সাইরু হিল রিসোর্ট, বান্দরবান

সাইরু হিল রিসোর্ট

বাংলাদেশের মধ্যে স্বপ্নের মতো একটা রিসোর্ট আছে সেটা আমাদের অনেকের অজানা। তাও আবার পাহাড়ি রিসোর্ট। বিদেশের কোনো এক রিসোর্টের অংশ বলে মনে হয়। দেখলে মনে হবে নেপালের নাগরকোটের মতো। আমরা বলছিলাম সাইরু হিল রিসোর্ট এর কথা যেটা বান্দরবানে অবস্থিত।

এখানে ঝর্ণা-পাহাড়, আকাশ-মেঘ এবং প্রকৃতির আরো সৌন্দর্য যেমন মুগ্ধ করে। তেমনি রেস্টুরেন্টের সাজানো গুছানো পরিবেশ দেখে মন জুড়িয়ে যায়। অবকাশে ছুটি কাটানোর জন্য এবং মনকে প্রফুল্ল করতে এখানে ঘুরে আসতে পারেন।

এর আশেপাশেও মনোমুগ্ধকর আরো প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে। যেটা দেখলে মনে প্রশান্তি আসে। বাচ্চারা অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারবে। এখনই পরিকল্পনা করুন। ঘুরে আসুন বান্দরবান। সাইরু হিল রিসোর্ট (sairu hill resort) সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

আরও পড়ুনঃ ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাট

Table of Contents

সাইরু হিল রিসোর্টের উৎপত্তি

এই রিসোর্টের পেছনে একটা কাহিনী রয়েছে। অনেক দিন আগে বান্দরবানে দূরবর্তী কোনো এক অঞ্চলের পাহাড়ি বংশের রাজার মেয়ের নাম সাইরু ছিল। কুমারী মেয়েটি অন্য পাহাড়ি উপজাতির ছেলের সাথে সম্পর্কে  জড়িয়ে পড়ে। সম্পর্কটি কেউ মেনে নেয়নি। এক কুমারী মেয়ের সাথে ছেলেটার জোর করে বিয়ে দেয়া হয়।

কষ্টে সাইরু বনেজঙ্গলে একা একা ঘুরে বেড়াতে থাকে এবং আর কখনও ফেরে নি। সেই থেকেই সাইরু হিল রিসোর্টের (sairu hill resort) নামকরণ করা হয়। জায়গাটিকে সাইরু পয়েন্ট বলা হয়ে থাকে।   

সাইরু হিল রিসোর্টের পরিচালক

সুন্দর এই সাইরু হিল রিসোর্টের জমি ম্রো উপজাতির একজন হেডম্যানের। যার নাম মিঃ রাংলাই ম্রো।

সাইরু হিল রিসোর্টের দর্শনীয় স্থানসমূহ 

মিলনছড়ি

বান্দরবান থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ পূর্ব বরাবার চিম্বুক অথবা শৈলপ্রপাত যাওয়ার রাস্তায় পড়ে। এখান থেকে সাঙ্গু নামের নদী দেখা যায়। যেটা সাপের মতো আঁকাবাঁকা হয়ে বয়ে চলেছে।

চিম্বুক পাহাড়

বান্দরবান শহর থেকে ২৬ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত চিম্বুক পাহাড়। এখান থেকে নয়নাভিরাম সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। চিম্বুক পাহাড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫০০ ফুট উচ্চতায়।

মেঘলা 

লেক- মেঘলা বান্দরবান শহর থেকে ৪ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। কৃত্রিম লেক কে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। লেকের চারপাশে উঁচু নিচু পাহাড় ও সবুজ গাছপালা দ্বারা পরিবেষ্টিত। এর উপর ২ টা ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। 

শৈলপ্রপাত ঝর্ণা

বান্দরবান শহর থেকে ৮ কিঃমিঃ দূরে থানচি রোডের পাশেই অবস্থিত। শৈলপ্রপাত ঝর্ণার ঠান্ডা ও স্বচ্ছ পানি দেখার জন্য পর্যটকদের পুরো বছর জুড়েই ভিড় লেগে থাকে।

