থাইল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া
থাইল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া (Thailand Visa Processing Process) এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে টুরিস্ট (tourist) এর জনপ্রিয় দেশটি হলো- থাইল্যান্ড (Thailand)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টুরিস্টরা সেখানে ঘুরতে যায় তেমনি বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর প্রচুর ভিজিটর থাইল্যান্ডে ঘুরতে যায়।
থাইল্যান্ড ইমিগ্রেশনের তথ্য অনুযায়ী বিগত কয়েক বছরে প্রায় ১৩৯,৬২২ জন বাংলাদেশী থাইল্যান্ডে গেছে ভ্রমণ এবং রিল্যাক্স এর জন্য। থাইল্যান্ডে রয়েছে অনেক সি-বিচ এবং সেই সাথে রয়েছে আইল্যান্ড (Island) যা ভ্রমণ পিপাসু মানুষের অনেক বেশি আকৃষ্ট করে থাকে।
এছাড়া থাইল্যান্ডের অনেক বিলাশবহুল হোটেল শপিং, দর্শনীয় স্থান, শপিং মল, ভাসমান বাজার ইত্যাদি এবং আরও অনেক কিছুই। যা টুরিস্টদের অনেক বেশি পছন্দের তালিকা হিসেবে গড়ে তুলেছে এই থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ছাড়াও প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে ও থাইল্যান্ড গিয়ে থাকেন।
আর আপনিও যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু হয়ে থাকেন এবং টুরিস্ট ভিসা (tourist visa) তে থাইল্যান্ডে যেতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে থাইল্যান্ড ভিসা (Thailand Visa) ও থাইল্যন্ড টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ২০২৩ সম্পর্কে একটি বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে যেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ নন্দন পার্ক (নবীনগর, সাভার-ঢাকা)
থাইল্যান্ড ভিসা কত প্রকার (What are the types of Thailand visa)
বাংলাদেশ থেকে আপনি নিচের দেওয়া চার টি ক্যাটাগরি এর ভিসা পাবেন বাংলাদেশে অবস্থিত থাইল্যান্ড (Thailand) এমব্যাসি থেকে ।
- ট্রান্সজিট ভিসা (Transit Visa)
- বিজনেস ভিসা (Business Visa)
- টুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa)
- মেডিক্যাল ভিসা (Medical Visa)
বাংলাদেশে সব চেয়ে জনপ্রিয় ভিসা হল টুরিস্ট ভিসা (Thailand tourist visa for Bangladeshi)। থাইল্যান্ড এ সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ ৩ মাস এবং মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ ৬ মাস। এই ভিসা নিয়ে আপনি থাইল্যান্ড এ ৬০ দিন থাকতে পারবেন।
থাইল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে? (How much does it cost to go to Thailand?)
ভিসার ধরনের উপরে নির্ভর করে টাকার পরিমাণ। আপনি কোন ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ডে যেতে চান এবং কি কাজে যেতে চান তার উপর নির্ভর করবে আপনার থাইল্যান্ডে যেতে কত টাকা লাগবে। নিচে থাইল্যান্ডের ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে সকল কিছু তুলেধরা হল, থ্যাইল্যান্ড যেতে কোন ভিসাতে কত টাকা লাগবে তা দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও আরও পরুন- ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়।
ভিসার ধরণ | ভিসা ফি | ভিসার মেয়াদ | থাকার সময় সীমা |
টুরিস্ট ভিসা (সিঙ্গেল এন্ট্রি) | ৩৫০০ | ৩ মাস | ৬০ দিন |
টুরিস্ট ভিসা (মাল্টিপল এন্ট্রি) | ১৭,০০০ | ৬ মাস | ৬০ দিন |
ট্রান্সজিট ভিসা (সিঙ্গেল এন্ট্রি) | ৩০০০ | ৩ মাস | ৬০ দিন |
ট্রান্সজিট ভিসা (মাল্টিপল এন্ট্রি ) | ৫৫,০০০ | ৬ মাস | ৬০ দিন |
নন- ইমিগ্র্যান্ট ভিসা | ৭০০০ | ৩ মাস | ৯০ দিন |
নন- ইমিগ্র্যান্ট ভিসা (মাল্টিপল এন্ট্রি) | ১৭,০০০ | ১ বছর | ৯০ দিন |
