দুবাই ভিজিট ভিসা
দুবাই (Dubai) মানেই তো যেন স্বপ্নের শহর। বড় সব দালানকোঠার সাথে চাকচিক্যময় পরিবেশ সবার মন ছুয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। কি দুবাই যাওয়ার ইচ্ছা জাগছে তো? কিন্তু জানেন না বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিজিট ভিসা (Dubai visit visa) আবেদনের সঠিক নিয়ম কি? দুবাই ভিসা (Dubai visa) পেতে হলে কি করতে হবে, কত টাকা খরচ হবে,
কোথায় কিভাবে আবেদন করবেন, কি কি কাগজ পত্র লাগবে? চিন্তা নেই কারন সব বিষয়ে জানুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে। দুবাই হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বিশাল শহর। এটি কোন দেশ নয়।
একটি শহর মাত্র এবং এই আমিরাত যা বিলাসবহুল কেনাকাটা, অতি আধুনিক স্থাপত্য এবং একটি প্রাণবন্ত নাইট লাইফ দৃশ্যের জন্য ব্যাপকভাবে সারা বিশ্বে পরিচিত। আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছরই দুবাইয়ে অনেক অনেক নাগরিকরা বিভিন্ন কাজের এবং পড়াশোনা ও ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্য যাই।
এই শহরে আছে বিশ্ব বিখ্যাত বুর্জ খলিফা (Dubai burg Khalifa) যার উচ্চতা প্রায় ৮৩০ মিটার এবং এটি আকাশচুম্বী স্কাইলাইন এ আধিপত্য বিস্তার করে আছে। বুর্জ খলীফার পাদদেশে দুবাই ফাউন্টেন রয়েছে। এখানে আছে কৃত্রিম দ্বীপ এবং এর ঠিক উপকূলেই রয়েছে আটলান্টিস, দ্য পাম, জল এবং সামুদ্রিক প্রাণী দের পার্ক সহ বেশ সুন্দর একটি রিসোর্ট।
দুবাই শহরে এ সকল দর্শনীয় স্থান সমুহ ভ্রমণ করার জন্য অনেক টুরিস্টরাই বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গিয়ে থাকেন।
কিন্তু আপনি যে কারনেই দুবাই (dubai) যান না কেনো সবার প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে । দুবাই এর লিগেল একটি ভিসা (visa)। আপনাদের মধ্যে যারাই কাজ বা ভ্রমণ এর উদ্দেশ্যে দুবাই এ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের অবশ্যই দুবাই ভিসার প্রসেসিং এর প্রথম ধাপেই দুবাই ভিসার ধরন সমুহ, দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ,
ভিসা চেকিং, দুবাই ভিজিট ভিসা চেক করার নিয়ম, ভিসার মেয়াদ কতো সময় থাকবে, দুবাই ভিসার আবেদন করার সঠিক নিয়ম সমুহ ইত্যাদি এমন আরও বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় জেনে নেওয়া উচিত তবেই আপনারা ভালোভাবে দুবাই যেতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ মানিকগঞ্জ দর্শনীয় স্থান
দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং (Dubai Visit Visa Processing)
দুবাইয়ে কেউ যেতে চাইলে বিভিন্ন ভিসা নিয়ে যেতে পারে। আর ভিসা অনুযায়ী সেখানে ভিসার মেয়াদও এক এক রকম হয়ে থাকে। যেমন কেউ যদি দুবাই টুরিস্ট ভিসায় যায় দুবাই টুরিস্ট ভিসা (Dubai tourist visa) তাহলে দুবাই টুরিস্ট ভিসার প্রসেসিং এর সময়কাল হবে প্রায় ৩ থেকে ৪ দিন এর মতো। আর দুবাই টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কাল ৬০ দিন এর মতো।
দুবাই স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং (Dubai student visa) এর সময় কাল হলো প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন এর মতো। আর দুবাই স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ থাকে এই প্রায় ২ থেকে ৫ বছর এর মতো।
কেউ যদি দুবাই ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা (Dubai family visit visa) নিয়ে যায় তবে দুবাই ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা প্রসেসিং এর সময় লাগবে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ দিন এর মতো। আর দুবাই ফ্যামিলি ভিজিট ভিসার মেয়াদ থাকবে প্রায় ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন এর মতো। তাছাড়া দুবাই এমপ্লয়মেন্ট ভিসার প্রসেসিং এর সময় কাল হলো প্রায় ৫ দিন এর মতো। আর এমপ্লয়মেন্ট ভিসার মেয়াদ হবে প্রায় ১ থেকে ৩ বছর এর মতো।
