কাশ্মীর ভ্রমন ও বাজেট ট্যুর প্ল্যান

কাশ্মীর ভ্রমন

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। সবারই মন চায় সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে একটুখানি প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে। শীতকাল কিংবা গরমের ছুটি ঘুরে বেড়ানোর জন্য যদি একটি উপযুক্ত জায়গা খুঁজে থাকেন তবে আমি বলব প্রতিবেশী দেশ ভারতে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন দার্জিলিং ও সিকিম গ্যাংটক কিন্তু এইগুলোর মধ্যে বেস্ট হল কাশ্মীর ভ্রমন কারন।

কাশ্মীরকে (kashmir) বলা হয় পৃথিবীর ভুস্বর্গ। আর শীতের সময় ঘুরতে যেতে দেশের বাইরে কাশ্মীরের সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভূস্বর্গকে বেছে নিতে পারেন। আপনি কি জানেন, হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত এই কাশ্মীরের রূপে মুগ্ধ হয়েছিলেন ভারতের মোঘল সম্রাট বাদশাহ জাহাঙ্গীর। তিনি এই কাশ্মীরকে স্বর্গের সাথে তুলনা করেছেন।

তাই একে প্রকৃতির ভুস্বর্গও বলা চলে। আর এই জন্য আজ আমরা নিয়ে আসেছি কাশ্মীর ভ্রমণ (kashmir Vromon) তথ্য ও বাজেট ট্যুর প্ল্যান। সাধারনত ভৌগলিকভাবে কাশ্মীকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়, যেমন: সেন্ট্রাল, নর্থ এবং সাউথ কাশ্মীর।

এখন যারা কাশ্মীর যেতে চাচ্ছেন তারা অনেকেই জানেন না সেখানে যেতে ঠিক কত টাকা লাগে, কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি কি দেখবেন কোথায় খাবেন ইত্যাদি। কাশ্মীর ভ্রমণে (kashmir Vromon) ইচ্ছুক সে সকল মানুষদের জন্যই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক কাশ্মীর ভ্রমন।

আরও পড়ুনঃ গুলিয়াখালী সী বিচ, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম

কাশ্মীরের দর্শনীয় স্থান

আসলে কাশ্মীরের পুরো শহরটাই যেন একটা স্বর্গ রাজ্য, এখানে গেলে মনে হবে পৃথিবী থেকে যেন কোন এক কল্পনার রাজ্যে আছি। এখানেই আসলেই চোখে ভাসবে দিগন্ত জোড়া উঁচু উঁচু পাহাড় আর সাদা বরফের মেলা সহ হাজারও ফুলের সমাহার। তার সাথে আসে কাশ্মীর ভ্রমন ও বাজেট ট্যুর প্ল্যান । এই রাজ্যে কিন্তু দেখার মতো নানা জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্থান হলোঃ-

শ্রীনগর (Kashmir Srinagar)

শ্রীনগরে (Srinagar) প্রথমেই ঢুকার সময় চোখে পরবে বড় বড় পাহাড় চুড়া তার সাথে বরফের সাদা তুষার কনা সহ আরও অনেক কিছু। সেখানে আছে মোঘল গার্ডেন, টিউলিপ গার্ডেন, হযরত বাল মসজিদ, এবং ডাল লেক ও নাগিন লেক। এবং তার সাথে আপনি গাড়ি ভাড়া করে সারাদিনের জন্য শ্রীনগর (Kashmir Srinagar) শহরটা ঘুরে দেখবেন আপনার কাছে বেশ ভালো লাগবে। তাছাড়া আরডাল লেকের ভাসমান শহরটাও ভালো লাগার মতো।

কাশ্মীর ভ্রমণ kashmir-vromon

গুলমার্গ (Kashmir Gulmarg)

ভারতের শ্রীনগর শহর থেকে মাত্র ৫২ কিলো দূরে সবুজ ঘাসে বিস্তৃত এই গুলমার্গ (Gulmarg), শীত কিংবা গরম এটি সারা বছরই বরফে ঢাকা থাকে। এখানে গেলে আপনি দেখতে পারবেন গন্ডোলা, গলফ কোর্স, বাবা ঋষির মাজার, আফারওয়াত পিক, সেন্ট ম্যারি চার্চ। এই জিনিসগুলোই আপনাকে অনুভব করাবে যে আপনি (Kashmir Gulmarg) কাশ্মীরে আছেন।

