আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা নিয়মাবলী ও খরচসমূহ

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা

স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় যেতে চান? জেনে নিন আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম ও খরচ। পুরো বিশ্ব যেখানে তাকিয়ে থাকে এমন বৈচিত্র্যময় চমৎকার বিশাল দেশে ঘুরে বেড়ানো অনেক কাছে স্বপ্নের মত।

পৃথিবীর রাজধানী খ্যাত আমেরিকায় রয়েছে নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দর্শনীয় স্থান যেমন নায়াগ্রা জলপ্রপাত, শিকাগো, আলাস্কা, ইলোস্টোন, গোল্ডেন গেট ব্রিজ, হোয়াইট হাউস, ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড, টাইমস স্কয়ার, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, লাস ভেগাস সহ আরও অনেক আকর্ষণীয় স্থান। বৈচিত্র্যময় ইতিহাস, আকর্ষণীয় সৌন্দর্য, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাবোধ দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মন জয় করেছে দেশটি।

স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় ঘুরতে যেতে হলে ঝামেলা ছাড়া খুব সহজেই টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় তা জানার আগ্রহ রয়েছে অনেকের। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে বাসায় বসেই ল্যাপটপ বা মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অতি সহজেই আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়।

ভ্রমণপ্রিয় মানুষের সুবিধার্থে আজকের এই পোস্টে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আজকের এই পোস্টে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা খরচ, আমেরিকা জব ভিসা, ভিসা করতে কত টাকা লাগে, আর ভিসা করতে আপনার কি পরিমাণ ব্যয় হতে পারে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো-

আরও পড়ুনঃ

Table of Contents

আমেরিকা ভিসা খরচ

টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে হলে সর্বপ্রথম জেনে নিতে হবে আমেরিকা ভিজিট ভিসা খরচ। এরপর আপনাকে প্রথমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে তারপর ইন্টারভিউ দিতে হবে। ইন্টারভিউতে পাস করলে তবেই আপনি টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে পারবেন।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়া মোটেও সহজ বিষয় নয়। সাধারণ অভিবাসী হিসেবে টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে আপনার খরচ পড়বে US = $160 ডলার। ব্যবসা, ছাত্র বিনিময় ও পর্যটকদের ক্ষেত্রে ও একই পরিমাণ খরচ পড়বে।

তবে ধর্মীয় ভিসা, পিটিশন ভিসা, কাজের ভিসার জন্য আবেদন খরচ পড়বে US = $190 ডলার। এছাড়াও K ক্যাটাগরি ভিসার জন্য খরচ পড়বে US = $260 ডলার এবং E ক্যাটাগরি ভিসার জন্য খরচ পড়বে US = $210 ডলার।

আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আপনি খুব সহজে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। অর্থাৎ আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে হলে আপনার ৩ টি যোগ্যতা থাকা লাগবে। এই ৩টি যোগ্যতা প্রমান করতে পারলে আপনি আমেরিকা ভ্রমন ভিসা পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।

আর্থিক সামর্থ্য বা ব্যাংক স্টেটম্যান

সহজ ভাষায় বলা যায় আর্থিক সক্ষমতা হল ভ্রমন ভিসার প্রাণ। আপনি যদি আমেরিকা ভ্রমন করতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার আর্থিকভাবে সক্ষম কি না তার প্রমান দেখাতে হবে। নুন্যতম ৬ মাস আগের সম্পত্তির ডুকুমেন্ট লাগবে।

ভিসা আবেদন করার আগমুহূর্তে ধার করে ৮/১০ লক্ষ ব্যাংকে রেখে দিলেন এম্বাসিকে দেখানোর জন্য তা হবে না। কারণ আপনার ইনকাম বৈধ কিনা প্রমাণ করতে হবে। তা না হলে ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। ফর্ম পূরণের সময় ইনকাম বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে হবে।

পেশাগত যোগ্যতা

আপনি ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরি যে পেশায় থাকুন না কেন পেশাগত আয়ের অবস্থান ভালো হতে হবে। আপনি যদি ব্যবসা করেন তাহলে ব্যবসাটি অবশ্যই দীর্ঘদিনের হতে হবে এবং লাইসেন্স থাকতে হবে।