দুবাই ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (Documents Required for Dubai Visa)
যেকোনো একটি দেশে ভ্রমণ বা কাজের উদ্দেশ্যে গেলে অবশ্যই ভিসা করতে হয়। প্রতিটি দেশের ভিসা করার সঠিক নিয়ম রয়েছে ঠিক তেমনি দুবাই ভিজিট ভিসা (Dubai visit visa) আবেদনের সঠিক নিয়ম রয়েছে। আর এই ভিসা করতে হলে কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। দুবাইয়ের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়।
তবে দুবাই যাওয়ার জন্য কি ধরনের কাগজপত্র লাগবে তা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ ভিসার উপর। আপনি যেই ভিসায় যাবেন সেই ভিসার উপর নির্ভর করে সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র লাগবে। দুবাইয়ে ভিসা ভেদে কি কি কাগজপত্র লাগবে তা নিচে দেওয়া হল:-
দুবাই টুরিস্ট ভিসা (Dubai Tourist Visa)
- অবশ্যই একটি মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট লাগবে: টুরিস্ট ভিসায় (tourist visa) দুবাই যেতে হলে একটি বৈধ পাসপোর্ট (passport) থাকা বান্ছনীয় এবং যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি থাকা লাগবে পাসপোর্ট বই এর অন্তত দুইটি অ-ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- টুরিস্ট ভিসায় যেতে হলে একটি টুরিস্ট ভিসা আবেদন পত্র (tourist visa application form) লাগবে এবং তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসার আবেদন পত্র থাকতে হবে।
- সদ্য তোলা ছবি থাকতে হবে, যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। ভ্রমণকারী অবশ্যই চেষ্টা করবে সেই ছবিগুলো যেন ৬ মাস এর মধ্যে তোলা হয়।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট: দুবাই টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্রমণকারীকে অবশ্যই একটি স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। আর করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি ভিসা আবেদন পত্রটির সাথে জমা দিতে হবে।
- নিজের জন্ম নিবন্ধন পত্র: আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন পত্র (Birth registration certificate) এর একটি আসল কপি অবশ্যই থাকতে হবে।
- একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (Police Clearance Certificate) এর একটি আসল কপি।
- .দুবাইয়ের যে আবাসন উঠবেন এর বিস্তারিত বিবরণ: ভ্রমণকারী কোথায় কোথায় ভ্রমন করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ পত্র দেখাতে হবে।
দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা (Dubai Student Visa)
- শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদন করতে কভার লেটার লাগবে: যেখানে আবেদন কারীর সম্পুর্ন বিবরণ থাকতে হবে। এবং অবশ্যই সাথে পাসপোর্ট এর বিস্তারিত বিবরণ এবং দুবাই ভ্রমণ এর জন্য বিশদ একটি বিবরণ। স্টুডেন্ট এর যাবতীয় ব্যয় কারা বহন করবে তার বিবরনও উল্লেখ থাকা একটি কাভার লেটার তৈরী করতে হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ভুক্তির নিশ্চিতকরণ: শিক্ষার্থী যেই বিশ্ববিদ্যালয় এ অধ্যয়ন করতে চান সেখানে গ্রহণ যোগ্যতা পত্রসহ, মনোনীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সকল তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
- দুবাই এ যে বিশ্ববিদ্যালয় পড়বে তার টিউশন ফি এর পেমেন্ট এর রসিদ: অবশ্যই একটি অর্থ প্রদান এর রসিদ থাকতে হবে যার মাধ্যমে বোঝা যাবে যে আপনি যে প্রতিষ্ঠান এ পড়তে চান তাকে সঠিক পরিমান এর অর্থ প্রদান করেছেন কিনা।