নন- ইমিগ্র্যান্ট ভিসা (মাল্টিপল এন্ট্রি) | ৩৫,০০০ | ৩ বছর | ৯০ দিন |
থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ফি (Thailand Tourist Visa Processing Fee)
থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসা (Thailand tourist visa) দুই টাইপের হয়ে থাকে। একটি হলো সিঙ্গেল এন্ট্রি (Single Entry) এবং অপরটি হলো মাল্টিপল এন্ট্রি (Multiple Entry)। আপনি যদি সিঙ্গেল এন্ট্রির জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার আবেদন ফি- হবে ৩০০০ টাকা।
আর যদি মাল্টিপল এন্ট্রির আবেদন করে থাকেন তাহলে ভিসা ফি হবে ১৫,০০০ টাকা। আর এছাড়া এজেন্সির সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫০০-১০০০ টাকা দিতে হবে এবং ব্যাংক ড্রাফটস এর জন্য আরও চার্জ বাবদ ৪০ টাকা যোগ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ভিসা প্রসেসিং এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কোনটি যদি জাল প্রমাণিত হয় তাহলে অবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হবে এবং ভিসা আবেদন ফি ফেরত প্রদান করা হবে না।
থাইল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং (Thailand Visa Processing)
থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসাকে (TR Type) ভিসা বলা হয়। বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এ থাই এম্ব্যাসি (Thai embassy) আছে। আপনি চাইলেই এই তিন স্থান থেকে থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসার (Thai visa for Bangladeshi) আবেদন করতে পারেন। আর ভিসার অবস্থায় আপনি অনলাইনের মাধ্যমেই দেখতে পারেন। থাইল্যান্ডের ভিসা প্রসেসিং বিষয়টা সাধারনত তিনটি ধাপে বিভক্ত। নিন্মে সেগুলা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলোঃ-
ধাপ -১ঃ এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ (Step-1: Fill the application form and collect the required documents)
- ভিসা আবেদন ফর্ম (Thailand visa form) নির্ভুল ভাবে পূরণ করতে এবং ফর্মে নির্ধারিত স্থানে পাসপোর্ট অনুযায়ী সাক্ষর করতে হবে।
- নুন্যতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট (passport) থাকতে হবে এবং পাসপোর্টের দুই পাতা ভিসার কাজের জন্য ফাকা থাকতে হবে
- ২ কপি ল্যাব প্রিন্ট ছবি
- প্রফেশনের প্রমাণপত্র দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনি চাকরি জীবি হলে আপনাকে ৩ মাসের স্যালারি স্প্লিপ এবং ভিজিটিং কার্ড দিতে হবে। বিজনেসম্যান হয়ে থাকলে আপনার ট্রেড লাইসেন্সের এবং যদি লিমিটেড কোম্পানি হয় তাহলে ট্রেড লাইসেন্সের সাথে মেমো জমা দিতে হবে যেটাতে অবশ্যই আপনার নাম থাকতে হবে। আপনি ডাক্তার হলে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বি এম ডি সি) সার্টিফিকেট অথবা হাসপাতালের প্যাডে নো অব্জেশন সার্টিফিকেট দিতে হবে এবং ভিজিটিং কার্ড প্রদান করতে হবে। আপনি আইনজীবি হলে বার কাউন্সিল বা চেম্বারের প্যাডে নো অব্জেকশন (no objection) সার্টিফিকেট এবং ভিজিটিং কার্ড দিতে হবে। আপনি স্টুডেন্ট হয়ে থাকলে ভার্সিটি, স্কুল কলেজের প্যাডে নো অব্জেকশন সার্টিফিকেট এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের (ID Card) কপি দিতে হবে। উল্লেখ্য, সকল তথ্য এবং পেপারস ইংরেজিতে দিতে হবে।
- ভিসার জন্য আবেদন করার সময় আপনার ব্যংকের স্টেট্মেন্ট (bank statement) এবং ব্যাংক সল্ভেন্সি সার্টিফিকেটের মূল কপি জমা দিতে হবে। আপনি যদি একা ট্রাভেল করেন তাহলে আপনার একাউন্টে মিনিমাম ২০,০০০ টাকা জমা থাকতে হবে আর যদি পরিবারের কেউ ট্রাভেল করে তাহলে জন প্রতি ২০,০০০ করে থাকতে হবে।