এছাড়াও আপনি যে পেশায় নিয়োজিত আছেন সে সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। কারণ আপনার এক্সপ্রেশন বা মুখভঙ্গি দেখেই তারা বুঝতে পারে আপনি কোন পেশার সাথে যুক্ত।

প্রমান করতে হবে আপনি ভ্রমণপ্রিয় মানুষ

আপনি একজন ভ্রমন প্রিয় মানুষ, শুধুমাত্র আমেরিকা ভ্রমনের উদ্দেশ্য যাবেন এটা প্রমান করা আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অধিকাংশ বাংলাদেশি মানুষ মিথ্যা কথা বলে ট্যুরিস্ট হিসাবে বেড়াতে গিয়ে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে থাকার চেষ্টা করে অথবা সেখানে নানা অপরাধমূলক কাজ করে যা দেশের সম্মান নষ্ট করে।

যার কারনে ভালো ব্যাংক স্টেটম্যান, পেশাগত যোগ্যতা শক্তিশালী থাকার পরও ৯০% ভিসা বাতিল হয়ে যায়।

ভিসা আবেদনের পূর্বশর্ত

অন্য দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ করতে হলে প্রথমে একটি ভিসা লাগবে। ভিসা ভ্রমণকারীর পাসপোর্টে লাগিয়ে দেওয়া থাকে। আর পাসপোর্ট হচ্ছে একজন ভ্রমণকারীর নিজের দেশের ইস্যু করা ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্ট।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে। আপনার কাছে না থাকলে ডিজিটাল এই পাসপোর্টটি তৈরি করে ফেলুন জলদি, এতে আপনার ভোগান্তি কম হবে।

কমপক্ষে পাঁচটি দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আপনি নতুন অবস্থায় আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আপনি পাবেন না। কারণ যারা প্রফেশনাল ভ্রমণকারী, শুধুমাত্র তাদের কে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা দিয়ে থাকেন। ভিসা বাতিল বা বিড়ম্বনা এড়াতে ভিসা আবেদনপত্র জমা পূর্বে নিচের নিয়মগুলো মেনে চললে আশা করি ভিসা পেতে ঝামেলা হবে না।

  • পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৮ মাস থাকতে হবে।
  • পাসপোর্টে ৩ টি খালি পৃষ্টা থাকতে হবে।
  • ভিসা আবেদন পত্রে পাসপোর্টের সঠিক নাম্বার উল্লেখ করতে হবে।
  • পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হবার পর তারিখ ও রিনিউ করার তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
  • আবেদনপত্রে নামটি নির্ভুলভাবে লিখতে হবে।
  • অবশ্যই স্ক্যান করা ছবি জমা দিতে হবে।
  • ইউটিলিটি বিলের সাথে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা মিল থাকতে হবে।
  • ভোটার আইডির সাথে জন্মনিবন্ধন সনদ এর মিল থাকতে হবে।
  • আপনার পেশার সঠিক বিবরণ দিতে হবে।
  • নির্দিষ্ট এরিয়া নির্বাচন করতে হবে।
  • আবেদনপত্র পূরণ করার ৮ দিনের মধ্যে ভিসা সেন্টারে গিয়ে আবেদন জমা দিতে হবে।
  • ভিসা আবেদন জমাদানকারী সেন্টার এবং টাকা জমাদানকারী সেন্টার এর নাম এক হতে হবে।

আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং

আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং America Visa Processing

এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম গুলো কি কি? আপনাকে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা এম্বাসি তে গিয়ে DS- 160 ফরমটি পূরণ করতে হবে। আমেরিকার ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য ভিসা ফি নেয় ১৬০ ডলার যা ইস্টার্ন ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। ভিসা ফি অফেরতযোগ্য। আপনি চাইলে ট্রাভেল ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে ও পুরো ভিসা প্রসেসটা করিয়ে নিতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে টাকার পরিমানটা বেশি হবে।

ভিসা সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন সহ আরো বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন। এই ফর্ম পূরণ করার পর এম্বাসি থেকে আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে ইন্টারভিউ এর নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দিবে। আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগতে পারে প্রায় ৩ থেকে ৫ সপ্তাহ পরিমাণ কার্য দিবস। টুরিস্ট এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকবে ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত।

