হিমছড়ি ঝর্ণা

হিমছড়ি ঝর্না

হিমছড়ি ঝরনা, সমুদ্র ও পাহাড়ের সমন্বয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ এক লীলাভূমি। যারা তিনটি সৌন্দর্য একসঙ্গে উপভোগ করতে চান তাদের জন্য হিমছড়ি পর্যটন হিসেবে সুন্দর একটি জায়গা। পর্যটকদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি হয় পর্যটন মৌসুমে।এই হিমছড়িতে কয়েকটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা বা প্রস্রবণ রয়েছে।

আমার পর আপনি আপনার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসলে সবাই হিমছড়িও দেখেই যায়। হিমছড়ি যাওয়ার পথে ভাঙ্গামোড়া  বা দরিয়ানগর সহ বিভিন্ন পিকনিক স্পট রয়েছে।

ঝরনার প্রবহমান নদী দুচোখে অবলোকন করতে চাইলে পর্যটকদের উচিত বর্ষা মৌসুমে এই পিকনিক স্পট গুলিতে ঘুরতে আসা তাহলে এর মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ লালবাগ কেল্লা (পুরান ঢাকার) ভ্রমন

অবস্থান 

হিমছড়ি কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯৯১ সালের ২৯ শে এপ্রিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে হিমছড়ি সহ আশেপাশের অনেক পর্যটন স্পট এর অনেক ক্ষতি সাধন হয়েছিল। বর্তমানে এই হিমছড়ি পর্যটন স্পটের অনেক সংস্কার হয়েছে।

সিঁড়ি বয়ে পাহাড়ে ওঠার ব্যবস্থা রয়েছে। উঁচু পাহাড়ে উঠে পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য অতি সহজেই দেখা যায় আর তার সঙ্গে সাগরের মিশ্রণ যেন সৌন্দর্যকে মাত্রাতিরিক্ত  বাড়িয়ে তোলে।

হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান 

হিমছড়ি উদ্যানটি ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ১৩৭২৯ হেক্টর বা ১৭.২৯ বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যানটি স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য ছিল গবেষণা ও শিক্ষণ, পর্যটন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে যেমন সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত তেমনি অন্য পাশে রয়েছে সবুজের সমারোহ পাহাড়ের সারি।

এই হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানে অনেক জলপ্রপাত রয়েছে যার মধ্যে আমার মনে হলো সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হিমছড়ি জলপ্রপাত বা হিমছড়ি ঝর্না। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

জীব বৈচিত্র্য হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানে

হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান চিরসবুজ প্রায় চির সবুজ ক্রান্তীয় বৃক্ষ বনাঞ্চল। বনে ১১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ  রয়েছে তার মধ্যে ছবিতে ৫৮ প্রজাতির বৃক্ষ,  পনেরো প্রজাতির গুল্ম, ৪ প্রজাতির তৃণ ও  ২১ প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে। হিমছড়ি বনাঞ্চল কে হাতির আবাসস্থল বলে মনে করা হয়।এছাড়াও এ বনের রয়েছে মায়া হরিণ বানর ও বন্য শুকরও দেখা যায়।

এ বলে  ২৮৬ প্রজাতির পাখি, ৫৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৬ প্রজাতির উভচর এবং ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে। হিমছড়ি বনাঞ্চল উল্লুকের ও আবাসস্থল। যারা পাখি প্রেমী তাদের জন্য হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি আদর্শ পর্যটন এলাকা। এর ২৮৬ প্রজাতির পাখির মধ্যে রয়েছে ফিঙ্গে ময়না ও তাল বাতাসি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

হিমছড়ি ঝর্ণা – দর্শনীয় স্থানসমূহ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছেন কিন্তু হিমছড়িতে যাননি এরকম কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কেননা কক্সবাজার থেকে হিমছড়ির দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটারের। হিমছড়িতে ছোট বড় বিভিন্ন ঝর্ণা রয়েছে। তার সাথে রয়েছে সাগর ও পাহাড়ের বিমোহিত করা সৌন্দর্য।

