বান্দরবান ভ্রমণ
পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবছেন? কিন্তু কোথায় যাবেন, কিভাবে যাবেন তার কোন মিল পাচ্ছেন না? বাংলাদেশে অনেক দর্শনীয় স্থান আছে যেমন কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও সাজেক ভ্যালি।
কিন্তু আমি বলব পরিবার কিংবা বন্ধু বান্ধব সবাই মিলে ভ্রমণে যাওয়ার ভাল জায়গাটা হলো বান্দরবান ভ্রমণ। এখানে পাহাড়,নদী,ঝর্ণা,মেঘ সব একেবারে একসাথে পাওয়া যাবে।
প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্রে সজ্জিত পাহাড়ি কন্যার নাম হলো বান্দরবান (bandarban)। আপনি যদি হাতে এক গুচ্ছ মেঘ ছুঁয়ে দেখা কিংবা পাহাড়ি সৌন্দর্যের অতলে হারিয়ে যেতে চান তবে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই অনন্য নিঃস্বর্গ থেকে।
এখানে গেলে আপনার চোখে পড়বে পরিচিত দর্শনীয় স্থান যেমন নীলাচল, নীলগিরি, স্বর্ণমন্দির, মিলনছড়ি, চিম্বুক, মেঘলা, বগালেক, কেওক্রাডং, জাদিপাই, থানচি, রেমাক্রি, তিন্দু, নাফাখুম, আমিয়াখুম, রোয়াংছড়ি ও আলীকদমে দেখার মত অনেক সুন্দর জায়গা।
তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আপদের জানাব বান্দরবান ভ্রমণ ও বান্দরবান ট্যুর প্ল্যান। বান্দরবান শহর থেকে কাছে বেশ কিছু জনপ্রিয় জায়গায় কিভাবে যাবেন, খাবেন কি, কোথায় থাকবেন,খরচ, যাবতীয় সকল তথ্য তুলে ধরব।
আরও পড়ুনঃ
বান্দরবানে কিভাবে যাবেন
আপনাকে প্রথমে বান্দরবান (bandarban) শহরে উঠতে হবে। তবে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এস. আলম, ইউনিক, হানিফ, শ্যামলি, সৌদিয়া, সেন্টমার্টিন ইত্যাদি পরিবহনের বাস বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এখানে জনপ্রতি বাসের ভাড়া যথাক্রমে নন-এসি ৫৫০ – ৬৫০ টাকা ও এসি বাস ৯৫০ – ১৫০০ টাকা।
আবার আপনি চাইলে ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্রগ্রাম গিয়ে সেখান থেকে ট্রাভেল করেও বান্দরবান যেতে পারবেন। প্রতিদিনই ঢাকা থেকে সোনার বাংলা, সুবর্ণ, মহানগর ইত্যাদি ট্রেন চটগ্রাম যায়। আর সেসব ট্রেনে শ্রেনী ভেদে ট্রেনের টিকেটের মূল্য ৩২০-১৫০০ টাকা।
আপনি বাংলাদেশের যে জেলা থেকেই আসতে চান না কেন আপনার নিকটস্ত প্রত্যেকটি বাস টার্মিনালেই সরাসরি খাগড়াছড়ি আসতে পারবেন। তাছাড়া আপনি চাইলে চট্টগ্রাম থেকেও বান্দরবান যেতে পারবেন। এজন্য চট্টগ্রাম বদ্দারহাট বাস স্টেশন থেকে সরাসরি বান্দরবানে যেতে পারবেন।
এই স্টেশনে পূবালী ও পূর্বানী নামের দুটি বাস বান্দারবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দুটি বাসেই জনপ্রতি ২২০ টাকা করে ভাড়া লাগে। এছাড়া চট্টগ্রাম ধামপাড়া বাস স্টপেজ থেকে বান্দরবান (bandarban) যাওয়া যায়। আবার আপনি চাইলে রেন্ট এ কার ভাড়া করেও চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবান যেতে পারবেন। এখানে প্রতিটি মাইক্রোবাসের ভাড়া ২,৫০০-৩,৫০০ টাকা।
বান্দরবান ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
বান্দরবান সাধারণত এক এক সিজনে একেক রকম রুপ ধারন করে। যারা মেঘ ছঁতে ভালোবাসেন এবং মেঘ আর সতেজ প্রকৃতি দেখতে চান তাদের জন্য বান্দরবান ঘোরার আদর্শ সময় হলো বর্ষার শুরু থেকে হেমন্ত পর্যন্ত।