পেহেলগাম (kashmir Pahalgam)

ভারতের শ্রীনগর শহর থেকে মাত্র ৯৭ কিলোমিটার দূরে ট্যাক্সি করে যেতে পারবেন পেহেলগামে(Pahalgam)। আপনি যদি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরের মাঝে এখানে যান তাহলে এখানে দেখা মিলবে রাস্তার দুইপাশে আপেল বাগান। তাছাড়াও আছে দেখার মতো অনেক কিছু যেমন- লিদার নদী, বেতাব ভ্যালি, চান্দেরওয়ারি, আরু ভ্যালি, ধাবিয়ান, কাশ্মীর ভ্যালি পয়েন্ট, কানিমার্গ, (kashmir Pahalgam) পেগেলহাম ভিউ পয়েন্ট। এখানে আবার বাইসাইরান আছে। যা  মিনি সুইজারল্যান্ড হিসেবে পরিচিত।

কাশ্মীর ভ্রমণ kashmir-vromon

সোনামার্গ (Sonmarg Kashmir)

শ্রীনগর শহর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সোনামার্গ(Sonmarg Kashmir)। যারা ঝর্ণা দেখতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই জায়গাটা বেস্ট। কারন সুন্দর উপত্যকা ও ঝর্ণার দেখা মিলবে এই সোনামার্গে(Sonmarg) আসলে। তাছাড়াও এখানে আসলে দেখা মিলবে থাজিয়ান হিমবাহের। এছাড়াও আছে সিন্ধু নদী, আছে স্লেজিং, স্নো বাইক ও ঘোড়ায় চড়ার মত সুন্দর সুযোগ। 

এছাড়াও কাশ্মীরে কিছু জায়গা রয়েছে যা শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে, হয়তোবা অনেকেরই অজানা থাকতে পারে তবে ভালো লাগার মতো। যেমন – মার্তণ্ড মন্দির শ্রীনগর থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত যেখানে অন্যরকম স্থাপত্যে গড়ে উঠা এক হিন্দু মন্দির আছে।

এখানে ‘হায়দার’ ছবির একটা বিখ্যাত গানের শুটিং হয়েছিল। তাছাড়া ছোট্ট একটি শহর কোকেরনাগ, রয়েছে মাছ ধরার ব্যবস্থাও। এছাড়াও ছটপলে রয়েছে কাঠ বাদাম ও আপেল বাগানের বিশাল সমাহার। আপনি চাইলে নুব্রা উপাতাক্য ও দুধপতরির মতো জায়গায়গুলোতে ঘুরে আসতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা – চট্টগ্রাম

কাশ্মীর ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

রূপে অন্যান্য ও ভরপুর কাশ্মীরে আপনি যেকোনো সময়ই যেতে পারবেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগে আপনাকে যেনে নিতে হবে কাশ্মীর সম্পর্কে  আর তাই  নিয়ে এলাম কাশ্মীর ভ্রমন তথ্য ও বাজেট ট্যুর প্ল্যান।  কাশ্মীর হচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুদের ভালো লাগার মতো একটি জায়গা। তবে বছরে কিছু বিশেষ সময়ে আছে যখন কাশ্মীরের সৌন্দর্য বিশেষভাবে ধরা পড়ে সবার চোখে।

শীতকালে ডিসেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে কাশ্মীরে চারিদিকে শুধু বরফ আর  বরফে ছেয়ে যায়, এর সাথে ফুলও। আর তাই এই সময় কাশ্মীরে গেলে চারপাশের এক অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়বে আপনাদের। তবে অবশ্যই শীতকালে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাড়তি সাবধানতার প্রয়োজন আছে।

কারন এ সময় বরফের পাহাড় ধসে দূর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই শীতকালে গেলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এবং তার সাথে শীতের পোশাক ও উপযুক্ত জিনিস-পত্র নিয়ে যাওয়া উচিত।