যারা ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য একটি সুন্দর মেলবন্ধন। মেরিন ড্রাইভ রোড, শীতল পানির ঝর্ণা এবং প্রশস্ত সমুদ্র সৈকত দেখতে চাইলে হিমছড়ি অবশ্যই আসতে হবে। এই পাহাড়ের পাদদেশ এর ইকোপার্ক হতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ৩০০ ফুট। পার্কের গেটে ২০ টাকা মূল্য দিয়ে টিকিট কেটে নিতে হবে। তবে সিঁড়িবে উপরে উঠতে একটু কষ্ট হয়। 

চারপাশের কোলাহলহীন সুনশান নীরবতাপূর্ণ পরিবেশ আরো কোথাও পাবেন না দেখতে। পাহাড়ের চূড়ার মধ্যে রয়েছে হিল টপ রিসোর্ট। আর পাহাড় থেকে নেমে অন্যপাশে রয়েছে ঝরনা। এই হিমছড়িতে রয়েছে শীতল পানির ঝর্ণা যা পাহাড়ের ওপরে রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কিছু বিশ্রামাগার।

এখান থেকে পুরো সমুদ্র সৈকতটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। এই ঝর্ণার প্রকৃত রূপ দেখতে চাইলে বর্ষাকাল মোক্ষণ সময়।  

কিভাবে হিমছড়ি যাবেন 

আপনি দেশের যে প্রান্তে থাকুন না কেন হিমছড়ি যেতে হলে প্রথমে আপনাকে কক্সবাজারে যেতে হবে। দেশে যে কোন জেলা থেকে যদি কক্সবাজারের সরাসরি কোন বাস থাকে সেই বাসে উঠতে পারেন অথবা প্রথমে ঢাকায় চলে আসবেন। এরপর ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বাসে উঠতে হবে।কক্সবাজারে যেতে বিভিন্ন ধরনের বাস সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া আপনি চাইলে এসি বা নন-এসি যেকোনো টিকিটে যেতে পারবেন।

জনপতি ভাড়া ৯০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। চাইলে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রামে আসতে পারবেন। তারপর চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে কক্সবাজার আসতে হবে। আর যদি বাজেট নিয়ে সমস্যা না থাকে তবে আকাশ পথ বেছে নিতে পারেন। 

কক্সবাজার হতে হিমছড়ি 

কক্সবাজারের যেকোন প্রান্ত থেকে অটো বাইক ইজিবাইক বা সিএনজি নিয়ে হিমছড়ি হতে ঘুরে আসা যায়। যদি অটো বা সিএনজি রিজার্ভ নিতে চান তবে সিজন অনুযায়ী ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে থেকে ৬০০ টাকা লাগতে পারে। তবে কলাতলী মোড় থেকে লোকাল সিএনজি বা ইজি বাইক করেও হিমছড়ি যাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ভালো হয় কয়েকজন মিলে ঘুরতে গিয়ে জীপ রিজার্ভ করে হিমছড়ি ঘুরে আসা।

হিমছড়ি যাওয়ার পথে ইনানী বীচ একই রোডে পড়ে। তবে গাড়ি রিজার্ভ করার সময় অবশ্যই দরদাম ঠিক করে নেবেন এবং কোথায় কতক্ষণ সময় ব্যয় করবেন এবং কোন কোন জায়গায় ঘুরে দেখবেন সেটিও আগে আলোচনা করবেন। হিমছড়ি ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করার জন্য টিকিট কাটতে হয় এবং টিকিট মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা।

কোথায় থাকবেন 

হিমছড়ি কক্সবাজারের খুব নিকটে। প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার পর্যটকের আবাসনের কথা চিন্তা করে কক্সবাজারে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫ শতাধিক হোটেল, রিসোর্ট, মোটেল ও কটেজ। এইসব হোটেলগুলির ফেসবুক পেজ বা অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও জানা যাবে। তবে সিজন অনুযায়ী হোটেলের ভাড়া তারতম্য হয়ে থাকে।

