কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান
কুমিল্লা জেলাটির নাম শুনলেই মাথায় আসে কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান গুলোর কথা। এ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ সমৃদ্ধ শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে আসছে৷ কুমিল্লা(comilla) জেলাটি হল চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত, যা ঐতিহাসিক সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীর বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের আশ্রয়স্থল।
আজ থেকে বহুকাল আগে এই জেলা সমতট জনপদের একটি অংশ ছিল। এরপর ধীরে ধীরে কালক্রমে এটি ত্রিপুরার রাজ্যভুক্ত হয়। কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা নামটি এসেছে কমলাঙ্ক শব্দ থেকে, যার অর্থ হলো পদ্মের পুকুর। কুমিল্লা জেলা সাধারণত তার পর্যটন আকর্ষণগুলোর মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হয় বাংলাদেশ।
কুমিল্লা(comilla) জেলায় অবস্থিত আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈন্যদের কবরস্থান। যেটি কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব কুমিল্লা জেলার ইতিহাস ও কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান নিয়ে। যেখানে চাইলেই আপনি, আপনার বন্ধু এবং ও পরিবারসহ আসতে পারেন গ্রীষ্ম কিংবা শীতের ছুটিতে। চলুন শুরু করা যাক।
কুমিল্লা জেলা বললেই চোখে ভাসে নানা কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান সমূহ। ঘুরতে যাওয়ার নাম করলেই চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান এবং সিলেটের পরে আসে কুমিল্লার (comilla)দর্শনীয় স্থান গুলোর নাম। কারণ এখানে আছে এমন সব ঐতিহাসিক স্থানসমূহ ও পর্যটন কেন্দ্র যেখানে ঘুরতে গেলে মনে হবে একটি টাকাও বিফলে যায়নি। স্বপরিবার ও বন্ধুবান্ধব সহ ঘুরে আসতে পারেন এমন কয়েকটি কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
আরও পড়ুনঃ সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের সকল তথ্য
শালবন বিহার (Shalbon bihar)
বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের একটি অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান যা বাংলাদেশের কুমিল্লা (comilla)জেলায় অবস্থি। এক সময়কার বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের প্রধান উপাসনালয় শালবন বৌদ্ধ বিহারের অবস্থান হলো কুমিল্লার কোটবাড়িতে। এখানকার বনে আছে প্রচুর পরিমাণে শাল গাছ।
আর এত বেশি শাল গাছ থাকায় স্বভাবতই বিহারটির শালবন বিহার (shalbon bihar) নাম হয়েছে। এই বিহারে আছে মোট ১৫৫টি কক্ষ আছে, এই কক্ষগুলোতে ধর্মচর্চা করতেন বুদ্ধের অনুসারিরা।
এখন পর্যন্ত এই বিহার থেকে বিভিন্ন সময়ে খনন করে ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি, সিলমোহর, আটটি তাম্রলিপি এবং অসংখ্য পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটার সন্ধান মিলেছে। শালবন বিহার আসতে হলে কুমিল্লা সদর থেকে ২০ টাকা সিএনজি ভাড়ায় কোটবাড়ি বিশ্বরোড হয়ে সরাসরি আসতে হবে।
ইটাখোলা মুড়া
ইটখোলা মুড়া মূলত কোটবাড়ির ৭ম বা ৮ম শতকে নির্মিত একটি বৌদ্ধ বিহার। এখানে প্রাচীন আমল থেকেই ইট পোড়ানো হয় বলে জায়গাটির নাম হয়েছে ইটাখোলা মুড়া। ইটাখোলা মুড়ায় প্রবেশ করে উপরে উঠতে গেলেই চতুর্ভূজাকার ক্ষেত্রের মাঝে দেখা যায় বিহারের প্রধান বৌদ্ধ মন্দিরটি। এখানে আসলে আপনি প্রাচীন আমলের বৌদ্ধদের সকল নিদর্শন দেখতে পাবেন।