- থ্যাইল্যান্ডে গিয়ে কোথায় থাকবেন সেই তথ্যও ভিসার আবেদনের সাথে দিতে হবে
- ঢাকা থাইল্যন্ড ঢাকা রির্টান এয়ার টিকিটের বুকিং কপি প্রদান করতে হবে
- ন্যাশনাল আইডি কার্ডের (national ID card) ফটোকপি আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
ধাপ -২ঃ ভিসা ফি জমা দিয়ে রিসিপ্ট সংগ্রহ করা (Step-2: Collecting receipt by depositing visa fee)
প্রথম ধাপের কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আপনি আপনার পূরণকৃত ফর্ম এবং কাগজপ্ত্র সব নিয়ে সরাসরি যাবেন ভিসা এজেন্সির নিকট। সেখানে গিয়ে সব টাকা এবং কাগজ পত্র জমা দিয়ে রিসিপ্ট সংগ্রহ করবেন।
ধাপ -৩ঃ অনলাইনে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস দেখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা (Step-3: Collect passport by checking passport status online)
থাইল্যান্ড অ্যাম্বাসি (royal thai embassy) আপনার দেওয়া সকল কাগজপত্র যাচাই করবে এবং আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বারে যাচাইয়ের জন্য ফোন দিবে। আপনাকে অবশ্যই অ্যাম্বাসির কল রিসিভ করতে হবে। আপনাকে দেয়া রিসিপ্টে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসার তারিখ দেওয়া থাকবে। আপনি নির্ধারিত তারিখে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্টের অবস্থা চেক করে পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন।
থাইল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং টাইম (Thailand Visa Processing Time)
থাইল্যান্ডের ভিসা প্রসেসিং যেহেতু তিনটি থেকে সম্পন্ন করা হয় তাই স্থান ভেদে থাইল্যান্ডের ভিসা প্রসেসিং এর সময়কাল ও ভিন্ন হয়ে থাকে। নিন্মে থাইল্যান্ডের ভিসা প্রসেসিং টাইমের তথ্য দেওয়া হলোঃ
- আপনি যদি ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের ভিসার কার্যক্রম কম্পিলিট করে থাকেন তাহলে আপনি সর্বনিন্ম ৪ কর্ম দিবস থেকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যেই ভিসা পেয়ে যাবেন।
- যদি আপনি চট্টগ্রাম থেকে ভিসার কার্যক্রম কম্পিলিট করে থাকেন তাহলে আপনার ভিসা প্রসেসিং টাইম লাগবে ৭ থেকে ৩০ দিন।
- যদি আপনি সিলেট থেকে ভিসা প্রসেসিং এর কার্যক্রম গুলো কম্পিলিট করে থাকেন তাহলে আপনার ভিসা প্রসেসিং টাইম লাগবে ১০ থেকে ৩০ দিন।
আরও পড়ুনঃ মালদ্বীপ ভ্রমণ : দর্শনীয় স্থান, আইল্যান্ড, রিসোর্ট, ও খরচ তথ্য
ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (Documents required for visa application)
থাইল্যান্ডে ভিসা আবেদনের (Thailand visa requirements) জন্য কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় আছে। কাগজপত্র ও দরকারি স্টেটমেন্টগুলো সঠিক থাকতে হবে ভিসা আবেদনের জন্য (thai visa application)।
- অবশ্যই সাধারণ ফটোগ্রাফিক কাগজে প্রিন্ট করতে হবে এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে।
- কভার লেটার (cover letter), স্পনসরশিপ লেটার (sponsorship letter), ভিসা রিকোয়েস্ট লেটার (visa request letter), ইনভাইটেশন লেটার (invitation letter) এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা এবং ব্যবসায়িক ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সম্পূর্ন তথ্য দেওয়া হলো।
- আবেদনকারীর যোগাযোগ নম্বর সহ আবেদনকারীর দ্বারা একটি সম্পূর্ণ এবং স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র (application form)।
