কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও আবেদনের সঠিক নিয়ম

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

চাকরির সুবাদে অনেকেরই অনেক দেশে যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি কানাডায় যাওয়ার কথা চিন্তা করে থাকেন তবে আপনি ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন যে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হবে। তাই আজকের আর্টিকেল কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হবে।

শুধু কানাডা নয় যে কোন দেশে যদি আপনি জবের জন্য যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়াটা কিছুটা কঠিন হলেও কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে আপনি পেয়ে যেতে পারেন। আজ এই আর্টিকেল থেকে আপনি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন নিয়ম বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুনঃ

Table of Contents

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি

কানাডায় একটি ওয়ার্ক পারমিট হল একটি নথি যা আপনাকে কানাডায় চাকরি নিতে অনুমতি দেবে। এটি অস্থায়ী বা স্থায়ী হতে পারে, আপনার পরিস্থিতি এবং আপনি যে ধরনের ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন তার উপর নির্ভর করে। বিভিন্ন ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যায়, তাই কোনটি আপনার প্রয়োজন অনুসারে উপযুক্ত তা নির্ধারণ করা অপরিহার্য।

কিভাবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হয়

প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, কানাডা ওয়ার্ক ভিসা (Canada work visa) নিয়ে কানাডায় সরাসরি আসা যায়, তারপর কানাডায় এসে কাজ খুঁজে নিতে হয়। ব্যাপারটা সে রকম নয়।  চাকরির বাজারে চাহিদার ওপর নির্ভর করে ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং হয়। কোনো কোম্পানি যদি একটি চাকরির জন্য কানাডা থেকে লোক খুঁজে না পায়, শুধু তখনই তারা বিদেশ থেকে ওই চাকরির জন্য লোক আনতে পারে।

সে ক্ষেত্রে প্রথমে তারা কানাডার বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেবে, কয়েকবার বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরও যদি তারা কাঙ্ক্ষিত লোক না পায়, তখন তারা সরকারের কাছে আবেদন করে কানাডার বাইরে থেকে ওই কাজের জন্য লোক আনার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ অপেক্ষা করে ওয়ার্ক ভিসায় কানাডায় আসার জন্য।

এই ধরনের চাকরির খবর (indeed.com) ওয়েবসাইটে থাকে। আরও কিছু ওয়েবসাইটে থাকে। ওই ধরনের চাকরির ওয়েবসাইটে গিয়ে Labor Market Impact Assessment (LMIA) লিখে সার্চ দিলে চাকরিগুলো পাবেন। আপনার বায়োডাটা যদি তাদের পছন্দ হয়,  তারা আপনাকে ইন্টারভিউর জন্য ডাকবে। এই ইন্টারভিউগুলো অনলাইন হয়ে থাকে।

যদি তারা আপনাকে যোগ্য মনে করে, তাহলে তারা আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার আগে সরকারের কাছে এলএমআইএর জন্য আবেদন করবে। তারপর সরকার আরেক দফা যাচাই-বাছাই করবে। কানাডার সরকার দেখতে চাইবে, ওই কোম্পানি সঠিক লোক নিয়োগ দিয়েছে কি না, নাকি ওই কোম্পানি টাকার বিনিময়ে বিদেশ থেকে লোক আনছে।

সরকার যাচাই–বাছাই করার পর যদি আপনাকে যোগ্য মনে করে, তবে এলএমআইএ ইস্যু করবে। আপনি কোম্পানির কাছ থেকে জব অফার ও সরকার কর্তৃক এলএমআইএ পেলে তখন ভিসার জন্য আবেদন করবেন।

এ ধরনের ভিসা এক–দুই বছরের জন্য দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে কয়েক বছর কাজ করে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

যে চাকরিতে এলএমআইএ পেতে পারেন

হেভি ট্রাক ড্রাইভার, বিভিন্ন ওল্ড হোমে সাপোর্ট ওয়ার্কার, ইন্ডিয়ান বা চায়নিজ রেস্তোরাঁয় শেফ, কম্পিউটার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারসহ বেশ কিছু টেকনিক্যাল কাজে কানাডা ওয়ার্ক ভিসা দিয়ে বিদেশ থেকে লোক আনে।

কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করার উপায়

আপনার প্রয়োজন ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে আপনি কানাডিয়ান সরকারের ওয়েবসাইটে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি অনলাইনে প্রায় সবকিছু করতে পারেন তবে আপনার জাতীয়তা

এবং আপনার যে ধরনের ভিসার প্রয়োজন তার উপর নির্ভর করে আপনার বায়োমেট্রিক্স প্রদানের জন্য আপনাকে নিকটতম কানাডিয়ান কনস্যুলেটে যেতে হতে পারে, সেটি হল আপনার ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ।

