টাঙ্গুয়ার হাওর
বিশাল জলরাশির সমাহার ও প্রাকৃতিক কলকাকলিতে মুখরিত বাংলাদেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন হাওর ‘টাঙ্গুয়ার হাওর’। টাঙ্গুয়ার হাওর (tanguar haor) বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার এলাকা। জলজ গাছপালা, শত শত প্রজাতির মাছ, জলজ প্রাণী ও হাজারো প্রজাতির পাখির বিশাল অভয়াশ্রম টাঙ্গুয়ার হাওর।
সুন্দরবনের পরে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট। আজকের আর্টিকেলে আমরা টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়বো। হাওরটির বর্তমান জলমহাল সংখ্যা ৫১ টি। টাঙ্গুয়ার হাওরের আয়তন ৬৯১২.২০ একর, তবে বর্ষার সময়ে হাওরের পানির উচ্চতা বেড়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার ফলে হাওর টির আয়তন ২০,০০০ একরেরও বেশি হয়।
বর্তমানে প্রায় ২০৮ প্রজাতির বিভিন্ন পাখি, প্রায় বারোশো প্রজাতির ব্যাঙ, মাছ রয়েছে ১৪০ প্রজাতির। প্রতি বছর শীতে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ পাখি টাঙ্গুয়ার হাওর(tanguar haor) ভ্রমণ করে বলে অনুমান করেন বিশেষজ্ঞরা। এই হাওরের রয়েছে দুইটি অভয়ারণ্য যাদের নাম বেরবেড়িয়া ও লেউচ্ছামারার বিল, মাঝখানে রয়েছে একটি সুন্দর বিল হাতিরগাতা।
আরও পড়ুনঃ নেপাল ভ্রমন | নেপাল ভ্রমণ খরচ ও ভ্রমন গাইড
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ পরিকল্পনা
টাঙ্গুয়ার হাওর পর্যটকের কাছে নৈসর্গিক দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত, হাওর ভ্রমন, খরচ, যাতায়াত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন আজকে এই ব্লগ।
কিভাবে যাবেন
টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়ার দুইটি পথ রয়েছে
- সুনামগঞ্জ বা তাহেরপুর হয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর
- নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জ থেকে ধর্মপাশা থেকে মধ্যনগর হয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর
ঢাকা টু সুনামগঞ্জ (dhaka to sunamganj bus)
সায়েদাবাদ মহাখালী এবং ফকিরাপুল থেকে প্রতিদিন শ্যামলী, মামুন, হানিফ এবং এনা পরিবহনের মাধ্যমে সরাসরি বাস রয়েছে যা সুনামগঞ্জে যায়। বাসের ভাড়া ৭৫০ টাকা তবে নন এসিতে। ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ পৌঁছাতে প্রায় ছয় ঘন্টা সময় লাগে।
সিলেট টু সুনামগঞ্জ (sylhet to sunamganj bus)
সিলেটে কুমারগাঁও বাস স্ট্যান্ড হতে সুনামগঞ্জ যেতে বাস ভাড়া লাগে ১০০ টাকা আগে দুই ঘন্টার মতো। এছাড়াও আপনি শাহজালাল মাজার থেকে যেতে চাইলে লাইট গাড়ির ভাড়া লাগবে ২০০ টাকা।
সুনামগঞ্জ টু টাঙ্গুয়া
সুনামগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে নেমে সুরমা ব্রিজের উপর দিয়ে তাহিরপুর যাওয়ার জন্য লেগুনা, সিএনজি এবং বাইক পাওয়া যায় এতে সময় লাগবে দেড় ঘন্টা। তাহিরপুর নেমে ঘাটে গিয়ে লোক সংখ্যা অনুযায়ী বড় বা ছোট ধরনের ট্রলার ভাড়া নিতে পারবেন। এছাড়াও এখানে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত অসংখ্য হাউজবোট পাবেন কিন্তু হাউজবোট নিতে চাইলে বুকিং করে রাখতে হবে।
বর্ষার সময় সুনামগঞ্জের সাহেব বাড়ি ঘাট হতে ট্রলার বা হাউজবোট রিজার্ভ করতে পারবেন তাহলে তাহেরপুরে সড়কপথে যেতে দেড় ঘন্টা সময় লাগবেনা। আর শীতকালে লেগুনা, সিএনজি বা বাইকে সোলেমানপুর যেতে হবে এবং সেখান থেকেই ট্রলার ভাড়া করা যাবে।
নেত্রকোণা টু টাঙ্গুয়ার হাওর
ট্রেনে গেলে,
ঢাকা থেকে রাতের হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে মোহনগঞ্জ। মোহনগঞ্জ থেকে অটো/লেগুনা/বাইকে ধর্মপাশা বা সরাসরি মধ্যনগর।