আমেরিকা ভিসা ইন্টারভিউ

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইন্টারভিউ। কারণ ইন্টারভিউ ছাড়া তারা আপনাকে টুরিস্ট ভিসা প্রদান করবে না। আপনি যদি ইন্টারভিউয়ে পাস করেন তাহলে আপনি টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। আর ফেল করলে আপনি টুরিস্ট ভিসা পাবেন না।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আমেরিকায় টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে থাকলে আপনি কয়েকটি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন। এই সুযোগ সুবিধা অন্য কোন দেশে ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা নিয়মকানুন সবচেয়ে কঠিন হয়ে থাকে। তবে সঠিক নিয়ম কানুন মেনে চললে ভিসা পেতে সমস্যা হয় না।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য ৮-১০ মিনিটের ইন্টারভিউতে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ এবং ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরত আসবেন। আমেরিকা যাওয়ার পূর্বে এর দর্শনীয় স্থান গুলোর নাম জেনে নেয়া উচিত কারণ তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে আপনি কোন কোন জায়গায় বেড়াতে যেতে চান।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে আমেরিকার বিরুদ্ধে কোন পোস্ট থাকা যাবে না। আপনাকে খুব বেশি প্রশ্ন করবে না সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে প্রমাণ করতে পারলেই আপনার ভিসা কনফার্ম হয়ে যাবে।

ইন্টারভিউ প্রশ্ন এবং উত্তর ইংরেজিতে

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা ইন্টারভিউ তে যাওয়ার পূর্বে আপনাকে সুন্দর পরিপাটি পোশাক পরিধান করে উপস্থিত হতে হবে। আর অবশ্যই মনের জোর অর্থাৎ কনফিডেন্ট এর সাথে ইন্টারভিউয়ের প্রশ্নের উত্তর দিবেন। কোনভাবেই নার্ভাস হওয়া চলবে না কারণ আপনি যদি তাদের সামনে গিয়ে নার্ভাস হয়ে যান তাহলে ভিসা পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। তাহলে জেনে নেয়া যাক টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কি প্রশ্ন করে থাকে সাধারণত:-

  • আপনি কেন আমেরিকা যেতে চান?
  • আপনার দেশ ছাড়া অন্য কোন দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে কিনা?
  • আপনি আমেরিকার কোন কোন জায়গায় যেতে চান এবং কি কি দেখতে চান?

উপরের প্রশ্নগুলোই সাধারণত আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে। আপনাকে সঠিকভাবে কনফিডেন্সের সাথে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ইংরেজিতে সামান্য দুর্বলতা থাকলে আপনি বাংলাতে ও উওর পারবেন। তবে বিদেশ ভ্রমণে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকা জরুরি।

আপনার আর্থিক দিক, বৈধ কাগজপত্র, ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরত আসবেন কিনা সবদিক সূক্ষ্ম ভাবে বিবেচনা করা হবে। আপনার যদি বৈধ উপায়ে ভালো ইনকাম হয়ে থাকে তাহলে ভিসা পাওয়া অনেকটা সহজ হবে। অবশ্যই ইন্টারভিউ এর পূর্বে তাদের নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিয়ে তারপর ইন্টারভিউ দিতে হবে।

আমেরিকা ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে চান তাহলে আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। আমেরিকা মত উন্নত রাষ্ট্রের সিকিউরিটি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। নিম্নে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিচে উল্লেখ করা হলো-

  • একটি ডিজিটাল পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে যাতে সর্বনিম্ন ছয় মাস বা তার বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে।
  • এনআইডি কার।
  • জন্মনিবন্ধন সনদ।
  • বাংলাদেশের নাগরিকত্বের সনদ পত্র।
  • মেডিক্যাল রিপোর্ট।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • করোনার টিকা কার।
  • ব্যাংকের পেপারস।
  • ইন্সুরেন্স সংক্রান্ত সকল কাগজপত।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসায় পুলিশ সার্টিফিকেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমেরিকা যেতে হলে আবেদনকারীর অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে। আবেদনকারী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। ১৬ বছর বা তার অধিক বয়সের আবেদনকারী বর্তমান বাসস্থানের নিকটস্থ থানা থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হয়।

এছাড়াও আমেরিকা ছাড়া অন্য কোন দেশে একবছর অবস্থান করলে সে দেশের পুলিশ কর্তৃক সার্টিফিকেট নিতে হবে। পুলিশ সার্টিফিকেটের জন্য সোনালী ব্যাংকে ৫০০ টাকা ফি জমা দিতে হয়। পুলিশ সার্টিফিকেটটি বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কর্তৃক পর্যালোচিত, অনুমোদিত ও সত্যায়িত করতে হয়।