অলিম্প ট্রেড প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্সেস করার ৩ টি উপায় রয়েছে। প্রথমে ওয়েব সংস্করণ যা আপনি মূল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করতে পারেন। উইন্ডোজ এবং ম্যাক উভয়ের জন্য উভয়েরই ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এই অ্যাপটিতে কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনি ওয়েব সংস্করণে পাবেন না।

এরপরে রয়েছে অলিম্প ট্রেডের অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপল মোবাইল অ্যাপ৷ কানাডিয়ান সরকারের ওয়েবসাইট আপনার ভিসার জন্য আবেদন করার দুটি ভিন্ন উপায় অফার করে।

  • ওয়েবসাইটে অনলাইন ফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদন করুন
  • কাগজে আবেদনপত্র পূরণ করুন এবং অন্যান্য নথি সহ জমা দিন।

কানাডার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার লাগবে একটি কভার লেটার এবং একটি সিভি। তবে অবশ্যই তা লিখতে হবে কানাডিয়ান স্টাইলে। তথ্যসমৃদ্ধ সিভি এবং কভার লেটার তৈরি করতে হবে। অবশ্যই চেষ্টা করবেন কানাডিয়ান ফরম্যাট অনুসরণ করে সিভি এবং কভার লেটার টি তৈরি করার।

ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনার আবেদন পত্র বরাবর কানাডিয়ান এম্বাসি লিখতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে যাওয়ার পরে আপনার এবার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে মোট আটটি ডকুমেন্টের।

  • পাসপোর্টঃ আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস থাকতে হবে। ছয় মাসের বেশি মেয়াদ থাকলে তার আরো ভালো।
  • ছবিঃ দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে সাদা এবং ছবি ম্যাট পেপারে প্রিন্ট করা থাকতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রঃ  আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ,পর্যায়ক্রমে উত্তীর্ণ হওয়া সার্টিফিকেটগুলো প্রয়োজন হবে।
  • অভিজ্ঞতার সনদপত্রঃ অনলাইনে আবেদন করার পর আপনি যখন ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে যাবেন তখন আপনি যেই কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন সেই কাজের অভিজ্ঞতা আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য আপনার অভিজ্ঞতা সনদপত্র লাগবে।
  • ব্যাংক ব্যালেন্সঃ আপনাকে একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট করতে হবে আপনার ফিনান্সিয়াল অবস্থা প্রমানের জন্য। আপনাকে একটি ফান্ড দেখাতে হবে এবং সেখানে যথেষ্ট টাকার এমাউন্ট থাকতে হবে। কানাডায় যাওয়ার পর কোনভাবে আপনি যদি কখনো বিপদে পড়েন সেখানে আপনার ভরণপোষণ চালাতে পারবেন তা প্রকাশ পায়।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদপত্রঃ যে কোন দেশেই জব ভিসা বাট টুরিস্ট ভিসা পেতে হলে আপনার স্বাস্থ্য চেকআপ করিয়ে তার সনদ গ্রহণ করতে হবে। আপনার যদি বড় কোন রোগ থাকে কিংবা ছোঁয়াচে কোন ধরনের রোগ থাকে তবে আপনি ভিসা পাবেন না।
  • ভিসা ফিঃ ভিসা ফি জমা হয়েছে কিনা তার একটি রসিক দেখাতে হবে। ভিসা ফি দেওয়ার পরপরই আপনি একটি রশিদ পাবেন এবং সেই রশিদটি আপনার সংরক্ষণ করতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্সঃ আপনি বড় কোন ক্রাইমে যুক্ত নেই সেটি প্রমাণের জন্য আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে।

কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি

এই সমস্ত ধরণের ভিসাকে বিস্তৃতভাবে দুটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এই বিভাগগুলি আপনাকে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার একটি প্রাথমিক হাইলাইট প্রদান করবে এবং আপনার জন্য আপনার সমস্ত নথি সঠিকভাবে প্রস্তুত করা সহজ করে তুলবে।

কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি Canada Visa Category

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৫০ এর অধিক ক্যাটাগরিতে কানাডায় দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়।

  • কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (Canada Work Permit Visa)
  • কানাডা কৃষি ভিসা; (Canada Agriculture Visa)
  • কানাডা ইমিগ্রেশন ভিসা; (Canada Immigration Visa)
  • কানাডা ফ্রি ভিসা/ ওপেন ওয়ার্ক ভিসা; (Open Work Visa)
  • কানাডা টুরিস্ট ভিসা; (Canada Tourist Visa)
  • কানাডা মেকানিক্যাল ভিসা; (Canada Mechanical Visa)

