নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা
ভ্রমণপিপাসু মানুষের ছুটি থাকলেই মন যেন ছুটতে চাই ভ্রমণের পথে। ভ্রমণের জন্য অনেকেই কক্সবাজার বান্দরবান সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে চান। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এবং মিরসরাই এর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে অসংখ্য সুন্দর ঝিরি এবং ঝরনা যা অনেকেই জানে না।
নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা ঠিক তেমনি একটি দর্শনীয় স্থান যেখানে এই ঝরনার সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য প্রতিবছর মানুষ এখানে যায়। নাপিত্তাছড়া ঝর্ণার অবস্থান চট্টগ্রামের মিরসরায়ে। এটি পাহাড়ে অবস্থিত একটি জলপ্রপাত।
আরও পড়ুনঃ সন্দ্বীপ ভ্রমণ (চট্টগ্রাম) যাওয়ার উপায়, ক্যাম্পিং এবং খরচ
নাপিত্তাছড়া ঝর্ণার স্বরূপ
নাপিত্তাছড়া (napittachora waterfall) হলো একটি ঝিরি ট্রেইল। এই সিড়িতে রয়েছে ক্যাসকেড, ঝর্ণা এবং খুম। ঝরনাটি খুব সুন্দর বিশেষ করে যারা প্রাকৃতিক দৃশ্যে চোখ জুড়তে চান তাদের জন্য এটি বেস্ট। যাদের খুব ভালো হাঁটার অভ্যাস রয়েছে বাট ট্রেকিং করতে ভালো পারেন তারা চাইলে একদিনের মধ্যেও ঘুরে আসতে পারেন।
এখানে রয়েছে কুটিকাটা খুম, বাঘবিয়ানি শৈলী, বান্দর খুম, টিপড়া খুম এগুলো মূলত ট্রেইলের মূল আকর্ষণ। টিপরা ঝর্ণা, নরদুয়ারি বা উঠান এই তিনটি নামে পরিচিতি পেয়েছে এই ঝর্ণাটি। আবার উঠান ঝর্ণাকে নাপিত্তাছড়া ঝর্ণাও বলা হয়। এখানে তিনটি ঝর্ণা রয়েছে। সেগুলি হল কুপিকাটাখুম ঝর্ণা, মিঠাছড়ি ঝর্ণা এবং বান্দারকুম বা বান্দারীছড়া ঝর্ণা। বান্দারকুম ঝর্ণাকেই মূলত নাপিত্তাছাড়া ঝর্ণা (napittachora waterfall) বলা হয়।
আর এই ঝর্ণা গুলি দেখতে যাওয়ার জন্য যে ঝিরিপথ পাড়ি দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাকে বলে নাপিত্তাছড়া ট্রেইল। বর্ষার সময় এই ঝর্ণায় পানির প্রবাহ উপচে পড়ে। এই ঝর্ণার পানি অনেকটা শীতল এবং জলপ্রপাতের অংশ গভীর। এই এলাকায় মারমা উপজাতীয় মানুষ বসবাস করে। বাঢ়বিয়ানী ঝর্ণার অবস্থানও এই এলাকায়।
নাপিত্তাছড়া ঝর্ণার ইতিহাস
এই ঝরনাটি পাহাড়ের কোল ভেসে যেতে হয় টিপরাখুমের এর মধ্য দিয়ে। মূলত ত্রিপুরা অধিবাসীরা অবস্থান করে এখানে। তাই একে বলা হয় টিপরাখুম।
নাপিত্তাছড়া ঝর্ণার অবস্থান
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলাতে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত নরদুয়ারী বাজারের পূর্ব দিকে পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এই নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত নরদুয়ারী বাজার। এই মহাসড়ক হতে নাপিত্তাছাড়া ঝর্ণায় পৌঁছাতে ৫০ থেকে ৬০ মিনিটের মত লাগবে।
নাপিত্তাছড়া ঝর্ণায় যাওয়ার উপযুক্ত সময়
এই ঝর্ণা দেখার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হল বর্ষাকাল। তবে বর্ষাকাল ছাড়াও তাছাড়া ঝর নাই সব সময় পানি প্রবাহ থাকে তবে বেশি থাকে বর্ষাকালে। কিন্তু বর্ষাকালে বিপদ থাকে বেশি। সবচেয়ে উত্তম হয় বর্ষাকালে না গিয়ে বা পরে যাওয়া এতে নিরাপত্তা থাকে বেশি। চেয়ে সুন্দর ভিউ দেখতে পাবেন সেপ্টেম্বর অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসে গেলে।
হালকা হালকা শীত তার সঙ্গে পাহাড়ি ঝর্ণার মেলবন্ধন পরিবেশটাকে মাধুর্যময় করে তোলে। তাই এই সুন্দর দৃশ্য দেখতে চাইলে এই সময় যাওয়া উপযুক্ত।
নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা – ভ্রমন গাইড
যারা নাপিত্তাছড়া ঝর্ণায় (napittachora waterfall) প্রথমবারের মতো যাচ্ছেন অথবা সমস্যা না থাকলে গাইড নিতে পারেন। নয়া দুয়ারী বাজারে গেলে স্থানীয় অভিজ্ঞ সম্পন্ন গাইড পাবেন। গাইড ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মতো নিতে পারে।
তবে এই আর্টিকেল এ আমরা কিছু ধারনা দেব আপনার সুবিধার জন্য। প্রথমে আপনাকে চট্টগ্রামের মিরসরাই এর নরদুয়ারী বাজারে যেতে হবে। সেখান থেকে পূর্ব পাশে পাহাড়ের দিকে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে। আপনি ওই রাস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটার পর একটি রেললাইন পাবেন।
রেললাইনকে ক্রস করে একটু সামনে গেলে নাপিত্তাছড়া পাড়া পাওয়া যাবে। এখান থেকেই পাহাড়ি এবং ঝিরিপথে ট্রেকিং শুরু করতে হবে। ট্রেইল শুরুর জায়গাতে কিছু খাবারের হোটেল পেয়ে যাবেন। এখানে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে পারবেন।
তবে ট্রেকিং করার জন্য একটু বাঁশের লাঠি হলে খুব ভালো হয়। সেটিও আপনি পেয়ে যাবেন এই হোটেল গুলোতে মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে। এটি আপনার বেশ কাজে দিবে ও হাঁটতে সুবিধা হবে। ট্রেকিং করার শুরুতেই ট্রেইলের টিপরা খুমের দেখা মিলবে। মূলত এটি একটি ক্যাসকেড। টিপরা খুমের ওপরেই রয়েছে কুপিকাটা খুন। তবে এই খুম বেশ গভীর।
কুপিকাটা পাহাড়ে ওঠার পর আবার ঝিরিতে নেমে সামনে গেলে পাবেন আরো একটি ঝিরি। এই ঝিরি ধরে তিরিশ মিনিট যাওয়ার পর শেষ মাথায় পাবেন বাঘ বিয়ানি ঝর্ণা। সেই ঝর্ণা দেখে আগের ঝিরি দিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে পাবেন কিছু সুন্দর ক্যাসকেড আর শেষে পাবেন বান্দর খুম ঝরনার। আর এই বান্দর খুম ট্রেইলের সবচেয়ে সুন্দর ঝর্ণা । এখান থেকে আগের পথ ধরে ফিরে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
আপনি চাইলে এই ট্রেইল দেখা দিনে দিনে শেষ করতে পারবেন কোথাও থাকার প্রয়োজন হবে না। তবে ধীরেসুস্থে ভালোভাবে ঘুরতে চাইলে হোটেলে থাকতে পারেন। নয়দুয়ারী বাজার থেকে সীতাকুণ্ড বাজারে একটু ভালো মানের হোটেল রয়েছে, হোটেল সাইমন ও সৌদিয়া নামে।
সেখানে থাকতে ভাড়া পড়বে ৪০০ থেকে ১৬০০ টাকার মত। সম্প্রতি সীতাকুন্ড পৌরসভার ডিটি রোডে চালু হয়েছে হোটেল সৌদিয়া এবং এই হোটেল এ বুকিং দিতে ফোন করতে পারবেন ০১৮১৬-৫১৮১১৯, ০১৯৯১-৭৮৭৯৭৯ এই দুই নম্বরে। এছাড়া আরো ভালো মানের হোটেলে থাকতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি বা চট্টগ্রাম মেইন শহরে।
কিভাবে যাবেন নাপিত্তাছড়া ঝর্ণায়
আপনি যদি নাপিত্তাছড়া ঝর্ণায় (napittachora waterfall) যেতে চান তবে বাংলাদেশের যেকোনো জেলা থেকে সহজে যেতে পারবেন। তবে আপনি যেখানে ফোন করুন না কেন সেখান থেকে প্রথমে আপনাকে ঢাকায় আসতে হবে অথবা আপনার জেলা থেকে ট্রেন বা বাস থাকলে সরাসরি চট্টগ্রামে চলে আসুন।
ঢাকা থেকে বাসে
ঢাকার যেকোন জায়গা হতে চট্টগ্রাম বাসে নাপিত্তাছড়া ঝর্ণায় যেতে পারবেন। সৌদিয়া, ইউনিক, এস আলম, শ্যামলী, ঈগল, এনা, হানিফ প্রভৃতি পরিবহনের নন এসি ভাড়া হবে ৪২০ থেকে ৪৮০ টাকা। এসি বাসের মধ্যে সৌদিয়া, গ্রীন লাইন, টি আর এই বাসগুলির ভাড়া হবে ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা। আপনার পছন্দ অনুযায়ী বাস করে চট্টগ্রামের মিরসরাই এর নয়দুয়ারী বাজারে চলে যেতে হবে।
ঢাকা থেকে ট্রেনে