অর্থাৎ জুন মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। আর যারা একটু শুকনো মৌসুমে বান্দরবানের ভিউ দেখতে চান তাদের জন্য ভালো সময় হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে মার্চ। তবে চাইলে সারা বছরই আপনি এখানে বান্দরবান ভ্রমণ করতে পারবেন।
বান্দরবান ভ্রমণের প্ল্যান (১ রাত ২ দিনের জন্য)
ট্যুর প্ল্যান সাধারণত ডিপেন্ড করে ভ্রমণকারীদের সময়, সুবিধা ও ইচ্ছের উপর। আপনাদের মধ্যে প্রথমবার যারা বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবার-পরিজন নিয়ে বান্দরবান যাবেন তারা কিন্তু চাইলে বেশ সহজেই বান্দরবানের(bandarban) জনপ্রিয় জায়গা গুলো ঘুরতে পারেন এবং অনায়াসেই সেখানকার মেঘ ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
এখন আমাদের উদ্দেশ্য হলো বান্দরবান ভ্রমণ দিয়ে একটি পরিকল্পনার ধারনা দেওয়া। তবে আপনারা চাইলে আপনার মত করে ট্যুর প্লানটি সাজিয়ে নিতে পারেন।
এখন আপনি যদি বান্দরবানের কাছের জনপ্রিয় জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে চান, সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তবে তার জন্যে অন্তত এক রাত থাকা উচিত। এতে করে বেশ ভালো ভাবেই মন ভরে আপনি সুন্দর সব গুলো জায়গা ঘুরতে পারবেন।
আর ১ রাত ২ দিনের প্ল্যান করলে যেমন সব জায়গা ঘুরে দেখা যায় তার সাথে কিন্তু স্বল্প খরচেই ট্যুর টা সম্পন্ন করা যায়। এই ১ রাত ২ দিনের ট্যুর প্লানে আপনি যে জায়গা গুলোতে ঘুরবেন–
- স্বর্ণমন্দির, মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র ও নীলাচলে যাবেন প্রথম দিন।
- মিলনছড়ি, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক ও নীলগিরিতে যাবেন দ্বিতীয় দিন।
প্রথম দিন
একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন আপনি যেভাবেই বান্দরবান ভ্রমণ এ যান না কেন অবশ্যই চেষ্টা করবেন যেন সকাল সকাল যেতে পারেন। এরপর সকালে বান্দরবান পৌঁছানোর পর স্বপরিবারে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিন।
যদি আগে থেকে কোন হোটেল বুকিং করা না থাকে তবে অবশ্যই হোটেল ঠিক করে নিন। আপনার প্রথম গন্তব্য হবে স্বর্ণমন্দির। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে মেঘলা এবং বিকেলে নীলাচল ঘুরে বেড়ালে ভাল লাগবে।
বান্দরবান থেকে স্বর্ণমন্দির
প্রথম দিনে জায়গা গুলো ঘুরে দেখার জন্যে একসাথে একটি গাড়ি রিজার্ভ করে নিতে পারেন। অথবা চাইলে প্রথম দিনে স্বর্ণমন্দির গিয়ে তারপর দুপুরের খাবার খাওয়ার পর মেঘলা ও নীলাচল দেখার জন্যে আলাদা ভাবে গাড়ি নিতে পারেন। যদি চান্দের গাড়িতে যেতে চান তবে গাড়ি ঠিক করার জন্যে জীপ স্ট্যান্ডে গিয়ে লাইনে থাকা গাড়ি নিতে পারবেন।
সবগুলো জায়গা ঘুরে দেখার জন্যে সিএনজি রির্জাভ ভাড়া ৮০০-১০০০ টাকা, মহেন্দ্র জীপের ভাড়া ১২০০-১৬০০ টাকা। আর চান্দের গাড়ীর রিজার্ভ হবে ১৮০০-২২০০ টাকা। এরপর গাড়ি নিয়ে প্রথমে চলে যান স্বর্নমন্দির। স্বর্ণমন্দিরে প্রবেশ করার জন্যে জনপ্রতি টিকিট কাটতে হবে ৫০ টাকা করে।