এসকল ভিসা ক্যাটাগরি গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজে কানাডা যাওয়া যায়। বিশেষ করে কানাডিয়ান সরকার স্বাস্থ্য বিষয়ক, ব্যবসা, প্রকৌশল ও তথ্য প্রযুক্তির নানা খাতে জব ভিসা দিচ্ছেন। আপনি যে কারণে কানাডায় যেতে চান তা বেছে নিতে হবে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রকারভেদ

কানাডায় তিন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে এবং IRCC 2023 এবং তার পরেও এই পারমিটগুলি ইস্যু করতে থাকবে:

  1. অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট (Temporary Work Permit): আপনার প্রয়োজন একটি অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট চাকরি বা নিয়োগকর্তার জন্য কানাডায় কাজ করতে চান। এটি নিয়মিত পয়েন্ট-ভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে করা যায় না।
  2. স্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট (Permanent work Permit): এটি এমন লোকদের জন্য যারা ইতিমধ্যেই কানাডায় বসবাস করছেন এবং কানাডিয়ান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে বৈধ চাকরির অফার রয়েছে। ভিসা পাঁচ বছর পর্যন্ত ভালো এবং নবায়ন করা যায়।
  3. ওপেন ওয়ার্ক পারমিট (Open Work Permit): এটি একটি অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট যার জন্য আপনাকে কানাডিয়ান নিয়োগকর্তা বা লেবার মার্কেট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট থেকে চাকরির অফার নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটি দুই বছর পর্যন্ত বৈধ হতে পারে এবং নবায়ন করা যেতে পারে। ওপেন ওয়ার্ক পারমিট সাধারণত কানাডায় অস্থায়ীভাবে কর্মীদের জারি করা হয়, যেমন ছাত্র, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের যোগ্য স্বামী বা শরণার্থী।

কোথায় মেডিকেল চেকআপ করাবেন

বাংলাদেশে শুধু ৩টি মেডিকেল সেন্টারের মেডিকেল চেকআপ করার  অনুমোদন আছে। সেগুলো হলো- 

১. ডক্টর ওয়াহাব মেডিকেল সেন্টার, হাউস-০৩, রোড-১২, বারিধারা, ঢাকা-১২১২। টেলিফোন: ০২-৯৮৪৭৫৫৩, ৯৮৪৩৪৩৯। 

২. গ্রীন ক্রিসেন্ট হেলথ সার্ভিস, ৬০ পার্ক রোড, বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোন, ঢাকা-১২১২। টেলিফোন: ০২-৫৮৮১৭৩৩৫, ৯৮৬২৩৮৪।

৩. আইওএম মাইগ্রেশন হেলথ অ্যাসেসমেন্ট ক্লিনিক, ১৩/এ, গ্রাউন্ড ফ্লোর, রোড-১৩৬, গুলশান-০১, ঢাকা-১২১২। এরপর জানতে হবে কখন অ্যাম্বাসি থেকে মেডিকেল করতে বলা হয়। 

আপনার ফাইল ভিএফএসে (ঢাকা) জমা দেয়ার সর্বোচ্চ ২৪-৭২ ঘণ্টার মধ্যে কানাডা হাই কমিশন, সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। একটি ফাইল প্রসেস করতে বর্তমানে ১৬-২৬ দিন সময় লাগে। ফাইল প্রসেসিং অবস্থায় কানাডিয়ান হাই কমিশন, সিঙ্গাপুর আপনার ই-মেইলে (আবেদনপত্রে যে ই-মেইল) মেডিকেল ফর্ম (এক্সামিনেশন রেফারিয়াল লেটার, আইএমই) পাঠাবে। 

আপনাকে বাংলাদেশে অবস্থিত কানাডা সরকার অুনমোদিত যে কোন একটি মেডিকেল থেকে হেলথ চেকআপ করে ভিএফএস ঢাকার মাধ্যমে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হবে। কানাডার এই মেডিকেলকে ইলেক্ট্রনিক মেডিকেলও বলা হয়।

মেডিকেল ফি কানাডা সরকার নির্ধারিত। বয়স্কদের জন্য (১৪-৪৯) ৪৮,০০ টাকা। ১১-১৪ বছরের শিশুদের জন্য ৩,৩৫০ টাকা এবং ১১ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ৩,২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সাধারণত এক্স-রে ও টিবি (যক্ষ্মা) চেকআপ করা হয়। তবে একটি কথা মনে রাখবেন, কানাডায় প্রি-মেডিকেল বলে কিছু নেই।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রক্রিয়া

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (work permit visa) পাওয়ার প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন আপনি যে ধরনের কাজ করবেন, আপনার জন্মের দেশ এবং আপনার যোগ্যতা। সাধারণভাবে বলতে গেলে, কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়ায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর নির্ভর করবে।