- মূল ব্যাংক স্টেটমেন্ট (main bank statement, কোম্পানির ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট (company bank statement), ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট (bank solvency statement), বেতন ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বর্তমান ব্যাংক সলভেন্সি লেটার (bank solvency letter) এবং অন্যান্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট গ্রহণযোগ্য। শুধু মূল ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সলভেন্সি লেটার গ্রহণযোগ্য।
- স্পষ্ট পাসপোর্ট স্ট্যাটাস সহ একটি বৈধ পাসপোর্ট। পাসপোর্টে অবশ্যই ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে এবং ছয় মাসের বেশি মেয়াদের পাসপোর্ট স্ট্যাটাস থাকতে হবে।
- রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি। বাংলাদেশ শুধুমাত্র সাদা বা হালকা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি গ্রহণ করে। সুতরাং, রঙিন পাসপোর্ট আকারের ফটোগুলির কপি প্রয়োজন। কভার লেটার, স্পন্সরশিপ লেটার, বার কাউন্সিল সার্টিফিকেট, ইনভাইটেশন লেটার, ম্যারেজ সার্টিফিকেট বা ভিসা রিকোয়েস্ট লেটার যদি অন্য কোনো বিদেশী ভাষায় হয়, মূল নোটারিকৃত ইংরেজি অনুবাদকৃত ডকুমেন্ট জমা দিন।
- রয়্যাল থাই দূতাবাস গত ছয় মাসের বর্তমান ব্যাংক সলভেন্সি লেটার, আসল ব্যাংক স্টেটমেন্ট (bank statement) জিজ্ঞাসা করার অধিকার সংরক্ষণ করে। আবেদনকারীর একটি সন্তোষজনক লেনদেন হতে হবে কমপক্ষে 20,000 baht এবং প্রতি পরিবার 40,000 baht অথবা 60,000 টাকা ব্যক্তি এবং 120,000 টাকা পরিবার প্রতি।
- মাল্টিপল এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য জনপ্রতি 20,000 baht এবং পরিবার প্রতি 40,000 baht এর প্রমাণ সহ, আবেদনকারীকে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স এবং পর্যাপ্ত অর্থের প্রমাণ পাঠাতে হবে যাতে ব্যাংক স্টেটমেন্ট (bank statement) এবং ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট (bank solvency certificate), বেতন থাকতে পারে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ইত্যাদি।
- ভ্রমণ যাত্রাপথ যেমন একটি রাউন্ড ট্রিপ এয়ার টিকিট, বা আরও ভ্রমণের জন্য একটি এয়ার টিকিট।
থাইল্যান্ড ভিসা চেক (Thailand Visa Check)
একটা সময় ভিসা চেকিং (visa checking) এর বিষয়টা শুধু অ্যাম্বাসির নিকটই সীমাবন্ধ থাকতো তাই জন্য কাউকে তার ভিসার অবস্থা জানার জন্য অ্যাম্বাসির সাথে যোগাযোগ করতে হতো। আর এতে করে অনেক সময় হতো এবং এই প্রসেসটা ছিল আরও অনেক জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। তবে বর্তমানে ভিসা প্রসেসিং এর সকল প্রক্রিয়া অনলাইন (thai visa application online) হবার কারণে এখন খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা চেকিং এর বিষয়টা কম্পিলিট করা যায়।
আপনি দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পাসপোর্ট নাম্বার প্রদান করে আপনার ভিসার অবস্থা চেক করে নিতে পারবেন।
- সাইমন গ্লোবালের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করে থাকেন তাহলে http://thaivisabd.com/tracking/ এই লিংকে প্রবেশের মাধ্যম আপনার ভিসার অবস্থা চেক করতে পারবেন।
- এছাড়াও আপনি যদি ভিসা গ্লোবালের মাধ্যমে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া টি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আপনি https://www.vfsvisaonline.com/Global-Passporttracking/Track/ এই লিংক এ প্রবেশের মাধ্যমে আপনার ভিসার অবস্থা জেনে নিতে পারবেন।
উপোরোক্ত লিংক দুটিতে ক্লিক করে আপনার পাসপোর্টের নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ প্রদান করে খুব সহজেই আপনার ভিসার অবস্থা চেক করে নিতে পারেন।