মধ্যনগর থেকে রিজার্ভ ট্রলারে টাঙ্গুয়ার হাওর যেতে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লাগবে। টাঙ্গুয়া যেতে অনেকগুলো ছোট, বড় বিল ও হাওর পাড়ি দিতে হবে।
বাসে গেলে,
ঢাকা থেকে বাসে নেত্রকোণা। এরপর বাইকে মধ্যনগর বাজার। অথবা বাসে সরাসরি মোহনগঞ্জ/ মধ্যনগর বাজার। মধ্যনগর থেকে ট্রলারে টাঙ্গুয়ার হাওর।
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ পরিকল্পনা
দুইদিন এক রাত, তাহিরপুর হয়ে
টাঙ্গুয়ার হাওর (tanguar haor) ভ্রমণ এর শুরুতে হাওড়ে যাওয়ার জন্য দেশের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে করে আপনাকে সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে যেতে হবে। চেষ্টা করবেন রাতের বাসে গিয়ে সকাল সকাল পৌঁছার। এরপর সকালের নাস্তা সেরে সুরমা ব্রিজ হতে লেগুনা, বাইক অথবা সিএনজি নিয়ে তাহেরপুর যাবেন এখানে সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘন্টা।
ঘাট থেকে প্রথমে ট্রলার ঠিক করে নিতে হবে এবং দুইদিন এক রাতের জন্য প্রয়োজনীয় বাজার করে নিতে হবে। হাওরের (tanguar haor sylhet) ছোট ছোট বাজারগুলোতে একদম টাটকা তরতাজা মাছ পাওয়া যায়।
দ্রুত এসব কাজ সম্পন্ন করে সকাল সকালই চলে যাবেন ওয়াচ টাওয়ার। এর মধ্যে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে নিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে। দুপুরের পর টেকেরঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করুন। নীলাদ্রি লেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কাটাতে পারবেন এবং এর মনোরম পরিবেশ উপভোগ করবেন।
যদি হাওরে গোসল না করে থাকেন তবে নীলাদ্রি লেকে গোসল করতে পারেন অথবা দুই জায়গাতে গোসল করতে পারেন মজা করার জন্য তবে খেয়াল রাখবেন লাইফজ্যাকেট যেন গায়ে থাকে।
টেকেরহাট থেকে এবার যাবেন লকমাছড়া। বাইক ভাড়া করে বা পায়ে হেঁটে ঘুরতে পারেন। ঘাট থেকে লকমাছড়া পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। এটি আপনার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা হবে। রাতে টেকেরঘাটে থেকে যাবেন।
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে জাদুকাটা নদী ও বারিক্কা টিলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন কেননা সকালের পরিবেশ হয় স্নিগ্ধ যা আপনার চোখের প্রশান্তির সঙ্গে শরীর ও মনকেও চাঙ্গা করে তুলবে। টেকেরহাট হতে বাইক নিয়ে যাওয়া যায় আবার চাইলে ট্রলারেও যেতে পারেন।
তবে শিমুল বাগান ঘুরে দেখতে পারেন। টেকেরঘাট বেড়িয়ে বিকেলের ভেতরে তাহেরপুর চলে আসুন। পূর্বের মতো বাইক বা সিএনজি অথবা লেগুনায় সুনামগঞ্জে ফিরে আসুন এবং সেখান থেকে সুবিধা অনুযায়ী বাস বা ট্রেনের মাধ্যমে নিজের বাসায় ফিরে যেতে পারবেন।
দিনে গিয়ে দিনে ঘুরে আসা
টাঙ্গুয়ার হাওর (tanguar haor) যদি রাতে থাকতে না চান তবে তাহেরপুর ঘাট থেকে ট্রলার ভাড়া করবেন বিকেল পর্যন্ত। মাঝির সাথে কথা বলে ঠিক করে নিতে হবে আপনি কোন কোন জায়গায় যেতে চান। দুপুরের খাবার হাওর বিলাস রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিতে পারেন তবে আগে থেকে অর্ডার করতে পারলে ভালো হয়।
সারাদিন ঘোরাঘুরি করার পর বিকেল হলে চলে আসবেন তাহিরপুর। এরপর পূর্বের মতোই নিজ গন্তব্যে ফিরতে হবে। তবে ট্রলার ভাড়া করার সময় দামাদামি করে নেবেন।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ
হাউসবোট ট্যুর পরিকল্পনা