স্বর্ণ মন্দির

বান্দরবান শহরের বালাঘাটায় স্বর্ণ মন্দির এর অবস্থান। বাংলাদেশের মধ্যে ২য় বৃহত্তম বুদ্ধ মুর্তি রয়েছে স্বর্ণ মন্দিরে।

নীলাচল

বান্দরবান শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। টাইগাড় পাড়ার পাহাড়ের চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র। এটা বাংলার দার্জিলিং। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ষোলশ ফুট উঁচুতে এর অবস্থান। বর্ষা, শরৎ ও হেমন্ত এই তিন ঋতুতে মেঘাে স্পর্শ করা যায়। 

নীলগিরি

বাংলাদেশের দার্জিলিং হচ্ছে নীলগিরি। বান্দরবান শহর থেকে ৫০ কিঃমঃ দূরে অবস্থিত। ২২০০ ফুট উঁচুতে সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র। 

ট্যুর বুকিং এর জন্য যোগাযোগ: ০১৮৪২৪৯৯০৮৮

কিভাবে যাবেন সাইরু হিল রিসোর্ট

ঢাকা থেকে বান্দরবান রুটে চলাচল করে ঢাকার (ক) আরামবাগ (খ) আব্দুল্লাহপুর (গ) শ্যামলী  (ঘ) হানিফ  (ঙ) সৌদিয়া পরিবহন (চ) সেন্টমার্টিন পরিবহন ইত্যাদি বাস বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসব বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৭০০-১৬০০ টাকা।  

(১) এসি বাস

শ্যামলী অথবা সেন্টমার্টিন পরিবহন-ইকোনমি ক্লাস (হিনো ২/২ সিট) – মূল্য= ৯৫০ টাকা।

বিজনেস ক্লাস (হুন্দাই ১/২ সিট) – মূল্য= ১৫০০ টাকা।

(২) নন- এসি বাস 

হানিফ ,শ্যামলী, সৌদিয়া পরিবহন (হিনো ২/২ সিট) – মূল্য= ৬২০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)।

প্রাইভেট কারে যেতে চাইলে ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা লাগবে।

ট্রেনের যাত্রা আরামদায়ক।  আপনি চাইলে ট্রেনে যেতে পারবেন। চট্টগ্রামগামী ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে (ক) সোনার বাংলা (খ) সুবর্ণ এক্সপ্রেস (গ) তূর্ণা নিশিতা (ঘ) মহানগর (ঙ) প্রভাতী (চ) মহানগর গোধূলি ট্রেনে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। ট্রেনের ভাড়া শ্রেণীভেদে ৩৪৫-১২২৯ টাকা।

চট্টগ্রামে নেমে দামপাড়া বাসা স্ট্যান্ড অথবা বিআরটিসি থেকে ১০০-৩০০ টাকার মধ্যে বান্দরবান যাওয়া যায়। আপনি চাইলে আকাশপথে চট্টগ্রাম আসতে পারেন। এবং উপরের নিয়মে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানে যেতে পারবেন সড়কপথে। 

বান্দরবান শহরে এসে জিপ বা চান্দের গাড়ি অথবা সিএনজি তে করে সাইরু হিল রিসোর্ট এ যেতে হবে। প্রায় ৪৫ মিনিট অথবা ১ ঘন্টা লাগবে। আপনি যদি রিজার্ভ জিপ ভাড়া করেন ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা এবং সিএনজি তে যেতে চাইলে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা।

কোথায় থাকবেন

সাইরু হিল রিসোর্ট (sairu hill resort) এ আগে রুম বুকিং না করলে ঘুরতে যাওয়া যায় না। সাইরু অনেক জনপ্রিয় বলে ১ মাস আগে যোগাযোগ করাটাই উত্তম। সপ্তাহের ছুটির দিনে প্রচুর ভিড় জমে। এজন্য সপ্তাহের ছুটির দিন বাদে অন্য কোনো দিন ঘুরতে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এতে করে ২ টা সুবিধা হবে।