- নিজের যাবতীয় একাডেমিক ডকুমেন্টস: আপনার যাবতীয় একাডেমিক ডকুমেন্ট (academic documents) দুবাই দূতাবাস তথা কনস্যুলেট এ জমা দিতে হবে এবং তার সাথে সেগুলোকে প্রথম শ্রেণীর অফিসার দ্বারা সত্যায়িত করে নিতে হবে।
- টাকা প্রদান: আপনার পড়াশোনার সময় যে খরচ হবে কভার করার জন্য আর্থিক উপায় এর সঠিক প্রমাণ সমুহ অবশ্যই উল্লেখ রাখতে হবে।
- নিজের IELTS স্কোরের সার্টিফিকেট: IELTS কোর্স করা কালীন পরিক্ষার স্কোর এর জন্য নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল তা আবেদন পত্রের সাথে প্রদান করতে হবে।
তাছাড়াও লাগবে একটি বৈধ পাসপোর্ট, আপনি দুবাইতে কোন ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করবেন তার বিবরণ, মেডিকেল সার্টিফিকেট, ভিসা আবেদনের ফরম (visa application form) ও সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি (অবশ্যই ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হবে)
দুবাই ফ্যামিলি ভিসা (Dubai Family Visa)
- দুবাই আবাসন এর বিস্তারিত তথ্যের বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমন করবেন, থাকবেন কোথায় তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণটি আবেদনপত্রের সাথে দেখাতে হবে।
- নিজের বিয়ের বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট: বিবাহিত দম্পতি হলে অবশ্যই বিয়ের আসল সার্টিফিকেট আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
- তাছাড়াও লাগবে পুলিশ ক্লিয়ার লেন্স, একটি বৈধ পাসপোর্ট, নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি, মেডিকেল সার্টিফিকেট,জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি।
দুবাই কাজের ভিসা (Dubai Work Visa)
- দুবাই এর কোম্পানী কর্তৃক পাওয়া অফার লেটার: যেই কোম্পানীতে কাজ এর অফার করছে সেই কোম্পানীর অফার লেটার (offer letter)।
- স্পন্সর ভিসার আকামার কপি: কাজ এর জন্য যার মাধ্যমে স্পন্সর করা হয়েছে অবশ্যই তার আকামার কপি জমা দিতে হবে।
দুবাই ভিসা আবেদন করার নিয়ম (Dubai Visa Application Rules)
পৃথিবীর যে কোন দেশে ভ্রমণ করতে হলে ভিসা প্রয়োজন । দুবাই শহরের ক্ষেত্রেও তাই। সেক্ষেত্রে কিভাবে দুবাই ভিসার জন্য আবেদন করবেন তা ধাপে ধাপে বুঝানোর চেষ্টা করলাম।
প্রথম ধাপ (First step)
ভিসা বাছাই- আপনাকে প্রথমেই ভিসা বাছাই করে নিতে হবে, অর্থাৎ যেই ভিসার মাধ্যমে আপনি দুবাই যেতে চান, সেটি সবার প্রথম বাছাই করে নিবেন।
দ্বিতীয় ধাপ (Second Step)
যাবতীয় সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। দুবাইয়ের যে ভিসা আবেদন পত্র টির আছে তার সাথে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় তথ্য গুছিয়ে নিয়ে যুক্ত করে জমা দিতে হবে। চেষ্টা করবেন সবসময় সকল লিগেল ডকুমেন্টসগুলো সরবরাহ করার।
তৃতীয় ধাপ (Third Step)
এবার আপনাকে দুবাই ভিসা আবেদন শুরু করতে হবে- দুবাইয়ের যেকোনো ভিসার জন্য আপনার জন্য প্রযোজ্য আবেদন টি সঠিক ভাবে অনলাইন এর মাধ্যমে শুরু করতে হবে। আর অনলাইনে যদি ভিসা আবেদন করেন তবে তা করার কারনে প্রথমেই আপনাকে ভিসার জন্য করা আবেদন ফর্ম টি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এবং তার সাথে সাথেই ডাউনলোড করা ফর্মটি তে চাওয়া সকল তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে পূরন করে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ (Forth step)
এবার আপনার সাক্ষাৎকার টি লিপিবদ্ধ করতে হবে – দুবাইয়ের ভিসার জন্য আপনার জন্য প্রযোজ্য সাক্ষাৎকার টি সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ করে নিতে কিন্তু ভুলবেন না। এরপর ভিসা অফিস এ গিয়ে আপনাকে সাক্ষাৎকার এ অংশগ্রহণ করতে হবে।
পঞ্চম ধাপ (Fifth Step)
