সোনাদিয়া দ্বীপ

সোনাদিয়া দ্বীপ

প্রকৃতিকে যারা পছন্দ করেন, তাদের মন প্রকৃতির মতোই সুন্দর। প্রকৃতির আসল সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনাকে প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে হবে। প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে পারেন এমনই এক স্থানের নাম সোনাদিয়া দ্বীপ (Sonadia Island)।

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সোনাদিয়া দ্বীপ। এই দ্বীপকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় সোনাদিয়া চর। ম্যানগ্রোভ এবং উপকূলীয় বনের সমন্বয়ে গঠিত এই দ্বীপটির সৌন্দর্য নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব না।

উপরে নীল আকাশ, নিচে সমুদ্রের নীল পানি, লাল কাঁকড়া, কেয়া বন সব মিলিয়ে রোমাঞ্চকর এক পরিবেশ। যতদূর চোখ যায় ততদূর মনে হবে পানি এবং আকাশের মিলনমেলা। যারা ক্যাম্পিং করতে চান তাদের জন্য সোনাদিয়া দ্বীপ খুবই জনপ্রিয় একটি স্থান।

আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য এবং নামকরা ক্যাম্পিং স্পট সোনাদিয়া দ্বীপ সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

আরও পড়ুনঃ পালকি চর সমুদ্র সৈকত

সোনাদিয়া দ্বীপ – অবস্থান 

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত কুতুবজোম ইউনিয়নে সোনাদিয়া দ্বীপ অবস্থিত। জীববৈচিত্রের দ্বীপ নামে পরিচিত এই দ্বীপ কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং মহেশখালী দ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত। অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এ দ্বীপের আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কিলোমিটার।

তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া-নিশিন্দার ঝোপ, ছোট বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এই দ্বীপের সৌন্দর্যে যোগ করেছে অপরূপ মাত্রা। ঘটিভাঙ্গা খাল নামের একটি খাল দ্বারা দ্বীপটি মহেশখালী দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

মহেশখালী দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও খালের উপর সেতু নির্মাণ করার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। কথিত আছে, কয়েকশত বছর পূর্বে পর্তুগীজ জলদস্যুদের হামলায় একটি স্বর্ণ বোঝাই জাহাজ এখানে ডুবে যায়। পরবর্তীতে সেই জাহাজের ধ্বংসস্তূপকে ঘিরে একটি দ্বীপ জেগে ওঠে। জেগে ওঠা সেই দ্বীপটিই সোনাদিয়া দ্বীপ নামে পরিচিত। যা স্থানীয় ভাষায় সোনাদিয়া চর নামে ডাকা হয়।

সোনাদিয়া দ্বীপ – বর্ণনা 

কক্সবাজার জেলায় যেসকল দ্বীপ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সোনাদিয়া দ্বীপ অন্যতম। সমুদ্রের গাঢ় নীল পানি, লাল কাঁকড়া, কেয়া বন সব মিলিয়ে এক রোমাঞ্চকর পরিবেশ বিরাজ করে সবসময় এই দ্বীপে। নানা রকম অতিথি পাখি এবং জলচর পাখির অভয়ারণ্য সোনাদিয়া দ্বীপ। যাযাবর পাখিদের জন্য ভূ-স্বর্গ বলা যায় এই দ্বীপকে।

এখানে আসা অতিথি পাখিদের মধ্যে রয়েছে – স্নাইপ, পেট্রেল, শ্যাঙ্ক, তিতির এবং নানা প্রজাতির হাঁস। সোনাদিয়া দ্বীপ এর পশ্চিম দিকের সবুজ ঘাসে মোড়ানো খোলা মাঠ, নির্জনতা এবং অফুরন্ত বাতাস সব মিলিয়ে অন্যরকম এক প্রশান্তি অনুভব করবেন।

সোনাদিয়া দ্বীপ এর পানি কাচস্বরূপ স্বচ্ছ এবং টলটলে। দুপাশে ঘেরা সবুজ বনে কেওড়া, হারগোজা, উড়িঘাস এবং সাদা ও কালো বৃক্ষ দেখা যায়। ছোট্ট সোনাদিয়া দ্বীপ, এখানে মাত্র ১০০ থেকে ১২৫ বছর আগে মানব বসতি গড়ে উঠেছে। পূর্ব এবং পশ্চিম এই দুই পাড়ায় দ্বীপটি বিভক্ত।