নিরিবিলি ঘুরতে পারবেন এবং কিছু ডিসকাউন্টেও পেয়ে যাবেন। অনন্য সুন্দর এই রিসোর্ট টিতে শুক্রবার ও শনিবারে ২০% এবং রবিবার ও বৃহস্পতিবারে ৩৫% রেগুলার রুম ভাড়ার উপর নির্ভর করে ডিসকাউন্ট। যদি আরো ৫% ডিসকাউন্ট পেতে চান তাহলে হিলি হেভেন বান্দরবানের মাধ্যমে বুকিং করতে পারেন। বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন-

হিলি হেভেন বান্দরবান- ০১৮৭৮৯০০৯০০

যদি খাবার খেতে চান রিসোর্টে সেক্ষেত্রে যাওয়ার ১ ঘন্টা আগেই যোগাযোগ করে অর্ডার করতে হবে। 

রুম বুকিং এর জন্য – ০১৫৩১৪১১১১১, ০১৫৩১৪২২২২২

সকাল ১০ টা থেকে ৫টার মধ্যে যোগাযোগ করুন।

ফেসবুক পেইজ- সাইরু রিসোর্ট

ওয়েবসাইট- Sairuresort.com

ইমেইল- info@sairuresort.com

আরও পড়ুনঃ কুসুম্বা মসজিদ , নওগাঁ

হোটেল ভাড়া

সাইরু হিল রিসোর্ট (sairu hill resort) এ খরচ অনেক বেশি। চার ধরনের বিশটি কটেজ আছে থাকার জন্য। কটেজ থেকে ভিউ এবং নানারকম সুযোগ সুবিধার জন্য রয়েছে দামের পার্থক্য। প্রতিদিন ভাড়া লাগে দশ হাজার থেকে  সতেরো হাজার টাকা।

এখানে ৫ ক্যাটাগরির রুম রয়েছে। 

প্রিমিয়াম-

  • বয়ষ্ক ২ জন ও ২ জন বাচ্চা 
  • অতিরিক্ত বেড নিলে দুই হাজার টাকা দিতে হবে।
  • শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত 
  • বেলকনি
  • এটাস্ট বাথরুম
  • ভাড়া- ১৬০০০ টাকা (প্রতি রাত)

এক্সিকিউটিভ-

  • বয়ষ্ক ২ জন ও ২ জন বাচ্চা
  • অতিরিক্ত বেড নিলে দুই হাজার টাকা দিতে হবে।
  • শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত
  • বেলকনি
  • এটাস্ট বাথরুম
  • ভাড়া- ১৪০০০ টাকা (প্রতি রাত)

সাঙ্গু ভিউ উইথ টেরেস-

  • তিন জন থাকতে পারবে
  • অতিরিক্ত বেড নেওয়া যাবে না। 
  • শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত
  • বেলকনি
  • এটাস্ট বাথরুম
  • ভাড়া- ১২০০০ টাকা (প্রতি রাত)

সাঙ্গু ভিউ-

  • তিন জন থাকতে পারবে
  • অতিরিক্ত বেড নেওয়া যাবে না। 
  • শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত
  • বেলকনি
  • এটাস্ট বাথরুম
  • ভাড়া- ১০০০০ টাকা (প্রতি রাত)
  • কিং সাইজের বেড ফ্যামিলি থাকা যাবে। 

কটেজ রুম

সর্বোচ্চ দশ জন এক রুমে থাকতে পারবেন। এক রুমের এক রাতের জন্য ভাড়া সর্বনিম্ন দশ হাজার ও সর্বোচ্চ পঁচিশ হাজার। প্রতিটি রুমে বুফে ব্রেকফাস্ট প্রযোজ্য। ফ্রী ওয়াইফাই রয়েছে। 

নব দম্পতি অথবা ছোট ফ্যামিলি থাকতে পারবে। হোটেল রুমে সর্বোচ্চ ২ জন থাকতে পারবে। ছোট বাচ্চা (৭-৮ বছর) ২ জন থাকতে পারবে।

  • ছয়শো স্কয়ার ফিটের রুমে কিং সাইজের বেড।
  • শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম।
  • রুমের সাথে এটাচ বাথরুম ও বেলকুনি।
  • আর সাথে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
  • ১৫০০ টাকা খরচ হবে অতিরিক্ত বেড নিতে।