পেমেন্ট বা টাকা প্রদান করুন – আপনি যেই ভিসার মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করছেন, তার জন্য যেই পরিমান টাকা ধার্য করা হয়েছে তা সঠিক ভাবে প্রদান করে নিতে হবে। এবং তার সাথে সাথে পেমেন্ট এর জন্য দেওয়া যে রিসিটটি আছে তাসংগ্রহ করে নিতে ভুলবেন না। কারন দেখা যায় পরবর্তী সময়ে এই রিসিট টি প্রয়োজন হতে পারে।
ষষ্ট ধাপ (Sixth Step)
দুবাই ভিসার জন্য নিজের পাসপোর্টটি সংগ্রহ করে নিন- শেষ পর্যায়ে পাসপোর্টটি সংগ্রহ করে নিবেন। এবং তার সাথে আপনার দুবাই যাওয়ার ফ্লাইট এর সঠিক ডেট টি ও জেনে নিবেন। কবে, কয় তারিখ ফ্লাইট হবে সেটি আরকি।
আরও পড়ুনঃ নেপাল ভ্রমন | নেপাল ভ্রমণ খরচ ও ভ্রমন গাইড
দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ (Dubai Visit Visa Cost)
এক্ষেত্রে একেক ভিসার এক এক দাম। ভিসায় যেমন পার্থক্য আছে। দামেও আছে পার্থক্য। যেমন দুবাই টুরিস্ট ভিসার প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় ৮,৯০০/-। এজেন্সি ভেদে কম বেশ হতে পারে। তাছাড়া দুবাই স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় প্রায় AED ১০০।
দুবাই ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা নিয়ে গেলে এই ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় AED ১০০ যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২৯৮৪ টাকা। তবে এজেন্সির ক্ষেত্রে একেক রকম। তাছাড়া দুবাইয়ে এমপ্লয়মেন্ট ভিসা নিয়ে যারা যেতে চায় তাহলে এই ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় ৭০০০ AED যা বাংলাদেশী টাকায় দেড় লাখের মত।
দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদনের জন্য খুব একটা খরচ হয় না। আপনি যদি একা দুবাই যেতে চান সেক্ষেত্রে ভিসা আবেদনের জন্য আপনার খরচ পড়বে ৩৫০ দিরহাম। ১ দিরহাম সমান ২৯.৮৪ টাকা। যা বাংলাদেশী টাকায় খরচ হবে ১০ হাজার ৪৪৪ টাকা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দিরহামের মূল্য বৃদ্ধি পায় অথবা কমে যায়। যার কারণে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কম বেশি হতে পারে। নিচে থেকে আরো বিস্তারিত জানুন।
সিঙ্গেল এন্ট্রি – একা ভ্রমণের জন্য গেলে আপনার ভিসা খরচ পড়বে ৩৫০ দিরহাম। এই ভিসা খরচ হবে ৩০ দিনের জন্য। আর যদি আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়াতে চান সেক্ষেত্রে ১০০০ দিরহাম। এখানে আপনি ৯০ দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং দিন থাকতে পারবেন।
মাল্টিপল এন্ট্রি – এই ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন। এই ভিসার জন্য আপনার খরচ হবে ৬৫০ দিরহাম। যদি আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ২৫০০ দিরহাম।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদনের সঠিক নিয়ম সংক্রান্ত আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আর এই আর্টিকেল সম্পুর্ন পড়ার পরে দুবাই ভিসা সংক্রান্ত অনেক জটিল তথ্য আপনি খুব সহজে জানতে পেরেছেন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সকল তথ্য গুলো আপনার ভবিষ্যত এর দুবাই ভ্রমণ এর জন্য অবশ্যই কাজে লাগতে পারে।
তাই আমি বলব যারাই দুবাই যাবেন অবশ্যই আর্টিকেলে দেওয়া সকল কাগজ পত্র গুলো আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখুন। এবং কাগজে কোন ভুল থাকলে আজই সংশোধন করে নিবেন। এতে পরে আর সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না। দুবাই ভিজিট ভিসা (dubai visit visa) আবেদনের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে কিছু জানা থাকলে আমাদের প্রশ্ন করতে পারেন আমরা আপনাকে সঠিক উত্তর দিয়ে সাহায্য করবো।
দুবাই ভিজিট ভিসা সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর / FAQ’s
১. ভিজিট ভিসার মেয়াদ কি ৩ মাস বাড়ানো যায়?