যদি আপনি হাউসবোট এর মাধ্যমে ট্যুর (tanguar haor tour plan) করতে চান তবে আপনার কাজ আরো সহজ হবে। আপনাকে শুধু তাহিরপুর বা সুনামগঞ্জ পৌঁছতে হবে। এরপর সবকিছুর দায়িত্ব থাকবে হাউসবোটের ওপর।
হাউসবোট থেকে আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পেতে পারি সেগুলো হলো:
- কেবিনরুম
- হাই-কমোড, লো-কমড
- এট্যাচড কমন ওয়াশরুম
- ইনডোর লাউঞ্জ
- রুফটপ ডাইনিং
- ছাদে ওঠার জন্য সিঁড়ি
- বোটে সোজা হাঁটার মতো উচ্চতা
- লাইফজ্যাকেট
- ফিল্টার পানির ব্যবস্থা
- জেনারেটর সার্ভিস
- নামাজের স্থান
- রুম সার্ভিস
- অভিজ্ঞসম্পন্ন গাইড
- প্রশস্ত বিছানা
- বিশালাকৃতির ছাদ
- সাবান, শ্যাম্পু, হ্যান্ড ওয়াশ, টিশুর ব্যবস্থা
- রুমে জানালা, ফ্যান, চার্জিং পয়েন্ট ও লাইটের ব্যবস্থা থাকবে
- ইচ্ছে করলে চা বা কফি খেতে পারবেন।
টাঙ্গুয়ার হাওরের কিছু উপভোগ্য হাউসবোটের নাম উল্লেখ করা হলোঃ
বজরা
টাঙ্গুয়া বজরা প্রতিষ্ঠানের হাউসবোট চলে। এর যাত্রা শুরু হয়েছে ২০২২ সালে। বর্তমানে ২০২৩ সালে এই প্রতিষ্ঠানটির এখন ছয়টি হাউসবোট রয়েছে। প্রতিটি হাউসবোটে রয়েছে ছয় থেকে আটটি কেবিন যেখানে ১২ থেকে ২৪ জন ভাড়া নিতে পারবেন।প্যাকেজ শুরু ৬০০০ টাকা থেকে। অতিথিদের জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোট পাঁচবার খাবার দেওয়া হয়। নানা ধরনের টাটকা মাছ, হাঁসের মাংস ও মুখরোচক সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায় এবং খেলাধুলা করার জায়গা রয়েছে।
অভিযাত্রিক
টাঙ্গুয়ার হাওর (sunamganj haor) অভিযাত্রিক হাউজবোট সরবরাহ করে। একটি বিলাসবহুল হাউসবোট যেমন হয় ঠিক তেমনি এখানে সব রকমের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। সুস্বাদু খাবার থেকে দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য সবকিছু মিলিয়ে দারুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। এই হাউসবোটে দুইদিন ও এক রাতের জন্য মোট ১৮ জন থাকতে পারবেন এবং প্যাকেজ শুরু ৪২০০ টাকা থেকে।
বনেদি
হাউসবোটে মোট পাঁচটি কেবিন রয়েছে। মাত্র ১০ থেকে ১৫ জন এই হাউসবোটে ভ্রমণ করতে পারবেন। হাউসবোটে খুব সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা আছে যার কারনে জানালা দিয়ে সতেজ বাতাস পাওয়া যায় এবং সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও বোর্ড গেম ও ইনডোর গেমের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রশিক্ষিত শেফ দ্বারা বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয় এবং রুম সার্ভিসিং রয়েছে। এর জন্য প্রতিজনে খরচ পড়বে সাড়ে চার হাজার টাকা।
নৌকা ভাড়া
সাধারণত মাঝারি আকারের একটা নৌকা ভাড়া ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা। এসব নৌকায় ১৫/২০ জন বসতে পারে, ৭/৮ জন রাতে ঘুমাতে পারে। বড় নৌকার ভাড়া ৭০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। বড় নৌকাতে বসতে পারে ৩০/৩৫ জন, রাতে ঘুমাতে পারে ১০/১২ জন। নৌকা নেওয়ার সময় সোলার আছে কিনা, টয়লেটের অবস্থা কেমন ইত্যাদি দেখে নিতে হবে।
এছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওর (tanguar haor) এ আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন দুই তিনটি বোট আছে। এগুলোতে জেনারেটর থেকে শুরু করে হাই কমোড, লাইট ফ্যান, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি রয়েছে। এসব নৌকায় প্রায় ৪০ জন বসতে পারে। রাতে ঘুমাতে পারে ১৪ থেকে ১৮ জন। দুইদিনের জন্য এসব নৌকার ভাড়া পড়ে ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে সব ধরণের নৌকা ভাড়া শুক্র শনিবারে কিছুটা বেশি ও অন্যান্য দিন কিছুটা কম থাকে।