হোটেলে খাওয়া দাওয়া

প্রথম দিন –সকালের নাস্তায়-

  • খিচুড়ি 
  • ডিম ভুনা
  • আচার
  • চা
  • মিনারেল ওয়াটার

দুপুরের খাবার মেনু-

  • সাদা ভাত
  • রুই মাছ
  • অথবা মুরগির গোশত
  • ভর্তা
  • সবজি
  • অথবা শুটকি
  • ডাল
  • মিনারেল ওয়াটার

রাতের খাবার মেনু [আদিবাসীদের খাবার]-

  • বিশেষ ভাত
  • মাছ ফ্রাই
  • ব্যাম্বো চিকেন
  • ডাল
  • পাহাড়ি সবজি
  • সালাদ
  • মিনারেল ওয়াটার

দ্বিতীয় দিন – সকালের নাস্তায় [বুফে নাস্তা]-

  • পরোটা
  • সবজি
  • ২ প্রকারের ডিম
  • বুটের ডাল
  • হালুয়া
  • কেক
  • ব্রেড
  • জেলি
  • বাটার 
  • ফল
  • চা 
  • কফি

দুপুরের খাবার মেনু-

  • সাদা ভাত
  • গরুর গোশত
  • ডিম কারি
  • সালাদ
  • মিনারেল ওয়াটার

রাতের খাবার মেনু-

  • পরোটা (যত ইচ্ছে তত)
  • চিকেন বারবিকিউ 
  • সবজি
  • সফট ড্রিংকস
  • সালাদ
  • মিনারেল ওয়াটার

এখানে, খাবারের সুবিধাসমুহ –

  • সাত ধরনের স্ন্যাক্স
  • পাঁচ ধরনের স্যুপ
  • বিশ ধরনের দেশি খাবার
  • পাঁচ ধরনের খিচুড়ি 
  • পাঁচ ধরনের বিরিয়ানি
  • বারো ধরনের চাইনিজ আইটেম
  • দশ ধরনের বারবিকিউ আইটেম 
  • ষোলো ধরনের বেভারেজ আইটেম
  • পাঁচ ধরনের ডেজার্ট আইটেম
  • কয়েক ধরনের সিজনাল জুস
  • এগারো ধরনের ট্রেডিশনাল আইটেম

এখানকার খাবার গুলো মান সম্মত ও স্বাস্থ্যকর। খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে একজনের দুপুরের খাবার অথবা রাতের খাবার হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনঃ সিলেটের সেরা কিছু হোটেল ও রিসোর্ট

সাইরু হিল রিসোর্টে সুযোগ সুবিধাসমূহ

এটা মনে রাখতে হবে যে, সুযোগ সুবিধা গুলো সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন হতে পারে। নতুন কিছু যুক্ত হতে পারে। তবে যেগুলো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে কিছুর তালিকা নিচে দেওয়া হলো-

  • রেস্তোরাঁ সুবিধা- অন সাইটে ডাইনিং এর বিকল্প গুলো সাধারণ। 
  • ওয়াইফাই সেবা রিসোর্টটিতে ওয়াইফাই সংযোগ আছে।
  • শিশুদের পরিষেবা– শিশুদের আলাদা যত্ন ও খেলাধুলার জায়গা রয়েছে। 
  • সুইমিং পুল – রিসোর্টটিতে ইনফিনিটি সুইমিং পুল আছে। ১৮০০ ফুট উচ্চতায় আরাম করে পানিতে উপভোগ করতে পারবেন।
  • আউটডোর ক্রিয়াকলাপ– এখানে বিভিন্ন অবস্থানের উপর নির্ভর করে প্রকৃতিতে খেলাধুলার মতো আউটডোর ক্রিয়াকলাপ গুলো অফার করতে পারে।
  • মিটিং এবং ইভেন্ট স্পেস– ব্যবসা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের স্পেস রয়েছে। 
  • কনসিয়ারেজ পরিষেবা– বুকিং ট্যুর ও অতিথিদের সহায়তা করার জন্য পরিষেবা অফার করে থাকে।