ঢাকা থেকে হোটেলগুলোতে আগেই বুকিং দিয়ে রাখতে পারেন কক্সবাজারে যাওয়ার আগেই। 

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত একটি মোটেল শৈবাল (ফোন নম্বর ০৩৪১৬৩২৭৪) 

হোটেল সি প্যালেস (ফোন নম্বর ০৩৪১-৬৩৬৯২, ৬৩৭৯২, ৬৩৭৯৪, ৬৩৮২৬)

তারকা মানের সিগাল হোটেল ( ফোন নম্বর ০৩৪১-৬২৪৮০-৯১)

হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ( ফোন নম্বর  ০৩৪১-৬২৮৮১-৮৫, ৬২৮৮১-৮৫)

হোটেল সি ক্রাউন ( ফোন নম্বর ০৩৪১-৬৪৭৯৫, ০৩৪১-৬৪৪৭৪, ০১৮১৭-০৮৯৪২০)

হোটেল ওসান প্যারাডাইস (ফোন নাম্বার ০১৯৩৮৮৪৬৭৫৩) উল্লেখযোগ্য। 

এই হোটেল গুলিতে এক রাত  যাপনের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ১০০০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দামের রুম। তবে যদি অল্প খরচের ভিতরে থাকতে চান তবে একটু ভেতরের হোটেলে থাকতে হবে। 

কোথায় খাবেন 

হিমছড়ি ঝর্না তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যেই ঘুরে আসা তাই চাইলে কিছু শুকনো খাবার সঙ্গে রাখতে পারবেন অথবা একেবারে কক্সবাজার ফিরে এসে আবার খেতে পারবেন। কক্সবাজারে বিভিন্ন রকমের রেস্তোরা রয়েছে। মধ্যম মানের রেস্টুরেন্টের মধ্যে রয়েছে রোদেলা, ধানসিড়ি, ঝাউবন, নিরিবিলি, পৌষী ইত্যাদি। এই রেস্টুরেন্টগুলোতে আপনার বাজেট অনুযায়ী নাস্তা বা লাঞ্চ করে নেবেন।

হিমচরের বন বিভাগের নতুন পর্যটন স্পট 

হিমছড়ি কক্সবাজারে একটি পরিচিত পর্যটন স্পট। রামুর হিমছড়ির এই পর্যটন স্পটকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও পর্যটন শিল্পের জন্য কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের হিমছড়ি বিট ও টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান শোভন বলেছেন যে, এই জায়গাটি হিমছড়ি ও কলাতলী মধ্যবর্তী।

পর্যটকদের জন্য ক্যাকটাস ও অর্কিড হাউজ ও গণশৌচাগার করা হয়েছে। নতুন পর্যটন স্পটে যদি পিকনিক পার্টি আসে তবে সে ক্ষেত্রে রান্নার সুব্যবস্থা করা হচ্ছে। নতুন পার্কের বিশাল ফটোক ও বাউন্ডারি সম্পন্ন হয়েছে। পার্কে ঢুকে প্রথমে দেখতে পাবেন সূর্য পাহাড়চূড়া এবং এর দক্ষিণে আঁকাবাঁকা হ্রদ। রোদের চারপাশে বসা ও হাঁটাচলার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে বসে পর্যটকরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারেন।

এই দুইটি হাউসে থাকবে বিলুপ্ত প্রায় নানা প্রজাতির ক্যাকটাস ও অর্কিড। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য থাকবে আলাদা টয়লেট। এছাড়াও নানা ধরনের ফুল যেমন রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, জারুল, তৈলসুর, গর্জন, ঝাউ, বকুলফুল, গামারি, সেগুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। 

সতর্কতা 

রিসোর্ট হোটেল ও যানবাহন বারা সময়ের সাথে সাথে অনেক সময় পরিবর্তন হয়। তাই ভ্রমণ গাইডে যেসব তথ্য প্রকাশিত থাকে সেগুলোর সাথে সব সময় নাও মিলতে পারে তাই ভাড়া সম্পর্কে জানার পূর্বে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। 

