রংপুরের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ গাইড

রংপুরের দর্শনীয় স্থান

রংপুরের দর্শনীয় স্থান বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি জেলা, রংপুর (Rangpur)। রংপুরে রয়েছে অসংখ্য সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান। প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমিতে ছেয়ে গেছে রংপুর অঞ্চল,

সেই রকমই কিছু সৌন্দর্যের প্রতীক দর্শনীয় স্থান হচ্ছে, নয় গম্বুজ মসজিদ, হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান, কারমাইকেল কলেজ, কেরামতিয়া মসজিদ, রংপুর চিড়িয়াখানা, পায়রাবন্দ, তাজহাট রাজবাড়ি, ভিন্ন জগৎ সহ অনেক দর্শনীয় স্থান। যাও উপভোগ করতে হলে অবশ্যই একবার হলেও রংপুরে  আপনাকে আসতে হবে। 

রংপুর জেলাটি ৮টি উপজেলায় বিভক্ত রয়েছে, যেমন: গংগাচড়া, কাউনিয়া, তারাগঞ্জ, পীরগঞ্জ, পীরগাছা, মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ ও রংপুর সদর। রংপুরের দর্শনীয় স্থান (Sightseeing places in Rangpur) সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।

রংপুরে বেড়াতে আসার আগে অবশ্যই রংপুর কিসের জন্য বিখ্যাত (What is Rangpur famous for?), রংপুরের দর্শনীয় স্থান সমূহ গুলো সম্পর্কে ও থাকা, খাওয়া ব্যবস্থা বা জায়গা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে আসবেন। আসুন এখন জেনে আসি, রংপুরের কিছু দর্শনীয় স্থান সম্বন্ধে।

আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরের দর্শনীয় স্থান

তাজহাট জমিদার বাড়ি

প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে রংপুর শহর থেকে তাজহাট (Taj hat) গ্রামে অবস্থিত, এই তাজহাট জমিদার বাড়িটি। রংপুরের দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে একটি, তাজহাট জমিদার বাড়িটি অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রত্ন ব্যবসায়ী মান্নালাল (Gem merchant Mannalal)। এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।

এই জমিদার বাড়ির চত্বরে রয়েছে বিশাল খালি জায়গা জুড়ে মাঠ, বিভিন্ন জাতের গাছের সারি এবং প্রাসাদের দুই পাশে রয়েছে বিশাল আকারের দুইটি পুকুর। বাড়িটির চারিদিকে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ ছোঁয়া। এর উত্তর-দক্ষিণাংশে রয়েছে বিভিন্ন জাতের বড় বড় ফলের গাছ। 

এই তাজহাট জমিদার বাড়িটি (Taj hat Zamindar House) অনেকটা দেখতে ঢাকার তাহসান মঞ্জিলের মত। এই তাজহাট জমিদার বাড়িটির সবচেয়ে আশ্চর্যের দিক হচ্ছে, তার সিঁড়িগুলো। কারণ এই জমিদার বাড়িটির সর্বমোট ৩১ টি সিঁড়ি রয়েছে, যার প্রতিটি সিঁড়ি ইতালীয় ঘরানার মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরিকৃত। চারতলা বিশিষ্ট এই তাজহাট জমিদার বাড়িটির ভিতরের অংশে রয়েছে অসংখ্য কক্ষ সহ গোসলখানা ও অতিথি আপ্যায়নের জন্য শয়নশালা। 

কিভাবে যাবেন

বাসের মাধ্যমে যেতে পারেন, ঢাকার কল্যাণপুর, গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস রংপুরের বিভিন্ন জায়গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, তার মধ্যে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের বাসে উঠলে রংপুরের এই তাজহাট জমিদার বাড়িটির সামনে এসে নামা যায়। ভাড়া পড়বে প্রায় ৫০০-১০০০ এর মধ্যেই। তাছাড়াও আপনি রংপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে এই জমিদার বাড়িটির গেট পর্যন্ত রিক্সা ভাড়া ২০ থেকে ৩০ টাকায় আসতে পারবেন। 