আরও পড়ুনঃ ইনানী বিচ কক্সবাজার
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ খরচ
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ আসা যাওয়া বাস ভাড়া লাগবে পনেরশ টাকা। সুনামগঞ্জ হতে তাহিরপুর যাওয়া-আসা জনপ্রতি ৩০০থেকে ৬০০ টাকা। ট্রলার ভাড়া লাগবে ৫ থেকে ১৫০০০ টাকা যা দলের সদস্য অনুযায়ী ভাগ হবে।
খাবারের জন্য প্রতিবেলা ১২০ থেকে ২০০ টাকা জনপ্রতী খরচ হবে। এছাড়া আরো দেড়শ থেকে আড়াইশো খুচরা টাকা জনপ্রতি খরচ হবে। ট্রলারের ধরন অনুযায়ী ৪৫০০ থেকে ৫৫০০ টাকা খরচ হতে পারে আনুমানিক ১০ জনের গ্রুপে।
যদি হাউসবোটের ভ্রমণ করেন তবে সুনামগঞ্জ (tanguar haor sunamganj) আসা-যাওয়ার খরচ বাদে সব খরচ প্যাকেজের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত থাকে।
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ
- ভারী বর্ষণ বা বজ্রপাত হলে ট্রলারের ভিতরে অবস্থান করতে হবে ছাদে থাকা যাবে না।
- গ্রুপে সদস্য বেশি হলে খরচ কম হবে
- গামছা, ছাতা কাছে রাখতে হবে অতিরিক্ত গরমে কাজে দেবে।
- উচ্চ শব্দে স্পিকার বা মাইক বাজানো যাবে না।
- প্রকৃতির ক্ষতি হয় এরকম কোন কাজ করা উচিত নয়।
- অপচনশীল দ্রব্য যেমন প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন হাওরে ফেলা যাবে না।
- কিছু কেনার পূর্বে দাম ঠিক করে নিতে হবে।
- লাইফজ্যাকেট ছাড়া পানিতে নামা যাবেনা।
- টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ (tanguar haor sunamganj) করতে চাইলে সপ্তাহের মাঝে গেলে একটু কম খরচ হবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঘোরা যাবে কেননা ভিড় কম হবে।
- স্থানীয় মানুষের সমস্যা হয় এরকম কাজ বা আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
শেষকথা
ভ্রমন পরিকল্পনা করা শুধু ব্যয় সাপেক্ষ না প্রস্তুতিও অনেক জরুরি। তাই হাওর এলাকায় ভ্রমনে যেতে চাইলে শুরু থেকে প্রস্তুতি থাকতে হবে। থাকার ও খাবার ব্যাবস্থা সঠিক ভাবে যাচাই করে নেয়া দরকার। কারন পর্যটকদের চাহিদা ও ভ্রমনের উপরে নির্ভর করে। শুক্র ও শনিবার পর্যটকের পরিমান অনেক বেশি থাকে। তাই টাঙ্গুয়ার হাওর(tanguar haor) ভ্রমণ শুরু করার আগে সব কিছু জেনে তারপরেই যাওয়া ভাল। আশা করছি ভ্রমন সম্পর্কে আপনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেয়েছেন।
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ
১। টাঙ্গুয়ার হাওর এর অপর নাম কি?
উত্তরঃ স্থানীয় লোকজনের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত।
২। বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি হাওর কোথায় অবস্থিত?
৩। টাঙ্গুয়ার হাওর রামসার সাইট হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে টাঙ্গুয়ার হাওরকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তখনই অবসান হয় দীর্ঘ ৬০ বছরের ইজারাদারির। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে ২০ জানুয়ারি এই হাওরকে ‘রামসার স্থান’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
৪। টাঙ্গুয়ার হাওরে নৌকা ভাড়া কত?
উত্তরঃ এক রাত থাকার জন্য ছোট নৌকাগুলোর ভাড়া পড়ে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের নৌকাগুলোর ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার এবং বড় নৌকাগুলোর ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার মতো।
আরও পড়ুন –
সন্দ্বীপ ভ্রমণ (চট্টগ্রাম) যাওয়ার উপায়, ক্যাম্পিং এবং খরচ
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক (গাজীপুর)