জাতীয় সংসদ ভবন (শেরে বাংলা নগর), ঢাকা

জাতীয় সংসদ ভবন

জাতীয় সংসদ ভবন(bangladesh national parliament) যা রাজধানীর ঢাকার বুকে শেরেবাংলা নগর এলাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে সদর্পে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশ তো বটেই বিশ্বের আকর্ষণীয় স্থাপনার মধ্যে অন্যতম জাতীয় সংসদ ভবন এটি। আধুনিক পৃথিবীর সেরা 100 টি স্থাপত্যের অন্যতম এক নিদর্শন বলা হয় একে।

শীত বর্ষা কিংবা বসন্ত এক এক ঋতুতে বাংলার অপরূপ লাবণ্য সংসদ ভবনে যেন নিজেকে তুলে ধরে বাহারি  বৈশিষ্ট্য। প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি “লুই আই কান” এটির মূল স্থপতি। চলুন তা হলে দেরি না করে ধাপে ধাপে যেনে নেওয়া যাক- সংসদ ভবনের বিস্তারিত সকল তথ্য সম্পকে।

এ ছাড়াও আপনি ঢাকার আশেপাশে আরও যা যা দেখবেন যেমনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক কার্জন হল, হাতির ঝিল,পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লা, জাতীয় শহীদ মিনার, আহসান মঞ্জিল, ঢাকা সাভারে অবস্থিত স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি। সহ আরও অনেক স্থান আপনি চাইলে এগুলি ও ঘুরে দেখতে পারেন, আশা করি ভালো লাগবে।

আরও পড়ুনঃ খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান

 

জাতীয় সংসদ ভবন স্থাপত্যকর্ম   

নিখুঁত অতীব সুন্দর এই স্থাপত্য কর্মে নকশা কার খ্যাতনামা মার্কিন স্থাপতি লুই আইকন। তবে সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মারা যান লুই। তার মৃত্যুর পর প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম এই স্থাপত্যের অবশিষ্ট কাজ শেষ করেন। সংসদ ভবনের স্থাপত্য শৈল নিয়ে কথা বলতে গেলে ফিরে যেতে হয় সেই সুদূর অতীতে।

পাকিস্তান আমলের সময় তখন ঢাকা কে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে অনুমতি দিয়েছিল তখন পাকিস্তান সরকার। সেই সূত্র ধরে ১৯৫৯ সালে সংসদ ভবন(bangladesh national parliament) তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। 

এরি ধারাবাহিকতায় ১৯৬১ সালে ঢাকায় বর্তমানে শেরেবাংলা নগরে ২০৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ১৯৬২ সালের লুই সংসদ ভবনের নকশা জমা দেন এবং ১৯৬৪ সালে এই ভবনটির জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিং ডলারের অনুমোদন দেওয়া হয়।

যথাসময়ে এর নির্মাণ কাজ শুরু হলো মাঝখানে ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বন্ধ ছিল এর নির্মাণ কাজ। তবে ১৯৭৪ সালে পুনরায় কাজটি আবার শুরু হয় যা শেষ হয় ১৯৮২ সালে। এরপর ২৮ জানুয়ারিতে তৎকালীন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার এই ভবনটির উদ্বোধন করেন।

জাতীয় সংসদ ভবন বিবরণ 

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন (bangladesh national parliament) তিনটি প্লাজা রয়েছে যার একটি প্রধান প্লাজা অন্য দুটি দক্ষিণ প্লাজা উত্তর প্লাজা‌‌। প্রধান প্লাজার আয়তন ৭৯৪৫৯.২০ বর্গমিটার দক্ষিণ প্লাজার আয়তন ২০৪১৭.৩৮ বর্গমিটার আর উত্তর প্লাজার আয়তন ৬০৩৮.৭০ বর্গমিটার।

তবে মূল ভবনের বিশেষত্ব হল ভবনটি নয় তলা বিশিষ্ট হলেও অনুভূমিক যোগাযোগ রয়েছে মাত্র তিনটি তলায়। মাটির উপরে কাঠামোটির উচ্চতা ৪৯.৬৮ মিটার। ভবনটিতে রয়েছে ৩৪০ টি শৌচাগার, ১৬৩৫ টি দরজা, ৩৩৫ টি জানালা, ৩০০ টি বিভাজক দেওয়াল, ৩৩৩৯.৭৫ বর্গমিটার কাঁচের শাটার, ৫৪৩৪.৮৩ বর্গমিটার কাঠের শাটার, ৩৭৩৮ ঘনোমিটার কাঠের প্যানেল। 