টিকেটের মূল্য 

গেটের পাশেই রয়েছে টিকেট কাউন্টার, জন প্রতি টিকিটের দাম ২০ টাকা এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ফ্রী। ৫ বছরের উপরে শিশু-কিশোরদের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ টাকা। সার্কভুক্ত বিদেশী দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটের মূল্য নির্ধারিত করা হয়েছে ১০০ টাকা। অন্যান্য বিদেশী দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটের মূল্য ২০০ টাকা। জমিদার বাড়ির  চত্বরের ভিতরে গাড়ি নিয়ে ঢুকলে তার জন্য ও রয়েছে আলাদা ফি নির্ধারিত করা।

রংপুরে কোথায় থাকবেন

রংপুরের দর্শনীয় স্থান গুলো ভালোভাবে উপভোগ করতে হলে আপনাকে সেখানে কয়দিন থাকতে হবে। রংপুর শহরের (Rangpur city) মধ্যে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল (Hotel) রয়েছে।

হোটেল কাশপিয়া (Hotel Kashpia)

যোগাযোগঃ-

0521-61111,   01977-227742

দি পার্ক হোটেল (The Park Hotel)

যোগাযোগঃ-

0521-65920

হোটেল গোল্ডেন টাওয়ার (Hotel Golden Tower)

যোগাযোগঃ-

0521-65920

হোটেল তিলোত্তমা (Hotel Tilottama)

যোগাযোগঃ-

0521-63482,   01718-938424

হোটেল নর্থ ভিউ (Hotel North View)

যোগাযোগঃ-

0521-55405,   0521-55406

সহ আরো কয়েকটি ভালো মানের হোটেল / মোটেল (Motel) রয়েছে। আরো বিভিন্ন ধরনের হোটেল। ৫০০,৬০০ টাকার ভাড়া থেকে উচ্চতম ২,৩ হাজার ভাড়ার ও হোটেল সুবিধা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ শরীয়তপুরের দর্শনীয় স্থান

ঘাগট সেনা পার্ক

রংপুরের ঘাগট নদীর তীরে অবস্থিত এই ঘাগট সেনা পার্কটি (Ghaghot Army Park)। সেনাবাহিনীর পরিচালিত প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে ঘাগট সেনা পার্কটি। খুব বিশাল আকারের কোন পার্ক (park) নয় কিন্তু বিশাল শান্তিপ্রিয়, শান্ত পরিবেশের উপভোগ্যকর একটি পরিবেশ পাওয়া যায় ঘাগট সেনা পার্কে।

রংপুরে ঘুরতে এসে ঘাগট নদীর তীরে অবস্থিত ঘাগট সেনা পার্ক (ghagot sena park) উপভোগ করবেন না তা তো হয় না। রংপুরের দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে এটি একটি খুবই মনোমুগ্ধকর, শান্তিপ্রিয় একটি স্থান ঘাগট সেনা পার্ক। 

নদীর পাড় ঘেঁষে রয়েছে সেনাবাহিনী (Army) পরিচালিত দারুন সব খাবারের মেনু নিয়ে একটি রেস্টুরেন্ট। সবুজ নরম ঘাসের উপর টেবিল পাতানো, অর্ডার করলেই পেয়ে যাচ্ছেন তান্দুরি রুটি, চা, কফি, ফালুদা, শিক কাবাব সহ বিভিন্ন ধরনের চাইনিজ খাবার।

নদীর প্রবাহমান সচ্ছ পানির পাশে বসে, এরকম মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে খাবার গ্রহণ করাটা অন্যরকম একটা অনুভূতির সৃষ্টি করে। জীবনের অন্যতম সেরা একটি মুহূর্ত কাটাতে পারেন যা স্মৃতিময় হয়ে থাকবে স্মৃতির পাতায়। 