সাইরু হিল রিসোর্টে চেক ইন এবং চেক আউটের সময়

সাইরু হিল রিসোর্টে (sairu hill resort) চেক ইন করার সময় হচ্ছে যোহরের পর দুপুর ১:৩০ মিনিট। অথবা এর পরেও হতে পারে।

চেক আউটের সময় হচ্ছে দুপুর ১২:৩০ মিনিটে। যদি রিসোর্টে থাকার পরিকল্পনা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাদের চেক ইন এবং চেক আউটের সময় তাদের সাথে থাকা এবং তাদের নীতিমালা গুলো সম্পর্কে জানতে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে ভালো হয়। এতে খুব ভালো ভাবে রিসোর্টে কাটাতে পারবেন।

সাইরু হিল রিসোর্টে পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগ

বিশ্বের বেশিরভাগ রিসোর্ট গুলো প্রকৃতি বাঁচিয়ে রাখতে পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকৃতিকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে ফেলেছে। 

যেসব উদ্যোগ নিয়েছে –

  • প্রকৃতি সংরক্ষণ– সাইরু হিল রিসোর্ট এর চারপাশে যেসব গাছপালা পশু পাখি রয়েছে সেগুলো যত্ন করে পুনরুদ্ধার করে সংরক্ষণ করছে। 

অগভীর ছোট জলাশয় খনন করে সেখানে শাপলা ও পদ্ম থাকতে পারে। জলাশয়ের চারপাশে বেড়া থাকবে। এর চারপাশে বয়ষ্ক ও শিশুরা নিরাপদে ঘুরতে পারবে।

  • ইকো ট্যুর ও শিক্ষা– ইকো ট্যুরের ব্যবস্থা রাখা। প্রাকৃতিক পরিবেশ সচেতনতা ও পর্যটকদের সংরক্ষণ সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া।

পরিশেষে

বান্দরবানের এক্সপেন্সিভ রিসোর্টটির নাম হলো সাইরু হিল রিসোর্ট (sairu hill resort)। মনোমুগ্ধকর সবুজ পাহাড়ের ভিতরের রিসোর্টটি প্রকৃতি প্রেমী এবং প্রশান্তি খোঁজা ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য খুবই জনপ্রিয়। সাইরু হিল রিসোর্ট অনন্য প্রকৃতির শাসরুদ্ধকর এক রিসোর্ট। শীতকালে মনে হয় কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে চারিদিক।

এমনকি মনে হয় নিজেকেও কেউ জড়িয়ে রেখেছে কুয়াশার চাদর দ্বারা। সকালে ঘুম থেকে উঠলেই টেরেসের দরজার মেঘের শুভ্র বাহার উঁকি দিবে। তাই একবার ঘুরে আসুন।

সাইরু হিল রিসোর্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ’s

১. কোন সময় সাইরু হিল রিসোর্টে ভ্রমণ করা আরামদায়ক?

উত্তর: সাইরু হিল রিসোর্ট এতো অনন্য সুন্দর একটা স্থান যেখানে সব সময়ই ভ্রমণ আনন্দদায়ক। তবে বর্ষাকালে গেলে ভালো সময়। শীতকালেও এর সৌন্দর্য দেখতে মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। 

২. সাইরু হিল রিসোর্টে নিরাপত্তা কতটুকু?

উত্তর: নিরাপত্তা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। 

৩. সাইরু হিল রিসোর্টে কিভাবে যাওয়া যাবে? 

উত্তর: ঢাকা থেকে বান্দরবানের বাসে করে বান্দরবান। এরপর ওখান থেকে সাইরু হিল রিসোর্টে যেতে পারবেন।

৪. সাইরুতে ট্রেন অথবা বিমানে যাওয়া যাবে? 

উত্তর: হ্যাঁ যাবে। ট্রেন অথবা বিমানে করে চট্টগ্রামে যেতে হবে। এরপর ওখান থেকে বান্দরবান শহরে গেলে সাইরুতে যেতে পারবেন।

আরও পড়ুন- 

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ পরিকল্পনা

মধুটিলা ইকোপার্ক, শেরপুর

মন্তব্য করুন