কাশ্মীর ভ্রমণ kashmir-vromon

কাশ্মীরে কীভাবে যাবেন 

প্রকৃতির ভুস্বর্গ কাশ্মীর যেতে হলে আপনাকে আগে প্রতিবেশী দেশ ভারত যেতে হবে। এজন্য ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আপনাকে ভারতের দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে। 

বিমানে যেতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে দিল্লি যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে যেতে হবে শ্রীনগর। তারপর শ্রীনগর শহর থেকে গাড়িতে করে পৌঁছে যাবেন সোজা কাশ্মীর। আবার, কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে ট্রেনে যেতে চায় তবে প্রথমে ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনে করে যেতে হবে। আর বাংলাদেশ থেকে কলকাতা যাবার জন্য আছে মৈত্রী এক্সপ্রেস

এরপর ট্রেনে কলকাতা নামতে হবে। তারপর ওখান থেকে আবার ৩৫-৩৬ ঘণ্টা সফর করে ‘জম্বু’ যেতে হবে। আর কলকাতা থেকে জম্বু যাওয়ার জন্য ‘হিমগিরি’ ও ‘জম্বু তাওয়াই’নামের দুইটি ট্রেন আছে যেগুলো সপ্তাহে তিন দিন অর্থাৎ মঙ্গল, শুক্র এবং শনিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে কলকাতার হাওড়া থেকে জম্বুর উদ্দ্যেশে রওনা দেয় হিমগিরি।

আর তাওয়াই প্রতিদিনই যাতায়াত করা যায় হাওরা টু জম্বুতে। তবে এখানে সময় বেশি লেগে যায়। আর এজন্য তাড়াহুড়া না থাকলে হিমগিরিতে ধীরে ধীরে যাওয়াই ভালো। জম্বু পৌঁছানোর পর আবার সেখান থেকে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার সফর করে শ্রীনগর যেতে হবে। শ্রীনগর থেকে গাড়ি করেই পৌঁছে যাবেন স্বপ্নের শহর কাশ্মীরে।

কেউ যদি বাসে করেও যেতে চায় ক্ষেত্রেও প্রথমে গ্রিনলাইন, সোহাগ বা শ্যামলি পরিবহনে কলকাতা থেকে জম্বু গিয়ে ওখান থেকে আবার শ্রীনগরে পৌঁছে গাড়ি করে কাশ্মীরে যেতে পারবে। কেউ চাইলে কলকাতা থেকে জম্বু অথবা শ্রীনগর থেকে ‘ডোমেস্টিক বিমানে’ যেতে পারেন। আবার ভাড়া একটু বেশি হবে।

কাশ্মীরে গিয়ে কোথায় থাকবেন 

কাশ্মীর থাকার জন্য শ্রীনগর ও জম্বুতে বেশ কিছু হোটেল, রিসোর্ট ও হাউজ বোট রয়েছে। এর মধ্যে আছে হোটেল জামরুদ, হোটেল জাহাঙ্গীর, গ্র্যান্ড হোটেল যেগুলো বেশ উল্লেখযোগ্য। তবে কেউ যদি ভালো টুরিস্ট এরিয়ায় থাকতে চায় তাহলে শ্রীনগরেরে ডাল লেকের পাশেই রয়েছে বেশ কিছু হাউস বোট। যেমন-প্রিন্স অফ ভ্যালে, ইয়ং মর্নিং স্টার, নিউজিল্যান্ড হাউস বোট ইত্যাদি।

তবে সেই জায়গায় থাকলে সেক্ষেত্রে খরচ অন্যান্য হোটেলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হবে। আবার পেহেলগামের কাছেও কটেজ আছে। যেখানে  থাকলে যদি নিজেরা বাজার করে দেয়া হয় তাহলে খরচ কিছুটা কম পড়বে। তবে এই ক্ষেত্রে আগে থাকে অনলাইনে বুকিং না দিয়ে কাশ্মীর গিয়ে আপনার যে শহরে থাকতে ইচ্ছে হয় ঠিক সেই হিসেবে সেই শহরে হোটেল বুকিং দিলে ভালোহয়। 

তাছাড়া এখানে নানা মানের নানা ধরনের হোটেল আছে। কাশ্মীরে আছে কিছু হোটেল যেখানে ৫০০-৩০০০ রুপি পড়বে খরচ। এর চেয়ে দামী ও হোটেল পাবেন ।আপনার বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী নিয়ে নিন হোটেল নিয়ে নিবেন।

কাশ্মীরে গিয়ে কোথায় কী খাবেন

কাশ্মীরে অনেক ধরনের খাবার আছে। রাস্তা ধারেও বেশ কিছু দোকান আছে যেখানে চাইলে আপনি খেতে পারবেন। তাছাড়া থাকার হোটেল গুলোতেই খাবারেরও ব্যবস্থা আছে। আপনি কাশ্মীর গিয়ে নানা ধরনের তাজা ফলের স্বাদ নিতে পারবেন। এছাড়াও এখানাকার  মাটন বিরিয়ানি বিখ্যাত।

এখানকার ওজওয়ান (নানা ধরনের খাবারের একপ্লেটার), কাশ্মীরি কাবাব, মাটন রোগান জোশ, ভেড়ার মাংস, পনির চামান, আলুর দম, টক বেগুন, নাদরু ইয়াখনি বিখ্যাত। এগুলো আপনি খেয়ে দেখতে পারেন।

আর রফিক ক্যাফেটেরিয়ার কাবাব আর কুলফির স্বাদও মুখে লেগে থাকার মতো, যা কিনা চাইলে আপনি একটু খানি চেখে দেখতে পারেন। খাবার খরচটা অনেক সময় হোটেল খরচের সাথে থাকে। হোটেলের বাইরে কিছু খেলে আপনার বারতি টাকা দিতে হবে।

কাশ্মীরে ঘুরতে কেমন খরচ হবে 

সত্যি বলতে এই ভ্রমণের পুরো খরচটা  নির্ভর করে আপনার উপরে। কারন আপনি কতটা খরুচে বা বিলাসীতা প্রিয় এর উপরেই।  তারপরও আমি একটা আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করছি । আপনার বাজেট যদি ২৫- ৩০ হাজার টাকা হয় তাহলে আপনি ঘুরে আসতে পারবেন। এটা একটা মিনিমাম এমাউন্ট।

তবে খরচ বাড়তেও পারে আবার আপনি চাইলে কমতেও পারে নির্ভর করে আপনার উপরই। আমি শুধু একটা ধারণা দিলাম মাত্র। আপনি যদি কলকাতা থেকে বিমানে যান আরও বেশি খরচ হতে পারে। তাছাড়া আপনি যদি একটু ভালো মানের হোটেলে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে খরচও বাড়বে। আবার কিছু জিনিস কিনেন তবে সেক্ষেত্রেও খরচ বাড়বে।

আরও পড়ুনঃ শরীয়তপুরের দর্শনীয় স্থান

কাশ্মীর ভ্রমণ নিয়ে কিছু  টিপস

কাশ্মীর ভ্রমণ সাথে আমাদের আরও কিছু  জানা দরকার। কাশ্মীর ভ্রমণ করার আগে কিছু জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন, যাতে পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যা বা দুর্ঘটনা না হয় তা নিচে উল্লেখ করা হল। যেমনঃ-

  • ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এক থেকে দুই মাস আগে বিমানের টিকেট কেটে রাখা। এতে খরচ কিছুটা কম পড়বে।
  • শীতকালে কাশ্মীর যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই শীতের প্রস্তুতি অর্থাৎ যাবতীয় ঔষুধ ও শীতের কাপর নিয়ে যেতে হবে।
  • কাশ্মীরে ট্রিপে অবশ্যক একটু সময় নিয়ে যাওয়া ভালো। এতে জায়গায় গুলো ভালো ভাবে দেখা যাবে। সেই ক্ষেত্রে মোটামোটি ছয় -সাত দিনের সময় নিয়ে গেলে ভালো হবে।
  • দালাল থেকে সতর্ক থাকা। কাশ্মীরের টুরিস্ট স্পটগুলোতে ভ্রমণের মজা বাড়ানোর নানা কথা বলে ও প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কিছু চাটুকার লোকজন আছে যারা টাকা হাতিয়ে নেয়। তাই নিজে ভালোভাবে আগে যাচাই করে টাকা খরচ করবেন। ভালো বুদ্ধি হলো অবশ্যজ সীমান্ত পার হয়ে কলকাতা গিয়ে তারপর কাশ্মীর যাওয়া, তাতে কলকাতাও দেখতে পারবেন ও খরচও কিছুটা কম হবে। আবার সাথে ফেরার পথে চাইলে লাদাখ ও ঘুরে আসতে পারেন,তাহলে ভ্রমণটা একেবারে পরিপূর্ণ হবে।
  • আগে থেকেই অনলাইনে টাকা ও রুপির রেট জেনে টাকা রুপিতে এক্সচেঞ্জ করে নিবেন। এতে খরচ করতে সুবিধা হবে।
  • অবশ্যই কিছু পছন্দ হলে অথবা যেকোনো জিনিস কেনার আগে দামাদামি করবেন। কারণ অনেক সময় কাশ্মীরে সবকিছুর দাম বাইরের পর্যটকদের কাছে একটু বেশি চাওয়া হয়।
  • কাশ্মীরের খাবার গুলোতে মশলা একটু বেশি থাকে তাই একটু বুঝে শুনে খাবেন।
  • কাশ্মীর ভ্রমণের আগে ট্র্যাভেল ট্যাক্স হিসেবে ৫০০ টাকা সোনালি ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হবে। ওটা জমা দিয়ে দিবেন

পরিশেষ                                 

প্রকৃতির রাজকুমারি হলো কাশ্মীর। প্রকৃতির জাঁকজমকতায় অন্য যেকোন জায়গার কাছে কাশ্মীর অতুলনীয়। কাশ্মীরের রুপ সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে এর পর্বতে, সবুজ তৃণভূমিতে, সুন্দর হ্রদে এবং এর মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাতে।

যা পর্যটকদের এখানে বার বার টেনে নিয়ে আসে। কাশ্মীরে আপনার কাটানো সময়গুলো আনন্দময় এবং আলোকিত করতে তাই আজকের আর্টিকেলে আমি কাশ্মীরের কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছি।

আজ আমরা জানলাম কাশ্মীর ভ্রমন ও বাজেট ট্যুর প্ল্যান তার পাশাপাশি আলোচনা করেছি কিভাবে কাশ্মীর যাবেন, যাওয়ার পর কি কি দেখবেন ইত্যাদি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে। শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে “ধন্যবাদ”।

 

কাশ্মীর ভ্রমণ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর

(১) ঢাকা টু কাশ্মীর বিমান ভাড়া?

উত্তরঃ ঢাকা টু কাশ্মীরের শ্রীনগরে রাউন্ড ওয়েতে এয়ার টিকেটের দাম সাধারণত ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

(২) বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ খরচ?

উত্তরঃ সত্যি বলতে এই ভ্রমণের পুরো খরচটা নির্ভর করে আপনার উপরে। কারন আপনি কতটা খরুচে বা বিলাসীতা প্রিয় এর উপরেই। তারপরও আমি একটা আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করছি । আপনার বাজেট যদি ২৫- ৩০ হাজার টাকা হয় তাহলে আপনি ঘুরে আসতে পারবেন

(৩) কাশ্মীরের সুপরিচিত পণ্য কি?

উত্তরঃ কাশ্মীর অঞ্চলটি গায়ের শাল এবং কার্পেট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। 

(৪) কাশ্মীর ভ্রমণের উপযুক্ত সময়?

উত্তরঃ- বসন্তকাল হলো কাশ্মীর ভ্রমণের সেরা ঋতু। এ সময়টাতে কাশ্মীর তার সব রুপ পর্যটকদের জন্য বের করে দেয়। দেখিয়ে দেয় তার রুপের খেলা।

আরও পড়ুন-

বজরা শাহী মসজিদ নোয়াখালী

ইনানী বিচ কক্সবাজার

মন্তব্য করুন