এখান থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১৮ তোলা ওজনের স্বর্ণ, রৌপ্য মুদ্রা, মাটির পাতিলে রক্ষিত সোনার বল, ধ্যাণী বুদ্ধ মূর্তির আবক্ষ অংশ, তাম্রশাসন, মাটির ফলকলিপি, ধাতব ধ্যানীবুদ্ধ অক্ষোভ্য, ধাতব ধ্যানীবুদ্ধ অমিতাভ, অলংকৃত পোড়া মাটির ফলক, গণেশ মূর্তি ও তেলের প্রদীপ। আপনি কুমিল্লার এই স্থান টিতে আসতে হলে কুমিল্লা(comilla) কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি কিংবা অটোরিক্সাযোগে আসতে পারবেন।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি
ফুল বাগান ও গাছ-গাছালিতে সুসজ্জিত কুমিল্লা কোটবাড়ির এই স্থাপনাটি মুলত একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রথম দিকে অর্থাৎ ১৯৫৯ সালের ২৭ মে প্রতিষ্ঠার সময় এটির নাম ছিলো পাকিস্থান গ্রাম উন্নয়ন একাডেমি। এরপর পল্লী গবেষক ড. আখতার হামিদ খান এটির নাম রাখেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, যা সংক্ষেপে বার্ড নামে বেশ সুপরিচিতি লাভ করে।
এই প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে প্রায় ১৫৬ একরের বিশাল জায়গায় জুড়ে ৫টি হোস্টেল, হেলথ ক্লিনিক, চারটি কনফারেন্স রুম, একটি মসজিদ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, লাইব্রেরি, একটি প্রাইমারি স্কুল ও দু’টি ক্যাফেটেরিয়া। এখানে চাইলে যে কোন প্রতিষ্ঠান বিশেষ অনুমতি নিয়ে পিকনিক করতে পারবে। বাসে আসতে হলে কুমিল্লা(comilla) কোটবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে হেঁটেই পৌঁছা যায়।
আরও পড়ুনঃ শালবন বিহার, কুমিল্লা
রূপবান মুড়া
কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হলো রুপবান মুড়া। এটি কুমিল্লা(comilla) জেলার কোটবাড়িতে আরেকটি দর্শনীয় স্থান ইটাখোলা মুড়ার ঠিক উল্টো পাশেই অবস্থিতত। এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। রহিম ও রূপবানের ভালোবাসার কিংবদন্তিতে প্রচলিত আছে এই ঐতিহাসিক স্থানটিকে ঘিরে।
৯০ সালের দিকে কুমিল্লা-কালিবাজার সড়কের কাছে প্রত্নস্থানটি আবিষ্কৃত হয়। এখানে যে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো পাওয়া যায় সেগুলো ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়। এখানে গেলে আপনি দেখতে পারবেন রূপবান মুড়ার উঁচু বিহারের উপর থেকে সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য যা দেখার জন্য কুমিল্লা(comilla) সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে প্রতিনিয়ত ভীড় জমান পর্যটকরা।
রুপবান মুড়া যেতে হলে কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে আপনাকে যেতে হবে কুমিল্লা-কালির বাজারের পথে। এর পর দক্ষিণ দিকে বিজিবি ও বার্ডের মাঝখানে টিলার উপর দাঁড়ালে দেখা যাবে নয়নাভিরাম রূপবান মুড়া।
রাণী ময়নামতির প্রাসাদ
রাণী ময়নামতির প্রাসাদটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ধরে পূর্ব দিকে কমনওয়েলথের ওয়ার সিমেট্রি থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাণী ময়নামতির প্রাসাদটি নির্মাণকাল ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মাঝের কোনো একটি সময়। জনশ্রুতি আছে এই সময় চন্দ্র বংশের রাজা মানিক চন্দ্র তার স্ত্রী ময়নামতির আরাম আয়েশের জন্য এই প্রাসাদ বানান।