এছাড়াও হোটেল ও রিসোর্ট এর নাম্বার থাকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিবেন। আর্থিক লেনদেনে যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয় সে বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন। 

পরামর্শ 

  • অবশ্যই ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে নিজের কাছে এক্সট্রা টাকা রাখবেন কেননা যেকোনো প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে। 
  • হিমছড়ি ঝরনায় যদি গোসল করতে চান অবশ্যই সাবধানে নামবেন কেননা পাপ পিছলে পড়ে গেলে থাক বাবা বা শরীরের ক্ষতি হতে পারে। 
  • সিঁড়িবে উপরে ওঠার সময় সাবধানে উঠবেন কেননা একবার পড়ে গেলে কাটা ছেঁড়া হতে পারে। 
  • সমুদ্র সৈকতে নামলে সাবধানে নামবেন বিশেষ করে  সাঁতার জানা না থাকলে একদমই বেশি দূরে যাবেন না কেননা স্রোতের টানে  ভেসে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

উপসংহার 

সারা বছর হিমছড়ি দেখলেও এর সৌন্দর্যের পূর্ণতা পাই বর্ষার মৌসুমে। তাই হিমছড়ির আসল সৌন্দর্য অবলোকন করতে চাইলে চলে আসুন বর্ষাকালে এবং এই নিরব,শান্ত ও  কোলাহল হীন পরিবেশে প্রশান্তি অনুভব করুন। কেননা এই হিমছড়ি ইকো পার্কে রয়েছে বেশ কিছু বড় ছোট ঝর্ণা, প্রশস্ত সমুদ্র সৈকত, আর প্রাকৃতিক নৈসর্গে ঘেরা সুউচ্চ পাহাড়।

আর পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত উপভোগ করার সুন্দর ব্যবস্থা। এছাড়াও হিমছড়ি ইকোপার্কে প্রবেশের সময় বার্মিজ মার্কেট হতে পছন্দনীয় কেনাকাটা করতে পারবেন। এটি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।

হিমছড়ি ঝর্ণা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ 

১. হিমছড়ি কিসের জন্য বিখ্যাত? 

উত্তর: হিমছড়ি উদ্যানটি ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ১৩৭২৯ হেক্টর বা ১৭.২৯ বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যানটি স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য ছিল গবেষণা ও শিক্ষণ, পর্যটন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। 

২. হিমছড়ি ঝর্না কোথায় অবস্থিত? 

উত্তর: হিমছড়ি ঝর্না  বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ এর কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। এটি কক্সবাজার হতে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি পর্যটন এলাকা। 

৩. হিমছড়ির দর্শনীয় স্থান?

উত্তর:  হিমছড়ির একপাশে রয়েছে যেমন সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত তেমনি অন্য পাশে রয়েছে সবুজের সমারোহ পাহাড়ের সারি। এই হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানে অনেক জলপ্রপাত রয়েছে যার মধ্যে  সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হিমছড়ি জলপ্রপাত। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। মেরিন ড্রাইভ রোড, শীতল পানির ঝর্ণা এবং প্রশস্ত সমুদ্র সৈকত প্রধান উল্লেখযোগ্য। 

৪. হিমছড়ি  উদ্যানে কি কি উদ্ভিদ রয়েছে? 

উত্তর: বনে ১১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ  রয়েছে তার মধ্যে ছবিতে ৫৮ প্রজাতির বৃক্ষ,  পনেরো প্রজাতির গুল্ম, ৪ প্রজাতির তৃণ ও  ২১ প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে।

৫. হিমছড়ি পাহাড়ের উচ্চতা কত? 

উত্তর: এই পাহাড়ের পাদদেশ এর ইকোপার্ক হতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ৩০০ ফুট।

আরও পড়ুন-

নক্ষত্র বাড়ি রিসোর্ট (গাজীপুর)

নন্দন পার্ক (নবীনগর, সাভার-ঢাকা)

মন্তব্য করুন