উত্তরঃ এই ভিসাটি 2023 সালের মে মাসের শেষের দিকে চালু করা হয়েছিল, যা দর্শকদের ৯০ দিন পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকতে দেয়। পরিষেবা প্রদানকারীর উপর ভিত্তি করে অতিরিক্ত খরচে ভিসা দেশের মধ্যে প্রসারিত হতে পারে।
২. দুবাই ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য কি ১০ দিনের গ্রেস পিরিয়ড আছে?
উত্তরঃ আর কোন গ্রেস পিরিয়ড নেই। প্রবেশের তারিখ থেকে, থাকার সময়কাল ভিসার ধরন (৩০ দিন বা ৬০ দিন) অনুযায়ী, “একজন ট্রাভেল এজেন্ট তার ক্লায়েন্টদের বলেছে, রিপোর্ট অনুসারে। অ্যারাবিয়ান বিজনেস সেন্টারের একজন অপারেশন ম্যানেজার খালিজ টাইমসকে বলেছেন যে শুধুমাত্র দুবাই দর্শকদের জন্য গ্রেস পিরিয়ড দিত।
৩. বাংলাদেশীরা কি এখন দুবাই যেতে পারবেন?
উত্তরঃ করোনা কালীন সময়ে বিভিন্ন দেশ সহ দুবাইয়ের ভিসা ও বন্ধ ছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভালো হওয়ায় এখন দুবাইয়ের ভিসা চালু হয়েছে। তাই আপনি চাইলে টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা অথবা কাজের ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে পারবেন।
৪. আমি কি অনলাইনে দুবাই ভিসার আবেদন করতে পারি?
উত্তরঃ আপনি ওটিএ (অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি) বা দুবাই ভিসা প্রসেসিং সেন্টার (ডি ভি পি সি) এর মাধ্যমে অনলাইন এ দুবাই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ তাছাড়া আপনি সরাসরি এমিরেটস এর সাথে আপনার ফ্লাইট এর টিকিটও বুক করতে এবং পরবর্তী তে অনলাইন এ দুবাই ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে পারেন।
৫. ১৮ বছরের নিচে দুবাই ভিজিটিং ভিসা পাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ ১৮ বছরের কম বয়সী মহিলারা এই ধরণের ভিসার জন্য আবেদন করার যোগ্য নয় যদি না তারা তাদের পিতামাতার সাথে ভ্রমণ করে।
৬. ৪৮ ঘন্টার দুবাই ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ UAE-ভিত্তিক এয়ারলাইনের মাধ্যমে আপনাকে ভিসার জন্য অগ্রিম আবেদন করতে হবে। এই ভিসা বাড়ানো যায় না, নবায়নযোগ্যও নয়। ভিসার বৈধতা UAE তে প্রবেশের ৪৮ ঘন্টা, এবং আপনাকে অবশ্যই আগমনের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে UAE ত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুন-
ইতালির ভিসা । বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
থাইল্যান্ড ভিসা | থাইল্যান্ড টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া ২০২৩