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ট্রেনের মাধ্যমেও যাওয়া যায়। চট্টগ্রামগামী যেকোনো আন্তঃনগর ট্রেনে ফেনী স্টেশনে যেতে হবে। শ্রেণী ভেদে ট্রেন ভাড়া হবে জনপ্রিতি ২৬৫ থেকে ৮০০ টাকা। ফেনী স্টেশন হতে ১০ থেকে ১৫ টাকা দিয়ে রিক্সা বা অটো করে ফেনী মহিপাল বাস স্ট্যান্ডে যেতে হবে। সেখান হতে লোকাল বাস বা লেগুনার মাধ্যমে মিরসরাইয়ের নয়দুয়ারী বাজারে আপনাকে যেতে হবে।
মিরসরাই থেকে নাপিত্তছাড়া
চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেইট হতে লোকাল বাস করে মিরসরের নয় দুয়ারী বাজারে আসতে ভাড়া লাগবে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। নয়দুয়ারী বাজারে নেমে স্থানীয় একজন অভিজ্ঞ গাইড নিতে পারেন। গাইড হয়তো ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মত ভাড়া নিতে পারে আবার চাইলে গাইড ছাড়াও নাপিত্তাছাড়া ঝর্ণায় (napittachora waterfall) যেতে পারবেন। নয়দুয়ারী থেকে হেঁটে যেতে চাইলে সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মতো।
আরও পড়ুনঃ ভিন্ন জগৎ, রংপুর
নাপিত্তাছড়া ট্রেইলের তিন ঝর্ণা
নাপিত্তাছড়া (napittachora waterfall) ট্রেইলের বৈচিত্র্যময় তিনটি ঝর্ণা দেখার জন্য মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে চট্টগ্রামের মীরসরাই এ। চট্টগ্রাম শহর হতে নাদুয়ার বাজারটি অতিক্রম করলে শুরুতেই নিজামপুর অতিক্রম করতে হবে। গাড়ি থেকে নামার পরে পাশে একটি সুন্দর স্থানীয় মসজিদ ও তার সঙ্গে কয়েকটি দোকান দেখতে পাবেন।
রাস্তার অপর পাশেই দেখতে পাবেন নাপিত্তাছড়া জলপ্রপাত নামে ঝোলানো একটি ব্যানার। এখান থেকেই শুরু হবে নাপিত্তাছাড়ার রাস্তা। নাপিত্তাছড়া বলতে একটি ঝর্ণা মনে হলেও মূলত তিন ধরনের ঝর্ণাকে বোঝায়। ঝর্ণাগুলোতে যাওয়ার ছড়া, ঝিরিপথ সব মিলিয়ে বলা হয় নাপিত্তাছড়া ট্রেইল।
এই ঝরনা তিনটির নাম নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি থাকলেও এগুলো কুপিকাটা খুম, মিঠাছড়া ও বাঘবিয়ানি নামে পরিচিত। পাহাড়ি পথে ২০ মিনিটের মত হাঁটলে কুপিকাটাখুম ঝর্ণা পেয়ে যাবেন প্রথমে। এ ঝরনাতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে। গভীরতা বেশি খাওয়ার জন্য সামনে যেতে চাইলে সাঁতার কেটে।
নাপিত্তাছড়ার প্রথম আকর্ষণ হল কুপিকাটাখুম। বাকি দুইটি বাগ বিয়ানী ঝরনা ও মিঠাছড়া ঝর্ণায় যেতে হলে কুপিকাটাখুম ঝরনার বামদিকে পাহাড়ের খাড়া ঢাল দিয়ে বেয়ে উপরে উঠতে হবে। স্থানীয় মারমা অধিবাসীদের ছোট ছোট টং দোকান সেখানে পাবেন।
এখানে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষই মারমা। তবে কয়েক চাকমা পরিবার রয়েছে। বাকি ঝরনা গুলোতে পাহাড়ি পথ দিয়ে ঝিরি পথে নামতে হবে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাটার পর একটি পয়েন্ট পেয়ে যাবেন। সেখানে দুইটি পথ পাবেন সোজা যে পথটি গেছে সেটি মিঠাছড়া যাওয়ার পথ।
আর বাম দিকের পথটি দিয়ে বাঘ বিয়ানি ঝরনাই যাওয়া যায়। বাঘ বিয়ানী ঝরনায় যেতে চাইলে আগের টার্নিং পয়েন্ট হতে গিরিপথ ধরে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট হেঁটে গেলে পৌঁছে যাবেন। তবে এ পথটি খুব একটা মসৃণ নয়।
নাপিত্তাছড়া ঝরনাসহ (napittachora waterfall) এই তিনটি ঝর্ণার বৈশিষ্ট্য যেন আলাদা আলাদা। আলাদা বৈশিষ্ট্যই মানুষের মন কাড়ে। এই ঝর্ণা গুলির সবচেয়ে মোহনীয় সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় বর্ষাকালে যদিও এই সময় ঝুঁকি একটু বেশি থাকে।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