এই দ্বীপের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২০০০ জন। ২ টি মসজিদ, ১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি সাইক্লোন সেন্টার, আনুমানিক ১২ টি গভীর নলকূপ রয়েছে এই দ্বীপে। তুলনামূলকভাবে পূর্ব পাড়ায় জনবসতি বেশি। সোনাদিয়া দ্বীপ এর মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা, মাছ শুকানো, চিংড়ি এবং মাছের পোনা আহরণ।

কিছু কিছু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে কাঠের সাধারণ নৌকা এবং ইঞ্জিন চালিত নৌকা চালানোর সহকারি হিসেবে। চারদিক নোনা পানি বেষ্টিত হওয়ায় দ্বীপ এর জমিতে তেমন খাদ্যশস্য উৎপাদন করা যায় না। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মহেশখালী থেকে কিনে আনতে হয়। 

আরও পড়ুনঃ চন্দ্রনাথ পাহাড় ভ্রমণ, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম

সোনাদিয়া দ্বীপ এর গুরুত্ব

ক্যাম্পিং করার জন্য প্রসিদ্ধ সোনাদিয়া দ্বীপ। সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা থাকে এই দ্বীপে। তবে শীতকালে এর চেহারাই পাল্টে যায়। আপনার জীবনের সেরা রাতের একটি হতে পারে এই দ্বীপে রাত্রিযাপন। চাঁদনি রাতে ক্যাম্পিং এর সাথে বার-বি-কিউ অন্যরকম অনুভূতি সঞ্চার করে।

ক্লান্তি দূর করার জন্য পর্যটকরা এখানে আসে প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে। ক্যাম্পিং এবং ঘোরাঘুরির জন্য এই দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সবচেয়ে নিরাপদ। নির্জন এই দ্বীপে গেলে সেখানকার চায়ের স্বাদ নিতে ভুলবেন না কিন্তু। 

দেশের প্রধান শুটকি মাছ উৎপাদন কেন্দ্র সোনাদিয়া দ্বীপ। শুটকি মাছের জন্য এই দ্বীপ বিখ্যাত। শীতকালে এই দ্বীপে হাজার হাজার জেলে ঘাঁটি গাড়ে। জেলেদের ধরা মাছ শুটকি বানানোর জন্য শুকাতে দেওয়া হয়। এখানকার সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন ধরনের শামুক এবং প্রচুর পরিমাণ ঝিনুক পাওয়া যায়।

এক সময় সোনাদিয়া দ্বীপ এর খ্যাতি ছিল গোলাপি মুক্তার জন্য। এই দ্বীপের জীববৈচিত্রের অপূর্ব সমন্বয় দেখতে প্রতিবছরই অসংখ্য পর্যটকের ভিড় হয়। বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য নির্বাচিত হয়েছে সোনাদিয়া দ্বীপ। 

কিভাবে যাবেন 

সোনাদিয়া দ্বীপ যাওয়ার জন্য প্রথমে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে কক্সবাজার যেতে হবে। ঢাকা থেকে সড়কপথ, রেলপথ এবং আকাশপথে কক্সবাজার যাওয়া যায়। 

বাসে ঢাকা-কক্সবাজার 

রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রীন লাইন, এস আলম মার্সিডিজ বেঞ্জ, সৌদিয়া, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সোহাগ পরিবহন, এস আলম পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, মর্ডান লাইন ইত্যাদি বাস কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ছেড়ে যায়। এসি এবং নন-এসি উভয় রকম বাসই পাবেন। বাস ভাড়া শ্রেণীভেদে ৯০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। 

ট্রেনে ঢাকা-কক্সবাজার 

রাজধানী ঢাকার কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী / গোধূলি, তূর্ণা-নিশিথা ট্রেনগুলোতে চট্টগ্রামে আসতে হবে প্রথমে। এরপর চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকা বা ধামপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে এস আলম, হানিফ বা ইউনিক পরিবহনের বাসে কক্সবাজার যেতে পারেন। শ্রেণীভেদে বাস ভাড়া ২৮০ থেকে ৫৫০ টাকা। 