এবার স্বর্ণমন্দির ঘুরে আবার বান্দরবান শহরে ফিরে আসুন। এরপর শহরের যেকোন রেস্টুরেন্ট থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে নিন। চাইলে স্বর্ণমন্দির থেকে সরাসরি মেঘলা গিয়ে সেখানের যে খাবার হোটেলগুলো আছে সেখানে খেয়ে নিতে পারবেন।
নীলাচলের জন্যে হাতে যত বেশী সময় রাখবেন তত ভাল হবে। নীলাচল প্রবেশ করতে হলে টিকেট কাটতে হবে। এরপর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে বিকেল থেকে সন্ধ্যার সময়টুকু সেখানেই কাটিয়ে দিন।
দ্বিতীয় দিন
সকালে রেডি হয়েই রওনা হয়ে যেতে পারবেন। নীলগিরি যাবার পথেই পড়বে শৈলপ্রপাত ঝর্ণা, মিলনছড়ি ভিউ পয়েন্ট ও চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্র। আপনি চাইলে এইসব জায়গা একদিনেই ভ্রমণ করে আসতে পারবেন।
আর এজন্য যদি একটি সিএনজি ভাড়া সারাদিনের জন্যে নেন তবে সেক্ষেত্রে সিএনজি ভাড়া নিবে ২০০০-২২০০ টাকা। আর মহেন্দ্র জীপের ভাড়া পরবে ২,৪০০-৩,০০০ টাকা এবং চান্দের গাড়ি ৩,৫০০-৪,২০০ টাকা।
তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের দিকে পিক সিজন থাকার ফলে সাধারণত ভাড়ার পরিমাণ আরও বেশি হয়ে থাকে।
আপনি যদি খুব ভোরে ভোরে রওনা দেন তবে কোথাও না দাঁড়িয়ে সরাসরি একদম নীলগিরি চলে যান। এরপর নীলগিরি থেকে ফেরার পথে চিম্বুক, মিলছড়ি ও শৈলপ্রপাত ঝর্ণা দেখে আসতে পারবেন। নীলগিরি ও চিম্বুকেও প্রবেশের জন্যে আপানাকে টিকেট কাটা লাগবে।
আর দুপুর হলে আপনি চাইলে খাবার নীলগিরিতে খাবার খেয়ে নিতে পারেন। অথবা চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্রের সামনে যে আদিবাসীদের হোটেল আছে সেখানেও চাইলে খেয়ে নিতে পারবেন।
বান্দরবান শহর থেকে নিলিগিরি দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। আর শহর থেকে শুধু যাওয়া ও আসাতেই সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘন্টা।
এরপর দিন শেষে রাতের বাস ধরে বান্দরবান শহর থেকে আপনার গন্তব্যে রওনা হয়ে যান। আর যদি ট্রেনে যেতে চান তবে আগে টিকেট কাটা থাকলে বান্দরবান থেকে বাস ধরে সরাসরি চট্টগ্রাম চলে আসুন।
বান্দরবান ভ্রমন এ কোথায় থাকবেন
বান্দরবান (bandarban) শহর ও তার আশেপাশে থাকবার জন্য বেশ কিছু হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট আছে। বান্দরবান শহরে থাকার জন্যে যে হোটেল ও রিসোর্টগুলো রয়েছে তার মধ্যে কয়েকটির বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
- হোটেল হিল ভিউ: এটা বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ড এর একদম পাশেই অবস্থিত। ভাড়া পরবে ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
- হোটেল হিলটন: এটিও বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ড এর একদম কাছেই। ভাড়া পরবে ১২০০ থেকে ৩৫০০ টাকা।
- হোটেল প্লাজা: এটি বাস স্ট্যান্ড থেকে ৫মিনিট হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত। ভাড়া পরবে ৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা।
- রিভার ভিউ : বান্দরবান শহরের সাঙ্গু নদীর তীর ঘেষেই এ হোটেলটির অবস্থান।
- এখানে ভাড়া পরবে ৬০০ থেকে ২০০০ টাকা। পর্যটন মোটেল : এটি পাহাড় ও লেকের পাশেই অবস্থিত। বান্দরবান শহর থেকে ৪ কি:মি: দুরে মেঘলায়ে এই মোটেলটি অবস্থিত। ভাড়া পরবে ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