নাপিত্তাছাড়া ঝর্ণা (napittachora waterfall) দেখতে গিয়ে আশেপাশের আরও অনেক দর্শণীয় স্থান দেখতে পাবেন। এর কাছাকাছি অনেকগুলো চিত্তাকর্ষক জায়গা রয়েছে। সবগুলি জায়গা কভার করার জন্য সময় নিয়ে আপনাকে ট্যুর প্লান করতে হবে। এখানকার আশেপাশের জনপ্রিয় কিছু টুরিস্ট স্পটের নাম গুলি হল-
- চন্দ্রনাথ পাহাড়
- সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক
- কমলদহ ঝর্ণা
- বাঁশবাড়িয়া বীচ
- ঝিরিঝিরি ঝরনা
- গুলিয়াখালি বীচ
- নাপিত্তাছড়া ট্রেইল
- নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা
- কুমিরা সন্দীপ ফেরিঘাট
- খৈয়াছড়া ঝর্ণা
- সুপ্ত ধারা ও সহস্র ধারা নামে দুইটি মায়াবী জলপ্রপাত
নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা ভ্রমণে সতর্কতা ও কিছু পরামর্শ
- ময়লা আবর্জনা বা নোংরা এখানে সেখানে না ফেলে অবশ্যই নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবেন।
- যেহেতু ট্রেকিং করতে হবে তাই এমন জুতা পড়বেন না যাতে পিচ্ছিল হয়। বরং ভালো মানের গ্রিপের জুতা পড়বেন।
- যদি দেখেন আবহাওয়া অতিরিক্ত খারাপ তবে সাবধান হবেন কেননা খারাপ আবহাওয়ার কারণে অনেক সময় আটকা পড়তে পারেন।
- বৃষ্টির সময় হলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে কেননা এ সময় রাস্তা অনেক পিচ্ছিল থাকে।
- যেহেতু জায়গাগুলি অনেকটা পরিষ্কার নয় গাছ-গাছালি ও ঘাসে ভরপুর জোঁক থাকার সম্ভাবনা আছে।
- ফোনের চার্জ যেকোনো সময় চলে যেতে পারে। তাই সঙ্গে পাওয়ার ব্যাংক রাখুন এবং একটি টর্চ লাইট রাখুন।
- এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকবে না তাই একটু বেশি সচেতন থাকতে হবে যাতে কোন প্রকারের সমস্যা না হয়।
- অতিরিক্ত ওজন যাতে না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
- অবশ্য সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ রাখবেন। অবশ্যই ব্যান্ডেজ বা ডেটল জাতীয় অ্যান্টিসেপটিক সঙ্গে নিবেন যেকোনো কাটা-ছেঁড়াই কাজে দেবে।
- বয়স্ক মানুষ ও ছোট বাচ্চাদের এই ট্রেনের না নিয়ে যাওয়া সবচেয়ে ভালো।
- সাঁতার যদি না জেনে থাকেন সেক্ষেত্রে লাইট জ্যাকেট সাথে রাখতে পারেন।
- পাহাড়ে যাবেন ট্র্যাক করতে হবে সঙ্গে দড়ি রাখা ভালো।
- স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কোন প্রকারের খারাপ আচরণ করবেন না।
উপসংহার
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের কাছে পাহাড় যেমন আকর্ষণীয় তেমনি ঝরনা। আর এই দুই বিষয় যখন একসঙ্গে দেখার সুযোগ হয় তখন চোখের প্রশান্তি যেন আরো বেড়ে যায়। সীতাকুণ্ড ও মীরসরাই অঞ্চলে বিভিন্ন ঝর্ণার দর্শনীয় স্থান রয়েছে। খৈয়াছড়া ঝর্ণার পর সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আনাগোনা হয় নাপিত্তাছড়া ঝরনা (napittachora waterfall) দেখার জন্য। নাপিত্তাছড়া ঝর্ণার সৌন্দর্য এবং রূপ লাবণ্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভীড় জমান। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই আধুনিক সময়ে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে খুব সহজেই আপনি এখানে চলে আসতে পারবেন এবং উপভোগ করতে পারবেন এই অনিন্দ্য সৌন্দর্য নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা।
আরও পড়ুন-
ইতালির ভিসা । বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
মাদারীপুরের দর্শনীয় স্থান