি পড়বে, তাই সবচেয়ে ভাল হবে আপনি যদি বাইরে থেকে খাবার সাথে করে নিয়ে যান।
এছাড়া সিলেট শহরে ফিরে খাওয়ার জন্য জিন্দাবাজারে বেশ ভালো কয়েকটি খাওয়ার হোটেল আছে। হোটেল গুলো হচ্ছে পাঁচ ভাই,পানশি ও পালকি। এই হোটেল গুলো বেশ জনপ্রিয়তার জন্য।
এখানে প্রায় ২৯ ধরনের বর্তা পাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও আপনি আরো ছোটখাটো হোটেল, রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন। যেগুলোতে খাবারের বাজেট খুব একটা বেশি নয়।
কোথায় থাকবেন
মাধবকুণ্ড জেলায় আবাসিক দুইটি হোটেল রয়েছে। তবে এগুলোর মান খুব একটা ভালো না। তাছাড়া আপনি চাইলে সিলেট কিংবা মৌলভীবাজার শহরের হোটেলেও থাকতে পারেন।
সিলেটে থাকার মত অনেকগুলো হোটেল আছে, সিলেটে আপনি আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী যেকোন ধরনের হোটেল পাবেন। আপনি সেগুলোতে ভালো মানের ব্যবস্থা ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
কয়েকটি পরিচিত হোটেল হল – হোটেল হিল টাউন, গুলশান, দরগা গেইট, সুরমা,কায়কোবাদ ইত্যাদি। লালা বাজার এলাকায় কম ভাড়ায় অনেক মানসম্মত রেস্ট হাউস আছে৷ সেখানে আবার হোটেল ভাড়াও মানসম্মত পাবেন।
শেষ কথা
এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সৌন্দর্যের রানী মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত নিয়ে। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কতটুকু ভরপুর নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন।
আশা করছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের এই মাধবকুন্ড জলপ্রপাত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অজানা সব তথ্য জানতে, দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করুন।
মাধবকুন্ড জলপ্রপাত সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ
প্রশ্ন ১: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জলপ্রপাত মাধবকুণ্ড কোথায় অবস্থিত?
উত্তর:- বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জলপ্রপাত মাধবকুণ্ড, যা সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত রয়েছে। এটা বাংলাদেশের সর্ববৃহ জলপ্রপাত হিসেবে পরিচিত।
প্রশ্ন ২: বাংলাদেশের একমাত্র জলপ্রপাতের নাম কি?
উত্তর:- বান্দরবান জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত ‘নাফাখুম জলপ্রপাত’। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত এটি। রিছাং ঝর্ণা (সাপমারা রিছাং ঝর্ণা নামেও পরিচিত) খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় সাপমারা গ্রামে অবস্থিত পাহাড়ি এই ঝর্ণা।
প্রশ্ন ৩: ঝর্ণা কিভাবে তৈরি হয়?
উত্তর:- বন্যা, বৃষ্টি, নদীর বা বরফ গলা পানি মাটি ভেদ করে ভূপৃষ্ঠের উপরি তল থেকে নিচের দিকে নামতে থাকে। এই পানি মাটির নিচের কোন শিলাস্তরে পৌঁছালে সেগুলো ভেদ করে আর নিচে নামতে পারেনা। মাটির নিচে জমা হওয়া পানি পাহাড়ের কোনো খাড়া অংশ ফুঁড়ে সেখানে বেরিয়ে এসে ঝর্নার সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ৪: মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের উচ্চতা কত?
উত্তর:- মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এর উচ্চতা প্রায় ১৬২ ফুট উঁচু। মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মেইন গেট থেকে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার পথ হেঁটে যাওয়ার পর মাধবকুণ্ড ঝর্ণার দেখা মিলবে।
প্রশ্ন ৫: জলপ্রপাত ও ঝর্ণার মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর:- খাড়া ঢাল থেকে নদীর জল যদি নিচে পতিত হয়, মূলত তাকেই জলপ্রপাত বলা হয়। এবং ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ তল থেকে নিচের দিকে নামতে থাকা অথবা কোন খাড়া অংশ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসলে ঝর্ণার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন-
সিলেটের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ
ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর