সুন্দরবন ভ্রমণ : ইতিহাস, যাওয়ার উপায়, ভ্রমণ খরচ ও দর্শনীয় স্থান

সুন্দরবন

আমাদের এই বাংলাদেশ অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরপুর। এদেশে আছে অনেক দর্শনীয় স্থান যেমন কক্সবাজার, বান্দরবান,সাজেক ইত্যাদি। আর সেগুলো বাদেও বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে সুন্দরবন । বিশ্বে প্রাকৃতিক বিস্ময়ের আরেক নাম হলো ম্যানগ্রোভ বন বা সুন্দরবন।

আপনি যদি গরমের এই ছুটিতে সুন্দরবন(sundarban) ঘুরে আসতে চান তাহলে নিশ্চয়ই ভাবছেন সুন্দরবন কিভাবে যাব! তাই আপনার সুন্দরবন ভ্রমণের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে জানাবো সুন্দরবন কিভাবে যাবেন, সুন্দরবনে গিয়ে কোথায় থাকবেন, কিভাবে ঘুরবেন, কি কি দেখতে পারবেন।

আপনার সুন্দরবন(sundarban) যাওয়ার আগে অবশ্যই সুন্দরবন সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া দরকার। সুন্দরবন হলো পৃথিবীর সবথেকে বড় ম্যাংগ্রোভ বন বা লবণাক্ত বন, যা পদ্মা, মেঘনা ব্রম্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকায় অবস্থিত। বনে ঠিক যতোদূর দৃষ্টি যায় মনে হবে শিল্পীর হাতে আঁকা এক সবুজ অরন্য। এখানে আসলেই চোখে ভাসবে সারি সারি কেওরা, গেওয়া, সুন্দরী, গরান, গোলপাতা সহ নানা প্রজাতির গাছ।

মূলত বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা নিয়ে সুন্দরবনের অংশ। সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার, যা কিনা বাংলাদেশ ও ভারত এই দুই দেশ নিয়ে। আর বাংলাদেশে সুন্দরবন অংশের আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার। সুন্দরবনে(sundarban) পাওয়া যায় সুন্দরী গাছ। আর এই গাছের নামানুসারে এই বনের নাম রাখা হয়েছে সুন্দরবন।

সুন্দরবনের আসল আকর্ষণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তাছাড়া আছে চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ বিভিন্ন ধরনের প্রজাতির আবাসস্থল। বিভিন্ন জাতের পশু ছাড়াও সুন্দর বনে রয়েছে প্রায় ৩৫০ প্রকারের উদ্ভিদ, ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৮ টি উভচর। এগুলো সুন্দরবনের সম্পদ।

আরও পড়ুনঃ সুনামগঞ্জের দর্শনীয় স্থান ট্যুর প্ল্যান

সুন্দরবন দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের সুন্দরবন (sundarban) বিশাল একটি বনাঞ্চল নিয়ে গঠিত। কিন্তু নিরপত্তার কারনে আপনি চাইলে এ বনের সব জায়গায় যেতে পারবেন না। সাধারণত সুন্দরবন ঘুরে দেখা যায় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও বরগুনা জেলার মধ্যে দিয়ে। তবে সবথেকে বেশি পর্যটক ভ্রমণ করে খুলনা ও বাগেরহাটের মোংলাবন্দর দিয়ে। আর খুলনা ও মোংলা দিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণের উল্লেখযোগ্য স্থান গুলো হলো-

হারবাড়িয়া

হারবাড়িয়া সুন্দরবনের (sundarban) আরেকটি সুন্দরতম পর্যটন স্পট হলো হারবাড়িয়া। মোংলা জেলা থেকে সুন্দরবন হারবাড়িয়ার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এই জায়গায়টির মূল আর্কষন হলো কাঠের ট্রেইল ও ওয়াচ টাওয়ার। এখানে যে ওয়াচ টাওয়ারটি আছে তা দিয়ে পুরো হারবাড়িয়ার অংশটুকু দেখা যায়। আর হারবাড়িয়ার পুরো কাঠের পুল হাটতে সময় লাগবে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো।

তাছাড়াও এখানে আসলে দেখতে পারবেন পদ্মপুকুর। আর সবচেয়ে মজার অনুভূতিটা তখন লাগবে যখন আপনি কাঠের পুল দিয়ে হেটে বনের গভীরে যেতে থাকবেন। আর বনের নিস্তব্ধতা, পাখির ডাক মাঝে মাঝে বানরের ডাক আপনাকে এডভেঞ্চারের আনন্দ দিবে।

কটকা

আপনি যদি সুন্দরবনের(sundarban) হরিন দেখতে চান তবে আপনাকে যেতে হবে কটকা অভায়ারন্যের কাছে। এখানকার মূল আর্কষন হলোই এখানে গেলে দেখা মিলবে হরিণের দলের সাথে। আর এখানেও আছে কাঠের পুলের ট্রেইল। যা ধরে হাটলে কেওড়া বনের মাঝে দেখা মিলবে হরিণ দলের। কটকা অভায়ারন্যের দক্ষিন পাশেই আবার আছে বঙ্গোপসাগর। আর এই সাগরের পাশ ঘেঁষেই কটকা অভায়ারান্যটি।

কটকা বীচ

কটকা কাঠের ট্রেইলটি ধরে কিছু দূর হাটলেই দেখা মিলবে কটকা সমুদ্র সৈকতটি। এখানে আসলে মন ভালো হবেই। স্বচ্ছ পানির জলরাশি আর সমুদ্র সৈকতটির পরিষ্কার ও সৌন্দর্যতা যে কারো মন কাড়তে বাধ্য। এখানে গেলে আপনার চোখে পরবে ঝাঁক বাধা লাল কাকড়ার দলের। যা দেখলে মনে হবে এ যেন এক অন্য জগৎ। তাছাড়া এই কটকা বীচে একই সাথে বন ও সাগরের সৌন্দর্য খুব ভালোভাবেই উপভোগ করতে পারবেন।

হিরন পয়েন্টে

হিরন পয়েন্টেও রয়েছে একটি কাঠের পুলের ট্রেইল। আর এখানেও কাঠের পুলের ট্রেইল ধরে হাটতে হাটতে দেখা মিলবে বানর, হরিণ, গুইসাপ, কুমিরের। আর ভাগ্য ভালো থাকলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারেরও দেখা মিলতে পারে। এখানে আসলেই কিন্তু সুন্দরবন যে ঘুরতে এসেছেন তার ফিল পুরোটা পাবেন নিশ্চিত।

করমজল

মোংলা থেকে সুন্দরবনের (sundarban)সব থেকে কাছের স্পটটি হলো করমজল। এই করমজলে আসলে আপনি দেখতে পারবেন কাঠের পুলের ট্রেইলের আশে পাশে শত গাছ গাছালি, পাখি, বানর। করমজলকে বন বিভাগ মূলত হরিণ ও কুমিড়ের প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছে। যদি আপনি সুন্দরবন নাও যেতে পারেন তবে এখানে ঘুরে বনের কিছুটা সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

সুন্দরবন sundarban

দুবলার চর

আমরা কম বেশ সবাই দুবলার চরের নাম শুনেছি। সুন্দরবনের (sundarban)মধ্যে ছোট্ট এই চর হলো দুবলারচর, যা মূলত মূলত জেলেদের একটি গ্রাম। কুংগা ও মরা পশুর নদীর মাঝের একটি বিচ্ছিন্ন চর হলো এই দুবলার চর। এই দুবলার চরের আয়তন প্রায় ৮১ বর্গ মাইল। আর এই দুবলার চরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা নদী গিয়ে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে।

এখানে বছরের প্রায় পাঁচ মাস ১০ হাজাররের মত জেলেরা অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। এখানে শুটকিও তৈরী করা হয়। মুলত মাছ ধরার পাশাপাশি চলে শুটকি তৈরির কাজ। দুবলার চর জায়গাটি মূলত হিন্দুধর্মের পূন্যস্নান, রাসমেলা ও শুটকির জন্য বিখ্যাত। হিন্দু ধর্মের রাস উৎসবের সময় আসলে এখানে মেলা উপভোগ করা যাবে।

আপনি যদি এই সব স্পট একদিনে ঘুরে দেখতে চান তা কিন্তু সম্ভব হবে না। তাই আপনাকে অবশ্যই হাতে ২ থেকে ৩ দিন নিয়ে সেখানে থাকতে হবে। যদি সুন্দরবন ঘুরে আসার কথা চিন্তা করেন তাহলে অন্তত ২ দিনের ভ্রমণ প্লান করা সবচেয়ে  ভালো হবে।

আরও পড়ুনঃ সিলেটের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ

সুন্দরবন ভ্রমণের প্যাকেজ

সুন্দরবন (sundarban) ভ্রমণের প্রতিটি প্যাকেজের খরচ নির্ভর করে শীপের মান ও খাবারের উপর, আপনি কোন কোন জায়গা ঘুরতে যাবেন, ঠিক কতদিন থাকবেন, কি খাবেন তার উপর। সাধারণত বিভিন্ন দেশীয় ট্রাভেল এজেন্সি এসব ভ্রমণ প্যাকেজ ২ রাত ৩ দিন বা ৩ রাত ৪ দিনের দিয়ে থাকে। আর মোটামুটি ভালো মানের একটা শিপের জন্য জনপ্রতি প্যাকেজ খরচ হবে ৬০০০-১৪০০০ টাকার মাত্র।

আর কেউ যদি বিলাসবহুল টুরিস্ট ভ্যাসেলে ভ্রমণ করে তবে খরচ হবে ১৫০০০ – ২৫০০০ টাকা। আর যাদের বাজেট কম, তাহলে তারা যদি গ্রুপে ৩০-৪০ জন হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে নিজেরাই একটি শীপ ভাড়া করে নিতে পারবেন। আর সেক্ষেত্রে খরচ নির্ভর করবে কোন কোন জায়গা ঘুরবেন, কতদিন থাকবেন তার উপর।

সুন্দরবন কিভাবে ঘুরবেন

সুন্দরবন sundarban

যারা সুন্দরবন (sundarban) যাবেন আমি বলবো নিরাপত্তা, খরচ, অনুমতি আর জটিল প্রক্রিয়ার জন্য সুন্দরবন ঘোরার সব থেকে সহজ উপায় হলো- কোন একটি ট্যুর গ্রুপের সাথে প্যাকেজে যাওয়া। কারন এখানে আপনাকে কষ্ট করে নিজে থেকে কোন কিছু ম্যানেজ করতে হবে না।

যারা ট্যুর প্লান করবে তারাই সব কিছু দেখে নেবে। আর এই প্যাকেজের মধ্যেই শীপে ওঠার পর ঘাটে ফেরা পর্যন্ত ৩ বেলার খাবার, ২ বেলার নাস্তাও থাকছে। তাছাড়া এই প্যাকেজেই অনুমতি, নিরাপত্তা কর্মী ও গাইড সহ সকল যাবতীয় খরচ যুক্ত থাকবে। তাই আমি মনে করি সুন্দরবন ভ্রমণের ক্ষেত্রে ট্যুর প্যাকেজি বেস্ট।

অবশ্য আপনি চাইলে একা অথবা ২-৩ জন মিলে বনের গহীনে ঘুরতে যেতে পারেন এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বন বিভাগের অনুমনি নিয়ে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে এবং নিরাপত্তারক্ষীকে সাথে নিয়ে যেতে হবে। কারন বাঘের ভয় আছে। আর প্রতিটি নৌযানেই ভ্রমণের সময় কমপক্ষে ২ জন করে নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে থাকে বন বিভাগ।

আর আপনি যদি সব গুলো স্থান ঘুরতে যেতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে ট্রলার বা শীপের বিকল্প নেই। তবে সাবধান! একা গেলে বা গ্রুপে কম মানুষ গেলে আপনাকে অবশ্যই অনেক সর্তকতা অবলম্বন করে যেতে হবে।

কোথায় থাকবেন

যারা গ্রুপ করে শীপ বা লঞ্চে যাবেন, তারা সেখানেই রাত্রি যাপন করতে পারবেন। তবে কেউ যদি একাই ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমন করতে চান তাহলে টাইগার পয়েন্টের কাছে কচিখালী এবং হিরন পয়েন্টের নীলকমল আর কটকায় বন বিভাগের রেস্টহাউজ আছে, সেখানে থাকতে পারেন।

কেউ যদি মোংলা দিয়ে ভ্রমণ করতে চায় তবে মোংলা থাকার জন্য পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল আছে। এছাড়া পশুর বন্দরে থাকার জন্য বেশ কিছু সাধারণ মানের হোটেল আছে। যেখানে বাজেটের মধ্যেই থাকতে পারবেন।

আবার খুলনা শহরে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল র‍য়েছে। সেগুলো হলো, হোটেল ক্যাসেল, টাইগার গার্ডেন, হোটেল মিলিনিয়াম ইত্যাদি। এদিকে আবার শ্যমনগরে এনজিও সুশীলনের রেস্ট হাউজ ও ডরমেটরীতেও রাতে থাকার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া সাতক্ষীরা দিয়ে যদি ভ্রমণ করতে চান তবে সেখানেও কিছু সাধারণ মানের হোটেল পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঃ রংপুরের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ গাইড

সুন্দরবন ভ্রমন টিপস

সুন্দরবনে (sundarban) বাঘ ছাড়াও আরও বেশ কিছু হিংস্র পশু আছে। তাই সুন্দরবনে ভ্রমনের সময় নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই দক্ষ ও সশস্ত্র বন প্রহরী সাথে রাখুন। যদি আপনার সুন্দরবন ভ্রমণ শীতকালে হয় তবে সেখানে গেলে ভালো শীতের কাপড় নিয়ে নিন। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা থেকে বিরত রাখুন।

আপনার সাথে নিরাপদ খাবার পানি সাথে রাখুন। ট্যুর প্যাকেজে গেলে  সেখানকার গাইডের কথা মেনে চলুন। শীপে ওঠার আগে অবশ্যউ প্রয়োজনীয় সব কিছু চেক করে সব নিয়ে তারপর উঠবেন। আপনি কোন শীপে বা লঞ্চে নিয়ে যাবেন তা আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে নিন।

অবশ্যই সাথে করে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি রাখবেন। সুন্দরবনের (sundarban) কিছু জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্ক একদম পাওয়া যায় না। তাই সাথে যে সীমের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় সেটি সাথে রাখবেন। এবং আপনার প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো সাথে রাখুন।

তাছাড়া আপনি বা আপনারা যে এজেন্সির সাথে যাবেন তাদের সর্ম্পকে আগে থেকেই খোঁজ নিয়ে তারপর সেখানে যাবেন। আর আপনার যদি বাজেট সমস্যা না হয় তাহলে ভালো মানের শীপ ভাড়া করে যাওয়াই ভালো। আর বনের ঢুকার সময় সবাই একসাথে থাকার চেষ্টা করুন।

আর আপনি যদি ভ্রমণ খরচ কমাতে চান তাহলে ছুটির দিন গুলোতে না যাওয়াই ভালো। কারন ছুটির দিন গুলোতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ভিড়ও থাকে, আর ভাড়াও বেশি থাকে। তাই ছুটির দিনগুলোতে সুন্দরবন না যাওয়াই ভালো। তাছাড়া আবেগের বশে অনেকেই আছেন যারা পোকামাকড়ের গায়ে হাত দেন কিন্তু, এগুলোও থেকেও দূরে থাকাই ভালো।

আর উপরোক্ত বিষয়গুলো সুন্দরবন ভ্রমনের সময় অবশ্যই মনে রাখার চেষ্টা করবেন। কারন নিরাপদ একটি ভ্রমণ আমাদের সকলের কাম্য। আর নিরাপদ ভ্রমনের মাধ্যমেই আপনি মিশে যান সবুজ ও নিভীড় প্রকৃতির সাথে।

পরিশেষে

যারা দেশ ও দেশের বাইরে ঘুরতে ভালোবাসেন সেই সকল ভ্রমন পিপাসুদের জন্য ঝুড়ি ঝুড়ি সৌন্দর্য্য সাজিয়ে বসে আছে সুন্দরবন। এখানে বিদ্যমান জীব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য থেকে মুগ্ধ হতে যেকোনো প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ বাধ্য হবে। তাহলে আর দেরি কেন আজই পরিবার পরিজন নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। এবং আপনার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি “ধন্যবাদ“।

আরও পড়ুন-

মন্তব্য করুন