কিভাবে যাবেন

ঢাকার গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে রংপুরে যাতায়াত করতে পারবেন। ঢাকা থেকে ভাড়া পড়বে ৫৫০-৯০০ এর মধ্যে। এবং রংপুর রেলস্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোতে বা রিক্সা করে ঘাগট সেনা পার্কে পৌঁছাতে পারবেন ভাড়া লাগবে ৩০-৪০ এর মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ খৈয়াছড়া ঝর্ণা – চট্টগ্রাম

ভিন্নজগত

রংপুরের দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হচ্ছে ভিন্ন জগৎ (vinno jogot)রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গিপুরে অবস্থিত এই ভিন্ন জগৎ পর্যটনীয় স্থান। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার জীবন থেকে কিছুটা মুক্তি দেবে এই ভিন্ন জগতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মনোরম পরিবেশ।

বিনোদনের এক অপূর্ব সমাহার এই পর্যটনীয় ভিন্ন জগৎ, যা বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পে যোগ করেছে একটি নতুন মাত্রা। এই পর্যটনীয় স্থান ভিন্নজগত (vinno jogot) এর পরিবেশ উপভোগ করার জন্য সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

এই পর্যটনীয় স্থান ভিন্ন জগতের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এখানে দেখতে পাবেন বাংলাদেশের প্রথম প্লানেটারিয়াম। প্লানেটরিয়ামে ঢোকার পর আপনি গ্রহ-নক্ষত্রের ভিড়ে হারিয়ে যাবেন। মহাবিস্ফোরণের বা বিগব্যাং এর মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস জানতে পারবেন।

ভিন্নজগতে প্রবেশ মূল্য

ভিন্নজগ পার্কে প্রবেশ করতে জনপ্রতি ৩০ টাকা করে দিয়ে প্রবেশ টিকেট সংগ্রহ করতে হয়। এছাড়া ভেতরের প্রতিটি রাইড উপভোগের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ চালু আছে। যা আপনি ক্রয় করে আরও বিভিন্ন কিছু আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে গ্রীনলাইন পরিবহন ও টি আর ট্রাভেলস হলো সবচেয়ে ভালো যাতায়াত ব্যবস্থা রংপুরে যাওয়ার জন্য। এছাড়াও রয়েছে আরো কিছু পরিবহন যার মাধ্যমে আপনি ঢাকা থেকে রংপুর পৌঁছাতে পারবেন। রংপুরের মেডিকেল মোড় থেকে অটোতে অথবা বাসে করে খুব সহজে পৌঁছে যেতে পারবেন পর্যটনীয় স্থান ভিন্ন জগতে।

রংপুরের পাগলা পীর থেকে ভিন্ন জগতের ১৫-২০ মিনিটের রাস্তা। পার্কে প্রবেশের মূল্য ৫০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের গাড়ি পার্ক করার জন্য বিভিন্ন মূল্যের ফি নির্ধারিত করা হয়েছে। 

হাড়িভাঙ্গা আম

পুরো বাংলাদেশ জুড়ে সমাদৃত রংপুরের সুস্বাদু হাড়িভাঙ্গা আম (harivanga mango)। মূল হাড়িভাঙ্গা আমের উৎস রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছের তেকানি গ্রামে, রংপুরের দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে এই জায়গাটি উল্লেখযোগ্য একটি স্থান। শুরুতে এই আমের নাম ছিল মালদিয়া (Maldia)। নফল উদ্দিন পাইকার নামের এক বৃক্ষ বিলাসী প্রথম এই আমটির গোড়াপত্তন করেছিলেন।