আকাশপথে ঢাকা-কক্সবাজার 

ঢাকা থেকে আকাশপথে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়ার বিমান রয়েছে। বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলা, নভোএয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বিমানগুলো সরাসরি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যায়। এছাড়াও আকাশ পথে প্রথমে আপনি চাইলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে পারেন। তারপর চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে কক্সবাজার যেতে পারেন। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ভাড়া বিভিন্ন রকম। শ্রেণীভেদে বিমান ভাড়া ৬৫০০ থেকে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত। 

কক্সবাজার-মহেশখালী

কক্সবাজার কস্তুরী ঘাট থেকে স্পিডবোট অথবা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে মহেশখালী যেতে হবে। এজন্য প্রথমে কলাতলী বা লাবণী পয়েন্ট থেকে কক্সবাজারের ৬ নং ঘাটে যেতে হবে।  সেখানে গেলে মহেশখালী যাওয়ায় জন্য স্পিডবোট পাবেন। স্পিডবোট ভাড়া জনপ্রতি ৭৫ টাকা। স্পিডবোটের মাধ্যমে মহেশখালী পৌঁছাতে সময় লাগবে ১২-১৫ মিনিট। স্পিডবোটে চড়তে ভয় লাগলে গাছের নৌকায় যেতে পারেন। বোট ভাড়া লাগবে ৩০ টাকা এবং সময় লাগবে ৪৫-৫০ মিনিট।

আরও পড়ুনঃ নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ

 মহেশখালী-সোনাদিয়া দ্বীপ

মহেশখালী ঘাটে নেমে রিক্সা নিয়ে চলে যাবেন গোরকঘাটা বাজারে। রিক্সা ভাড়া ২০ টাকা। তারপর আপনাকে যেতে হবে ঘটিভাঙায়। মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজার থেকে ঘটিভাঙার দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার।  ৩/৪ জনের গ্রুপ হলে একটা সিএনজি ভাড়া করে যেতে পারেন ঘটিভাঙ্গা। ভাড়া গুনতে হবে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। 

ঘটিভাঙ্গা থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে সোনাদিয়া দ্বীপ যেতে হয়। ঘটিভাঙা নেমে খেয়া নৌকায় সোনাদিয়া চ্যানেল পার হলেই এই দ্বীপের অবস্থান। সোনাদিয়া দ্বীপ যাবার দুটি উপায় আছে। একটি হল হেঁটে যাওয়া অথবা জোয়ারের সময় নৌকা। প্রতিদিন জোয়ারের সময় পশ্চিম সোনাদিয়া থেকে ঘটিভাঙা পর্যন্ত একটি ট্রলার ছেড়ে আসে মাত্র একবার। ট্রলার ভাড়া জনপ্রতি ২৫ টাকা। 

সোনাদিয়া পশ্চিম পাড়ার উদ্দেশ্যে ঘটিভাঙ্গা থেকে মাত্র একটি বোট যায় দিনে। জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে বোট ছাড়ার সময়। সকাল ১০ টা বা ১১ টা থেকে সাধারণত বোট ছাড়ে। বোটে করে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন সোনাদিয়া দ্বীপ। বোট ভাড়া জনপ্রতি ২৫ টাকা। বোট থেকে নেমে কাছেই রয়েছে বন বিভাগের একটি বিল্ডিং। সেখানে চাইলে রেস্ট নিতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট হাটলেই দেখা পাবেন সুন্দর সমুদ্র সৈকতের। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য : হেঁটেও ঘটিভাঙ্গা থেকে সোনাদিয়া যাওয়া যায়। আপনি যদি হেঁটে যেতে চান সেক্ষেত্রে সোনাদিয়া পূর্ব পাড়ায় যেতে হবে। পূর্ব পাড়ায় থাকা খাওয়ার কোন ব্যবস্থা এখনো হয়নি। তাই সেখান থেকে পশ্চিমপাড়া চলে যাওয়াটাই ভালো। 

সড়কপথে মহেশখালী 

বোটে চড়তে যারা ভয় পান অথবা প্রাইভেট কার নিয়ে যেতে চান, সেক্ষেত্রে সড়কপথে সরাসরি মহেশখালী যেতে পারবেন। কক্সবাজার থেকে অথবা যেকোনো জেলা থেকে আসার পথে চকরিয়া নামবেন। এরপর চকরিয়া থেকে জীপ অথবা সিএনজিতে করে বদরখালি এবং জীপ অথবা সিএনজিতে করে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে যাবেন। 