জানা যায় ১৯৮৮ সালের দিকে ভূপৃষ্ঠ থেকে তিন মিটার গভীরে থাকা একটি সুড়ঙ্গের সামনের অংশ খননের সময় আবিষ্কৃত হয় এই ময়নামতি (moynamoti bihar) প্রাসাদ। এখানে প্রতি বছর বৈশাখের ৭ম দিন থেকে মাসব্যাপী উদযাপন হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৈশাখী মেলা। এখানে আসরে হলে কুমিল্লা(comilla) ক্যান্টনমেন্ট গেইট অথবা কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে অটোরিকশা নিয়ে ময়নামতি সাহেব বাজার দিয়ে আসতে হবে।
ময়নামতি
কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক নিদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা এই ময়নামতি জাদুঘর (moynamoti bihar) যার অবস্থান কুমিল্লা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে সালমানপুরে। জাদুঘরের ৪২ টি সংরক্ষণাগার ঘুরে দেখার সময় চোখে পড়বে ব্রোঞ্জ ও পাথরের ছোট-বড় মূর্তি, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জের বিশাল ঘন্টা, পোড়ামাটির ফলক, মাটির খেলনা, কাঠের পুরানো জিনিসপত্র, মৃৎশিল্প সামগ্রী এবং প্রাচীন হাতে লেখা পান্ডুলিপি।
কুমিল্লার(comilla) চারপত্র, রূপবান ও কোটিলা মুড়া, শ্রীভবদের মহাবিহার, ইটাখোলা, রানীর বাংলা ও ভোজ রাজবাড়ি বিহার এবং আনন্দ বিহার খননকালে খুঁজে পাওয়া যায় এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো। আঙ্গিনার বিশ্রামাগার আর ফুল বাগান জাদুঘরের সৌন্দর্যকে আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে তুলেছে। ১৯৬৫ সালে কোটবাড়ির শালবন বিহারের পাশেই স্থাপন করা হয় এই জাদুঘরটি।
ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক
ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক (magic paradise park) কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত একটি বিনোদন কেন্দ্র। ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে আসলেই মনে হবে এ যেন এক নতুন জগত। কেননা এখানে প্রথমে প্রবেশ মুখের গেট দেখে যে কেউ আনন্দিত হবেন, কারণটা হলো এই গেটটি বানানো হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় থিম, বিদেশি কার্টুন ডিজনিল্যান্ডের আদলে। তাই এখানে ঢুকার সাথে সাথে যে কারো মন আনন্দে নেচে উঠবে।
পার্কটি সবুজ প্রকৃতি আর কৃত্রিমের ছোঁয়া একাকার একটি পার্ক। এখনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই চোখে পড়বে বিশাল এক নাগরদোলা। এছাড়াও পার্কে রয়েছে বিভিন্ন রাইড যেমন রেল, রোলার কোস্টারসহ আরও অনেক কিছু। যেগুলোতে শিশু-কিশোর ছাড়াও বড়রাও চড়তে পারবে। এখানে ভিতরে একটি ছোট পাহাড় আছে যার উপর ৩টি ওয়াটার রাইড আছে যা যেকোনো মানুষকে খুব সহজে আকৃষ্ট করে।
আবার পাহাড়ের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই ডেকে উঠবে কৃত্রিম ডাইনোসরগুলো। এদের আওয়াজ অনেককে আনন্দের পাশা পাশি ভয় ধরিয়ে দেয়। এখানে আবার একটি সুইমিংপুলের মতো আছে। কুমিল্লা(comilla) কোটবাড়ি থেকে সিএনজিতে করে খুব সহজেই এখানে আসা যাবে।
ধর্ম সাগর
ধর্ম সাগর হলো কুমিল্লা(comilla) শহরে অবস্থিত ২৩.১৮ একরের মধ্যে একটি বিশাল জলধারা। জানা যায় ত্রিপুরা রাজ্যের অধিপতি মহারাজা ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ সালের দিকে এই দীঘিটি খনন করে। তিনি জনগণের পানীয় জলের সুবিধার জন্য খনন করে সবার জন্য উৎসর্গ করে গেছেন এই পানীর ধারা।