  • আপনি যোগ্য কিনা তা নির্ধারণ করুনঃ প্রথম ধাপ হল আপনি কানাডায় কাজ করার যোগ্য কিনা তা নির্ধারণ করা। এটি আপনার কাজের অফার, আপনার যোগ্যতার উপর নির্ভর করবে।
  • চাকরির অফারঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে একজন কানাডিয়ান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির প্রস্তাবের প্রয়োজন হবে। আপনার নিয়োগকর্তাকে একটি লেবার মার্কেট (labor market) ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (LMIA) প্রাপ্ত করার প্রয়োজন হতে পারে যাতে দেখা যায় যে পদটি পূরণ করার জন্য কোন কানাডিয়ান কর্মী উপলব্ধ নেই।
  •  নথি সংগ্রহ করুনঃ আপনার পাসপোর্ট নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির প্রস্তাবের একটি চিঠি, আপনার LMIA এবং অন্য কোনো প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ আপনাকে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করতে হবে।
  • আবেদনপত্র পূরণ করুনঃ ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আপনাকে আবেদনপত্র (application form) পূরণ করতে হবে। আপনার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এটি অনলাইনে বা কাগজে করা যেতে পারে।
  • আবেদন ফি প্রদান করুন: আপনি যখন আপনার আবেদন জমা দেবেন তখন আপনাকে একটি ফি দিতে হবে।
  • আপনার আবেদন জমা দিনঃ একবার আপনি আবেদনপত্র পূরণ করে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করলে, আপনি আপনার আবেদন জমা দিতে পারেন। আপনি এটি অনলাইনে, ডাকযোগে বা ব্যক্তিগতভাবে কানাডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্রে করতে পারেন।
  • প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপেক্ষা করুনঃ একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়াকরণের সময় পরিবর্তিত হতে পারে, আপনি যে ধরনের কাজ করবেন এবং আপনার দেশটির উপর নির্ভর করে। আপনি কানাডিয়ান সরকারের ওয়েবসাইটে বর্তমান প্রক্রিয়াকরণের সময়গুলি পরীক্ষা করতে পারেন।
  • আপনার ওয়ার্ক পারমিট গ্রহণ করুনঃ আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনি আপনার ওয়ার্ক পারমিট পাবেন, যা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কানাডায় কাজ করার অনুমতি দেবে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ

এখন আমরা আপনাকে কানাডা যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে তা বলার চেষ্টা করব এবং আমি জিনিসগুলি সুন্দরভাবে তালিকাভুক্ত করছি যাতে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারেন।

  • কানাডা কৃষি ভিসা 5 লক্ষ টাকা
  • কানাডা ওয়ার্ক ভিসা 7 লক্ষ টাকা
  • কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 5 লক্ষ টাকা

পরিশেষে

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ

১। কানাডা ভিসা করতে কত টাকা লাগে?

উত্তরঃ কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এ আবেদন ফি ১৫০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৭০০ টাকা।

২। কানাডা আইইসি কি? 

উত্তরঃ আপনি যদি ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী একজন কানাডিয়ান নাগরিক হন, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স কানাডা (আইইসি) আপনাকে কাজ করার এবং বিদেশে ভ্রমণ করার সুযোগ দেয়। IEC আপনাকে 30 টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলগুলির মধ্যে একটিতে কাজ এবং অন্বেষণ করার জন্য একটি ওয়ার্ক পারমিট বা ভিসার পথ সরবরাহ করে।

৩। ওয়ার্ক পারমিট ও এলএমআই এর মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ কানাডায় দুই ধরনের ওয়ার্ক পারমিট প্রোগ্রাম রয়েছে: অস্থায়ী বিদেশী কর্মী প্রোগ্রাম: একজন বিদেশী নাগরিকের ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য একটি লেবার মার্কেট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসপারমিট পাওয়ার জন্য একজন বিদেশী নাগরিকের জন্য LMIA এর প্রয়োজন নেই।মেন্ট (LMIA) প্রয়োজন। 

৪। কানাডায় স্নাতকোত্তর ওয়ার্ক পারমিট কারা যোগ্য?

উত্তরঃ আপনি একটি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিট (PGWP) এর জন্য যোগ্য হতে পারেন যদি আপনি একটি মনোনীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (DLI) থেকে স্নাতক হন এবং কাজ করার জন্য অস্থায়ীভাবে কানাডায় থাকতে চান। 

 ৫। কানাডার জন্য কোন ভিসা ভালো?

উত্তরঃ কানাডায় আবেদন করার জন্য সবচেয়ে ভালো ভিসার ধরন কোনটি? কানাডার অস্থায়ী ভিসা সবচেয়ে ভালো বিকল্প। এটি তাদের জন্য যারা কানাডায় ছুটি কাটাতে, কাজ করতে বা পড়াশোনার জন্য আসতে চান।

আরও পড়ুন – 

মন্তব্য করুন