জাতীয় সংসদ ভবনের বিবরণ 

সংসদ ভবনের চারপাশে রয়েছে বিশাল সবুজ ঘাসের অঙ্গন ও রদ। নদীমাতৃক বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে লুই মূল নকশায় রদ রেখেছিলেন। তাই পুরো ভবনটিকে দেখলে মনে হয় রদের মাঝখানে বেশে আছে লাল সবুজের দেশের সংসদ ভবন।

সংসদ ভবনের আরেকটি নান্দনিক বিষয় প্রাকৃতিক আলো পাওয়ার ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে সাত তালা উঁচু গোলাকার মূল কক্ষটিতেও সহজেই প্রবেশ করে প্রাকৃতিক আলো। এছাড়া, এই ভবনে নেই কোন সরণ খুঁটি এই খুঁটিগুলোকে জ্যামিতিক নকশায় এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে দেখলে মনে হয় খুটি ছাড়াই যেন দাঁড়িয়ে আছে সংসদ ভবন। সংসদ ভবনের (bangladesh national parliament)মূল সৌন্দর্য এর কংক্রিটের দেয়াল এই ভবনের প্রবেশ ধারগুলোও স্থাপন করা হয়েছে জ্যামিতিক নিয়মে। 

মূল সংসদ অধিবেশন কক্ষের উচ্চতা ১১৭ ফুট এবং এর সাথে রয়েছে একসাথে ৩৫৪ জন সদস্যের বসার ব্যবস্থা। এর প্রথম তলায় রয়েছে একটি গ্রন্থাগার দ্বিতীয় তলায় রয়েছে। সংসদ সদস্যের জন্য লাউন্স এবং সবার উপর তলায় রয়েছে মিলনায়তন। শুধু স্থাপত্য শিল্পের নয় গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের  প্রতীক হয়ে উঠেছে আমাদের সংসদ ভবন।

নান্দনিক স্থগিত শিল্পের এই নির্দেশনায়তায় ১৯৮৯ সালে আর্কিটেকচার ফর দ্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং হিসাবে স্থাপিত বিদ্যার সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক পুরস্কার দা আগা খান অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছিল। শুধুমাত্র অন্যান্য নকশাই নয় এই ভবনটি আমাদের জাতিগত পরিচয়। এবং একই সাথে আমাদের আত্মবিশ্বাসে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করে।

জাতীয় সংসদ ভবন যাত্রা 

এবছর ৭ এপ্রিল অর্ধ শত বছর পূর্ণ করল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন(bangladesh national parliament)। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা ছিলেন প্রথম সংসদের সংসদ নেতা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা জাতীয় সংসদ। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ  বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ছিল ১৫ টি, অর্থাৎ প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩১৫ টি। নির্বাচনের এক মাস পর ৭ এপ্রিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী নবনির্বাচিত জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহবান করেন।

জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ঢাকার তেজগাঁও এ তৎকালীন জাতীয় সংসদ ভবন তবে বর্তমানে যে ভবনে সংসদের কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেটি পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলের একটি। 

জাতীয় সংসদ ভবন মোট আসন সংখ্যা  

বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের(bangladesh national parliament) মোট আসন সংখ্যা ৩৫০ টি এরমধ্যে ৩০০ টি আসন জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয় নারীদের জন্য সংরক্ষিত আছে ৫০ টি আসন সংরক্ষিত। বাংলাদেশের সংবিধানে ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হলে আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া ছাড়াও বয়স ২৫ এর উর্ধ্বে হতে হবে।

এছাড়া অপ্রকৃতস্থ, দেউলিয়া কিংবা দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। সদস্যরা তাদের নিজ নিজ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে অধিকাংশের ভোটে নির্বাচিত হয়। সদস্যগণ পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। তারা নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দলের সাথে অধিভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ফ্যান্টাসি কিংডম (আশুলিয়া), সাভার, ঢাকা

জাতীয় সংসদের মেয়াদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল শুরু হওয়া প্রথম জাতীয় সংসদের মেয়াদ ছিল ১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ক্ষমতায় এলে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ শুরু হয় ১৯৭৯ সালের ২শ এপ্রিল। এর মেয়াদ কাল  ছিল ২৪ মার্চ ১৯৮২ সাল পর্যন্ত।

১০ জুলাই ১৯৮৬ থেকে পরের বছরের 6 ডিসেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় জাতীয় সংসদের নেতৃত্ব দেন জাতীয় পার্টির হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ। ১৯৮৮ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চতুর্থ জাতীয় সংসদে নেতৃত্ব ছিল জাতীয় পার্টির দখলে। 