অন্যান্য ফি

নির্ধারিত ভিসা ফি দেওয়ার পরও কিছু ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত ভিসা ফি দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তখন সরাসরি জাতীয় ভিসা কেন্দ্রে, মার্কিন দূতাবাস বা কনস্যুলেটে বা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগে গিয়ে অতিরিক্ত ফি প্রদান করা হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট কিছু দেশের আবেদনকারীদের তাদের আবেদন সিলেক্ট হওয়ার পর ভিসা ইস্যু ফি দিতে হতে পারে। এই ফিগুলি “পারস্পরিকতা” এর উপর ভিত্তি করে (অন্য একটি দেশ একই ধরণের ভিসার জন্য মার্কিন নাগরিককে কী চার্জ করে)।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখনই সম্ভব হয় ভিসা প্রদানের ফি বাদ দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে যখন কোনো বিদেশী সরকার নির্দিষ্ট ধরণের ভিসার জন্য মার্কিন নাগরিকদের উপর এই ফি আরোপ করে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একই ধরনের ভিসার জন্য সেই দেশের নাগরিকদের উপর একটি “পারস্পরিক” ফি আরোপ করবে।

পরিশেষ

আজকের পোস্টটা পড়ে এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা | আবেদনের নিয়ম বিস্তারিত তথ্য। আশা করি আপনাদের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পেরেছি। আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম নিয়ে আরও কোন প্রশ্ন বা সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমেরিকান এম্বাসির ভিসা সংক্রান্ত প্রশ্নের জন্য যোগাযোগ করতে support-bangladesh@ustraveldocs.com এ ইমেইল করতে পারেন।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে আর্টিকেলটা পড়ে কেমন লাগলো এবং কতটুকু উপকৃত হয়েছেন কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর / FAQ

1. প্রশ্নঃ- আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে?

  • অভিবাসী ভিসার জন্য আবেদন ফি ১৭,৪৪০ টাকা।
  • কাজ এবং ধর্মীয় ভিসা আবেদন ফি ২০,৭১০ টাকা।
  • কাজের ভিসার খরচ ২৮,৮৮৫ টাকা।

2. প্রশ্নঃ- আমেরিকার ভিসা খরচ?

উত্তরঃ সাধারণ অ-অভিবাসী ভিসার জন্য আবেদন ফি হল US = $160। এর মধ্যে রয়েছে পর্যটক, ব্যবসা, ছাত্র এবং বিনিময় ভিসা। বেশিরভাগ পিটিশন-ভিত্তিক ভিসা, যেমন কাজ এবং ধর্মীয় ভিসা, US = $190। “কে” ভিসার খরচ US = $265 এবং “ই” ভিসার খরচ US = $205।

3. প্রশ্নঃ- আমেরিকা ভিজিট ভিসা খরচ?

উত্তরঃ একটি অ-অভিবাসী ভিসার জন্য আবেদন ফি হল USD = $160। এর মধ্যে রয়েছে পর্যটন, ব্যবসা, ছাত্র এবং বিনিময় ভিসা। ইউএস (us) ডলার = $190 বেশিরভাগ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন যেমন কাজ এবং ধর্মীয় ভিসার জন্য। “K” ভিসার ফি হল 265 ডলার এবং “E” ভিসার ফি হল 205 ডলার৷

4. প্রশ্নঃ- আমেরিকা ভিসা ক্যাটাগরি?

উত্তরঃ ইউএসএ (USA) ভিসা সাধারণত দুটি ভাগে বিভক্ত: 1. অ-অভিবাসী ভিসা। 2. অভিবাসী ভিসা।

5. প্রশ্নঃ- ভিসা আবেদন করতে কত টাকা লাগে?

উত্তরঃ আমেরিকা ওয়ার্ক ভিসা প্রসেস করতে খরচ হতে পারে প্রায় ১৬০ ডলার এর মতো এমাউন্ট। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোম্পানী এবং কাজ এর ধরন অনুযায়ী ভিসার খরচ কম বা বেশি হতে পারার সম্ভাবনা থাকে।

আরও পড়ুন-

মন্তব্য করুন