স্পিডবোটে সোনাদিয়া দ্বীপ 

স্পিডবোট রিজার্ভ করে সরাসরি কক্সবাজার থেকে সোনাদিয়া দ্বীপ যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বাড়তি টাকা গুনতে হবে স্পিডবোটের জন্য। এই রুটে স্পিডবোট বা ট্রলার আপনাকে মহেশখালী চ্যানেল পার করিয়ে বঙ্গোপসাগর হয়ে নামিয়ে দিবে সোনাদিয়ার পূর্বপাড়ায়। সেজন্য স্পিডবোট বা ট্রলারের মাঝিকে প্রথমে জানিয়ে দিতে হবে পশ্চিম পাড়ায় যেন নামিয়ে দেয়। এছাড়াও প্রাকৃতিক দৃশ্য, লোকালয়, ক্যাম্পিং এর সবকিছুই পাবেন পশ্চিম পাড়াতে। 

সোনাদিয়া দ্বীপ – কোথায় খাবেন

পর্যটকদের থাকার জন্য কোন আবাসিক হোটেল নেই সোনাদিয়া দ্বীপে। দুর্গম হওয়ায় এই দ্বীপে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ। এখানে রাত কাটাতে চাইলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। বহিরাগত সবাইকে নিয়ম অনুযায়ী বিকেল চারটার আগে দ্বীপ এলাকা ত্যাগ করতে হয়। 

রাত্রিযাপন করতে চাইলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর ভরসা করতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাসায় অথবা তাঁবু পেতে থাকতে হবে। স্থানীয়ভাবে তাঁবু ভাড়া পাওয়া যায়। আপনি চাইলে ক্যাম্পিং এর সমস্ত সরঞ্জাম সাথে নিয়ে যেতে পারেন। এখানে ঘোরাঘুরি এবং ক্যাম্পিং এর জন্য পশ্চিম পাড়া সবচেয়ে নিরাপদ। 

খাওয়ার জন্য নেই কোন নির্দিষ্ট ব্যবস্থা এই দ্বীপে। টাকা দিলে সেখানকার স্থানীয় লোকজন খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে। আপনি সেখানে যাওয়ার সময় শুকনো খাবার সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা – চট্টগ্রাম

শেষকথা 

প্রকৃতির সাথে কিছুটা সময় কাটানো এবং ক্যাম্পিং এর রোমাঞ্চকর অনুভূতির জন্য যেতে পারেন সোনাদিয়া দ্বীপ। আশা করি নিরাশ হবেন না। কক্সবাজার থেকে সোনাদিয়া দ্বীপে একদিনে ঘুরে আসা সম্ভব না। অন্তত দুইদিন হাতে সময় নিয়ে বের হলে ভাল হয়

কিছুটা সময় হাতে থাকলে সোনাদিয়ার পাশাপাশি মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রাখাইন পাড়া, চরপাড়া, বৌদ্ধমন্দির, লবণের মাঠ, পানের বরজ সবকিছু ভালোমতো দেখতে পারবেন। রিক্সায় ওঠার পূর্বে আশেপাশের স্থানীয় লোকদের থেকে ভাড়া জেনে উঠবেন।

দরদাম করে উঠবেন যেকোনো যানবাহনে। অযাচিত ঝামেলা এড়াতে পূর্বপাড়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজন হলে স্থানীয় লোকের সাহায্য নিন। রাত্রিযাপনের জন্য অবশ্যই সচেতন থাকবেন। নিজের জন্য অন্য কারও ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ক্যাম্পিং শেষে ফেরার পথে সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রেখে আসবেন। 

সোনাদিয়া দ্বীপ সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর / FAQ’s

১. সোনাদিয়া দ্বীপ কোথায় অবস্থিত?  

উত্তর : কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং মহেশখালী দ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত সোনাদিয়া দ্বীপ।

২. সোনাদিয়া দ্বীপের অন্য নাম কি?

উত্তর : সোনাদিয়া দ্বীপের অপর নাম প্যারাদ্বীপ। এছাড়াও এই দ্বীপকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় সোনাদিয়া চর। 

৩. প্রস্তাবিত সোনাদিয়া দ্বীপের আয়তন কত?

উত্তর : গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত সোনাদিয়া দ্বীপের আয়তন ৯ বর্গ কিলোমিটার। 

৪. বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা কোনটি?

উত্তর : মহেশখালী বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ।

আরও পড়ুন- 

মাদারীপুরের দর্শনীয় স্থান

মন্তব্য করুন