জাতীয় সংসদ ভবন

এরপর ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। এর মেয়াদ ছিল ২৪ নভেম্বর ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। বিএনপি নেতৃত্বে ১৯৯৬ সাল ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ এর কার্যক্রম শুরু হলেও বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে ওই মাসের ৩০ মার্চেই সেই সংসদের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়।

১৯৯৬ সালের ১৪ জুলাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সপ্তম জাতীয় সংসদের কার্যক্রম শুরু হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০০১ সালের ১৩ জুলাই পর্যন্ত। ওই বছরে ২৮ অক্টোবর আবারো খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অষ্টম জাতীয় সংসদ শুরু করে। বিএনপি ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল এই সংসদের মেয়াদ।

এরপর দুই বছর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছিল বাংলাদেশ। নানা নাটকীয় তারপর নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালের ২৫শে জানুয়ারি নবম জাতীয় সংসদের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

এরপর থেকে সংসদে টানা নেতৃত্ব দিচ্ছে শেখ হাসিনা। ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ সালের শুরু হয় দশম জাতীয় সংসদের কার্যক্রম। যা শেষ হয় ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি এরপর থেকেই সংসদে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

জাতীয় সংসদের আইন কানুন 

জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এক কক্ষ বিশিষ্ট সর্বোচ্চ আইন সভা। বাংলাদেশের সংবিধানের ৮০  অনুচ্ছেদে এই সংসদে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার বিবরণ দেওয়া আছে। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদে কোন বেল বিহিত হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সম্মতি লাভ করলে সেটি আইনে পরিণত হয়।

১৯৭৩ সালে মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীদের পারিশ্রমিক ও সুবিধা সংক্রান্ত আইন থেকে শুরু করে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের ছুটি পেনশন ও বিশেষ অধিকার আইনসহ অসংখ্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। 

এছাড়াও বেশ কিছু আইন সংশোধনীয় করা হয়েছে এই সংসদে। নরম জাতীয় সংসদে সংশোধন করা হয় সংবিধানের বহুল আলোচিত পঞ্চদশ সংশোধনী। এর মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে যায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি।

এছাড়া মাত্র ৪ মিনিটে ৪০০ বছর পুরনো ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বিভক্তি, দুদকবিল, সন্ত্রাস দমন বিল, গ্রামীণ ব্যাংক বিল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধনী ১ শ্রম আইন, পিতা-মাতার ভর প্রসন বিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিল, ডিমি চুলাইজেশন বিল, আরপিও সংশোধন, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল দায়মুক্ত বিল, কোম্পানি আইন, তথ্য অধিকার আইন, নিরাপদ খাদ্য বিল ও অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ বিলের মত গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হয়। 

জাতীয় সংসদে ভাষণ

এ পর্যন্ত দুটি বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে (bangladesh national parliament) ভাষণ দিয়েছেন, ১৯৭৪ সালের ৩১ জানুয়ারি সংসদে ভাষণ দেন যুগোস্লোভিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট  মার্শাল জোসেফ টিটো। এছাড়া ওই বছরে ১৮ জুন সংসদে ভাষণ দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি।

দেশের ইতিহাসে সবচাইতে সংক্ষিপ্ত অধিবেশন হয় ২০২৩ সালে ১৮ এপ্রিল। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য এই দিন বিকেল পাঁচটায় স্পিকার ডক্টর শিরিন শারমিন চৌধুরী সভাপতিতে একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা স্থায়ী হয় আলোচিত ঐ অধিবেশন মূলত করনা ভাইরাস মহামারির কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হয়।

শেষ কথা 

জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য। ভবন কি দেখতে যেমন শৈল্পিক তেমনি এই ভবনটিতে দেশ পরিচালনার নানা কার্যক্রম ও আইন কানুন‌। জাতীয় সংসদ যেন বাংলাদেশের স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন। তাহলে আজ আমরা জানলাম জাতীয় সংসদ ভবন সম্পর্কে জানলাম।

আপনি যদি এই সম্পর্কের না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভাল হবে জেনে নিন। কারন আমি মনে করি, এই বিষয়ে আপনার যেনে রাখা উচিত। তাই জাতীয় সংসদ ভবনসম্পর্কে জানতে সম্পুর্ন পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

আরও পড়ুন-

পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের বাড়ি

রাজবাড়ী জেলার দর্শনীয় স্থান

মন্তব্য করুন