এছাড়া সাইরু রিসোর্ট ছাড়াও আরও বেশ কিছু সুন্দর রিসোর্ট রয়েছে বান্দরবান শহরে।
কোথায় খাবেন
আপনি যদি বান্দরবান শহরে ভ্রমণের জন্য যান, তবে খাওয়ার জন্যে রয়েছে বেশি কিছু রেস্তোরা। তার মধ্যে আছে তাজিং ডং ক্যাফে, মেঘদূত, রুপসী বাংলা,বিভিন্ন ক্যাফে, ফুড প্লেস রেস্টুরেন্ট, রী সং সং।
বান্দরবান ভ্রমন খরচ
ভ্রমণের খরচ অনেকাংশেই নির্ভর করবে ভ্রমণের সময় এবং ভ্রমণকারী কিভাবে খরচ করবে তার উপর। দেখা যায় অনেকে হয়তো খরচের চেয়ে আরামটাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়, আবার দেখা যায় অনেকেই হয়তো আরামের চেয়ে কম খরচের দিকেই বেশি প্রাধান্য দেয়।
তবে এখন চেষ্টা করব বান্দরবান ভ্রমণের খরচ সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা দিতে। এখন ধরে নিচ্ছি আপনি ঢাকা থেকে বান্দরবান(bandarban) ঘুরতে যাবেন এবং আপনারা একসাথে ৬ জন গ্রুপ করে বেড়াবেন।
১ রাত দুই দিনের ট্যুরে টিক কতটুকু খরচ হতে পারে তার ধারণাটা পাবেন এইখান থেকে। যেহেতু আপনারা ৬ জন ধরে নিচ্ছি, তাহলে বান্দরবান ঘুরে দেখার জন্যে যেকোনো ছোট জীপগাড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
- বাস ভাড়াঃ ১২৪০ টাকা জনপ্রতি (নন এসিতে যাওয়া ও ফিরে আসা)
- এক রাতের হোটেল ভাড়া : ১৮০০ টাকা / ২জন = জনপ্রতি পরবে ২০০ টাকা প্র
- প্রথম দিনের যানবাহন ভাড়া : ১৫০০ টাকা / ৬ জন = জনপ্রতি পরবে ২৫০ টাকা
- দ্বিতীয় দিনের যানবাহন ভাড়া : ২৮০০ টাকা / ৬ জন = জনপ্রতি পরবে ৪৬৬ টাকা
- প্রথম দিন ৩ বেলা খাবার : ১২০ + ১৫০ + ২০০ = জনপ্রতি ৪৭০ টাকা
- দ্বিতীয় দিন ৩ বেলা খাবার : ১২০ + ১৫০ + ২০০ = জনপ্রতি ৪৭০ টাকা
- অন্যান্য খরচ : জনপ্রতি ৫০০ টাকা
তাহলে এখানে জনপ্রতি মোট খরচ পরবে প্রায় ৪৩০০ টাকা। এখন এই খরচ চাইলে আপনি আরও বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনি যদি এসি বাসে যাওয়া আসা, এসি হোটেলে বা ভালো রিসোর্টে থাকেন তবে খরচ বাড়বে।
পরিশেষে
প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনি যদি কখনো বান্দরবান না যান, তবে আশা রাখব এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে কিছুটা হলেও আপনারা উপকৃত হবেন। নিজের অভিজ্ঞতাসহ বান্দরবান ভ্রমণ পাশাপাশি ট্যুর প্ল্যান ও বলে দিয়েছি, তারপরেও যদি এই বিসয়ে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে আমাদের জিজ্ঞাসা করেতে পারেন আমি আপনাকে হেল্প করবো ইনশাআল্লাহ।
বান্দরবান সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উওর
১. বান্দরবান থেকে নীলাচল কত কিলোমিটার?
উত্তর:- নীলাচল বাংলাদেশের একটি পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
২. চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানে যেতে কত সময় লাগে?
উত্তর:- প্রায় ৩ ঘন্টা
৩. চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবান বাস ভাড়া কত?
উত্তর:- চট্রগ্রামের দামপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে জনপ্রতি বাস ভাড়া ২০০ – ৩০০ টাকা।