থাইল্যান্ড ভিসা আবেদন ফরম (Thailand Visa Application Form)
থাইল্যান্ড ভিসা আবেদন ফর্ম (Thailand visa form) আপনি এম্বাসি (Embassy) অনলাইন উভয় স্থান থেকেই নিতে পারেন। বর্তমানে সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হবার কারণে আপনি এখন চাইলে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের ভিসার আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন। নিন্মে আপনাদের সুবিধার্তে থাইল্যান্ডের ভিসার আবেদন ফরমের সংগ্রহের লিংক দেওয়া হলোঃ
উপোরোক্ত লিংকগুলো থেকে আপনি খুব সহজেই প্রবেশের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসার আবেদন ফর্ম পেতে পারেন।
ভিসার আবেদন জমা দেবার স্থান (Thailand visa application Centre):
হাউজ নং- ০৩, রোড#৮৮, গুলশান-২, ঢাকা।
চেম্বার হাউজ, ফোরথ ফ্লোর, আগ্রাবাদ সি/এ, চট্টগ্রাম – ৪১০০।
নির্ভানা ইন, সেভেনথ ফ্লোর, মির্জা জঙ্গল রোড, রামের দিঘীর পার, সিলেট – ৩১০০।
থাই দুতাবাসের ঢাকার ঠিকানা (Thailand Embassy Dhaka)
১৮-২০ মাদানী রোড, বারিধারা, ঢাকা-১২১২। ফোনঃ ৮৮১২৭৯৫-৬, ৮৮১৩২৬০-১, ফ্যাক্সঃ-৮৮৫৪২৮০/৮৮৫৩৯৯৮
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দুতাবাসের ঠিকানাঃ
বাড়ি# ৭২৭, থংগলোর, সই-৫৫, সুলতুম্ভিট রোড, ব্যাংকক-১০১১০, থাইল্যান্ড। ফোনঃ- ৩৯২৯৩৭-৮, ফ্যাক্সঃ-৩৯১৮০৭০
শেষ কথা
কোন কারনে যদি ভিসা না হয় তাহলে ভিসা ফি (visa fee) ফেরত দেওয়া হয় না। তাই আপনি যদি ট্যুরের জন্য থাইল্যান্ডের ভিসার প্রসেসিং এজেন্সি নির্বাচন করবেন তখন অবশ্যই অনেক দেখে শুনে তারপরে নির্বাচন করবেন। ফেসবুক/ইউটিউবে কোন প্রকারের অ্যাড দেখে কখনই ভিসা প্রসেসিং এর জন্য এজেন্সি নির্বাচন করবেন না।
আশা করি, আজকের আর্টকেলের মাধ্যমে থাইল্যান্ড ভিসা ও থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং (tourist visa processing) ২০২৩ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট এবং বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসার আবেদন এর সকল খুটিনাটি বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর পরেও যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। শেষ পয়ন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য “ ধন্যবাধাক
থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ / FAQ
১। থাইল্যান্ডে যেতে কি ভিসা লাগবে?
আপনি কোন উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডে যেতে চাচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করে আপনার কোন টাইপের ভিসা লাগবে। যদি টুরের উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডে যেতে চান তাহলে আপনার টুরিস্ট ভিসা লাগবে। আর যদি অন্য কাজের জন্য যেতে চান তাহলে সে টাইপের ভিসা লাগবে।
২। থাইল্যান্ড ভিসা খরচ কত?
থাইল্যান্ডের সিঙ্গেল এন্ট্রি টুরিস্ট ভিসার খরচ হবে ৩০০০ টাকা এবং ডাবল এন্ট্রি ভিসার জন্য খরচ ১৭০০০ টাকা।
৩। থাইল্যান্ড ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
সবকিছু ঠিক থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে দেয়া হয়।
৪। থাইল্যান্ডে বছরে কতবার যাওয়া যায়?
আপনার ডাবল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে যতবার ইচ্ছে ততবার যেতে পারবেন।
৫। থাইল্যান্ডের ভিসা কত দিন লাগে?
থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা বা থাইল্যান্ড ভ্রমণ ভিসা সাধারনত সিঙ্গেল এন্ট্রি ৩ মাসের ও মাল্টিপল এন্ট্রি ৬ মাসের মেয়াদের হয়।
আরও পড়ুন-
কক্সবাজারের সেরা কিছু হোটেল ও রিসোর্ট তথ্য
সুনামগঞ্জের দর্শনীয় স্থান ট্যুর প্ল্যান