মহারাজা ধর্ম মাণিক্যের নাম ধরেই এর নাম রাখা হয় ধর্মসাগর। মহারাজা এটি খনন করেছিল মানুষের পিপাসা নিবারণ করতে। তবে যে উদ্দেশ্যে ধর্মসাগর খনন করেছিলেন তিনি, তার সেই সাগরের ব্যবহার এখন আর নেই। কারন বিশাল এই দিঘী মানুষের পানির তৃষ্ণা না মিটিয়ে মিটাচ্ছে মনের তৃষ্ণা বহুবছর ধরে।
এখানে তিন দিকে সবুজ প্রান্তর ঘেরা মাঝখানে ধূসর বর্ণের অন্যদিকে কুমিল্লা (comilla)জেলা স্টেডিয়াম। এটি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে এখন বিনোদনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
আনন্দ বিহার
কুমিল্লা কোটবাড়ির ময়নামতিতে অবস্থিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো আনন্দ বিহার। আর এই বিহারটি ছিলো উপমহাদেশের সর্বশেষ বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। আনন্দ বিহার নির্মাণ করেছিলেন দেব রাজবংশের তৃতীয় শাসক শ্রী আনন্দ দেব। জানা যাউ ৭ম অথবা ৮ম শতাব্দীর প্রথম দিকেই তিনি এটি স্থাপন করেন। তাছাড়া ধারণা করা হয়, ৭ম শতকের শেষ সময়ে নাকি এই বিহার ছিলো সমতটের রাজধানী।
নান্দনিক বর্গাকৃতির মাঝে বিশাল অবকাঠামোর ঠিক মাঝখানেই রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্দির এবং অপরূপ এক দিঘি। যা আপনয়ার মন কেড়ে নিতে বাধ্য। তাছাড়া কুমিল্লা (comilla)সদর থেকে কোটবাড়ির আনন্দ বিহার যাবার পথেই কিন্তু চাইলে বিখ্যাত টমছম ব্রিজ দেখে নেয়া যেতেই পারে। মোট কথা এখানে আসলে উপমহাদেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে ধারণা নেওয়া যাবে।
কুমিল্লা যাওয়ার উপায়
আপনি যদি কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান ও পর্যটন স্থানগুলো দেখতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে আপনার নিজ জেলা থেকে কুমিল্লা(comilla) জেলায় যেতে হবে। এজন্য আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ বাস স্ট্যান্ড থেকে কুমিল্লা জেলা সরাসরি বাসের মাধ্যমে যেতে পারবেন। আবার চাইলে রেল যোগে অর্থাৎ ট্রেনের মাধ্যমেও যেতে পারবেন।
আর ঢাকা থেকে বাসে অথবা ট্রেনে করে কুমিল্লা(comilla) খুব সহজেই যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সায়েদাবাদ কিংবা কমলাপুর থেকে বাস যোগে কুমিল্লা যেতে জনপ্রতি খরচ পরতে পারে ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর এই যাত্রায় সময় নিতে পারে মাত্র আড়াই ঘন্টা। তাছাড়া চট্টগ্রামগামী প্রায় সকল ট্রেন ধরেই কুমিল্লা স্টেশনে যাত্রী নামায়। আর ট্রেনের সিটের ধরন ভেদে ভাড়া পরবে জনপ্রতি ১৭০ থেকে ৪৬৬ টাকা।
শেষ কথা
ঢাকা থেকে খুব কাছে হওয়ার কারনে কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান স্থানসমূহের মধ্যে অনেকগুলোই চাইলে এক দিনে ঘুরে আসা যায়। আর এই সুবিধার জন্যেই একদিনের ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে ঢাকাবাসীদের কাছে কুমিল্লা(comilla) জেলা অনেক জনপ্রিয়। এরপরেও কেউ যদি ভালো ভাবে পুরো জেলাটি ঘুরে দেখতে চায় তাহলে তার জন্য হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে যাওয়া উচিত।
তাই আমি বলব আপনারা যারা কুমিল্লার সব জায়গা গুলো ঘুরে দেখতে চা৷ তারা অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে যাবেন। কি তাহলে আর দেরি কেন। আজই এই গরমের ছুটিতে আপনার পরিবার পরিজন নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন কুমিল্লার উদ্দেশ্যে। আর ঘুরে ঘুরে দেখুন কুমিল্লা জেলার সকল দর্শনীয় স্থানগুলো।
আরও পড়ুন-
মধুটিলা ইকোপার্ক, শেরপুর