আম গাছটিতে পানি দেওয়ার জন্য গাছের নিচে তিনি মাটির হাড়ি দিয়ে ফিল্টার বানিয়েছিলেন, কারা যেন এই ফিল্টারটি ভেঙ্গে ফেলেছিলো, পরে ভাঙ্গা ঐ হাড়ের মধ্যেই গাছটি বড় হয়ে মৌসুমের সময় প্রচুর আম ধরে। এই আমটি খুবই সুস্বাদু হয় এবং খুবই ভালোভাবে এর বাজারজাত হয় ফলে তখন নফল উদ্দিন পাইকারি এর নামকরণ করেন হাড়িভাঙ্গা আম (harivanga mango)।

কিভাবে যাবেন 

ঢাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের বাস পরিবহনের মাধ্যমে অথবা ট্রেনের মাধ্যমেও রংপুরে যেতে পারবেন। রংপুর শহর (Rangpur city) থেকে স্থানীয় পরিবহনের মাধ্যমে যেমন অটো বা রিক্সাতে করে মিঠাপুকুরে অবস্থিত হাড়িভাঙ্গা (Harivanga) আমের বাগানে পৌঁছে যেতে পারবেন। রংপুর শহর থেকে মিঠাপুকুরের হাড়িভাঙ্গা আমের বাগানে যেতে ভাড়া পড়বে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। 

কোথায় থাকবেন 

যেহেতু মিঠাপুকুরের হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান গ্রামে, তাই রংপুর শহরের মধ্যেই অনেক ভালো মানের হোটেল রয়েছে, যেগুলোতে আপনি অনেক সুযোগ-সুবিধা সহ রাত্রি যাপন করতে পারবেন।

হোটেল রাজ আবাসিক (Hotel Raj Residential), হোটেল গার্ডেন (Hotel Garden), হোটেল গোল্ডেন টাওয়ার (Hotel Golden Tower), হোটেল শাহ আমানত (Hotel Shah Amanat), জেল রোডে রয়েছে হোটেল বিজয় (Hotel Bijoy), আর ডি আর এস সহ বিভিন্ন মানের হোটেল। আপনার বাজেট অনুযায়ী ভালো মানের সুযোগ সুবিধা সহ আপনি যেকোনো হোটেলে উঠতে পারেন। 

শেষকথা

রংপুরের প্রতিটা দর্শনীয় স্থানই এক একটা মনোরম শান্তপ্রিয় পরিবেশ নিয়ে রয়েছে। কর্মব্যস্ততার হাজারো সময় অতিবাহিত করে নিজেকে কিছুটা প্রশান্তি দিতে, ঘুরে আসতে পারেন রংপুরের দর্শনীয় স্থান গুলোতে। এবং অবশ্যই যেকোন জায়গায় যাত্রার সময়, আপনার কাছে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ, শুকনো খাবার, পানি, রেইনকোট সহ এরকম কিছু সাধারন জিনিস সব সময় সাথে রাখবেন।

কারণ যাত্রাপথে অনেক সময় এই প্রয়োজনীয় সাধারণ জিনিস গুলোই টাকা দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না। রংপুরের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ আপনার জন্য শুভ হোক। রংপুরের দর্শনীয় স্থান নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আল্লাহ হাফেজ।

রংপুরের দর্শনীয় স্থান নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ’s

১. রংপুর কিসের জন্য বিখ্যাত? 

রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম এবং তামাকের জন্য রংপুর খুবই বিখ্যাত।  

২. রংপুরের পূর্ব নাম কি ছিল? 

উত্তর: রংপুরের পূর্ব নাম ছিল জঙ্গপুর। 

৩. রংপুরের বিখ্যাত খাবার কি?

রংপুরের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার “সিঁদল”।

৪. রংপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি?

বেগম রোকেয়া, মশিউর রহমান, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, আনিসুল হক, রাশিদ আসকারী, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, মোস্তফা কামাল, দেবী চৌধুরানী ইত্যাদি সহ আরও অনেক ব্যাক্তি।

আরও পড়ুন-

বজরা শাহী মসজিদ নোয়াখালী

তেওতা জমিদার বাড়ি মানিকগঞ্জ

মন্তব্য করুন